পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৪তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩১ এপ্রিল ২০২৪

ছবি
 নবপ্রভাত সাহিত্যপত্রের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এর প্রীতি, শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা।  সূচিপত্র প্রবন্ধ ।। বাংলার গাজন, চড়ক ও বর্ষশেষের সংস্কৃতি ।। সৌভিক দে নিবন্ধ ।। আমার নববর্ষ ।। সুবীর ঘোষ নিবন্ধ ।। বর্ষবরণ ।। এস এম মঈনুল হক নববর্ষের নেপথ্যে কিছু কথা ।। আবদুস সালাম প্রবন্ধ ।। ঈশ্বর ও বিজ্ঞান ।। মৃণাল বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি (পর্ব—পাঁচ) ।। অরবিন্দ পুরকাইত বাংলা সাহিত্যে প্রথম ভারতীয় নারী আত্মজীবনীকার ।। শেফালি সর প্রবন্ধ ।। মধ্যযুগে ভারতীয় নার্রীর অসহায়তার ইতিহাস ।। শ্যামল হুদাতী গল্প ।। স্মৃতিময় হালখাতা ।। গোবিন্দ মোদক গল্প ।। নববর্ষের উপহার ।। কেতকী বসু গল্প ।। ভালবাসার বাড়ি ।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। নতুন দিন ।। রবীন বসু পয়লা বৈশাখের কবিতা ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। নববর্ষের প্রার্থনা ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। দিনটা ছিলো ।।বদ্রীনাথ পাল কবিতা ।। অজিত কুমার জানা ।। নববর্ষ নক্ষত্র কবিতা ।। প্রতীক মিত্র ।। নতুন বছর বাঙালিমানসে বাংলা নববর্ষ ও হালখাতা ।। পাভেল আমান স্মৃতির পাতায় নববর্ষ ।। মিঠুন মুখার্জী অণুগল্প ।। শীর্ষা ।। অমিত ক

প্রবন্ধ ।। বাংলার গাজন, চড়ক ও বর্ষশেষের সংস্কৃতি ।। সৌভিক দে

ছবি
বাংলার গাজন, চড়ক ও বর্ষশেষের সংস্কৃতি সৌভিক দে শিব হচ্ছে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় দেবতা। তিনি খুব অল্পতেই তুষ্ট হন। বাংলায় শিবপুজোর জন্যে চৈত্র মাসের এক আলাদা গুরুত্ব। শ্রাবণ মাস, শিব লিঙ্গে জল ঢালার মাস। বাঙালি সম্ভবত শিবের মাথায় জল ঢালার বিষয়টা আগে পালন করত না। কারণ, মধ্যযুগে বা ইংরেজ আমলে বাংলায় এই শ্রাবণ মাসে জলবাহী পদযাত্রা উৎসবের কোনও নথি-প্রমাণ নেই। উত্তর ভারতে এই শিবের মাথায় শ্রাবণ মাসে জল ঢালা এক বিশাল বড় উৎসব – সেখান থেকেই বাঙালিরা প্রভাবিত। যদিও প্রথাটি প্রাচীন। মনে রাখতে হবে, উত্তর ভারতের দীর্ঘ অংশ শুষ্ক, তার অনেক স্থানেই আজও দীর্ঘ যাত্রা করে খাওয়ার জল নিয়ে আসতে হয়। এই প্রথা সেখান থেকে এসেছে, এমন সম্ভাবনাই প্রবল। জল ঢালার পেছনে এক সুপ্রাচীন কৃচ্ছসাধন ও তীর্থযাত্রার প্রথা কাজ করে থাকে। কিন্তু নদীমাতৃক সুজলা-সুফলা বাংলায় এমন প্রথা বেমানান, দীর্ঘ দূরত্ব থেকে জল বয়ে আনার এই উৎসব অন্তত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বা জলময় পূর্ববঙ্গের হতে পারে না। তাছাড়া সন্ধ্যা রায় অভিনীত 'বাবা তারকনাথ' সিনেমার সাফল্যের পরে, জল বয়ে নিয়ে শিবের মাথায় ঢালার প্রবণতা খুবই বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু চৈত্র মাসে

নিবন্ধ ।। আমার নববর্ষ ।। সুবীর ঘোষ

ছবি
আমার নববর্ষ   সুবীর ঘোষ       নববর্ষ বাঙালির নিজস্ব অনুষ্ঠান। এটি মূলত একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। যদিও বাড়িতে বা দোকানে সমৃদ্ধি কামনায় সিদ্ধিদাতা গণেশ ও লক্ষ্মীর পুজো হয়ে থাকে। যখন ছোটো ছিলাম নববর্ষের সন্ধেতে চেনা দোকানে দোকানে ঘুরে আসতাম বড়দের সঙ্গে। বড়রা হালখাতা সংক্রান্ত ব্যাপারগুলি সারতেন , আমাদের আগ্রহ থাকত ঠান্ডা সরবতের গ্লাসে বা লাড্ডু মিঠাই ভরা প্লেটের দিকে। চৈত্র সেলে কাপড়জামা কেনা বাঙালির খুব পুরোনো অভ্যেস। আমরা চৈত্র সেলে কেনা জামা পরে নববর্ষের সন্ধেতে ঘুরতে যেতাম । ওই সময়টা জুড়ে আমাদের আমোদ আহ্লাদের সীমা ছিল না। চড়ক গাজনের মেলা সবই তো গায়ে গায়ে। বাংলা ক্যালেন্ডারের দিকেও আমাদের নজর থাকত। পাতা জোড়া দেব দেবীর ছবি আর তার নীচে তারিখের জায়গাগুলো থেকে আমরা প্রথমেই খুঁজে বের করতাম সে বছর দুর্গাপুজো কবে বা ভাইফোঁটা কখন পড়েছে।   যখন একটু বড় হলাম আর লেখালেখি করতাম তখন   হালখাতার মিষ্টি খেতে যেতে লজ্জা করত। তখন নজর ঘুরে গেল নববর্ষে প্রকাশিত পত্র পত্রিকার দিকে। বহুল প্রচারিত দেশ পত্রিকায় এ সময় সাহিত্য-সংখ্যা বেরোত

নিবন্ধ ।। বর্ষবরণ ।। এস এম মঈনুল হক

ছবি
বর্ষবরণ এস এম মঈনুল হক      অতীতকে ভুলে যাওয়া মানেই ভবিষ্যতকে কবর দেওয়া। তাই বলে এই নয় যে অতীতের আবর্জনা, অমলিন দৃশ্য, অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন ও অপরিশ্রুত জঞ্জালকেও আমাদের মনে রাখতে হবে। তাপস নিঃশ্বাস বায়ে / মূমূর্ষূরে সুরে দাও উড়ায়ে/বৎসরের আবর্জনা / দূর হয়ে যাক যাক....। সারা বছরের পুরনো আবর্জনাকে চিরতরে মুছে ফেলতে হবে। স্মৃতির পাতায় যা অপরিচ্ছন্ন অমলিন তা পরিহার করতে হবে। আমরা অনেক কিছুই পালন করি। তার মধ্যে পয়লা জানুয়ারিও। ৩১ শে ডিসেম্বরের রাত্রি ১২টা ছুঁই ছুঁই মুহূর্তটা দেখার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকি। যেমন আমরা রাত্রি ১১টা৪৯  মিনিট থেকে চা খেতে শুরু করি এবং রাত্রি বারোটার পরে শেষ করি। বাইরে এসে দিনের বেলায় বলি যে আমরা দু'বছর ধরে চা খেয়েছি। কিন্তু সত্য কথা বলতে কি, পয়লা জানুয়ারি বাঙ্গালীদের কোন উৎসবই নয়। ধর্মীয় দিক থেকে দেখতে গেলে এটা শুধুমাত্রই খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠান। কেননা, ইংরেজি ক্যালেন্ডারের সব কিছুই শুধুমাত্র খ্রিস্টানদের জন্য। সুতরাং বাঙালিদের এ নিয়ে এতটা উদগ্রীব হবার কিছুই নেই। তবু আমরা করি বা করতে হবে। কেননা আমাদের সবকিছুই তো ইংরেজি ক্যালে

নববর্ষের নেপথ্যে কিছু কথা ।। আবদুস সালাম

ছবি
নববর্ষের  নেপথ্যে কিছু কথা  আবদুস সালাম মানুষের সাথে পঞ্জিকার সম্পর্ক অতি পুরাতন। মেসোপটেমিয়া কিংবা নীলনদের প্রাচীন সভ্যতায় লক্ষ্য করা যায় মাঝবয়সী কৃষকেরা দিন-তারিখ,  ঋতু বুঝেই ক্ষেতে চাষ করতে নামতো। দিনক্ষণের হিসেব কষেই  করতো পুরোহিত উপাসনা।      খ্রিষ্টীয় মাসগুলোকে সন্নিবিষ্ট করার ইতিহাস ঘাঁটলে  দেখতে পায়    দ্বিতীয় রোমান সম্রাট নুমা পম্পিলিয়াসের নাম । জানুয়ারিকে বছরের প্রথম মাস করার কৃতিত্বও তার।      কয়েক শতক পরে জুলিয়াস সিজার ক্ষমতায় এলে বর্ষ পঞ্জঈতএ আনেন সংস্কার , যা প্রচলিত ছিল ১৫৮২ সাল পর্যন্ত। তবু ও সঠিক হিসাব থাকতো না । পোপ অষ্টম গ্রেগরী  দ্বায়ীত্ব নেওয়ার বছর জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের দুরাবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন ।  তিনি আরো একদফা সংস্কার করলেন পঞ্জিকাতে। আজ অব্দি যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত।     ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম  খ্রিষ্টাব্দের ধারণা আনে পর্তুগীজরা। আর এটিকে জনপ্রিয় করেছে ইংরেজরা। তারও আগে এ মাটিতেই পা ফেলেছিল আরব-তুর্কি-আফগানরা। সাথে করে নিয়ে এসেছে হিজরি সন। নবী মুহম্মদ (সা.) ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। বছরটাকে ভিত্তি ধরে পরবর্তীতে হিজরি প