পোস্টগুলি

মে, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র: মে ২০১৯

ছবি
ব্লগ-নবপ্রভাত জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬  #  মে ২০১৯ 'ভোটরণ, জনগণ' বিষয়ক পঞ্চদশ সংখ্যা সম্পাদকীয় প্রকাশিত হল ব্লগ নবপ্রভাত   ''ভোটরণ, জনগণ'' বিষয়ক পঞ্চদশ সংখ্যা । আপনাদের মতামত পরামর্শ একান্ত কাম্য।  স্ক্রীনশর্ট নয়, নিজের লেখার লিংক শেয়ার করুন। লিংক-সূত্রে পাঠকগণ লেখা পড়ুন। প্রতি লেখার নিচে ফেসবুক কমেন্ট বক্স আছে, সেখানে মতামত বিনিময় চলুক। প্রতি মাসের সর্বোচ্চ পঠিত লেখাকে সম্মানিত করার পরিকল্পনা আছে আমাদের। স্ক্রীনশর্ট  শেয়ার করলে আপনি সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। তাই স্ক্রীনশর্ট নয়, নিজের লেখার লিংক শেয়ার করুন। নতুন বছর সকলের জীবনে সুখবর ও আনন্দ বয়ে আনুক  এই শুভকামনা জানাই। --নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদকঃ নবপ্রভাত ======= লেখক-সূচি কবিতা-ছড়া : আর্যতীর্থ    তপন কুমার মাজি    পল্লব দাস    সায়ন তরফদার    দেবপ্রসাদ মুখার্জী    নিসর্গ নির্যাস  পবিত্র দাস    চন্দন মিত্র    সৌরভ ঘোষ    কান্তিলাল দাস    শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়    অরবিন্দ পুরকাইত  বিশ্বজিৎ সাহু    সুতপা পূততুণ্ড     শক্তিপদ পণ্ডিত    আবদুস সালাম    নারায়ণ প্রসাদ জা

অরবিন্দ পুরকাইতের ছড়া

        জন্মনেতা আজকে যাকে দেখছ চোর কালকে দেখবে সাধু কেন-না তার হাতে আছে দল-বদলের জাদু! নেতা হওয়া সাধনার কী - জন্মনেতা সবাই সটকে পড়া জানাটা চাই হওয়ার আগে জবাই। দৃঢ়চেতা-টেতা কীসের, হওয়া দরকার তরল ভিন্নরূপ ধরাই নিয়ম চাও যদি দল-বদল। কী প্রয়োজন, ছাড়ুন ওসব শুদ্ধিকরণ-টরন আর আর দল বসে যখন করবে বলে বরণ।  ভিন পতাকার স্পর্শে মুক্তি - সকল পাপের ক্ষয় ভাবনা কীসের মাথায় যখন পার্টির বরাভয়!                                       --  অরবিন্দ পুরকাইত

আর্যতীর্থর কবিতা

       । আস্তাকুঁড় । আবর্জনা জমছে ভীষণ, মন জুড়ে ছায় আস্তাকুঁড়, কাজের কথার বাগান ফাঁকা, বাজে কথার ঘাস প্রচুর। বারোমাসের রোজনামচায় চাহিদারা রোজ খামচায় পাপোষ বানায় আপোষনীতি, সত্যে ফেরার রাস্তা ঘুর, শিরদাঁড়াকেই গুম করে দিই , খাড়া হওয়া অনেক দূর। ঈশ্বর আজ রাজনীতিকের দাবার বোড়ের কর্মতে, জন্মদাগের মতন এখন জাত লেখা হয় চর্মতে। শ্বাস উঠেছে জাতের ফাঁসে  ভোট-ড্রাকুলা হি হি হাসে নি-রক্ত দেশ হাজার ক্ষতে জাতিভেদের শর-স্রোতে, কোটি রকম ঘেটো এখন আমার ভারতবর্ষতে। কেউ দিয়ে দেয় মাসের ছুটি কেউ হেঁকে যায় জয় শ্রীরাম, ভোটের নামের বজ্জাতিতে তেল দিতে পা'য় নেই বিরাম। ধর্ম জাতে ভাগ করে, ভোটগাড়ি যায় ওই জোরে, মাঝের থেকে হচ্ছে খারাপ আল্লাহ এবং রামের নাম, অতীত নিয়ে বর্তমানের যুদ্ধে ভাবী তুলকালাম। গঙ্গানদী ধুঁকছে বিষে সেদিকপানে খেয়াল কার? লক্ষ বলি নিচ্ছে দূষণ সেই নিয়ে নেই ভোটপ্রচার। বাড়ায় বেকার শিক্ষা কেবল সে সব নিয়ে ভাবছে কে বল চলছে ঢালাও প্রতিশ্রুতির  খুড়োর কলের অত্যাচার, আলোর খবর বলে সবাই করছে ফিরি অন্ধকার। মনের ভেতর আবর্জনার স্তুপ জমে আর জায়গা নেই, সিংহাসনে চড়ুন যিনি নাগরিকের

সুমন কুণ্ডুর 'ভোটের গদ্য '

                              ' একটি ভৌটিক গদ্য '   ফুল ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে । বাজারের মোড়ে, পাড়ার লাইটপোস্টে, কার্নিশ বেয়ে ঝুলছে । কথা বলে উঠছে মানুষের সাথে, ' তুমি আমার সাথে আছো তো ? ' মাপছে । মাঝে মাঝে ' জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ' গেয়ে উঠছে ! তোমার গলার ভেতর ঢুকে গেল এইমাত্র, কলমের ভেতর । এইমাত্র শহরের দুর্গন্ধ ঢাকা পড়লো ।   ইকোয়েশন দোস্তো... ইকোয়েশন everywhere ! স্কুলে আমি অংকে ভালো ছিলাম, সাহিত্যে কাঁচা । অংক কষা ফুলের কাজ নয়, সাহিত্যের কথা বলতে পারতো ।  ফুল, সাধারণত মেয়েদের নাম হয় । টগর ডাকে এই শিউলি । ছোটবেলায় বাবার সাথে সাইকেলে চেপে নার্সারি থেকে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদার চারা এনে বাড়িতে লাগাতাম । শীতকালে ফুল ফুটলে আমাদের বাড়িতে চোর আসতো, চুরি হত ! এখন ওদের বয়স বেড়ে গেছে । কেউ কেউ সেলুন খুলেছে । সেলুন আমার ভালো লাগে, চুল কাটার পরে ঘাড়টা, মাথাটা বেশ ম্যাসাজ করে দেয় ।  আমাদের স্টেশনের টোটোয়ালারা ফুলের কার্যকলাপ নিয়ে বেশি জানেন । আচ্ছে দিন বা নোটবন্দির প্রভাব । রিক্সার বিবর্তন ! ফুল প্রেমিরা বড়রাস্তায় মালিকের সাথে দিনের বেলায় মিছিল করে । রাত

অমৃতা খেটোর মুক্তকথা

                    গিরগিটি   আজ সকালে কাঁঠালি চাঁপা গাছের ডালে একটা নধর গিরগিটি দেখলাম, চুপ করে বসে আছে। একটু পরে দেখি তার গায়ের রং বদলানোর ম্যাজিক।কলিং বেল বাজলো, দরজা খুলে দেখি আরে সেই পাড়াতুতো গিরগিটি টা! আবার এসেছে? একটু দূরে আরো  চার পাঁচ জন দাগী যুবক, তোলাবাজি করা যাদের পেশা। গিরগিটি বলল, বৌদি, এই হল আমাদের প্রতিনিধি আর দলের প্রতীক তো আপনি জানেন, সকাল সকাল ভোট দিয়ে আপনার গণ তান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে আসবেন। চার দিন পর ভোট, স্বামী একটু বেরিয়েছেন, একটা বাইক এসে থামল, দেখি সেই গিরগিটি, বলল, চলুন আমার বাইকে, ভোট দিয়ে আসবেন। আমি গম্ভীর হয়ে বললাম, তুমি যাও, আমি ঠিক সময়ে তোমার দাদার সাথে গিয়ে ভোট দিয়ে আসবো।গিরগিটি চোখ কটমট করে চলে গেল, নাম সুকান্ত, আহা কান্তিমান ছেলে বটে। মনে পড়ছে বেশ কয়েক বছর আগের কথা, এইরকম বৈশাখী দাবদাহে সকলের নাজেহাল অবস্থা।পোস্টারে এক কবির লেখা কবিতা, 'কৃষ্ণ চূড়ার ফুল লালে লাল, লালে লাল/ চারিদিকে হাঁস ফাঁস এত লাল সন্ত্রাস/। আমাদের প্রায় গোটা পাড়াটার চোখে জয় বাংলা, এখন দেখি নীল অপরাজিতা ফুটে আছে। তখন এই গিরগিটি টার চোখ দুটো লাল।সেদিনও সে বাইক

সত্যম ভট্টাচার্যের মুক্তকথা

              পালাবদলের ক্ষণে                           রাস্তার ঢাল গড়িয়ে ছোট্ট গাড়িটা যখন বিশাল সবুজ মাঠটায় নামলো তখন বিকেল শেষ হয়ে সন্ধে নামছে।মাঠের একদম এককোণায় ছোট্ট স্কুলবাড়ি।চারিদিকে ঘন সবুজ চা বাগান যেন অন্ধকারকে আরো আষ্ঠেপৃষ্ঠে জাপটিয়ে ধরে কাছে আনতে চাইছে।স্কুলঘরের কাছাকাছি একটা তাঁবু,গাড়ি থেকে নামতে নামতে খেয়াল করলাম।ডিসিআরসি থেকেই বলে দেওয়া হয়েছিল যে ফোর্স আগেই চলে গেছে।এটা যে বারের ভোটের কথা বলছি সেবারেই বর্তমান শাসকদলের ক্ষমতায় আগমন । গোটা রাজ্যেই মনে হয় সেবার ভোট হয়েছিল কেন্দ্ রীয় আধা সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে।প্রাক্তন শাসক দলের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে বিরক্ত জনগণ,ঘটে গেছে সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের মতো মারাত্মক ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলি,তাই হাওয়া অনেকটাই বইছে অন্যপালে।আবার শাসকদলও যে ছেড়ে কথা বলবে না তা বলাই বাহুল্য।   গাড়ি থেকে নিজে নেমেছি,পোলিংপার্টি-জিনিসপত্র সব ধীরে ধীরে  নামছে।তখনই-স্যার!চমকে উঠে পেছনে তাকিয়ে দেখি পুরোদস্তুর সামরিক পোশাকে,কাঁধে অত্যাধুনিক রাইফেল,পেছনে আরো দুজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে,এক পঞ্চাশোর্ধ ভদ্রলোক আমায় স্যালুট করছেন।এই খোলা মাঠে এরকম আল

তাপসী লাহার মুক্তগদ্য

এই বঙ্গে ভোট রঙ্গে ভোট দেবে ভাই ভোট, ভোট নেবে ভাই ভোট।কাকু কাকিমা মাসিরা পিসিরা দাদারা দিদিরা এই গরমাগরম মরসুমে কি শুধু আম পাকুক,কাঠাল পাকুক শুনে মন ভুলবে,বরং আম মেরে যাওয়া জনতার  ভেতরে চাপা ক্ষোভ, হিংসা , রাগ, দুঃখ, প্রাপ্তি        প্রত্যাশা, হতাশা গুলোকে  মনের ঘিঞ্জিগলি থেকে টেনে হ্যাচড়ে বের করে আগুন ধরিয়ে একটু মোচ্ছব পালন করে নিই,দূর্গাপুজা টূর্গাপুজা না,স্বাধীন  দেশের  স্বাধীন  নাগরিকদের এক্কেবারে যাকে  বলে,গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড়,বিগবাজারের অফারের থেকেও বড় একখানা উৎসব।          উৎসব হবে এমনি এমনি বুঝি।কত্তরকমের জোগাড় যন্ত্রিরের ব্যাপার স্যাপার আছে।তার আগে হেকে ডেকে ভোট দেবতার আবাহন করুন আগে,জয় ভোট বাবার জয়।জয় ভোট বাবার জয়।ভোট বাবা ছাকনি ছেঁকে  ভোটার আনবো, শুধু এই বারটা  একটা হন্যে করে দাও।       নির্বাচনী  প্রার্থির  ঘনঘন পুজা আচারে,  চিৎকার চ্যাঁচামেচিতে ভোটবাবার গেলো ঘুম ভেস্তে।আর চোখ কচল্যাতে কচল্যাতে সবে মাত্র হাই তুলেছেন কি না অমনি  চারিদিকের ত্রাহি চিৎকারে কানের পর্দার ফর্দাফাইয়ের জোগাড়,     "ভোট বাবা পার করেগা ভোট বাবা পার করেগা।" ভোট বাবা

