পোস্টগুলি

আগস্ট ১৮, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

সম্পাদকীয় ও লেখক-সূচি

ছবি
   সম্পাদকীয়র বদলে নবপ্রভাত ব্লগজিনের ৩০তম সংখ্যা প্রকাশিত হল। বেশ কিছু ভাল কবিতা, ছড়া ও গল্প এই সংখ্যায় পাবেন। লেখাগুলি পড়ুন। লেখার নীচেই আপনার মতামত জানান। আপনাদের ভাল লাগলে আমরা তৃপ্ত। লেখকরাও অন্যের লেখা পড়ুন, মতামত জানান। লেখকগণ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় নিজের নিজের ওয়ালে   নিজের নিজের লেখা লিঙ্ক শেয়ার করুন। বেশি বেশি মানুষ ব্লগে এসে লেখা পড়ুন। আমাদের পরিশ্রম সার্থক হোক। সমস্ত উদ্যোগ-আয়োজন বিষয়ে আপনাদের সুচিন্তিত পরামর্শ একান্ত কাম্য। সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।       সূচিপত্র  প্রবন্ধ-নিবন্ধ তপন তরফদার    শেফালি সর   গল্প বিশ্বনাথ প্রামাণিক   অরূপম মাইতি   উত্তম বিশ্বাস   তরুণ মান্না   মৌসুমী দত্ত   তাসফীর ইসলাম (ইমরান)   অরূপ কুমার গোপ মন্ডল   অঞ্জনা গোড়িয়া    অলোক দাস   সুজিত চট্টোপাধ্যায়   কবিতাগুচ্ছ বনশ্রী রায় দাস আবদুস সালাম   দেবাশিষ সরখেল   মঞ্জীর বাগ   শ্যামাপদ মালাকার   সুপর্ণা ডাঙ্গর   নন্দিনী পাল   কবিতা এবাদুল হক   বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় নক্ষত্র রাহা   দেবীপ্রসাদ পাঁজা   জগবন্ধু হালদার   আবদুস সালাম   অমিত পাটোয়ারী অঞ্জনা দেব রায়   সু

কবিতা : বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়

ছবি
সেখানে ঘাসের রং সবুজ পোড়া ঘাসের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে থাকা পিয়ানোয় ছুঁয়ে আছে বীভৎসতার গলে যাওয়া হাত বেজে চলেছে আগুন নীল আকাশ আসতে আসতে গনগনে লাল হয়ে উঠছে মৃত খুলি মাথা নামিয়ে মেনে নিচ্ছে সব অপরাধ সাটার বন্ধ করার আগে চোখের গ্রিলে একটি বৃদ্ধ হাত বন্দিত্ব খেতে খেতে নুয়ে যাওয়া দেহে আর চির অপেক্ষা। এদিকে বিছানার উপর উপুড় হয়ে আছে ঘুম আয়নায় ফুটে উঠছে উলঙ্গ নারীর ঢেউ ভেসে যাচ্ছে স্বপ্ন নিজ দোষে ডিএনএর ভেতর নৌকা বেয়ে পাড়ি দিচ্ছে পূর্বপুরুষের কঙ্কাল কেওবা ডুবে যাচ্ছে গভীর সমুদ্রে শেকড়ে জমানো আছে বৈদিক জ্ঞান অজানা লিপিতে তাই চেয়ে দেখা ছাড়া কিই বা উপায় পৃথিবীর শিরায় রক্তের স্রোত লাভার উপর বসে আছে ধ্যানমগ্ন মহাকাল রক্ত মেখে উঠে আসছে সূর্য করজোড়ে সমস্ত ব্রহ্মান্ড তর্পন করে চলেছে অজানা ভয়ে আগুনের লেলিহান শব্দ ভেদ করছে কর্ণকূহর ভেঙে পড়ার আগে সমস্ত ইন্দ্রিয় শেষ বারের মত চেটে নিচ্ছে এক পেয়ালা গরম মুহূর্ত আর কিছুটা পথ পেরিয়ে দেখা যাচ্ছে কিভাবে একটি শীর্ন হাত খায়িয়ে দিচ্ছে অভুক্ত পৃথিবীকে। সেখানে ঘাসের রং সবুজ আর পিয়ানোয় তোলে সাত সমুদ্র।

