পোস্টগুলি

জুলাই ১৭, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

অমিত পালের কবিতা

বর্ষার রেশ বাংলা বর্ষপঞ্জির তৃতীয় মাস হতে এর প্রারম্ভ৷ আষাঢ়ে গম্ভীর নভঃলোক সমগ্র, মাঝে মাঝে গুরু গুরু নাদ কম্পিত হয় বসুন্ধরা, বিদ্যুতের ঝলকানি ফুটে ওঠে সন্ধিক্ষণে৷ ঝরে পরে শূন্য অন্তরীক্ষ হতে শ্রাবণ ধারা টিপ টিপ সমারোহে৷ হৃদয়াভ্যন্তরে সক্রিয় হয়ে ওঠে নতুন শ্রাবণের গল্প, চক্ষু চাহনি থাকে অম্বর প্রান্তে৷ আবার চিত্ত হয় বিষাদগ্রস্ত নব কাশ তুল্য নব নীরদের আকাঙ্খায়৷ =======================   নাম - অমিত পাল পিতা - সুফল পাল গ্রাম - শঙ্করপুর ডাক - ঠেঙ্গাপাড়া থানা - মঙ্গলকোট জেলা - পূর্ব বর্ধমান

অরূপ সাহার কবিতা

বর্ষাগমন এসেছে আষাঢ় , এসেছে শ্রাবণ সাথে এসেছে বর্ষণ । গুরু গুরু রব মেঘের আগম শোনা যায় গর্জন । বিদ্যুতের আভা চমকিয়া ওঠে বাজ পরে ঘন ঘন । শানিত ধারায় বর্ষণ হয় বাতাস বয় শন শন । আঁধার ঘনায়ে কালো মেঘে ঢাকে নির্মল নীল শূন্য । চারিদিকে জল করে ছল ছল মাঠ ঘাট পরিপূর্ণ । বর্ষার আগমনে ময়ূর- ময়ূরী নাচে নিত্য নতুন ছন্দে । অজানা সব ভাব নাচে, কথা নাচে নাচে মহানন্দে । গ্রীষ্মের দাবদাহে, প্রকৃতির সন্তানেরা যাত্রা করেছে শমন । তপ্ত ধরনীকে শীতল করতে হয়েছে বর্ষাগমন।

প্রশান্ত কুমার ঘোষের কবিতা

তোমার স্পন্দন প্রখর তাপে গ্যালন গ্যালন পরিতাপ করেছি, সূর্যের বিকট যৌবনের তরঙ্গে আশ্রয় নিয়েছি তরুর কোলে, তিরষ্কারপূর্ন তপ্ত অসির ঝংকারে রক্তাক্ত হয়েছি ওনার তীক্ষ্ণ দৃষ্টির লেলিহান শিখায় ঝলসেছে তনু । এক কুচি শান্তির জন্য নির্বাসিত হয়েছি বনানীর আঁচলে হাতের তালুতে করে ধরে মাখতে চেয়েছি সুশীতল বাতাস, ক্ষতবিক্ষত কঙ্কালসার কোষে তোমার কাছে নতজানু হয়েছি একটু স্বস্তির সন্ধানে করেছি তোমার যজ্ঞ। আজ তুমি আমার আঙিনায় আমার শিরা উপশিরা ছাপিয়ে উপচে পড়েছ কোষে-কোষে, আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে তোমার ওমের ধ্বনি সেদ্ধ মাংসপিন্ডের খাঁজে খাঁজে শুধু তোমার স্পন্দন। ****************************** প্রশান্ত কুমার ঘোষ গ্রাম+পোস্ট-রামজীবনপুর ১নং ওয়ার্ড থানা-চন্দ্রকোনা জেলা-পশ্চিম মেদিনীপুর