ফিরোজ আখতারের অণুকথা

ভোটের প্রাপ্তি ..................... ভোটেতে অনেক জ্বালা থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু প্রাপ্তি থাকে ৷ যত ভোটের অভিজ্ঞতা বাড়ে ততই এই প্রাপ্তি'র ভাণ্ডার পূর্ণ হতে থাকে ৷ নির্বাচন কমিশন একে দেশের সবথেকে বড়ো উৎসব হিসাবে বর্ণনা করেছেন । সত্যিই তাই ৷ উৎসবই বটে ৷ প্রতিটি ভোটে যেসব অভিজ্ঞতা হয় তা নিয়ে একটা উপন্যাসিকা রচনা হয়ে যায় ৷ ভোটকর্মীদের টিম ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ । সম্পূর্ণ অপরিচিত চার-পাঁচজনকে নিয়ে শুধুমাত্র দু'দিনের জন্য একটি টিম তৈরি হয় ৷ ভোটের একদিন আগে অর্থাৎ P1 দিনে DCRC তে উপস্থিত হতে হয় । তাঁরা দু'দিন একসঙ্গে থাকেন, একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন, কাজ করেন, মজা করেন, সুখদুঃখের গল্প করেন ৷ তারপর ভোট নিয়ে ফিরে আসে RC ( Receiving Centre ) তে । নির্দিষ্ট কাউন্টারে সবকিছু জমা দিয়ে রওনা দেন যে যার বাড়ি'র উদ্দেশ্য । পরে হয়তো আর কোনদিনই পরস্পরের সঙ্গে দেখা হয়না । কিছু কিছু জায়গা আছে অত্যন্ত দুর্গম ও অগম্য । সেখানে ভোট শুরুর দু'দিন আগে অর্থাৎ P2 দিনে রওনা হতে হয় ৷ ফিরতেও সময় লাগে দু'দিন । সব মিলিয়ে ৫ দিন । ভোটের বুথগুলি যদৃচ্ছভাবে বেছে দেওয়া হ

শেফালি সরের ভাবনা

যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করুন ভারতের সত্যিকারের রাজনীতি হ'ল চাওয়া পাওয়ার রাজনীতি।কেউ যদি নেতাদের এইসব টোপ না গিলে তাহলে গিলোটিনে তাদের শিরশ্ছেদ। কখনো হয়তো ভয় দেখানো হয়,ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হবে নয়তো কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাতিল করা হবে।ভারত বর্ষের রাজনীতি এমনি ই। বাইরে শুধু হরিনামের জপমালা জপছে আর ভেতরে ভেতরে চুরির কৌশল আঁটছে। কাজে কম্মে অষ্টরম্ভা বাইরে শুধু চটকদারী।একটা ভোট মানে খুন জখম রাহাজানি। লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু।সরকারী জিনিস পত্র ভাঙচুর, প্রচুর টাকা পয়সার ক্ষয়ক্ষতি।আর এই টাকা তো সাধারণ  মানুষের উপার্জনের টাকা। এই সত্যি কথাটা সাধারণ মানুষ বোঝে না। আমি একজন সাধারণ নাগরিক। ভোট দেওয়ার দায়িত্ব আমার ও আছে। ভোট দিতে যাবো অবশ্যই। কিন্তু এতে কী যে লাভ আছে-আমার একার ভাবনায় প্রশ্ন টা কিন্তু বারবার মনের মধ্যে উঁকি মারছে। তবুও ভোট দেওয়া একজন নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য।তাই ভোটার লাইনে দাঁড়াতে হবে যথা সময়ে। তবু ও বলবো নেতা নেত্রীদের এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করুন দয়া করে। আমরা সাধারণ মানুষ একটু শান্তি পেতে চাই।         স---------মা------------প্ত।       

গদ্য কথাঃ আনোয়ার হোসেন

আমার প্রথম নির্বাচনী অভিজ্ঞতা আমি তখন কাজের সূত্রে ময়মনসিংহ ছেড়ে সিলেটের মৌলভী বাজারে। মোলভীবাজারকে চায়ের রাজধাণী বলা হয়। বাংলাদেশের সবচে বেশি চা বাগান রয়ছে মৌলভীবাজারে। এছাড়াও মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, মাধবকুন্ডু ইকো পার্ক, হাকালুকি হাওর, বাইক্কাবিল, লাউয়াছড়া ইকোপার্ক ও বিভিন্ন নৃতাত্বিক গোষ্টির বৈচিত্রময় জীবন যাপনের মৌলভীবাজার অনন্য। সেবার সংসদ নির্বাচনের জন্য আমি প্রথমবার দায়িত্ব পেয়েছিলাম। আমার শহরের কর্মস্থল থেকে প্রায় বিশ কিলোমিটার দূরে দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় আমার দায়িত্ব পড়েছিল। ভয় পেয়ে গেলাম। প্রথমবার নির্বাচনী দায়িত্ব। কিছুই চিনি না।  তার উপর পরিচিত কেউ নেই। মৌলভীবাজার-সিলেট অঞ্চল বাংলাদেশে হিন্দু অধ্যুষিত। আমার পরিচিতদের মধ্যে খোজ নিলাম। কেউ কোন হেল্প করতে পারে কি না। সবাই অপারগতা প্রকাশ করলে আমি আরো হতাশ হয়ে পড়লাম। শেষে পুলক পাল নামে আমাদের ব্যাংকের একজন গ্রাহক ব্যাপারটা জানতে পেরে আমাকে ফোন দিয়ে বলল, -"ভাই টেনশন করবেন না, আমার পরিচিত অনেকেই আছে ওখানে। একটা ব্যবস্থা করতে পারব আশা করি।" পুলক পাল আমাদের সমবয়সী। আমার সাথে ভালো সর্ম্পক। প্রতিদিনই ব্যাংকে আসে

আকাশ নীল মাইতির গল্প

" একটি অপ্রকাশিত খোলা চিঠি"            ---------------- প্রিয় সুজন,             আপনারা যারা আমাকে ভালোবাসেন এতকাল অন‍্যায় আবদার সহ‍্য করেছেন সবিশেষ জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি আমার মৃত্যু আসন্ন। তাই দুপুর থেকেই খুব ভয়ে ভয়ে আছি । কি করে জানলাম? জেনেছি। যেমন করে আপনারা মেঘলা আকাশ দেখে বুঝে যান বৃষ্টি আসবে কিনা। সেইভাবে। এমনিতেই আমি ছ'ফুট দু'ইঞ্চি লম্বা। গড়পড়তা বাঙালি ছেলেদের তুলনায় বেশ লম্বাই। কিন্তু দুপুর থেকেই দেখছি আমার ছায়ার দৈর্ঘ্য ক্রমশ আমাকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে! তাই নিজের আয়ু নিয়ে বেশ সন্দিহান।         এখন রাত এগারোটা পঁয়ত্রিশ। লেপের মধ্যে আমি আর আমার ছায়া সহাবস্থান করছি। আর মোবাইলের কী-প‍্যাডে টপাটপ টাইপ করে চলেছি আমার শেষ ইচ্ছেগুলো। আপনাদের কাছে আনুরোধ এগুলো যেন আমার জবানবন্দি হিসেবে ধরা হয়। কি জানি সকাল অবধি আর বেঁচে থাকতে পারবো কি না ! মনটা বড় কু-গাইছে গো ...          ছোটবেলায় স্কুলে পরীক্ষার সময় ফার্স্ট বয় বা সেকেন্ড বয়ের পাশেই বসতাম। পুরোটা না পারলেও বেশিরভাগটাই টুকে দিতাম। তারপর এর বাগান ওর বাগান করতে করতে বড়ো হয়ে গেলাম কবে। মা-বাবার মুখে প্রথ

তাপসকিরণ রায়ের গল্প

                                                     দেশ সেবক                                                       ভবতোষ বাবু রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখেন না । তবে দেশের ভাল মন্দ তিনি বোঝেন । তাঁর মতে দেশ কেমন চলছে তার ছবি দেখতে হলে সরকারি হাসপাতালগুলিতে একবার ঢু মেরে আসতে হয় । খারাপ জিনিস তাঁরও খারাপ লাগে , ভালো জিনিস তার মনকেও ভালো করে দেয় । অনেক সময় দেখা যায় দেশের সত্তা পরিবর্তন হতে হতেই তার চাল - চলন পাল্টে যায় । তাঁর চোখেও পড়ে রাজনৈতিক সত্তার অপব্যবহার । আচার আচরণের মধ্যে ধৃষ্টতা লক্ষ্য করা যায় , সর্বোপরি সততার বড় অভাব দেখতে পাওয়া যায় । এ পরিবর্তনে রাজনৈতিক দলের স্বভাবজাত ছবিটুকুই ফুটে ওঠে , এটা ভবতোষ বাবু জানেন । সে দিন ভবতোষ বাবু ভাবলেন , এটা তো একদমই ভালো লাগে না । দিনে দুপুরে পথে জয়ের উল্লাস চলছে , প্রকাশ্যে মদের ফোয়ারা , হোই - হুল্লোড় , খেমটা নাচ চলছে । ভবতোষ বাবু সে দিকটা আর মাড়ালেন না ।   অন্য পথ দিয়ে ঘুরে তিনি বাড়ি ফি