google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re ধারাবাহিক প্রবন্ধ ।। সহিত্যে সেতুবন্ধন (শেষ ভাগ) ।। রণেশ রায় - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

ধারাবাহিক প্রবন্ধ ।। সহিত্যে সেতুবন্ধন (শেষ ভাগ) ।। রণেশ রায়


কবিতায় সেতুবন্ধন 

(শেষ ভাগ)

রণেশ রায় 



দ্বিভাষিক কবিতা



দ্বিভাষিক কবিতা যেন একটি পাখির দুটি ডানা। হতে পারে একটি ইংরেজি একটি বাংলা বা যে কোন একাধিক ভাষায়। ডানা মেলে ওড়ে আকাশে।  গেয়ে চলে সুর ছন্দ লয়ে।


একই ভাবনায় সমৃদ্ধ কবিতাকে দুটি ভাষায় কোন সাহিত্যিক পরিবেশন করলে তাকে আমরা দ্বিভাষিক কবিতা বলে উল্লেখ করছি।  এর ওপর আলোচনা সম্পর্কে আমার পড়াশুনা করা  নেই । জানি না  বিষয়টা  নিয়ে  আগে কোথাও  কোন আলোচনা হয়েছে  কি না।  বিষয়টা নিয়ে আমি যেভাবে ভেবেছি তাই লিখছি। এই প্রসঙ্গে অনুবাদ কবিতা আর দ্বিভাষিক কবিতার মধ্যে আমি পার্থক্যটা যেভাবে ভেবেছি সেটা তুলে ধরছি। সাহিত্যের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দ্বিভাষিক কবিতার গুরুত্বটা বোঝার চেষ্টা করব। 


অনুবাদ কবিতা সৃষ্টি হয় সাধারণত একটা ভাষায় লেখা বিষয়কে অন্য ভাষায় তুলে ধরার মধ্যে দিয়ে যেখানে অনুবাদকের স্বাধীনতা কিছুটা সীমাবদ্ধ থাকে অনুবাদকের সংযত আচরণের মধ্যে কারণ অনুবাদককে খেয়াল রাখতে হয় যাতে মূল লেখকের ভাবনায় মৌলিক পরিবর্তন না আসে। অবশ্য এটা মানতেই হয় যে অনুবাদ কবিতায় অনুবাদকের অজান্তে হলেও তাঁর ভাবনার প্রভাব তাঁর  অনুবাদ কাজে পড়ে। এখানেই অনুবাদ সাহিত্য তথা অনুবাদ গল্প কবিতা উপন্যাস এক স্বতন্ত্র মাত্রা পায়। নেহাত তাকে অনুবাদ বলে অগ্রাহ্য করার সুযোগ থাকে না।  তবুও অনুবাদক দাবি করেন না যে কবিতার ভাবনাটি তাঁর নিজস্ব বা অনুবাদিত কবিতাটি তাঁর মৌলিক কোন লেখা। আন্তর্জাতিক স্তরে সাহিত্যের আন্তর্জাতিকরনে অনুবাদ সাহিত্যের ভূমিকা অনন্য সন্দেহ নেই। সেই ভূমিকার অনেকটাই পালন করে   দ্বিভাষিক কবিতাও । উপরন্তু দ্বিভাষিক কবিতা একই লেখকের দুটো ভাষায় একই বিষয়ের ওপর লেখা বলে সেটাতে লেখকের সাবলীলতায় স্বাধীনভাবে উপস্থাপনার সুযোগ অনেক বেশি। তিনি লেখা দুটিরই মৌলিক লেখক বলে স্বীকৃতি পান।অনেক বেশি স্বতন্ত্রতায় তা পরিবেশিত হতে পারে।একজন ইংরেজি জানা ফরাসি লেখককে যেমন ইংরেজিতে একই কবিতা লিখতে দেখা যায় তেমনি ফরাসি জানা ইংরেজ কবিকে নিজের ইংরেজি ভাষা  ছাড়া  ফরাসি ভাষায় একই বিষয় নিয়ে লিখতে দেখা যায়। উর্দু জানা এমন অনেক বাঙ্গালী কবি আছেন যারা একই বাংলায় লেখা নিজের কবিতা উর্দুতে লেখেন। মধুসূদন দত্তকে দেখা যায় একই ভাব নিয়ে লেখা কবিতা বাংলা আর ইংরেজিতে লিখতে। দ্বিভাষিক কবিতায় একই বিষয়  নিয়ে দু'টি  ভাষায় লেখা কবিতায় শব্দ  চয়ন ও উপমা ব্যবহারে কবি অনেক বেশী  স্বাধীনতা ভোগ করেন ।