কবিতা // এবাদুল হক

ছবি
অনুভবের আগুন দিনশেষে যদি দেখ স্বপ্নের ভেতর রক্তপাত চিলেকোঠায় সূর্য অস্ত গেল অথচ রাত্রির মুখ ঢাকা তাহলে নিশ্চিত জেনো তোমাকে খুঁজছে কেউ অথবা প্রতীক্ষারত তুমি, বসে আছো স্মৃতির জঙ্গলে ক্রমশ তোমার মধ্যে জন্ম নিচ্ছে, ফিরে আসছে অনুভবে স্পর্শের গভীর থেকে উঠে আসছে আরেক মানুষ। যদিও অন্ধকারে পা রাখার জায়গা খুঁজে খুঁজে পায়ের কথাই ভুলে গেছ, ভুলে গেছ ক্লান্তি ও হতাশা রাত্রির সংগমরত নদী ঢেলে দিচ্ছে বিষজল চতুর্দিকে সময়ের ভুক্তাবশেষ, মাকড়সার মত মৃত্যুসুখ। দিনশেষে যদি দেখ করোটির ভেতর সূর্য ডুবছে অদৃশ্য শিশির হিমে নিভে যাচ্ছে চিরব্রতী আগুন প্রার্থনা করো, বুকে যে সামান্য তাপ ছিল প্রলয় চিৎকারেও তার কোনো গান বন্ধ থাকেনি।  

কবিতাগুচ্ছ ।। বনশ্রী রায় দাস

ছবি
                            প্রিয় মুখ অন্ধকার নিকষ হাঁটতে পারে মৃত্যু  জীবনানন্দের কবিতার নৈঃশব্দ্য বুকের অতলে ভেসে যায় ধানসিঁড়ি নদী। দিগন্তের ঘামে ভেজা পৃথিবীর চাঁদ  কারণ খুঁজতে চায়নি কোন দিন । # সিঁড়ি অদৃশ্য হয়ে যায় ধোঁয়া ধোঁয়া  নিতান্তই খড়কুটোর বেলা সমাগত । # বাহিরে দাবদাহ কেমন সে প্রপাত-সুখ ভিতর জলে সাঁতরে মরে  কান্না রঙের মুখ ।             ------0------                 ক্যানভাস শ্রাবণ বিকেলের এপিটাফে আঁকা পাখির চোখ  কাঙ্খিত জয় পেতে বকের-ধ্যান  মেঘের ডোর বেলের কাঁটা.  জলের  ছলাৎ বোঝে নদী অরণ্য । # কাঁপন ধরিয়ে টান-টান কলসির মুখ  যমুনা বিনোদন জানে বাঁশি ও নূপুর  # মন্দ্র তালে আকাশের মল্লার বাজে  জোনাকি পাড়ায় আলোর শুভেচ্ছা নিয়ে  পাতায় জল চন্দন  জাগে একতারা সারারাত ।             ------0-----          নীল নক্ষত্র       প্রহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলাতে পারো তোমার কথার আগুনে উপন্যাস  ছায়া জীবন আমার  আয়নায় ধরে রাখতে চায় আয়ুক্ষয়ের ফুল  # ছায়া বদলে গেলেই  কম্পদিয়ে জ্বর আসে  তোমার হৃদয় মাঝে যুদ্ধের শঙ্খ  অথচ শিকল ভাঙার গান  আর কতদিন ছদ্মবেশে থাকবে হে জনার্দন  !          -----0-----           

