পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ব্লগজিন ।। মার্চ ২০২১ চৈত্র ১৪২৭

ছবি
    ।। সূচিপত্র ।। এক নারীর কলমে পৃথিবীর প্রাচীনতম উপন্যাস ।। অনিন্দ্য পাল স্বদেশী আন্দোলনের বাঙালি কিছু জ্যোতির্ময়ী ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী নারীবাদ ও নারীবাদী -- ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ ।। সবিতা বিশ্বাস নারীবাদ ও আজকের নারী -- একটি মূল্যায়ন ।। সৌমিক ঘোষ পুরাণে-ইতিহাসে নারী ।। শেফালি সর নারীর সূচিতা ভাবনা ও আমরা ।। আব্দুস সালাম রবীন্দ্রনাথের নারীভাবনা ।। রমলা মুখার্জী আমার চোখে নারী ।। দেবব্রত ঘোষ মলয় নাটিকা ।। উদিপুরের ছোটোরানী ।। নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত ছড়া ।। শুভাশিস দাশ কবিতা ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। সাত্যকি কবিতা ।। মোয়াল্লেম নাইয়া কবিতা ।। সুমনা ভট্টাচার্য্য ছড়া ।। খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। অভিষেক ঘোষ কবিতা ।। সম্পা পাল ছড়া ।। রিয়াদ হায়দার কবিতা।। দীপঙ্কর বেরা কবিতা ।। মোনালিসা নায়েক ছোটগল্প ।। সঞ্জীব সেন কবিতা ।। দেবব্রত মণ্ডল কবিতা ।। শিউলি মন্ডল কবিতা ।। মহাজিস মণ্ডল কবিতা ।। অমিতাভ সরকার কবিতা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। পলাশ পোড়েল কবিতা ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী কবিতা ।। সাইফুল ইসলাম কবিতা ।। সোমা মজুমদার কবিতা ।। সুকান্ত সেনগুপ্ত কবিতা ।। অঞ্জনা দেব রায় ছ

এক নারীর কলমে পৃথিবীর প্রাচীনতম উপন্যাস // অনিন্দ্য পাল

ছবি
এক নারীর কলমে পৃথিবীর প্রাচীনতম উপন্যাস  অনিন্দ্য পাল  =================================== উপন্যাসের জন্ম কবে? কেই বা ছিলেন সেই উপন্যাসের লেখিকা? স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রশ্নের উত্তরে বিতর্কের সূত্রপাত হতে পারে। তবে গবেষক এবং ঐতিহাসিকরা বেশিরভাগই যে নামটা বলে থাকেন, সেটা হল " গেঞ্জি মনোগাতারি " । আজ থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগে এই উপন্যাস লেখা হয়েছিল। লিখেছিলেন এক নারী, "মুরাসাকি শিকিবু " । মুরাসাকি ছিলেন জাপানের বাসিন্দা। আনুমানিক ৯৭৮ খৃষ্টাব্দে জাপানের ফুজিয়ারা পরিবারে জন্ম। এই  ফুজিয়ারা পরিবার জাপানের তৎকালীন শাসক হেইয়ানদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং প্রতিপত্তিশালী ছিল। আসলে বকলমে দেশ চালাতো এই ফুজিয়ারা পরিবারের সদস্যরা। প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্য এই সব ক্ষেত্রেই ফুজিয়ারা পরিবারের কর্তৃত্ব ছিল অপরিসীম। মুরাসাকির পূর্বপুরুষদের অনেকে ছিলেন নামকরা কবি। আবার তাঁর বাবা তামেতোকি ছিলেন উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী। তামেতোকি একদিকে যেমন ছিলেন পণ্ডিত অন্যদিকে তেমন কবিতাও লিখতেন। তবে তামেতোকি কবিতা লিখতেন চীনা ভাষায়। আসলে সেই সময় জাপানী ভাষাকে সাধারণ পাঠকের ভাষা হিসেবে দেখা হত, এই ক

স্বদেশী আন্দোলনের বাঙালি কিছু জ্যোতির্ময়ী ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী

ছবি
  নারীশক্তি : স্বদেশী আন্দোলনের বাঙালি কিছু জ্যোতির্ময়ী প্রণব কুমার চক্রবর্তী           নারী শক্তি সমাজের মৌলিক এবং সার্বিক পরিবর্তনে পুরুষের পাশাপাশি একটা সমান্তরাল শক্তি । একটা আন্দোলন । শ্রেণী ,ধর্ম এবং বর্ন নির্বিশেষে সমগ্র নারী সমাজকে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত শিক্ষিত করে , তৈরি করে সমগ্র মানব জাতির কল্যাণে ও উন্নয়নে সামিল করাটাই এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য এবং উদ্দ্যেশ্য । এই সংগ্রামের জন্য সারা বিশ্বের মহিলারা ( বিশেষ করে স্ত্রী জাতিরা ) সমানে আন্দোলন এবং লড়াই করে চলেছেন । আমাদের দেশ ও এই ব্যাপারে খুব একটা পিছিয়ে নেই । ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষের - বিশেষ করে আমাদের এই অবিভক্ত বাংলার মহিলারা আমাদের দেশের  স্ত্রী শক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ , উজ্জ্বল জ্যোতির্ময়ী ।           ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিযুগে বাঙালি নারী জাতি তাদের চিন্তা ভাবনা এবং কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে ব্রিটিশ রাজশক্তি এবং ভারত মাতাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে , স্ত্রী শক্তি শুধুমাত্রই একটা সহায়ক শক্তিই নয় , একটি প্রত্যক্ষ সমান্তরাল শক্তি যা কিনা সমগ্র মানব জাতিকে  উদ্বুদ্ধ এবং জাগ্রত করে , জোর কদমে এগ

প্রবন্ধ ।। নারীবাদ ও নারীবাদী --- ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ ।। সবিতা বিশ্বাস

ছবি
  নারীবাদ ও নারীবাদী -- ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ সবিতা বিশ্বাস   নারীবাদ অর্থাত্ Feminism বলতে কি বোঝায়? 'নারীবাদ' বলতে ঠিক কি বোঝায় এ সম্পর্কে নির্দিস্ট তাত্ত্বিক কাঠামো এখনো পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি | সাধারণভাবে বলা যেতে পারে, নারীবাদ হল এমন একটি শক্তি যা নারীজাতিকে একটি আত্মসচেতন সামাজিক শ্রেণীতে পরিণত করেছে ( Feminism is the force which has transformed women into self conscious category--- Bandana chatterji, women and politics of India) |   নারীবাদী লেখিকা রাজশ্রী বসুর মতে, নারীবাদ হল তত্ত্ব ও বাস্তবের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি যা সমাজে পুরুষের তুলনায় নারীর নিম্নতর অবস্থান সম্পর্কে সচেতন করে, এবং নারী হওয়ার কারণেই একজন মহিলা সমাজে যে অসাম্যের স্বীকার হয় তার কথা সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে | সমাজকে বোঝা, সমাজে নারী পুরুষের অবস্থাগত বৈষম্যকে বোঝা, লিঙ্গভিত্তিক ক্ষমতার অসম বন্টন ও বিন্যাসকে অনুধাবন করা, এবং কিভাবে এর সমাধানসূত্র খুঁজে বার করা যায় –--এই সমস্ত কিছু নিয়েই নারীবাদ চর্চা করে | নারীবাদ একাধারে রাজনৈতিক দর্শন, সামাজিক আন্দোলন, যা লি

নারীবাদ ও আজকের নারী - একটি মূল্যায়ন ।। সৌমিক ঘোষ

ছবি
নারীবাদ ও আজকের নারী – একটি মূল্যায়ন সৌমিক ঘোষ     বর্তমানে 'নারীবাদ' সম্পর্কে সচেতনতা বেড়েছে ।সাধারণভাবে বলা যায় যে নারীবাদ হল এমন একটি শক্তি যা নারীজাতিকে একটি আত্মসচেতন সামাজিক শ্রেনিতে পরিণত করেছে । নারীবাদ এমন এক তত্ত্ব যা নারীর সমানাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে সমাজের যে কোন স্তরে প্রযোজ্য । যে কোন আর্থ–সামাজিক পরিকাঠামোতে নারী যেন তার নিজস্ব পরিচিতি নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে ।পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবহেলিত অবস্থান , পারিবারিক মূল্যবোধের বৈষম্য , কার্যকরী মতবিরোধ এর সমাধান সূত্র খুঁজে বার করতে আজকের দিনে 'নারীবাদ' চর্চা –এর সুফল হল বিভিন্ন গোষ্ঠী , সংগঠন , আলোচনা , মতামত-বিনিময় এর সুবাদে নারীকল্যাণে প্রশাসন সচেষ্ট । ইতিহাসের পাতায় ফরাসী বিপ্লবই (১৭৮৯) নারীবাদী আন্দোলনের শুরু ।চিরাচরিত বিধিনিষেধের গণ্ডী থেকে নারীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার কথা শোনা গেলেও তৎকালীন সমাজে গুরুত্ব পায়নি ।ফরাসি দেশে নারীদের জীবনরীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা ইউরোপের নানান দেশে ছড়িয়ে পড়ে ।ডেনমার্কের কোপেনহাগেন-এ দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক নারী সম্মেলনে (১৯১০) ১৭টি দেশের ১০

পুরাণে-ইতিহাসে নারী ।। শেফালি সর

ছবি
"পুরাণে-ইতিহাসে নারী" শেফালি  সর "মেয়েদের পূজা করিয়াই সব জাতি ব ড়  হ ইয়াছে। যে দেশে যে জাতিতে মেয়েদের  পূজা নাই, সে দেশ সে জাতি কখনও বড়  হইতে পারে  নাই,কস্মিন কালেও পারিবেনা।" --স্বামী বিবেকানন্দের এই  অমোঘ বাণী নারী জাতিকে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিতা করেছে।তিনি জাতীয় জীবনে নারীর অধিকার  ও মর্যাদা রক্ষাকেই পূজা  আখ্যা  দিয়েছেন। যে দেশে মেয়েদের  সম‍্যক মর্যাদা  বোধ  নেই সেই দেশ যথার্থ  বড়  বলে গণ‍্য হতে পারে না। "নারীকে  আপন ভাগ্য  জয় করিবার কেন নাহি দিবে  অধিকার হে বিধাতা?"- সামাজিক  অভিশাপ  থেকে  নারী সমাজ কে  মুক্ত  করার জন্য  বিশ্বকবি  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিধাতার দরবারে এই  জিজ্ঞাসাই রেখেছিলেন।           সেই  বৈদিক যুগ থেকে  মধ‍্যযুগের সূচনার পূর্ব  পর্যন্ত  ভারতবর্ষ  ছিল নারী মহিমায় উজ্জ্বল।তাই তো বীর  সন্ন‍্যাসী বিবেকানন্দ ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে  বলেছিলেন --"হে ভারত ভুলিও না তোমার  নারী জাতির  আদর্শ -সীতা,সাবিত্রী,দম য়ন্তী।ভুলিও না তোমার  সমাজ  বিরাট মহামায়ার ছায়া মাত্র।"              ভারতের অতীত ইতিহাসে দেখা যায় প্রাচীন সমাজে নারী ও পুরুষের মর্যাদা 

নারীর সূচিতা ভাবনা ও আমরা ।। আব্দুস সালাম

ছবি
নারীর সূচিতা ভাবনা ও আমরা    আব্দুস সালাম   নারীর সূচিতা এবং পবিত্রতা নিয়ে আবহমানকাল ধরে গড়ে উঠেছে রক্ষণশীল মূল্যবোধ। এই বিংশ শতাব্দীর যুগেও সমহারে তার প্রয়োগ আমরা উপলব্ধি করি। জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে তার সবিস্তার অব্যাহত। এই একপেশে মূল্যবোধ মানুষকে করে তুলেছে স্বার্থপর, বিশ্বাসঘাতক ও অবিবেচক।অথচ পাশ্চাত্য ভাবধারায়  এর বাছবিচার অনেক কম। প্রাচ্য দেশে মূলত ,আমাদের দেশে স্বার্থপরতার পরিমাণ নিঃসন্দেহে তুলনাতিত।আকর  সাহিত্য রামায়ণ যদি আমরা দেখি তবে দেখতে পাই রাবণ দ্বারা অপহৃতা সীতা কে রাম নিজ ঘরে আনলেও তাকে সুখে অবস্থান করতে  দেয়নি।আমাদের স্নার্ত বিধান এবং হাঁচি - পাঁজির অনু শাসিত সমাজ সূচিতা নামক বস্তু কে খুব বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। গ্রীক প্রজারা  হিলেম এবং  টিউটন প্রজারা ব্রুনহিলন্ডের সূচিতা নিয়ে কোনরূপ কানাকানি করেনি।            রামায়ণের কাহানি সূত্র যদি ধরে নেই তবে আমরা এখনো নৈতিক মূল্যবোধের শিকড় উপড়ে ফেলতে পারিনি। সীতার যে সমস্যা রামায়ণে চিত্রিত হয়েছে তা  এ কালের পরিপ্রেক্ষিতে তার রূপ টা হয়তো আলাদা কিন্তু ভেতরের কাঠামোর বিশেষ বদল ঘটেনি  । রাম সীতা উদ্ধার করে তার প্রাণাধিকার

রবীন্দ্রনাথের নারীভাবনা ।। রমলা মুখার্জী

ছবি
   রবীন্দ্রনাথের নারীভাবনা   রমলা মুখার্জী রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বিশ্বমানবতার পূজারী। সকল মানুষকে শিক্ষায়-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ করতে পারলেই দেশ ও সমাজের ক্রমোন্নতি ঘটবে এটাই তিনি বিশ্বাস করতেন। আর এই উদার দৃষ্টিভঙ্গীর আলোকেই রবীন্দ্রনাথ নারীকে বিশাল কর্মযজ্ঞে সামিল করে বিশ্বের দরবারে পুরুষের পাশে স্বমহিমায় দাঁড় করাতে চেয়েছেন। তাই তাঁর নারীকে আহবানঃ- "এসো ছেড়ে, এসো সখী কুসুম শয়ন বাজুক কঠিন মাটি চরণের তলে।" রবীন্দ্রনাথের য়ুরোপ প্রাবাসী পত্রে লিখেছিলেন, "সমাজের অর্ধেক মানুষকে পশু করে ফেলা যদি ঈশ্বরের অভিপ্রেত বলে প্রচার কর, তাহলে তাঁর দানের অপমান করা হয়। মেয়েদের সমাজ থেকে নির্বাসিত করে দিয়ে আমরা কতটা সুখ ও উন্নতি থেকে বঞ্চিত হই তা বিলেতের সমাজে এলে বেশ বোঝা যায়।"       রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস করেন মধুময় এ পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধকে উপভোগ করতে হলেও নারী সমাজকে সম্পূর্ণ বিকশিত হয়ে ওঠার সুযোগ করে দেওয়া দরকার। অসম চিন্তায় সমাজ ঠিকমত বিকশিত হয়ে উঠতে পারে না। তাঁর চিন্তা-চেতনায় নারী প্রেরণাদায়িনী মানসমূর্তি। নারীর মহিমাকে উপযুক্ত মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে তা নারী উন্নয়ন থেকে সামাজিক উন্

আমার চোখে নারী ।। দেবব্রত ঘোষ মলয়

ছবি
আমার চোখে নারী দেবব্রত ঘোষ মলয় আমি কখনোই আলাদা করে নারী দিবসের কথা ভাবিনি। আমি তো জন্মে থেকেই দেখেছি  আমার জীবনে যাঁরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে গেছে তাদের নারী বা পুরুষ সত্তা নিয়ে ভাবার অবকাশই হয়নি, কারণ তাঁরা মানুষ সত্তা নিয়েই জড়িয়ে গেছেন আমার দৈনন্দিনতায় আষ্টেপৃষ্টে। তাঁদের ছাড়া আমি সার্বিকভাবেই অচল। আবার আমি দেখেছি চারপাশের বেশির ভাগ মানুষই নারী বা পুরুষের পরিপূরক এবং দুই সত্তা মিলেই দাঁড় বেয়ে চলেছে সংসার তরণীতে। মা, ভার্যা, কাকিমা, পিসিমা, মাসিমা, বোন, দিদি, প্রেমিকা বা হালের গার্লফ্রেন্ড সবাই নিজের চারপাশের পুরুষদের যত্ন করে, ভালবাসে, বকে এবং ধমকায়ও সময়ে সময়ে। ঠিক সেভাবেই পুরুষরাও। জীবনে কতবার কত পিতা মায়ের ওপর রেগে সন্তানদের শঙ্কিত করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে আবার কিছু সময় বাদেই হাতে কাঙ্খিত জিনিসটি নিয়ে ফিরে এসেছেন একগাল হাসি নিয়ে। আর মা যে কতবার চিৎকার চেঁচামেচি করে "এই লোকটা আমার জীবন ভাজা ভাজা করে দিলো" বলে কথা বন্ধ করার কিছু সময় পরেই মানুষটির প্রিয় খাবার বানিয়ে এনে সামনে সশব্দে রেখে "নাও, খেয়ে আমায় উদ্ধার কর" বলার পরই যে দৃষ্টিটা হানে, তাকে প্রেম-ভালোবাসা

নাটিকা ।। উদিপুরের ছোটোরানী ।। নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত

ছবি
      ।।নাটিকা।।         উদিপুরের ছোটোরানী         নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত         ***************** ।।প্রথম দৃশ্য।। উদিপুর রাজ্যের রাজা উদিতনারায়ণ রাতে ছদ্মবেশে নগরভ্রমণে বেরিয়ে একসময়ে পথশ্রমে ক্লান্ত হয়ে  একটা ভাঙা মন্দিরের  চাতালে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।সঙ্গে শুধু তাঁর দেহরক্ষী।সেও ছদ্মবেশে। পূর্ণিমারাত। সহসা রাজার কানে এল সুমধুর নৃত্যগীতের দূরায়ত ধ্বনি। রাজাঃ রক্ষী, নাচগানের শব্দ  মনে হচ্ছে। দেখো তো কোথায়? রক্ষীঃ আজ্ঞে মহারাজ,দেখছি।(রক্ষী বেরিয়ে গিয়ে একটু পরেই ফিরে এসে) আজ্ঞে মহারাজ, কুলিক নদীর ধারে ওই বটগাছটার নীচে কয়েকটি মেয়ে...... রাজাঃ চলো তো দেখি।কিন্তু খুব সাবধান।পা টিপে টিপে যেতে হবে যেন কোনো শব্দ না হয়।চুপিচুপি গাছটার আড়ালে গিয়ে দাঁড়াতে হবে।কাছথেকে ওদের নাচ দেখবো,গান শুনবো। রক্ষীঃ বুঝেছি মহারাজ,চলুন(উভয়ের প্রস্থান)   ।।দ্বিতীয় দৃশ্য।।   [পূর্ণিমারাতে জ্যোৎস্নালোকে একদল তরুণী হাতধরাধরি করে নাচগান করছে] গানঃ আয় তবে সহচরী /হাতে হাত ধরিধরি...(রবীন্দ্রসংগীত) নাচ গানের শেষে  তরুণীরা ইতস্ততভাবে বসে পড়ল।একএকজন একএক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।যেমন আঁচল দিয়ে কপালের ঘাম মোছা,চুল,বেশবাস ঠি