চিন্তা যখন সাঙ্গ
হ্যাঁ দেখেছি করোনা পোকা| এই অ্যাত্তো বড় বলে এক হাত দিয়ে অন্য হাতের কব্জি অব্দি দেখায় জনৈক মহিলা|
আর এক বুড়ি বলে তবে রে , কই কোথায় দেখি করোনা| চিরে দেব |
টিভিতে বলছে কেন মাস্ক পরেননি, উত্তরে জনৈক জন বলছে..এখন ও তো এখানে ছড়ায়নি, পোকাটা এলে চিন্তা নেই এমন তাড়াব না|
শিক্ষিত অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিতের দেশ ভারতবর্ষ|যে যার মতন ভেবে নিতে বাঁধা নেই| বিদেশ ভুঁইয়ের এলিট ক্লাস পারেনি লড়তে| অকারনে রোয়াকে বসা জাতিকে গৃহবন্দী করা খুব সহজ কাজ তো নয়| বিভিন্ন মাধ্যমের দশম শ্রেণীর দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা বাকী| নতুন শ্রেণীর বই অপাঠ্য এখনও| কেউ একমুঠো খেতে পারছে না কেউ ভালমন্দ খাবার খুঁজছে| একটা দুঃচিন্তা সকলেরই সাঙ্গ হয়েছে| একঘরে দশজন বাস করা মানুষের ঘরে থাকা গল্পকথা| তবু সময়ের কাছে হার মানতে বাধ্য জীবন| দুরত্ব জীবন রাখবে| নইলে কেউ বাঁচবে না|
মাঠে ফসল হইহই করছে, তোলার লোক নেই| মাইলের পর মাইল হাইওয়ে শূণ্য| জীবন এখনো চলছে | তারমধ্যে প্রকৃতি একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে| চারিদিকে পাখির কিচিরমিচির না শোনা কেউ নেই| পৃথিবী জুড়ে লকডাউনের ফলে পৃথিবী অনেকটাই দূষন মুক্ত| তার ফলে ওজোন স্তর সারছে| মানুষ যা ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল , প্রকৃতি যেন শান্তি পেল|
কিন্তু এরপর!এরপর মানুষ কী করবে? প্রকৃতিই বা কী করবে? মানুষের আর্তনাদ, অভিভাবকদের দুঃচিন্তা, অর্থাভাব, কোথায় এর শেষ কেউ জানে না|
কারা যেন মৃত্যুকে ভয় পায় না| নিজের মৃত্যু মনে না এলেও আপন জনের মৃতমুখ সভ্যতা শিখিয়েই দেয় একথা প্রমানিত|
খুব শীঘ্রই পৃথিবী হোক ফুলেল| মানুষের নব দীক্ষা হোক| যেকোন সূক্ষাতিসূক্ষ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তাই আচরণের পরিবর্তন কাম্য|
============
============
শ্বেতা বসু
চন্দননগর