সাধারণত কোন সাহিত্যিক প্রধানত তাঁর মাতৃভাষায় সাহিত্য চর্চা করেন। গল্পকার বা প্রবন্ধকার মাতৃভাষায় গল্প প্রবন্ধ লেখেন। কবি মাতৃভাষায় কবিতা লেখেন। কবি  মাতৃভাষাতেই নিজের কল্পকথাকে কথামালায় সাজিয়ে নান্দনিক করে  তুলতে পারেন, তাঁর লেখা রণনিত হতে পারে ঝংকৃত  হতে পারে মাতৃ ভাষাতেই। তবে মাতৃভাষায় তিনি নিজের লেখায় নিজেকে অন্য ভাষাভাষী মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারেন না। সেটার জন্য দরকার হয় কোন লেখার ভিন্ন ভাষায় ভাষান্তর তথা অনুবাদ করে দেওয়ার। সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য কেউ করে দেন। সেক্ষেত্রে অনুবাদকের ভাবনা যুক্ত হয়ে যায় মূল লেখকের ভাবনার সঙ্গে। ফলে মূল লেখক যেভাবে বলতে চান সেভাবে লেখাটি প্রতিভাত না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে  লেখক একাধিক ভাষা জানলে নিজে একই ভাবনা একই বিষয়বস্তু নিয়ে একাধিক ভাষায় গল্প কবিতা বা প্রবন্ধ লিখতে পারেন, দুটো ভাষায় একই ভাবনা লেখকের মনোমত সেজে উঠতে পারে। আমরা যারা দুটো ভাষা জানি যেমন ইংরেজি আর বাংলা তারা একই বিষয় দুটো ভাষায় লিখতে পারি যাকে আমরা দ্বিভাষিক লেখা বলতে পারি। উল্লেখযোগ্য যে কোন  অনুবাদকের অনুবাদ  করা  কবিতা বা গল্প কখনও  তার নিজস্ব  লেখা  বলে  গণ্য  হয় না। কিন্তু দুটি ভাষায় একই  ভাবনায়  দুটো  লেখাই  তাঁর দু'টো নিজস্ব  লেখা  বলে  গণ্য হয় ।




ন্যায়ের ঠিকানা

২৩/০৯/২০২৪


মেয়ে আমার, উদ্গত অংকুর,

 নির্ভয়া, তিলোত্তমা অভয়া বা দুর্জয়া ----

বা আদিবাসী মেয়েটি আমার 

পথ যে বড় বন্ধুর !

বন্ধ থেকো না আর

নিঃশাস তোমার মুক্ত বাতাস, 

ভাঙ ভাঙ পৌরুষের কারাগার।

মুঠো শক্ত কর, তুলে ধর এ আকাশ,

হৃদয়ের আলো জ্বালো----

অর্ধেক আকাশ সে যে প্রাপ্য তোমার।

কোন অনুগ্রহ নয় নয় কোন দয়া, 

ছিনিয়ে নিতে হবে অধিকার ----

সে যে ন্যায্য পাওনা তোমার।


নেমে এসো পথে,

রাতের সে অন্ধকার পথ, 

দখল চাই সে পথের---- 

পথই পথ দেখায় এ আঁধারে।

চলতে চলতে চলতে 

জানা যায় আর কত পথ চলতে হবে-----

কত দূরে আর সে মোহনা

সাম্যর বার্তা বয় 

মুক্তির সে সীমানা

লেখা আছে সেখানে ন্যায়ের ঠিকানা।





The Message of Justice 


My daughter, the blooming bud,

Nirbhoya, Tilottama, Abhaya,

May be Durjoya, the Adivasi girl,

Upheaval path it is

Don't remain chained----

Chained in the prison of male chauvinism.

Break open the cage,

Hold strong your fist

Look up to the sky,

Half of the sky you deserve----

Breath the free air.


No favor no pitty you claim

Have to snatch your right

That is the justice you deserve.


Come down on the path----

The deep dark path-----

Conquer the path,

Take control of the dark night

Lit the light of the heart.


As you move forward,

Step by step march ahead,

You know how far more to walk

To reach the destination,

How far is the shore to anchor

To meet the boundary of justice-----

The address of justice printed where

The message of equality written there.




আমি বাঁচতে চাই 


আমি বাঁচতে চাই

বেঁচে থাকতে চাই আমার কাজে,

বাঁচায় নয় আমাকে মনে রেখ বাঁচার লড়াই এ, 

কতদিন বাঁচি সেটা নয়

কী ভাবে বাঁচি সেটাই সব।

নাই বা হলাম নক্ষত্র আকাশে,

কোটি বছর নাই বা বাঁচলাম,

কিন্তু হতে তো পারি একটা দেশলাই কাঠি

মিনিট না হতেই মিলিয়ে যাই, 

কিন্তু তোমার হৃদয়ে আলো জ্বালিয়ে যাই

সে আলোয় আগামীকে দেখতে চাই।



My Endeavor


It is my endeavor

To live in my work,

To be remembered in my venture.


