মৃত্যু কথা
__________
মৃত্যু শব্দটাই কেমন কান্না-ছোঁয়া, আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে বুক --- এতটাই নঞর্থক সে।
প্রানহীনতাই মৃত্যু --- এ বড়ো অলীক লাগে আমার। কত মানুষই তো দেখি নিঃসাড়, শেষ প্রাণরসটুকুও নিঃশেষিত --- তবু সে সমাজের অ্যাসিড দৃষ্টিতে পুড়তে পুড়তে শরীরের বিনিময়ে গোলাপ কিনে আনতে পারে মৃতপ্রায় স্বামীর জন্য, পরীক্ষার ফি'স্ ভরতে পারে ছেলের, ভাঙাচোরা সংসারটাকে বুকে করে আগলে রাখতে পারে। তাহলে মৃত্যু ঠিক কোনখানে --- প্রাণহীন জীবন্ত মানুষটায়, নাকি তার শিয়রে-মৃত্যু স্বামীর, নিভন্ত সংসারটায় নাকি সমাজের অ্যাসিডিক চাউনিতে ?
আসলে মৃত্যু এখানে কোথাও নেই, কেবল কিছু 'মরে যাওয়া' আছে।
হারানোতে বড়ো ভয় আমাদের, তাই মৃত্যুকে বড্ড বেশি কুৎসিত মনে হয়।
নিতল নীলের স্তব্ধতা যদি শুনতে পাও, তবেই মৃত্যুকে চিনবে। কালো টানেলটার ওপারে যে আলোর নিঃশ্বাস --- মৃত্যু সেখানে --- পালক-তুলোয় শুয়ে --- ঠিক যেন কোলের শিশুটি।
সৃষ্টির উল্লাস খুঁজে পাবে মৃত্যুতে, আদর চোখে চেয়ে দেখো কখনও, দেখবে --- কচি হাতে নতুন স্বপ্নের আঁকিবুকি কাটছে সে।
________________________________________
অর্যমা ভট্টাচার্য ( Aryama Bhattacharya)
হাটপুকুর, জি.আই.পি কলোনি, হাওড়া-৭১১১১২