পোস্টগুলি

নভেম্বর ১৮, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র

ছবি
সম্পাদকীয় অত্যন্ত চাপের মধ্যে এই সংখ্যা প্রকাশিত হল। আপনাদের মতামত পরামর্শ পেলে ভালো লাগবে। যারা ফেসবুকে নিজের প্রকাশিত লেখা শেয়ার করবেন তাঁরা শুধু স্ক্রীনশর্ট না দিয়ে ব্লগের লিঙ্কটাও শেয়ার করুন। সঙ্গে আমাদের ট্যাগ করুন, বাধা নেই। সবাই ভালো থাকুন, সৃজনে থাকুন। ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।                                                                    নিরাশাহরণ নস্কর                                                                    ১লা অগ্রহায়ণ ১৪২৫ ==================================== সূচিপত্র প্রবন্ধ/গল্পঃ রণেশ রায়    বিজয়ন্ত সরকার     তন্ময় সিংহ রায়    পারিজাত ব্যানার্জী     সিদ্ধার্থ সিংহ    বুদ্ধদেব দাস স্বরূপা রায়     শঙ্কর নাথ প্রামাণিক  এম আরিফুল ইসলাম   মোঃ মাসুদরানা   ছড়া/কবিতাঃ তৈমুর খান    সীমান্ত হেলাল    জগবন্ধু হালদার    জ্যোতির্ময় মুখার্জি সুপ্রীতি বর্মন    সম্পা পাল    বহ্নি মুখোপাধ্যায়    পিয়াঙ্কি মুখার্জি    মৈনাক চক্রবর্ত্তী     দেবপ্রসাদ মুখার্জী     উৎপলকুমার ধারা     শেখ সামসুল হক  শুভদীপ পাপলু     পারভেজ মল্লিক

রণেশ রায়ের প্রবন্ধ

সমাজতন্ত্র গঠন প্রক্রিয়ায় সাংস্কৃতিক বিপ্লব রাশিয়ায় নভেম্বর বিপ্লবপূর্ব জার আমলে জারের নেতৃত্বে রাশিয়া বহুধা বিভক্ত ছিল । বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে বিভক্ত মানুষজনের আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার খর্ব করে তাদের ওপর বলপ্রয়োগের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রাধান্যবাদের অধীনে তাদের পশুর জীবন যাপনে বাধ্য করা হয়েছিল। নাগরিকদের ভোটাধিকার স্বীকৃত ছিল না। রাশিয়ায় পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটলেও পশ্চিমি দেশের পুঁজিবাদের তুলনায় রাশিয়া ছিল পশ্চাপদ। সেকানে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটে নি । সামাজিক জীবনে রেনেসাঁর প্রভাব পড়ে নি। সাধারণ মানুষ ছিল দারিদ্র নিপীড়িত। মহিলাদের স্বাধিকার খর্ব হত। সেটা ছিল জারের আমলের বহু নিন্দিত অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ । নভেম্বর বিপ্লব রাশিয়াকে এই অবস্থা থেকে মুক্ত করে বৃহত্তর সোভিয়েত রাশিয়ার জন্ম দেয় যার অর্থনৈতিক ভিত্তি সমাজতন্ত্র । এটা নেহাত বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চলের যোগফল নয় । জন্ম নেয় এক নতুন মানস যে মানস মানুষের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়, যে সমতার ভিত্তিতে মানুষের জীবন জীবিকা শিক্ষা চিকিৎসা নিশ্চিত করার কথা বলে । মুষ্টিমেয় পুঁজিবাদীর ক্ষমতার ও তার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা তাদের রাজত্বের

বিজয়ন্ত সরকারের অনুভাবনা

ছবি
 বই !  কাঠামোয় মুহ্যতা স্পষ্ট, হলুদ ম্যাড়ম্যাড়ে পাতা-প্রশাখার বাঁধন আলগা হয়েছে । ভাঁজের জ্ঞান-গরিমায় রূপালী বইপোকারা বসত করছে কয়েক বছর হল । যে চোখেরা স্বাদ নিয়েছে এতকাল, তাদের দেখাও পাওয়া হয়না । বইতাকে সাজানো চেনা বারান্দা থেকে খুব বেশী কিছু দেখা না গেলেও ডিজিটাল সভ্যতার বিচরণ- প্রেক্ষিতে আসেনি এমনটা নয় । শিরোনামের ফ্রেম খসে যাওয়ার পর ভেবেছিলাম,- দুই নম্বর থাকের তিন নম্বর সারির প্রতিবেশীদের মত আমাকেও হয়তো কেজি দরে নিলামে যেতে হবে । যদিও ধীরে ধীরে আবছা হয়েছে ভয়, বন্ধ থাকতে থাকতে কখনও মনে হয় এর চেয়ে টুকরো সাজে ঠোঙা হয়ে যেতে পারলেই হয়তো ভাল হত । এই বুকে থাকা বলতেপারা গুলো শুনতে চাইছেনা কেউ, সত্যি কি তাই নাকি এখন বলতে পারার মাধ্যমটাই আলাদা মাত্রায় ! এসব এলোমেলোতার মাঝে হঠাৎই দেখলাম আমার ঘর-বারান্দা সহ আমি একটা বিস্ময়বোধক হয়ে যাচ্ছি...। 'মুড়ি....মুড়ি.... ঝালমুড়ি' চয়নে যখন বহুদিনের বন্ধতা খুলেছি- দৃশ্যত আমার কিছু কথা তেল-ঝাল মেখে কিছুটা লুটিয়ে যাওয়া আবর্জনাময় কিছু কথা ফেসবুকের ওয়ালে-ওয়ালে ঘোরে কিংবা অর্বাচীন টাচ্-প্যাডের অতীত মোছা ঢঙে.... কিছু কথা টেবিল ল্য

পারিজাত ব্যানার্জীর গল্প

অসম, অ-সমাজ ও অন্য 'আমি'র কথন আজকাল আর গল্পটল্প খুব একটা লিখতে ইচ্ছে করেনা। দেখেছি, যখনই আমি কোনো না কোনো গল্প লেখার চেষ্টা করি, কিভাবে যেন তা আমার জীবনেরই একখণ্ড পাতা হয়ে ভিজতে থাকে বৃষ্টিতে সন্তর্পণে। অথচ আমি বরাবরই নিজের কথা বলার ক্ষেত্রে বেশ অপারগ। কারও সাথে কিছু ভাগ করে নেওয়ার আগে প্রতিবারই কেমন যেন থতমত খেয়ে দাঁড়িয়ে পড়ি প্রতিবার। হাত কচলাই, ঘামে ভিজে স্নান করে যাই ভরা শীতের মরসুমে— অথচ কথাগুলোকে তবু শরীর থেকে নিংড়ে মুচড়ে ছুঁড়ে ফেলার ঠিক আগের মুহূর্তেই যেন আবার মনে হতে থাকে — নাঃ, থাক। কি দরকার! নিজের নর্দমা পরিষ্কার করবার ছলে আমি যদি অন্যের বিবমিষার কারণ হয়ে উঠি কোনোভাবে — তার চেয়ে থাক বরং পড়ে সব যেমন আছে তেমনই — আমার অবচেতনে। কিন্তু আমার এই দৃঢ় সংকল্পের পথে বারবার দেখেছি বাধ সাধে রঙতুলি দিয়ে আঁকতে বসা আমার নিজের লেখা গল্পগুলোই। হ্যাঁ, একথা ঠিক, গল্পগুলো আমি আমার প্রিয় বাবার দেওয়া সোনালী কলমেই লিখি যা দিয়ে একসময় পরীক্ষা দিতাম স্কুল কলেজে, তবে কথাগুলো আমার আঙুলের বশে দেখেছি ঠিক কখনোই আর থাকতে পারেনা তেমন। এলোমেলো ভাবে তারা দিব্যি নিজেদেরকে মানিয়ে গুছিয়ে

সিদ্ধার্থ সিংহের গল্প

বোড়়কি না। বোড়কিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না। ছলছল চোখে শিবকুমার এ কথা বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল তার বউ। আর তার কান্না শুনে বইপত্র ফেলে পাশের ঘর থেকে ছুটে এসে মায়ের কাছ ঘেঁষে দাঁড়াল তাদের বাকি দুই ছেলেমেয়ে— মেজকি আর ছোটকা। কান্না জড়ানো গলাতেই শিবকুমারের বউ বলল, তা হলে ও বোধহয় আবার পালিয়েছে। যাও, থানায় যাও। একবার গিয়ে বলো... এর আগেও চার-চার বার ও পালিয়েছে। প্রথম বার যখন ওকে খুঁজে পাওয়া গেল না, তখন গ্রাম থেকে অনেক দূরে, কালিন্দী থানায় মিসিং ডায়েরি করার সময় পুলিশ অফিসারটি বলেছিল, তেরো বছর বয়সেই পালিয়েছে! কার সঙ্গে? শিবকুমার হাঁ করে তাকিয়ে ছিল। সেটা দেখে ওই পুলিশটি অফিসারটি বলেছিল, ও তো আর দুধের বাচ্চা নয় যে, কোনও তান্ত্রিক তুলে নিয়ে গিয়ে আর সব বাচ্চাদের মতো ওকেও মায়ের সামনে বলি চড়িয়ে দিয়েছে... হ্যাঁ, এখানে মাঝে মাঝেই বাচ্চা খোয়া যায়। এবং খুঁজে পাওয়া না গেলে লোকেরা ধরেই নেয়, তাকে কেউ তুলে নিয়ে গিয়ে বলি দিয়ে দিয়েছে। শোনা যায়, বহু বছর আগে ইংরেজ আমলে ছোট, মেজ, বড়, আরও বড় কর্তাকে বারবার অনুরোধ-উপরোধ করা সত্ত্বেও যখন হল না, তখন আশপাশের গ্রামের লোকেরা সবাই এককাট্টা হয়ে বড

স্বরূপা রায়ের গল্প

ছবি
যথার্থ সময় সদ্য গর্ভস্রাবের শারীরিক কষ্ট কাটিয়ে বাড়িতে এসেছে দৃষ্টি। মানসিক কষ্টটা এখনো মনের গহনে বিরাজমান। এই নিয়ে তিন নম্বর বার ওর গর্ভস্রাব হলো। বাড়ির চৌকাঠে পা রাখতেই দৃষ্টির শাশুড়ি রিতাদেবী বলে উঠলেন, "কোন কুক্ষণে যে এরকম অলক্ষ্মী মেয়ে আমি এই ঘরে নিয়ে এসেছিলাম ভগবানই জানে! বিয়ের ৭ বছর পরেও এখনো পর্যন্ত আমাদের নাতির মুখ দর্শন করাতে পারলো না।" "আহাঃ মা! দৃষ্টি সদ্য নার্সিংহোম থেকে ফিরেছে। ওকে একটু শারীরিক আর মানসিকভাবে নিজেকে সামলাতে দাও।" দৃষ্টির স্বামী অমিতাভ বললো। "এ তো এখন রোজকার ব্যাপার হয়ে গেছে। আমি এখনো বলছি তোকে, সময় আছে এখনো, ওকে রেখে আয় ওর বাপের বাড়িতে। তারপর ডিভোর্স দিয়ে আরেকটা বিয়ে করে আমাকে এ জীবনে মরার আগে নাতির মুখটা দেখা।" রিতাদেবী বললেন। "ওহ মা প্লিজ!" বলে অমিতাভ বিরক্ত হয়ে চলে গেল। দৃষ্টি কিচ্ছু বললো না। এসব কথা কয়েক বছর ধরে ও রোজ শোনে। আর রোজকার মতোই আজও ওর চোখের কোণে জল। নিজেকে একটু সামলে মনটা অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য মোবাইলটা হাতে নিয়ে হোয়াটস্যাপটা খুললো। নিলের মেসেজ, "কিরে কেমন আছিস এখন?" দৃষ্