বর্ষার আনন্দ
হারান চন্দ্র মিস্ত্রী
দখিন দিকের আকাশখানা কালো মেঘে ঢেকে,
গুড়ুম গুড়ুম ডাক দিতেছে আজকে সকাল থেকে।
সূর্য আগে ঢেকে গেছে, ধুসর দুরের পাড়া,
কাদা পথে আসতে গিয়ে পথিক দিশেহারা।
খালের জলে ভেলা ভাসে জেলের লাগে কাজে,
ভেলায় চড়ে থাকে ভেসে মৎস ধরার ঝাঁজে।
গ্রীষ্ম গেল বর্ষা এবার চলবে দুমাস ঘুরে,
আষাঢ় মাসে বৃষ্টি এলো সারা আকাশ জুড়ে।
পাশের বাড়ির নতুন বধু ভিজে হলো সারা,
মেঘে থেকে বৃষ্টি ঝরে নামে বারিধারা।
ছোটো মেঘে তিরের বেগে আকাশ দিচ্ছে পাড়ি।
মাঝে মাঝে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হচ্ছে ভারী।
বাঁশবাগানে বাঁশগুলো সব মাথা নোয়ায় জোরে,
ঝড় এলো ওই বৃষ্টি এলো জল ধরে না ঝোরে।
সারা আকাশ জ্বালিয়ে দেয় অসহ্য দামিনী,
তাও ডরে না ভিজছে মাঠে প্রণয়ী-কামিনী।
দুপুর হলো ছেলে-মেয়ে যায় না পুকুর ঘাটে,
কচু পাতা মাথায় দিয়ে খেলছে সারামাঠে।
লাঙল কাঁধে ফেরে বিভু মাথায় দিয়ে টোকা,
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এলো যায় না তারে রোখা।
হাঁটু জলে নেমে চাষি বসায় ধানের চারা,
চারিদিকে জলরাশি দাঁড়িয়ে খায় তারা।
সূর্য যখন পাটে নামে বাসায় ফেরে পাখি,
ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামে কালো মেঘে ঢাকি।
_____________
হারান চন্দ্র মিস্ত্রী
গ্রাম ও পো- আমতলা,
থানা-ক্যানিং,
জেলা-দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
Rt
উত্তরমুছুনভালো লাগল।
উত্তরমুছুন