নববর্ষ
অগ্নিমিত্র
নববর্ষ সত্যি বলতে কি একটা বিরাট বড় আবেগ, একটা বড় ঘটনা আমাদের বাঙালির জীবনে। আমরা বাঙালিরা দুর্গাপূজা, বইমেলা আর নববর্ষ নিয়ে মেতে থাকি। বাংলা নববর্ষকে উদযাপন করতে হয় ভালোভাবে। এই নববর্ষ পালিত হয় বঙ্গাব্দ অনুযায়ী, যার সূচনা করেন বাংলার রাজা শশাঙ্ক। ছোটবেলায় এই দিনটি বিশেষ দিন ছিল। বেশ কিছু উপহার লাভ হতো। এখনো অনেক ভাবে এই দিন উদযাপিত হয়। আপনি ঘুরুন ফিরুন, হালখাতা করুন, খান দান।... যেকোন নতুন কাজ বা নতুন ব্যবসা শুরু করা যায় এই সময়ে। আগে নতুন ব্যবসা আরম্ভ হতো এই সময়ে। সেই জন্য ব্যবসার খাতা বা 'হালখাতা'-র প্রচলন হয়। নববর্ষের পর পরই শুরু হয় গ্রীষ্ম, শুরু হয় হিমসাগর বা ল্যাংড়া আমের প্রতীক্ষা। মিষ্টিমুখ করানো হয় সবাইকে । বিশেষ ও বৃহৎ অনেক মিষ্টি তৈরী হয় নববর্ষ উপলক্ষে। আগে বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়দের বাড়ি যাওয়া হতো নতুন বছর উপলক্ষ করে; সবার সাথে গল্প হতো।এখন আর তা হয় না। আগে সকাল সকাল হতো প্রভাতফেরি। ' এসো হে বৈশাখ' গাইতে গাইতে পাঞ্জাবি ও লালপাড় সাদা শাড়ি পরে সবাই পথে নামতো। এখনো হয় এসব মাঝে মাঝে। তবে সেই আগেকার উৎসাহ উদ্দীপনায় যেন একটু ভাটা পড়েছে। আগে নববর্ষের সকালে চলতো রেডিও, চলতো টিভি। ভাই বোনেরা একত্রিত হতম, গল্প করতাম। খাওয়াদাওয়া হতো। সেই সব সোনায় বাঁধানো দিনগুলি কোথায় চলে গেল কে জানে ?! এখন তো যেন কারো কাছে সময়ই নেই। সবাই ব্যস্ত খুব। তা সে যাই হোক, পয়লা বৈশাখ দীর্ঘজীবী হয়ে থাকুক ও বারংবার ফিরে আসুক বাঙালির জীবনে ।।
🍃🍃🍃🍃
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন