পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র : বৈশাখ ১৪২৭

ছবি
--: সূচিপত্র :-- গদ্য: অরবিন্দ পুরকাইত   নন্দিনী পাল   লক্ষ্মী নন্দী   অর্যমা ভট্টাচার্য  সত্যম ভট্টাচার্য   বিজয়ন্ত সরকার   রণেশ রায়   সুব্রত সামন্ত   রাণা চ্যাটার্জী   শ্বেতা বসু   সুব্রত দেব   সুদর্শন মণ্ডল   এম . রুহুল আমিন   মিনতি গোস্বামী   সংঘমিত্রা সরকার কবিরাজ আবদুস সালাম  পরাশর গঙ্গোপাধ্যায়   শুভাশিস দাশ   সজল চ্যাটার্জি   মনীষা কর বাগচী   জগন্নাথ শেঠ   অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ   দুলাল সুর   রমলা মুখার্জী গল্প : পিয়ালী মজুমদার    অভ্র ঘোষ   অমিত মাহাত   অনির্বাণ মন্ডল সুতর্না সিংহ    বিজয়া দেব   সান্ত্বনা চ্যাটার্জি   কবিতা: উদয় সাহা   সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়   কুমারেশ তেওয়ারী   তাপসী লাহা   সম্পা পাল   সজল কুমার টিকাদার   পার্থ সরকার   রবীন বসু   সুমন কুণ্ডু   সৌরভ ঘোষ   সুমিত মোদক   অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়   মৌসুমী ভৌমিক   মোনালিসা নায়েক   ফিরোজ আখতার   দেবীপ্রসাদ পাঁজা   নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত   স্বপনকুমার বিজলী   সুজন ঘোষ   পারমিতা রাহা হালদার   দীপ্তেন্দু বিকাশ ষন্নিগ্রহী  

নিবন্ধ । । অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
আবিশ্ব এই মহামারি এবং ঈশ্বরের ভূমিকা ভগবান কই কাছাকাছি! এক-এক দেব-দেবীর নামের মধ‍্যে তারক, বিপদভঞ্জন, বিঘ্নশাশিনী, বিপত্তারিণী, দুর্গতিনাশিনী, অভয়দায়িনী, ত্রিপুরারি, মধুসূদন, ত্রিভুবনপালিনী, অসুরদলনী, বরাভয়প্রদায়িনী, ভক্তবাঞ্ছাকল্পতরু ইত‍্যাদি কত কত বিঘ্ননাশক বা কল‍্যাণকর বিশেষণ প্রয়োগ করে এসেছি আমরা যুগ যুগ ধরে; অথচ আজ যখন দুনিয়াজুড়ে প্রায় প্রতিটি দুয়ারে প্রবল বিক্রমে করাঘাত করছে করোনারূপ এক মহামারি, কোথায় অশুভবিনাশকারী দেববিক্রম, কোথায় জগৎব‍্যাপী মঙ্গলময় রূপ – কোথায় আশ্বাসের অভয়বাণী! সত‍্যিকার মহিমাপ্রকাশের এমন সুযোগে কোথায় তাঁরা!            আমাদের অজানা নয় যে কেবল মন্দির-মসজিদ-গির্জাদিই ঈশ্ব‍রের আবাস নয়। তবু আমাদের বিশ্বাস এক আর বাস্তব অর। তাই বা বলি কী করে! আমাদের বিশ্বাসও সবসময় সে কথা বলে বা মনে রাখে কি? প্রতিটি মানুষের মধ‍্যেই ঈশ্বরের আবাস বলা হয়, উপনিষদ বলছে 'সোহম' –আমিই সে অথচ আমরা দেখছি গত অর্ধ শতকে কী হারে বাড়ল মূর্তিপূজা, দেবার্চনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জাঁকজমক! ঘরোয়ার নিয়মনিষ্ঠতা থেকে বারোয়ারির উৎসবসর্বস্বতা। পাঁজিপুথির দিনক্ষণকে ছাপিয়ে কত দূর তার বিস্তার!

দুটি গদ্য : নন্দিনী পাল

ছবি
ওরা ভালো আছে আজ ওরা এসেছিল । আমার সাথে দেখা করতে। দরজার সামনে উঁকি মেরে চলে গেছে । ওদেরও সহবৎ আছে। অন্যের ঘরে যে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে নেই ওরা সেটা জানে। ওরা জানে ওদের চৌহদ্দি। ওরা রোজ আমাকে দূর থেকে দেখত। কাছে আসার সাহস করত না। আমি যে কতবার ওদের গৃহহীন করেছি। আমার নিষ্ঠুর পদাঘাতে নষ্ট হয়েছে ওদের রাতের ঘুম। আমার ভয়ে ওরা লুকিয়েছে। তবু আমি পিছু ছাড়িনি। আমার লোভ আর অহংকারের আস্ফালনে জল স্থল অন্তরীক্ষ গ্রাস করেছি। ওরা শুধু দেখেছে দূর থেকে। কোনদিন প্রতিবাদ করেনি। রাস্তায় মিছিল বের করেনি। স্লোগান লিখে গলা ফাটিয়ে পথ অবরোধ করেনি। ওদের অধিকারের জন্য কোনো কমিশন বসেনি। মুখ বুজে সহ্য করে গেছে, কখনো জেহাদ করেনি। কখনো চীৎকার করে বলেনি, এই মাটি,জল,পাহাড়,নদী,বন,জঙ্গল,সমুদ্র এগুলো আমাদের ঘর। এগুলো নষ্ট কোরো না। আর আমরা ওদের দূর্বল ভেবে দিনের পর দিন অত্যাচার করেছি। নিজের স্বার্থে পৃথিবী থেকে নিঃশ্চিহ্ন করতে দ্বিধা বোধ করিনি বিন্দুমাত্র। আমি যে শ্রেষ্ঠ, স্রষ্টার বরপুত্র। আমার বুদ্ধির ধার,বাহুর বল সে তো দূর্বলকে সংহার করতেই বদ্ধ পরিকর।   আর আজ আমি, সেই শক্তিমান -ঘরে বসে আছি, প্রাণ বাঁচাবার

গল্প : পিয়ালী মজুমদার

ছবি
ডুমুরের ফুল  --------------------------------------------------------- ডুমুরগাছের আগাটা মুচড়ে ভাঙতে গিয়ে মুখ- চোখ বিকৃত হয়ে গেল শিপ্রার। কী শক্ত রে বাবা! তেমনই খসখসে আর ধারালো। হাতের পাতাটা লাল হয়ে জ্বালা করছে।  হাল ছেড়ে দিল। জানালা থেকে সরে যথাস্থানে গিয়ে অল্প অল্প দুলতে লাগল গাছটা। মাথাটা দুমড়ে আছে এখনও। দোলার ভঙ্গিটি কেমন যেন বিদ্রূপাত্মক। মনে হল শিপ্রার।  ' কী ডাগর- ডোগর ডুমুরগুলো গো। খাও না কেন তোমরা?'  রীনাদির কথায় ওইদিন মুখ বেঁকিয়েছিল সে। দু-চক্ষে দেখতে পারে না গাছটাকে। সত্যি একটা উৎপাত! দেওয়ালের হাঁ- মুখের ভেতর গজিয়ে উঠে রাতারাতি ঝাঁকড়া হয়ে ঢুকে আসতে চায় ঘরের ভেতরে। যেমন মশা হয়, তেমন অন্ধকার! এমন বেয়াড়া জায়গায় হয়েছে, কাটবে যে তারও উপায় নেই। পাশের বাড়ির ছাদে উঠতে হবে তাহলে। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। শিপ্রারা এই এলাকার কারো সঙ্গে মেশে না। কলোনি পাড়ার লোকজন সব, তাদের স্ট্যাটাসের সঙ্গে মেলে না।  বাদল এলে তাও কায়দা করে জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে কিছুটা ছেঁটে দিয়ে যায়। এখন তো তারও উপায় নেই। লকডাউন শুরু হয়ে গেছে গোটা দেশ জুড়ে। কী এক মারণ ভাইরাস যে এল! সারা পৃ

মুক্তভাবনা : লক্ষ্মী নন্দী

ছবি
কিছু চিন্তা  কিছু দুশ্চিন্তা আমারা যখন দিশেহারা হয়ে ক্ষতর মধ্যেই হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। ঘৃণ্য মূল্যবোধ হারানোর ক্ষতির  ক্ষত, নারীত্বের চরম অপমানের ক্ষত, ধর্ষণের অধ্যায়ের বাড়বাড়ন্তের ক্ষত। সত্যের মুখাবয়ব হারিয়ে যাওয়ার ক্ষত। ঈর্ষা আর স্বার্থপরতার ক্ষত। ঐ ক্ষতর টাটকা ঘা তো ছিলই। তারমধ্যে আবার সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ছিল, স্বেচ্ছাচারী শঠতা , দুর্নীতিপরায়ণতা, রাজনৈতিক জুলুম, অর্থনৈতিক শোষণ, প্রতারণা,  সামাজিক ভেদাভেদ, সাংস্কৃতিক নোংরামি,  অশ্লীলতা - যা পাপ পংকিলতাময় হয়ে আমাদের মানবাধিকারের দলনকে অন্ধকার আচ্ছন্ন করে তুলেছিল। পরিস্থিতি নির্ভর হতে মানব প্রকৃতির থেকে  নীতি-নৈতিকতা সব  হরিয়ে যাচ্ছিল আমাদেরও। শান্তি হারিয়ে যাওয়া  প্রায় সব মানুষই  চাচ্ছিলাম  এই অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি। ঠিক তখনই যেন সম্মুখে দাঁড়ালো , শুধু দাঁড়ালোই নয় সে যেন, আঙ্গুল তুলে বলল- সুস্থতা, শান্তি, স্বস্তি, শালীনতা, নম্রতা, ভদ্রতা, বিনয়, সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্য সব কিছুই ফিরে পাওয়া সম্ভব  সম্পীতির মধ্য দিয়ে। যদি তোদের মধ্যে সম্প্রীতি না জাগে অামি পৃথিবীকে মানব শূণ্য করে দেব। সে হল  পুঁচকে এক ভাইরাস।

কাব্যকথা : উদয় সাহা

ছবি
পরবর্তী সংবাদ   বসন্ত কি ফেসবুকীয়?  বসন্ত কি নিজস্বীতে মোড়া?  বসন্ত কি মিডিয়াতল্লাশি? বসন্ত কি শিরোনামে থাকা?  এই সব প্রশ্নের সমাহারে একটা লম্বা সরলরেখা টেনে দিই৷ আমাদের তো মনখারাপ হবার কথা ছিল না৷ পায়ের নীচে সরষে ফুল আর মাথার উপর চৈত্রের চাঁদ নিয়ে হেঁটে যেতাম স্টেশনের দিকে। হাতের তালুতে উষ্ণ ঘাম৷ এলোমেলো পথে ঠিক খুঁজে নিতাম প্রিয় বেঞ্চটা। আমাদের চশমার ভেতর হারিয়ে যাচ্ছে সন্ধেবেলা। অথচ মনের সুড়ঙ্গপথে ভালবাসা দিনে দিনে ইমারত গড়ছে। দিনগুলো কেমন প্যাঁচানো সিড়ির মতো হয়ে উঠেছে। অথচ  নিরাপদ উপশম খুঁজে পেতে আমি বাতাসের কানে গুঁজে দিই বকুলকথা আর প্রথম প্রেমের স্মৃতি। আর তোমার কথা ভাবতে ভাবতে সমস্ত বায়বীয় অভিশাপে নেমে আসে উজ্জ্বল আলো। ইদানিং  পুরনো চিঠি খুলিনা। পুরনো চিঠি ব্লেডের মত আততায়ী ; ধারালো।   ইদানিং খুব ইচ্ছে করে যাবতীয় ঘনিষ্ঠতার জলবিন্দুগুলোতে আলতো করে আঙুল ছুঁয়ে দিতে। আমাদের ছাদ থেকে ওই সাঁকো। সাঁকো পেরোলেই দিগন্তরেখা। সবুজ টিয়াপাখিদের সাথে কথা বলি৷ দূরে সুপারিগাছ। বনটিয়াদের ডানা ঝাপটানো। মনে মনে ভাবি দূরত্ব মানেই অপেক্ষা আর অপেক্ষার শেষে একটা নতুন সুপ্রভাত। শ

কবিতাগুচ্ছ : সবর্ণা চট্টোপাধ্যায়

ছবি
                     ১. লকডাউনের ডায়রী থেকে ১ বন্দী ঘরে আটকে আসে দম রাস্তাঘাটে মানুষ বেশ কম জানলা ধারে আকাশ খুলে রাখি বালিশ বুকে আঁকড়ে ধরে থাকি ভয়ে কেমন গুটিয়ে আছে মন ভাল্লাগেনা দেখতে আর ফোন বইয়ের পাতায় ডুবছে দুটো চোখ ডুবতে ডুবতে আড়াল করি শোক হঠাৎ ভালো লাগছে দুপুর রোদ মায়ের কাছে গল্প শোনার পালা তখন ঘুম ছিল না যেমন চোখে সময় আজ ফিরিয়েছে সেই বেলা দৌড়ে ঘর মাতাচ্ছে শৈশব চারিদিকেই গমগমে সব রব একলা নই ঘরের মাঝে আর সবাই মিলে দেখছি সমাচার হারিয়ে যাওয়া সেই মশলা মুড়ি জামবাটিতে একটু আমতেল সন্ধে হলেই মায়ের হাতে ধুনো অসময়েই খাচ্ছি কৎবেল নেইকো দিন নেইকো রাতের ডর স্মৃতিগুলো পাতার মতো ঝরে বাঁশবনে ওই চাঁদটি ওঠে যখন কাজলা দিদির শোলক মনে পড়ে! মায়ের গলা দশটি পাড়া শোনে ঘুম আসে না দস্যি নরম চোখে হাত পাখাতে গরম লাগে ভীষন অন্ধকারে জাপটে ধরি মাকে। এখন আবার পড়ছে মনে কথা বদলে গেছে যদিও সব কিছু বন্দী ঘরে আমরা এখন একা সময়গুলো আসছে পিছু পিছু তোমার কিছু দেওয়ার ছিল যেন আমার কিছু বলার আছে জানি জানলা ধারে