How long does not matter----

But how that bothers,

May not be a star in the sky

May not live long,

But may be  a fire stick

Die in a minute

Ignite the light of fire

The light that shows the path.






জোট বাঁধে


কোথায় হারায় কোথায় যায়

সেই সব ঝাঁক বাঁধা পাখি

আজের এ আঁধারে  আশ্রয় হারা

বিচ্ছিন্ন দিশাহীন।


বনানীর সবুজ ধূসর. সৃষ্টিছাড়া

হিমেল আঁধার রাত, নিষ্ফলা বৃক্ষ

গাছ পাতা ঝরা।


আমি পাই বার্তা-----

বিদ্রোহী তারা, তারা জোট বাঁধে

শীত শেষে নতুন সকাল

বসন্ত আসবে এবার-----

বনানী সাজে নতুন সাজে 

দিগন্ত উদ্ভাসিত পূবাকাশে

পাখিরা আবার জোট বাঁধে

মুক্ত তারা উড়বে আকাশে।


They Flock Together

Where they fly away, the flocked  birds,

Where they are lost------

They turned shelterless,

In this dark deep night

Visionless they are.


The green turned grey in light,

Unfruitful, the trees  stand barren.

It is freezing chilly cold night

Leaves exude from the tree.


I get the message—-

They  rebel

They get flocked together,

The new morning dawns

At the end of winter,

The spring to visit

New leaf to grow,

The tree turns fruitful

The birds are freed to fly

The greenery is adorned anew

The east horizon is illuminated in light,

The flocks of birds  fly free in the sky.




গ্রন্থি 


সময়ের যৌবনে সে গ্রন্থন

এতই সূক্ষ চোখে পড়ে না

নক্ষত্রের ছায়াপথে বাতাসের গুঞ্জনে

চলে সে সুর ছন্দ গানে গানে

আমি তুমিও গ্রন্থিত সে গ্রন্থনে।


চাঁদ থেকে সূর্য সবাই সে বুননে

শ্বাস প্রশ্বাস থেকে হৃদয় দুয়ার 

সবাই বাঁধা একই সে গ্রন্থনে

একই সাথে মেলে এসে সবে।


একে আমরা কখনও বলি প্রেম

কখনও তাকে ভাবি সে ভাগ্য আমাদের

কিন্তু সে থাকে নীরব অপেক্ষায় সর্বক্ষণ

গ্রন্থিত এই অংকুর  এই ভালোবাসা

কখন আমাদের জীবনে তার প্রস্ফুটন।



Weave


The prime of time in early life in passion,

The intricate weave is so fine and subtle,

Remains unvisited in vision

Walks through the galaxy of starry night,

It whispers through the breeze in mission.


In melody, rhythm and song pass through

You and me too are woven into this fabric.

From the moon to the sun,

All we are bound by this thread,

From breath to heartbeat it burns,

All are wreathed to this single weave.


We sometimes call it love,

Other times, we think of it as fate frozen.

But it remains silently waiting,

This sprout of love, forever woven.

When will it bloom in our lives?

This question searches our souls.




জীবন


জীবন এক পুস্পস্তবক, ফুলের সমাহার,

কত না বৈচিত্রের বুনন জীবনের ক্ষেতে, 

রঙ্গ রূপ রস গন্ধের জ্যোছনা

সুখ দুঃখ মিলন বিরহের হাসি কান্না

চিন্তা ভাবনার সুমহতি চেতনা।


আকাশ দিগন্তে জীবনের দৃষ্টিপথ

স্বপ্ন আর ভাবনায় জীবন প্রচ্ছদ

প্রতিটি মুহূর্তে অনুন্মোচিত গল্পের জীবন

সব মিলে সে এক মিলনের সৌরভ 

একাকিত্বের বিরহ কান্না মানুষের কোলাহল।


জীবনে প্রাণের স্পন্দন নিঃশ্বাসের শব্দে

ধ্বনিত হয় জঙ্গলের নিস্তব্ধতায়

জীবনের প্রবাহ স্রোতস্বিনীর স্রোতে 

উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে ঢেউয়ে

রাত শেষে উদয়ে  জীবন প্রজ্জ্বলিত

জীবন উদ্ভাসিত সূর্যের কিরণে

নেমে আসে ঝর্ণা হয়ে পৃথিবীতে

নদীর স্রোত বেয়ে মেলে গিয়ে সাগরে।



Sublime Life

09/04/2024


Life is a tapestry of threads,

Woven in vibrant colors and scents,

Sorrows and joys, comedy and tragedy,

A sublime dance of thought in melody.