কবিতা ।। দেবীপ্রসাদ পাঁজা

ছবি
নগর বাউল বদলানোর প্রাক্কালে নক্ষত্রের আসনে টানা বিপর্যয়ী হাওয়া, একটা হ্যাঁচকা টানেই টলমল নশ্বরতার সুনাম। সদ্যমৃত স্রোতে ভাসা অরূপ শরীরটা যেন ক্রমেই ভুলছে মানুষ হওয়ার দায়ভার... খোলা রঙ্গমঞ্চে অস্তিত্বের পোশাকে জন্মেছে কোন কালেই, ভাঙাচোরা মন, জ্যোৎস্নার ঝালরে লুকানো একতারা হাতে বেরিয়েছে আবার কোন আধপোড়া প্রেমিকের ফটক থেকে! দাঁত নখ বের করা নগর সভ্যতার রাজপথে একলা আউল, দুঃখের সরণির কোন প্রাচীন দালানের সামনে তার কাঙ্ক্ষিত পেট ভরাবে আজ 'এসরাজের' খেয়ালি। বাঁচিয়ে রাখা তৈলচিত্রে নিজেকে আরেক বার সেঁকে নেয়, বৃষ্টিস্নাত নিয়ন আলোয় মরচে পড়া এই শহরের আস্তাবলে লেখা হচ্ছে এক বাউলের অলৌকিক জন্মের রূপকথা! মেঠো সুর ডিঙিয়ে কলসি কাঁকে কোন এক বোস্টমি, হাসির মন্ত্রটা একই রেখেছে... কিন্তু নিরালা ঠোঁটে ঠোঁট রাখা ছেলেটা সুর ভুলছে ক্রমে, অনুচ্চারিত শব্দের সৃজনেও আক্ষেপের অস্ফুট তাল.... শীতঘুমে যাবে দুঃখ কুড়াতে আসা রোগা ডিগডিগে, কাঁচা দাড়ির, ছাই রঙের জোব্বা পড়া ছেলেটা। কুয়াশার খোলসে আর কোন প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতে হবে না! একটা লোকান্তরে জন্মানো নগর বাউলের ধারক অন্ধ জাতিস্মর, তাই হয়ত বুকের মাঠে চলা ঈশ্বর নিরীশ্

কবিতা ।। নক্ষত্র রাহা

ছবি
  অসুখ রাতের অন্ধকার ফ্যাকাশে হতে হতে  কখন যে দিনের উজ্বলতা বেড়েছে ভবিষ্যতের কাঁধে সুখের জোয়াল রেখে ঘোলাটে অসুখে __ , অবিন্যস্ত  চুলগুলো ধূসর হতে হতে চলার রাস্তা বেখেয়ালেই পিগমেন্ট হারিয়েছে  অনাগত আধবোজা ছত্রধর ঠোঁটে; খেয়াল রাখিনি কবে নদীর নাব্যতা হারিয়েছে চটকদারী আধুনিক অর্কেস্ট্রার বহুগামী সঙ্গীতের বাহ্য গৌরব উল্লাসে! বিক্ষুব্ধ ঝড়ের গ্রন্থিতে মানব অনুভূতির প্রথম যৌনসুখ ভেঙ্গেছে অনুপলব্ধ পাঁজরের নিচে হৃদপিন্ডের ঝোড়ো দমকা ঝাঁকুনিতে! ওদের সখ,  ওদের আকাশ যাত্রার পূর্বপরিকল্পিত ডানায় ওড়া সবুজ অভিযানের অরণ্যে হঠাৎ এসে পড়েছিলাম বিবর্ণ আগন্তুক অসুখ ! ফিরিয়ে দিয়েছি একে একে সব হৃত সবুজ রক্তের উচ্ছল ইতিবাচক স্রোত ___ , আবার ফিরে এলাম ভবিতব্যের স্কন্ধ্যে নিয়ে  ফেলে আসা চিরন্তন সমতল অসুখ।   ============================     

ছড়া ।। স্বপনকুমার রায়

ছবি
আগস্ট মানে আগস্ট মানে পনেরো তারিখ আগস্ট মানে স্বাধীন ভারতবাসীর বুকের রক্ত নাচে তাধিন নাধিন! আগস্ট মানে স্বপ্নপূরণ আগস্ট মানে জয় ভারতবাসীর দূর হলো আজ প্রাণ থেকে সংশয়! আগস্ট মানে তেরঙ্গা এক শিকল ছেঁড়ার নিশান আগস্ট মানে ভারত মায়ের মুক্তি পাওয়ার দিশান। আগস্ট মানে পনেরো তারিখ নই পরাধীন আর আগস্ট আসে আগস্ট ভাসে স্বপ্নেতে বারবার।       ########          স্বপনকুমার রায়         বৈষ্ণবঘাটা পাটুলি টাউনশিপ,          ব্লক:- ইউ 113, কলকাতা:- 700094           ফোন:- 9674133099  

ছড়া ।। গদাধর সরকার

ছবি
স্বাধীনতা  স্বাধীনতা মানে আলো ঝলমল  । আহা নাচে কত পরী  ! দিকে দিকে ছুটি  । ছুটি আর ছুটি  । বহু ইমারত গড়ি  । অসুখে ওষুধ জোটেনা যদিও  । জোটে বহু ঝাঁটা লাথি  । আহা দ্যাখো দেশ  !   স্বাধীনতা নিয়ে আমাদের মাতামাতি   ! দেখি বাবুদের কত হাসাহাসি  ।  দেখি কত খুনসুটি  । স্বাধীনতা তুমি আমাদের হাতে দেবে দু'টো বাসি রুটি  ? হোটেলের কাজে এঁটো কাঁটা মুছি  ।  সারা ঘর সাফ করি  । উনুনের ধোঁয়া  !  চোখ জ্বালা করে  !  ভোর থেকে তবু লড়ি  । জল ঘেঁটে ঘেঁটে  । জল ঘেঁটে ঘেঁটে  ।  হাজা পড়ে গেছে  হাতে  । ঘুম না পাওয়ায়  ।  ঘুম না থাকায়  ।  ঘুম আসে নাকো রাতে   । সারা মনে নানা ভয় গুলো এসে  জড়ো হয় গুটি গুটি   । স্বাধীনতা তুমি আমাদের হাতে দেবে দু'টো বাসি রুটি  ? বাবুদের কত বাহারি পোষাক  !  বাবুদের বড় মাথা  ! শীতে থাকি শুধু জবু থবু হয়ে  ।  জোটেনাকো দু'টো কাঁথা  । ঘর থেকে চালা উড়ে গেছে কবে  ।  ভেঙে গেছে খুঁটি ঝড়ে   ! আঁধারেই থাকি সারা রাত ধরে  ।  জ্বলেনাতো বাতি  ঘরে   ! ক্ষোভে যদি ভুলে কিছু বলে ফেলি,  ধরে ওরা চেপে টুঁটি   । স্বাধীনতা তুমি আমাদের হাতে দেবে দু'টো বাসি রুটি   ? স্বাধীনতা মানে আশা দিয়ে মোড়া  র

কবিতা ।। আবদুস সালাম

ছবি
দেশপ্রেমিক কথা বলতে ভয়ে মরি দলে দলে মহল্লায় শকুন নামে স্নান সেরে নিচ্ছি বিষন্ন রোদে আমরা নগ্ন হতে চাই এরপরে আর কিছু আছে? ডুবন্ত পৃথিবীর আবেগ আন্দোলিত হয় চোখের সামনে খেলা করছে রক্তাক্ত  ভারত মৃত্যুরং এর টিপ পড়েছি কপালে মৃত্যুতরঙ্গের ওপর ভেসে আসছে দীর্ঘ শ্বাস রং এর উৎসব প্রত‍্যাশা হেমন্তের কুয়াশায় লেপ্টে আছে ব‍্যর্থ কথা চিলের ডানায় লেখা তার রক্তাক্ত  আহ্বান অতীত কথা বুনে চলেছে পরিশ্রমী শালিক জীবনের ধার গেছে ক্ষয়ে শিশিরজল ভরে চলেছি ক্লান্ত থালায় বাঁকা চোখে তাকিয়ে দেখি রাতের যন্ত্রণা ছেঁড়া মানচিত্রের উপর পড়ে আছে জীবনের আহ্লাদ পাঁজর ছিঁড়ে লিখে দিলাম ভালোবাসার চিঠি  ===============   আবদুস সালাম  প্রয়াস শ্রীকান্তবাটি মাদারল‍্যান্ড  ডাক রঘুনাথগঞ্জ মুর্শিদাবাদ ৭৪২২২৫ ৯৭৩৪৩৩২৬৫৬

কবিতা ।। জগবন্ধু হালদার

ছবি
  আমাদের নাড়ি ও সুতোর কথা... প্রতিটি সম্পর্কে মাথাগুঁজে থাকে তীব্র বিকর্ষণ, পাথুরে চোয়াল.. হইহই করা বুজগুড়ি আর কতক্ষণ থাকে ? মসৃণ অধরে  ? চুম্বককনা তো ক্রমে শর্ত সাপেক্ষে দাঁত মাজে, নামতা শেখে, প্রতিক্রিয়া দেয় প্রতি ক্রিয়ায় । দমবন্ধ পারদের উচ্চতা বেড়েই চলে বেগে রোদ্দুরে উবে যায় রসালাপ শিশিরের মতো...  আলগা সুতো কেটে যেতে পারে যেকোনো অছিলায় # আমাদের নাড়ির কাছে, নদীর কাছে, গুপিযন্ত্রের কাছে হাঁটুমুড়ে দেখি  হাঁড়ি ও গামলার ঝনঝন শব্দে সেখানে বিফল মানতেরা.. কীভাবে খুঁজে নেব বৃন্দগান ? কুলুঙ্গিতে মিটমিট করে জ্বলে ভালোবাসা, ভালো ভাষা আর ঘরের ভিতরে আরো ঘর আলাদা আলাদা যাতায়াতহীন সাঁকোর উপরে শ্যাওলা জমে এমনকি বিছানায় গ্যাঁট হয়ে শুয়ে থাকে একরাশ গুমোট হাওয়া  # তুমি আর আমি ক্রমে যাই আরো শৈত্য স্রোতে ডুবে....

গ্রন্থ আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
    মতুয়া আন্দোলনের এক মনোগ্রাহী ভাষ্য   আপাত বা গভীর কোনও স্তরেই তেমন কিছু তফাৎ পরিলক্ষিত না হলেও, বর্ণবাদী সমাজে একই পাড়ায় একেবারে প্রায় পাশাপাশি কেবল বিশেষ বিশেষ ঘরে জন্মানোর নিমিত্ত - শিক্ষাদীক্ষা পরের কথা – ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকেই আজীবন একজন শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রণাম পাওয়ার অদৃশ্য শংসাপত্রের অধিকারী আর অন্যজনের সেবা-শ্রদ্ধা-ভক্তির অদৃশ্য দাসখতের দায়বদ্ধতা! কেন-না সৃষ্টিলগ্নেই একজন প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখনিসৃত আর অন্যজন পদজ যে! সুতরাং মুখ থাকবে সবার উপরে, সবার নিচে পা   – এতে অস্বাভাবিকতা বা আশ্চর্যের তো কিছু নেই! কিন্তু কেবল সেবা-শ্রদ্ধাতেই সব মিটে যায় না। তাই তোমাকে আমি বাহু থেকে সৃষ্টি করলুম – তোমায় দেখতে হবে নিরাপত্তা । আর তোমাকে সৃজন করলাম আমার ঊরু থেকে - তুমি বিনিময়-বাণিজ্যের দিকটা দেখো। কোনও নির্দিষ্ট জীবন বা যুগসাপেক্ষ নয়, এ এক্কেবারে সর্বযুগের নিমিত্ত পাক্কা বন্দোবস্ত! তা তুমি সবার নিচে, তোমাকেই তো দেখতে হবে উপরওলাদের! এ তো দেববিধান, আমরা ক্ষুদ্র নর কীই বা করতে পারি এই অমোঘ দেব-বন্দোবস্তাধীন হয়ে চলা ছাড়া! তা তুমি করবে সেবা-শ্রদ্ধা, তোমার আবার শাস্ত্রপাঠের কীই-বা দরকার! শাস্ত্রে