বিকাশ কুমার মাইতির কবিতা

" বিন্দু বিন্দু মুক্ত কণা" বর্ষা তুমি কার? তুমি তো আমার না, তবে কি শত শত মানুষের হৃদয় ঝরা অশ্রুধার! না, তবে তুমি কোন সকালে ভেজা ভেজা কালো আকাশ ঢাকার রেখা? কেন মনে জাগাও শব্দ ঝরা কথা? কেন প্রেমে পুলকিত এ বসুন্ধরা? এ তোমার কেমন মায়া খেলা গৌঢ় পদে পদে তোমার ছটা পড়েছে ধরা ঋতুর মাঝে বর্ষা সেরা| তোমার পানে কৃষকের চেয়ে থাকা লুকিয়ে খেলে হাসি কান্না তবু তুমি জীবন জীবের সেরা তোমার ছোঁয়ায় বিকশিত কচিপাতা ডালে ডালে গুন গুন গুঞ্জন সাড়া ধরণী সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা মুক্ত আকাশে মেলে ডানা| বসন্ত করছে শির নত তোমার বিদায়ে- হতনা এমন বাহার তুমি না থাকলে, শীতের আগমন তোমার ফেরার পথে তোমায় মেখে কোমলতা চারিদিকে মজানদী আজ উঠল জেগে তোমার'ই ঝরে পড়া রক্তধার মেখে| না, না তবে এ কি আমার বৃথা মন কল্পনার জঞ্জাল? না, হয়ত স্বপ্ন ভাঙা এক রাশ হতাশা! থাম, থাম, এ মন সুন্দর জীব- তুমি আমার করে আমাকে ভেবেছ কি কখনও? কেবল ভেবেছ নিজ স্বার্থের অবকুণ্ঠন মালা হতে মিশিয়েছ বিষ মুক্ত মেঘে ধরণীর বুকে চরম জল্পনা কল্পনা কন্যা বিদায়ের অন্তিম মুহূর্তে কাশফুল আর চঞ্চল ম

দীনমহাম্মদ সেখের কবিতা

বিরহী বর্ষা অফিস শেষে ঘরে ফেরা হাটুজল ভেঙে কলকাতায় বর্ষা নেমেছে কাকভেজা হয়েছি সেদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল সন্ধ্যার শেষে । আমি মামুনিকে নিয়ে ড্রয়িংরুমে ঠাঁই বসে , জানালাটা জলের ঝাপটায় ধাক্কা খাচ্ছিল । সেই ঘনানো শ্রাবণের দিন আনমনে গেয়ে ওঠা রবিঠাকুরের গান বৃষ্টি ভেজা রিকশা চালকের বেলের আওয়াজ আমাকে আনমনা করে । তোমাকে আজ খুব মিস করছি অনিন্দিতা । এস এম এস ও করেছি কয়েকবার রিপ্লাই দাওনি , ফোনটাও একনাগাড়ে বেজে গেল । তোমার বর্ষা এসেছে শুনছো ? এসো আবার বানভাসি বন্যার মতো ভিজি প্রেমের বৃষ্টিতে । ======================= NAME: DINMOHAMMAD SEKH VILL:DHAPARIA P.O:MATCHPOTA P.S: NAKASHIPARA DIST:NADIA

কবিতা: ইমানুর আলি

ছবি
বৃষ্টি বাইরে টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছে আকাশটা সাদাকালো মেঘে ছেয়ে আছে ব‍্যাঙের ঘ‍্যাঙর ঘ‍্যাঙর সকাল সন্ধ্যা মাতিয়ে তুলেছে; কচুপাতা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে রাস্তাঘাটে কালো পিঁপড়ে: দল বেঁধে ছুটছে বাসা খুঁজতে। বিদ্যুতের ঝলকানি বারণ করছে বাইরে আসতে। এমন মনোরম ঝিরিঝিরি বৃষ্টি: মন কি আর বসে থাকতে পারে? খোলা আকাশের নিচে। আয় তবে ভিজে আসি। ****************** নাম ইমানুর আলি গ্রাম- বানিয়াদহ ,পোঃঅ-নান্দিনা, পিন ৭৩৬১৬৮, দিনহাটা, কোচবিহার ‌

অরিন্দম দাসের কবিতা

ছবি
"বিচিত্র বর্ষা" বর্ষা এলেই আঁকিবুকি দেয় বিচিত্র কত স্মৃতিমেদুরতা। একদিকে হারিয়ে যাওয়া শৈশব অন্যদিকে প্রেয়সীর পথচলা আজও যেন চাতকের অপেক্ষায় । কিন্তু সবই তো অতীত, নীরবতা তাই যেন অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়। বর্ষা এলেই যেন ডাক পরে কাগজের নৌকার কিন্তু বয়স যেন দূরত্ব বাড়িয়ে দেয়। মনে পড়ে বর্ষার জলে দলবল নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার কতকথা। আবার বর্ষার জলে ভিজে ফুটবল খেলার মজাই যেন আলাদা । আর ভোজন প্রিয় বাঙালির পাতে খিচুড়ি আর ইলিশ মাছভাজা যেন রোমাঞ্চকর অনুভূতি এনে দেয়। আবার সন্ধের দিকে ওই যে কোলা ব্যাঙের ডাক,আর শঙ্খ ধ্বনি যেন মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। কিন্তু লাগাতার বর্ষণ আবার বুকটা আঁতকে উঠে ওই দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষ গুলোর কথা ভেবে। তারা কি খাবে,কোথায় থাকবে এই ভেবে কিন্তু বর্ষার পর নির্মল আকাশ যেন পুজোর গন্ধ পাইয়ে দেয়। ----------------------------------------------–----------------- Name =Arindam das Vill+p.o = Takipur (Duckbanglo) P.s = Rejinagar Dist = Murshidabad Pin = 742189 State = West Bengal Phone no =9153845585 Email = dasarindam282@gmail.co

বলাই দাসের কবিতা

" বর্ষা যখন পরম বন্ধু "     ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ চৈত্র বৈশাখ জৈষ্ঠের পর বর্ষা আসা চাই চাষআবাদ কখনো হয় না বর্ষা ছাড়াই বৃদ্ধ চাষী দাওয়ায় বসে ভাবছে বাঁচার কথা চাষ না হলে কে বুঝবে চাষীর দুঃখ ব্যাথা কৃষি প্রধান দেশ আমাদের বর্ষার উপর নির্ভর চাষের উপর স্বাদ আহ্লাদ নইলে বাঁচা দুস্কর পুকুরের মাছ ক্ষেতের ধান চাষির রাখে মান ঠিকমতো না বর্ষা হলে নষ্ট বাংলা সাঁচি পান " আল্লা মেঘ দে পানি দে " বলে করিম চাচা বৃষ্টি হলেই মনের সুখে দু'হাত তুলে নাচা সারাদিন ঝিমোয় বসে পল্লীবাংলা মা কষ্ট হয় না ঝরুক বর্ষা কেউ খরা চাই না বর্ষা যখন পরম বন্ধু হাজার কষ্টেও সুখ মাঠে মাঠে সোনার ফসল গর্বে ভরে বুক সভ্যসদস্যপদেরতার এই অগ্রগতি বিঞ্জানকে সঙ্গে নিয়ে সবার মূলে বৃষ্টিধারা ধরণীর বুক ভরিয়ে দিয়ে জোনাকি ওরে ফুল ফোটে চাঁদ রাতে হাসে পুকুর ডোবা নদী নালায় কদমফুল ভাসে রাতের রাণী রজনীগন্ধা আপন সৌরভ বিলায় নদীর বুকে পালতোলা নাও যায়ভেসে অজানায় রুক্ষ মাটি সরস হয় মহান কৃপা বৃষ্টির সর্ব কাজ সিদ্ধ হয় প্রকৃতির এই সৃষ্টির । ======================== নামঃ-- বলাই দাস, গ্রামঃ-- শান্তিপুর

সুনন্দ মন্ডলের কবিতা

আষাঢ়ে আষাঢ়ে মেঘ আসলো ভেসে পুড়ল দেখি রবির মন। কালো চাদর জড়ালো শেষে দুপুর পরে আকাশে রণ। নিয়তি মেনে মৌসুমী এলো বিরহ যত ঘুচল তার। সূত্র জেনে বৃষ্টি হলো ঝড় মেনেছে শীঘ্র হার। উদাসে চেয়ে চাতক পাখি গরম ভাপে মাটি ফুঁসছে। বৃক্ষরাজি শান্ত দেখি একটুখানি জল ছুঁয়েছে। ধুলোয় ঢাকা পাতার দেহ সবুজ পেল নতুন জলে। ঈষৎ গ্লানি মুছল দেখ ফুলেরা সব পাপড়ি মেলে। প্রজাপতিটা মেলল ডানা নতুন করে জীবন গড়ে। আকাশ থেকে প্রকৃতি থানা স্বপ্ন সুখ বাঁধল ঘরে। -----------   সুনন্দ মন্ডল, কাঠিয়া, মুরারই, বীরভূম