To the sky's horizon, life is a vision,

A canvas of dreams and passion,

In every hour life unfurls unfolds 

Many a story remains untold unexplored

In union, it is a harmony, a tapestry,

A symphony of loneliness and life's melancholy.


Life is the sound of breath,

Echoing through forest silence and human roars,

Life navigates on the river's stream,

Wavering high on the wave's crest.


It basks in morning sunlight's warmth,

Flames with joy under the scorching sun,

In spring, life dances down to earth,

Flowing on the stream to meet the ocean.




হ্যাঁ, সেই পারে 

১০/০৪/২০২৫


কে বলিতে পারে, বল কে বলিতে পারে

এত সহজে সরলে জীবন কথা,

সারাদিনের ক্লান্তি শেষে একমুঠো ভাত,

কে পারে ভাগ করে খেতে সানন্দে ফুর্তিতে,

কে পারে এতো হাসি মুখে দুঃখকে অবজ্ঞা করতে

হাজার যোজন দূরে অজানা অচেনায় নিজেকে ভাসিয়ে দিতে,

কে পারে গভীর জঙ্গল পথ পেরিয়ে

সমুদ্রের ঢেউয়ে ঢেউয়ে পৌঁছে যেতে জনপদে

কে পারে নতুন জীবনের আশে পুরোনোকে,

আপন জনকে ছেড়ে নিজেকে বিলিয়ে দিতে,

শিশু সন্তান বাবা মায়ের জীবনের খোরাক যোগাবে বলে---


কে বলিতে পারে, বল কে বলিতে পারে

এত সহজে সরলে জীবন কথা।


হ্যাঁ পারে, আমি জানি সে পারে,

সে আমার সেই অষ্টাদশী কন্যা,

চাল নেই চুলো নেই স্বামী পরিত্যক্তা নির্যাতিতা

হয়তো বা স্বামী তার নিহত গোলাপ

হারিয়ে গেছে সুদূর কোন সে পরবাসে,

বৃদ্ধা বাবা মা দুই সন্তান ঘরে।


সেই পারে, এসেছে সে সুন্দরবন বাঁকুড়া মেদিনীপুর

গ্রাম বাংলার কোন এক অজানা গাঁ থেকে

নিঃস্ব রিক্ত সে, সে নিজ ক্ষমতায়নের সন্ধানে,

এসে দেখে যাও দিল্লি ব্যাঙ্গালোরে

মাদ্রাস মুম্বাই  কোন এক ঝা চক চকে শহরে,

তোমার আমার ফ্লাট বাড়িতে,

আমাদের মেজাজ মিটিয়ে আমাদের অন্নের সংস্থান করে 

ঘর বাড়ি পরিষ্কার রেখে অপরের সন্তান পরিচর্চা তার----

হ্যাঁ সুদূর সে গায়ের মেয়ে সবুজের সুবাসে

সে আজ ধূসর এই নগরে সভ্যতার বলিকাষ্ঠে

সে আজ পথে পথে নতুন জীবনের সন্ধানে

অনিশ্চয়তা বাধা বিপত্তির পথ ধরে চলেছে হেঁটে।



Yes, she can, 

10/04/2025, 


Who can say, tell me who can, 

Who can speak of life's misery 

In so simple way so easily,

After a day's exhaustion, with exhausted soul

Who can share a handful of rice with joy,

Who can ignore sorrow with a smiling face, Can rubish it, cast it far away,

Who can traverse the dense forest path

 Can  reach the mountai top 

Crossing over the ocean's waves,

Who can leave behind the familiar 

And venture into the undestined unknown,


Who can say, who can say,

 life's misery so  simply so easily.


Yes, I know she can, 

She is my eighteen-year-old daughter,

Without a home, abandoned by her husband,

Might be his husband, a red rose,

Perhaps lost in a distant land.

She was the daugher of greeen forest

A green leaf turned into gray

Devoted to the gallow of civilization today.


Leaving elderly parents and two children at home, 

She finds her way undestined unknown,

She has come from Sundarbans, 

Bankura, Midnapore, a rural Bengal village,

She is homeless penniless, 

Seeks for empowerment by her own strength.


Will find her in the cities, Delhi, Bangalore, Madras, Mumbai,

Working in our homes, caring for our children, managing our households,

She is the one who can walk on  with her own  feet, 

Walk the path of uncertainty,

Seeking a new life, amidst obstacles and challenges.




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন