google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re নববর্ষ ।। অর্পিতা মল্লিক - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

নববর্ষ ।। অর্পিতা মল্লিক

নববর্ষ

অর্পিতা মল্লিক 


নববর্ষের সাথে বাঙালির এক আবেগঘন অনুভূতি মিলে মিশে আছে। এটা শুধু একটা তারিখ পরিবর্তনের দিন নয় , এটি এক গভীর সাংস্কৃতিক আবেগ, ঐতিহ্য আর নতুন আশার প্রতীক ।
চৈত্রের শেষে বৈশাখের সাথে নুতন একটি বছর শুরু হয়। নুতন সুর্য , নুতন আলোর কিরনে চারিদিক উদ্ভাসিত করে। নুতন প্রত্যাশার উদয় হয় ।
এই বর্ষবরণের একটা প্রাচীন ইতিহাস আছে ,যা সময়ের পরিক্রমায় নুতন মাত্রা পেয়েছে ।বাংলা সনের উৎপত্তি ঘটে মোগল সম্রাট আকবরের  সময়ে, মুলতঃ কৃষি ও খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে। তখনকার "ফসলি সন' বা "তারিখ ই ইলাহি' হিসাবে একটা নতুন ক্যালেন্ডার চালু করা হয়। যা পরে বাংলা  "সন'নামে পরিচিতি পায়।
সময়ের সাথে সাথে বর্ষবরণ শুধুমাত্র অর্থনৈতিক আচার থেকে রূপ নেয় এক বিশাল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবে ।
আজকের আমরা ইংরেজী তেই দিন যাপন করলেও  বাংলা নুতন বছরের  প্রভাব অটুট আছে –ভবিষ্যতেও থাকবে । ইংরেজি বর্ষবরণের উদ্দাম ডিজে ড্যান্স মদ্যের ফোয়ারা আমাদের বাঙালি বর্ষবরণে থাকে না ।
প্রভাতফেরীর মাধ্যমে সূচনা হয় বাঙালির বর্ষবরণ ।বৈশাখ মাস  মানে তো আমাদের প্রাণের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জন্ম মাস।তার‌ই লেখা ,"এসো হে  বৈশাখ এসো এসো'---গানে মুখরিত হয়ে ওঠে।
ব্যবসায়ীরা লক্ষী গনেশের পুজো করে নুতন খাতা  যা "হালখাতা'  অনুষ্ঠান করেন‌। সাধারণ মানুষের কাছে আনন্দ নিয়ে আসে এই প্রথম দিনটি । মা ঠাকুমা  বছরকার দিন বলে থাকেন।মানা হয় শুরু ভালো হলে শেষটাও ভালো হবে ।তাই যে যার সাধ্যমত নুতন জামাকাপড় পড়ে ভালো খাওয়া দাওয়া করে দিনটা বিশেষ ভাবে কাটায়। নুতন এক উদ্দীপনা এনে দেয় সকলের মনে।
গুরুজনের আশীর্বাদ নিয়ে নুতন বছরের পথ চলা শুরু হয়। পুরনো যা কিছু দুঃখ, দৈন্য সব ভুলে এক নুতন সূচনা।
     ‌ আলো ভরে এলো বৈশাখী প্রভাতে,
      নুতন সূর্য হাসে নীল আকাশ পাতে।
      মুছে ফেল গ্নানি, পুরনো স্মৃতি 
      নুতন করে বাচো---এই নবজন্ম গীতি।
      শুভ নববর্ষ আনুক শান্তি,
     হৃদয়ে বেজে উঠুক প্রেম গীতি।
নববর্ষ উপলক্ষে অনেক জায়গায় আনন্দ মেলার আয়োজন হয় । বাঙালি তো খাদ্য রসিক।এই দিনটিতে ঘরে বাইরে বিভিন্ন রকম খাবার তৈরি করা হয়। আমাদের শৈশবে তো বাড়িতেই  মা কাকিমা, ঠাকুমা সবাই মিলে যত্ন করে হরেক রকম স্পেশাল পদ বানাতেন।সকলের রসনা তৃপ্ত হতো।সে সব পদ এখন অনেক গুলোই বিস্মৃতির পথে।আমরা এখন বাড়ির থেকে রেস্তোরাঁয়  বিশেষ দিন কাটাতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
আধুনিক প্রযুক্তি অনেক সুখ সুবিধা এনে দিয়েছে তাও কোথায় যেন একটা খামতি অনুভূত হয়। আগেকার সেই প্রানোচছাসটার অভাব হয়।
নতুন বছর সবার খুব ভালো কাটুক এই কামনা র‌ইলো। অন্যায়কারী শাস্তি পাক ।যোগ্যরা সুবিচার পাক তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী। শান্তি ফিরে আসুক সবার মনে।

****************
অর্পিতা মল্লিক 
468 Dream Park, Block-B1, Flat-1A, Sonarpur Station Road, Kolkata-700103 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন