পোস্টগুলি

জুন ১৮, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র।। ৬৪তম সংখ্যা ।। আষাঢ় ১৪৩০ জুন ২০২৩

ছবি
    সূ চি প ত্র    প্রবন্ধ ।। বর্ষা কাব্য এবং রবীন্দ্রনাথ ওঅন্যান্য ।। সৌম্য ঘোষ নিবন্ধ ।। শব্দ-দানবের মোকাবিলা ।। পার্থ পাল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাট ও তদসংলগ্ন এলাকার কিছু কথ্যশব্দ , উচ্চারণ , বাগ্‌ধারা ইত্যাদি (পর্ব — চার)   ।। অরবিন্দ পুরকাইত   প্রবন্ধ।। "আসলে রাগ বলে কিছু নেই " ।। পুষ্পেন্দু রাউৎ অণুগল্প । । উন্নয়ন ।। চন্দন মিত্র কবিতা ।। বিষবাস্প ।। শোভনলাল ব্যানার্জী কবিতা ।। কুহুধ্বনি ।। অমল কুমার ব্যানার্জী ছড়া।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। স্মৃতির ভেলায় রথের মেলা ।।জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। আমার এ দেশ ।। দীনেশ সরকার ছড়া ।। ভার ।। তূয়া নূর ছড়া ।। ধরায় আন সুখ ।। সুনন্দ মন্ডল ছড়া ।। ভোট এলে ।। আনন্দ বক্সী কবিতা ।। নতুন সকাল ।। তীর্থঙ্কর সুমিত গ্রন্থ-আলোচনা ।। কবি সাথি রায়-এর কাব্য ' ইচ্ছেরা ছুঁয়ে যায় '   ।। আলোচক: বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় সোনার ছেলে ।। বাসুদেব সরকার কবিতা ।। কথা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত স্মৃতিকথা ।। আমার বন্ধু কবি শ্যামলকান্তিদাশ ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। মেঘ বিলাসে ।। বন্দনা পাত্র ঝরা পাতা ।। নিবেদিতা দে গল্প

প্রবন্ধ ।। বর্ষা কাব্য এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য ।। সৌম্য ঘোষ

ছবি
  বর্ষা কাব্য এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য                সৌম্য ঘোষ            বর্ষাসুন্দরী ঋতুরানী। বর্ষার আবেদনে তাই মহাকবি কালিদাস থেকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ এবং কতশত কবির মন উদ্বেলিত। বর্ষা তাই হয়ে উঠেছে কবিতার ঋতু, কবিদের ঋতু, আবেগের ঋতু। গুরু গুরু মেঘের দামামা বাজাতে-বাজাতে বর্ষা রানী আসেন। অঙ্গশোভায় তার জলদ মেঘের চাদর। বসন্তের যেমন আছে রাগ বসন্ত বাহার, তেমনি বর্ষার আছে মেঘমল্লার। আর আছে বিস্তৃত প্রকৃতির প্রান্তরে ঘনসবুজ শ্যামলিমা।           বর্ষায় কবিগুরুর কল্পনার জগতে হারিয়ে যান। ‌ তাঁর কথাতেই বলি --- ভরা পুকুর, আমবাগান, ভিজে কাক ও আষাঢ়ে গল্প মনে করুন। আর যদি গঙ্গার তীর মনে পড়ে, তবে সেই স্রোতের উপর মেঘের ছায়া, জলের উপর জলবিন্দুর নৃত্য, বনের শিয়রে মেঘের উপর মেঘের ঘটা, পিছল ঘাটে ভিজে ঘোমটায় বধূর জল তোলা, ... কিংবা মনে করুন,  বিস্তীর্ণ মাঠে তরঙ্গায়িত তৃণের উপর পা ফেলে ফেলে বৃষ্টিধারা দূর থেকে কেমন ধীরে ধীরে চলে আসছে দ্রুত। ('বর্ষার চিঠি', রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে অনুসরণ)।        যেমনভাবে কালিদাসের সাহিত্য 'মেঘদূতম্' কাব্যে বর্ষাসুন্দরীর কাব্যগাথা অপরূপ ধরা পড়

কবিতা ।। বিষবাস্প ।। শোভনলাল ব্যানার্জী

ছবি
    বিষবাস্প   শোভনলাল ব্যানা র্জী   তুমি দেখেছ কি একফোঁটা জল , তপ্ত মরুর বুকে ৫ই জুন , পরিবেশ দিবস, শুধু অছিলার বিদ্রুপে । গড়িয়ে চলেছে সময় , সভ্যতার উন্নয়নের চাকা উধাও সবুজ বনভূমি , অরণ্য সব ফাঁকা । রিও , জেনেভা আর কিয়োটোর শপথ , বস্তাপচা ফাইল গ্রিন হাউস গ্যাস উকি মারে , দূষণে সবাই কাহিল ।   সবুজ জাগাও , সবুজ বাঁচাও, মনকে সবুজ করে গাছ লাগাও , পরিবেশ সাজাও , নিজের মত করে । সারি সারি যত পাতা ঝরা গাছ , দাড়িয়ে নিরবে লজ্জা তোমার মাটির ধুলায় , কিসের গৌরবে । ভুলে গেছো প্রকৃতির মার , আমফান আর আইলার হুঙ্কার বাঁধভাঙা জলে , ভেসে গেল সর্বহারার সংসার । আজও কি তুমি অকাল ঘুমে , বাতানুকুল বন্ধ ঘরে নিদাঘ দুপুরে মরিচিকা বয় , শূন্য চরাচরে । তুমি দেখেছ কি ঝরা পাতা, কেমন অভিমান ভরে উদাস হাওয়া আগলে রাখে , রুক্ষ আচল ‌ ত্বরে । দেখেছ কি আগুনের গ্রাসে, ঝলসানো সবুজ প্রাণ প্রকৃতি আবার ধূসর হবে , হবে সবুজের বলিদান। নিয়তি লিখছে শেষের খেলা , অন্তিম অধ্যায় উস্নায়নের চিতা কাঠে , উন্মাদের নেশায় । কবির কণ্ঠ রুদ্ধ হয় , যে

নিবন্ধ ।। শব্দ-দানবের মোকাবিলা ।। পার্থ পাল

ছবি
শব্দদানবের মোকাবিলা  পার্থ পাল       গ্রামের প্রসঙ্গ উঠলেই যাঁদের মনে নিরালা, শান্ত প্রকৃতির কথা মাথায় আসে, গ্রামে হঠাৎ এলে তাঁরা ভড়কে যেতে বাধ্য। হ্যাঁ ঠিকই, এখানে অসংখ্য গাড়ির হর্নের আওয়াজ নেই, নেই কারখানার সাইরেনের শব্দও। কিন্তু যা আছে, তা হৃদয়-চমকানিয়া।       গ্রামে এখন যেকোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে ডিজে সাউন্ড সিস্টেমের দাপট। মোটর ভ্যান বা ট্রাক্টর-এর ডালায় সাজানো থাকছে গোটা দশেক শব্দ-দানব বক্স ও পঞ্চাশাধিক মাইক সেট! প্রায় দশ লক্ষ টাকা দামের এ সেট যখন পূর্ণ শক্তিতে বাজতে থাকে, তখন মাতাল না হয়ে এর ধারে কাছে যাওয়াটাই এক মোক্ষম শাস্তি। ভয়ংকর আওয়াজে দমবন্ধ পরিবেশ তৈরি হয়। কান ঝাঁ ঝাঁ করতে থাকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত।          এমন যান্ত্রিক নির্যাতনকেই ত্রিশ চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে একদিনের জন্য ভাড়া করে আনেন খেটে খাওয়া যুবকেরা। যুবকরা বললাম এই কারণেই, এ শব্দ-তেজ সহ‍্যের ক্ষমতা মধ্যবয়সী ও প্রৌঢ়রা অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেন যে! কানের পর্দা বিকল হয়ে অনেকেই বধির হয়ে যান। মদ ও শব্দের যৌথ অত্যাচারে শ্রমিক মানুষটির যৌবন হয়ে পড়ে ক্ষণস্থায়ী। দশ বারোজন যুবকের চাঁদা তুলে ভাড়া করা শব্দ-মচ্ছব

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাট ও তদসংলগ্ন এলাকার কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি (পর্ব— চার) ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাট ও তদসংলগ্ন এলাকার কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্‌ধারা ইত্যাদি                  (পর্ব— চার) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে ও পৌষ ১৪২৯-এ। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল।        নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যা এসেছে এখানে (* চিহ্নিত), বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই এসেছে।        আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। আঝাড়া — ঝাড়া হয়নি এমন (কুলোয় মূলত)। আঝাড়া চালগুনো তুই ঝাড়া চালির সোঙ্গে আকলি কোন আক্কেলে! আড়িমুড়ি— আলসেমি ভাব, হচ্ছে-হবে ভাব। কাজডা করতি হবে শেষ অব্দি, তা ওরম আড়িমুড়ি করতিচিস কেন! আমতা — বেশির ভাগ সময় দু-বার উচ্চারিত। মিষ্টি অল্প লাগা। আরুন

প্রবন্ধ।। "আসলে রাগ বলে কিছু নেই " ।। পুষ্পেন্দু রাউৎ

ছবি
             "আসলে রাগ বলে কিছু নেই "                  পুষ্পেন্দু রাউৎ হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, রাগ বলে সত্যি কিছু নেই। বরং যারা রাগ দেখায় উল্টে তারাই এই জগতের ভীতু মানুষ। নিজের মতামত দুর্বলের উপর চাপিয়ে দেওয়া, নিজের প্রভুত্ব খাটাতে গিয়ে, কোথাও বা নিজের দোষ ঢাকতে গিয়ে আমরা রাগ দেখাই। কখনো দেখেছেন কি, কোম্পানীর কোনো কর্মচারীকে তার বসের উপর রাগ করতে ? অথবা শিক্ষাক্ষেত্রে বা সরকারি অফিস - আদালতে ?  জানি, সহজে চোখে পড়বে না। কারণ আমাদের চাকরী চলে যাওয়ার ভয় আছে, বা ক্যারিয়ারে অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে পারে। এরকম অনেককেই দেখবেন যারা অফিসে বসের গালি শুনে বা অতিরিক্ত কাজের চাপে বাড়িতে এসে রাগ দেখায়। কর্মস্থল থেকে ফিরে এই সব মানুষজন মূষিক থেকে সিংহ রূপ ধারণ করে। আসলে এ জগতে আমরা যারাই রাগ করি বা রাগ দেখাই, আমাদের সবারই একটা নির্দিষ্ট গণ্ডি আছে এবং আমরা সেই গণ্ডির মধ্যে থেকে রাগটা দেখাই। অর্থাৎ আমরা সেখানেই রাগটা দেখাই যেখানে আমাদের রাগ দেখানোটা সাজে। ব্যপারটা অনেকটাই "দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচারের" মতন। আসলে সত্যি রাগ বলে কিছু নেই। সবই আমাদের মানসিক অবস্থার পরিবর্

অণুগল্প । । উন্নয়ন ।। চন্দন মিত্র

ছবি
                           উন্নয়ন                                     চন্দন মিত্র    প্রথমে যমুনোত্রী, অতঃপর গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ হয়ে শেষে বদ্রীনাথ — এই হল অধুনা চারধাম। যাত্রাপথ দুর্গম, বিপদসংকুল। পুণ্য অর্জনের পথ, পরকালের পাথেয় সঞ্চয়ের পথ যদি সুগম না-হয় তাহলে কীসের উন্নয়ন ! ভিখারির মতো কাঁধে ঝোলা আর হাতে দণ্ড নিয়ে প্রবোধ সান্যালের মতো মহাপ্রস্থানের পথে যাত্রার যুগ শেষ হয়েছে। মনে রাখতে হবে এটা একবিংশ শতাব্দী।     পানাই পোখরির দেহাতি লোকজন একদিন সকালে উঠে দেখে তাদের গ্রামের নীচে লোকজনের তাঁবু পড়েছে। লোহালক্কড়, যন্ত্রপাতি সাজসরঞ্জাম দেখে তারা অবাক হয়ে যায়। পড়াশোনা জানা ছেলেরা গিয়ে জানতে পারে, দেশের প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে রেলদপ্তর চারধাম রেলওয়ে প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে — সুড়ঙ্গ কাটা হচ্ছে; রেলপথ জুড়ে দেবে পবিত্র   চারধামকে।    পানাই পোখরির নীচ থেকে সুড়ঙ্গ এগিয়ে চলে। মাত্র পঞ্চাশটি পরিবারের বাস এই পার্বত্য গ্রামে। চাষবাস, পশুপালনের মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। পবিত্র একটি ঝরনা থেকে তারা পানের জল, কৃষিকাজের জল সং