জবাই দাও মনের পশু
আত্মত্যাগের উৎসব- হলো কোরবানি,
গরিবদের দাও না -মাংস অল্প খানি।
ভোগ বিলাস ছেড়ে যে-মনুষ্যত্ব কাম্য,
ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে-গড়ে তুলো সাম্য।
কেহ বড়ো পশু কিনে - করে প্রদর্শন,
অহমিকা মন থেকে -করো বিসর্জন।
কুপ্রবৃত্তি হত্যা করে- উচ্চ করো চিত্ত,
উৎকৃষ্ট কার্য সর্বদা- করে যাও নিত্য।
জবাই দাও মনের -ভিতরের পশু,
ভূমিষ্ঠ হবে সুদৃশ্য -নবজাত শিশু।
হিংসা বৈরী বলি দিয়ে -জন্ম দাও নীতি,
বন্ধন হবে নির্মাণ -স্বতন্ত্র সম্প্রীতি।
সংসারে সবাই যদি -স্বত্বত্যাগ করে,
পারস্পরিক সাহায্যে -শক্ত হাতে ধরে।
সুখ গুলো ভাগ করে - ঠেলে দাও ক্ষয়,
সকল ক্ষেত্রে আসবে -নিঃসন্দেহে জয়।
অশিষ্টতা নিষ্ঠুরতা -বীজ করো ধ্বংস,
ঈদুল আজহা তত্ত্ব -চেতনার অংশ।
ওহে জাতি এসো তবে -লোভ ত্যাজ্য করি,
পুনর্জন্ম নিয়ে মোরা-মর্ম শুদ্ধ গড়ি।
কেন ডাকো পথের শিশু?
পথের শিশু বলো যাদের
কষ্টে কাটে জীবন তাদের
পায় না একটু প্রীতি,
কেন ডাকো পথের ছেলে?
হতে পারে শচীন পেলে
গড়লে সঠিক রীতি।
রেলস্টেশন আর ফুটপাত জুড়ে
পথের ধারে ক্লেশে ঘুরে
অবজ্ঞায় দিন কাটে,
কেউবা হয় যে বিদেশ পাচার
ধর্ষিত হয় ব্যাধের খাঁচার
লুট হয় রাস্তা ঘাটে।
জন্মটা তাঁর যেখানেই হোক
যত্নে হবে আদর্শ লোক
যোগ্য আবাস দাবি,
দারিদ্রতার গ্রাসে শিকার
সুষ্ঠু বিকাশ চাই অধিকার
তাঁরাই দেশের চাবি।
মৌলিক অভাব না হয় পূরণ
ভিক্ষা,ছিনতাই করবে গ্রহণ
বিদ্যা শিক্ষা জ্বালো,
শিশু হলো জাতির ধারক
উন্নয়নের মূল তদারক
দেশকে করবে আলো।
হাত বাড়িয়ে দাও
জীবনযাত্রা থমকে গেছে
বন্যার পানি জমে,
উজান থেকে আসা ঢলে
বিপদ বাড়ছে ক্রমে।
বসত-ভিটা পানির নিচে
মানুষ দিশেহারা,
আটকে পড়ছে বহু লোকজন
বন্যার স্রোতের দ্বারা।
বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে
যোগাযোগটা ছিন্ন,
সিলেট যেন এই অবস্থায়
হয়ে গেছে ভিন্ন।
অনাহারে কাটছে কারো
সারাটা দিন রাত্রি,
কেউ বা আবার লড়াই করে
মৃত্যু পথের যাত্রী।
নিরাপত্তা দিতে হবে
এই মুহূর্তে আগে,
ঘরে ঘরে পৌঁছে দেই যে
ত্রাণ ভাগে ভাগে।
বিশুদ্ধ জল ঔষধ -পত্র
লাগবে অতি সত্বর,
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাও
অসহায়দের চত্ত্বর।
সেই মেয়েটির গল্প
সেই মেয়েটির গল্প বলবো এসো শুনবে যদি,
শ্যামল গাঁয়ে থাকতো যেথায় বয়ে চলতো নদী।
মেঠো পথে আলতা পায়ে হাঁটতো সবুজ ঘাসে,
কিশোরী মন বাদলা দিনে ভিজতো শ্রাবণ মাসে।
এলো চুলে গাছের ডালে কদম ফুল সে তুলে,
কৃষ্ণচূড়ায় মালা গেঁথে সময় যেতো ভুলে।
অবুঝ বয়স জানে না সে জীবন কাকে বলে?
খেলাধূলা লেখাপড়ায় আপন মনে চলে।
হাসিখুশি রঙিন স্বপ্নে বিভোর থাকে মেয়ে,
বাবা মায়ের আদর যত্ন ভালোবাসা পেয়ে।
বিছানায় সে শুয়ে ভাবছে কেন হলাম বড়ো?
দুঃখ গুলো চারপাশ থেকে করছে আমায় জড়ো।
আগের মতো স্বাধীনতা পায় কি আর সে খুঁজে?
চোখরাঙানি গর্হিত বাক্য হাসি দিয়ে গুঁজে।
মানুষ তাঁকে খেতাব দিলো মহীয়সী কন্যা,
অন্তরালে ভিন্ন পন্থায় তাঁর বক্ষে যে বন্যা।
জরাগ্রস্ত হয়ে মেয়ে নিরবে যায় ক্ষয়ে,
নির্যাতনের শিকার হয়ে মুখ খুলে না ভয়ে।
বুঝেনি তো সে তো হায় জীবন পাতা ভিন্ন,
যেমন করে ঘূর্ণিবায়ু করে দেয় সব ছিন্ন।
বিচারপতি কোথায় তুমি? বলে চিৎকার করে,
আর কতকাল ভেদাভেদ যে থাকবে ঘরে ঘরে?
নারীর প্রতি অবিচার কী চলবে জনম ধরে?
বাবা মায়ের সেই মেয়েটির নয়নে জল ঝরে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন