google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re কয়েকটি কবিতা ।। বিচিত্র কুমার - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪

কয়েকটি কবিতা ।। বিচিত্র কুমার



চৈতী

বিচিত্র কুমার 


চৈতী,তোকে বড্ড ভালোবাসি

কি করে যে মুখফুটে তা বলি,

বইছে উতাল-পাতাল চৈতী হাওয়া 

এখনো কী ফোটেনি প্রেমের কলি?


এসো ঝিরিঝিরি মৃদু বাতাসে বসে 

দুজনে মনের কথা খুলে বলি,

আচ্ছা কোন গাছেতে ফোটে জানো

রঙিন প্রেমের কলি?


বুলবুলিরা ফুলপরীরা আমায় দেখে হাসে

বলে পাগল নাকি মাথায় ব্যামো আছে?


কি যে করি ভাবছি আমি-

বুঝায় কারে এই পাগল মন,

মিষ্টি একটা প্রেম করিব

এই করেছি আমি পণ। 


রঙ মেখেছে ঢং সেজেছে

ঐ নীল আকাশে পরী,

ইচ্ছে করে ছুটে গিয়ে 

তার হাতটাই এই বসন্তে ধরি।



বিয়ের ফুল

বিচিত্র কুমার  


কোন গাছেতে ফোটে জানো রঙিন বিয়ের ফুল? 

বুলবুলিরা উঁকি মারে চেয়ে ছুলবুল।

ও পাখি তুই জানিস কি কেমনে ফুটে বিয়ের ফুল? 

রঙের রানী প্রজাপতি রঙ ছিটিয়ে বলে,

ও ভাই যেদিন তোমার মনটা রঙেরঙে রঙিন হবে,

সেদিন তোমারও অঙ্গ শরীরে বিয়ের ফুল ফুটবে, 

দোয়েল টিয়া ময়না শ্যামা তোমায় দেখতে আসবে।

কি করে যে মনটা আমি রঙিন করি বলো

শুনি সব মেয়েরিই প্রেম আছে নিভিয়ে গেছে আলো।


হঠাৎ এসব কথা শুনতে পেয়ে: 

বৌ পাখিরা চুপিচুপি মুচকি হেসে বলে,

বিয়ের আগে সবারই তো একটু একটু প্রেম থাকে।



অপেক্ষা 

বিচিত্র কুমার 



চাতকপাখির মতো তোমাকে চাইতে চাইতে;

রঙিন স্বপ্নগুলো অশ্রু জলে ঝরে গেছে: 

বুকের গভীর থেকে।

এখন আর দুচোখের পাতায় রৌদ্র ঝিলমিল করে না:

মুক্ত আকাশের নীচে।


তোমার মুখশ্রীও আর আগের মতো মনে পড়ে না;

যেন জৈষ্ঠের কাটফাটা রৌদ্রে হৃদয় পুড়ে:

ময়দার ঝলসানো রুটির মতো ঝলসে গেছে। 


তবু এ হৃদয় একটা বৃষ্টির প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়;

একটা বর্ষামুখশ্রী দেখার জন্য, 

একটা সত্যিকারের ভালোবাসা দেখার জন্য। 


চারদিকে শুধু নদীস্রোতের কলকল ধ্বনি শুনি;

এখানে সেখানে জোরা মানিককেরা সাঁতার কাটে; 

আবার হারিয়ে যায় দিনের শেষে।

আমি হয়তোবা এমন কোনো সম্পর্ক চাইনি

এজন্য একটা প্রেমিকাও যোগাতে পাইনি। 


চাতকপাখির মতো তোমাকে চাইতে চাইতে;

হৃদয়ে জমানো রঙিন স্বপ্নগুলো অশ্রু জলে ঝরে গেছে:

এ বুকের গভীর থেকে।

তবু এক পলক সেই বৃষ্টির দেখা পাইনি। 



সে

বিচিত্র কুমার 


সে আমাকে আর রঙিনস্বপ্ন দেখতে দেয় না; 

শান্তিতে ঘুমাতেও দেয় না;

চিনা চিনা লাগে তবু পরিচয় অজানা।

এই বুকে ভালোবাসা দেয় না ধরা 

চৈত্রের কাঠফাটা রৌদ্রের মতো বুকে চলছে খরা।


যেদিকে তাকাই দেখি শুধু তাকে, 

স্বপ্নে হাতছানি দিয়ে সে শুধু আমাকেই ডাকে;

চমকে উঠে দেখি- সে;

কাছে নেই কাছে নেই ধূধূ মরুভূমি 

কোথায় থাকো তুমি ওগো প্রিয়া মৌসুমি?


বলে না কোন কথা সে;

মনের গভীরের লুকানো ব্যথা যে

শুধু তাকিয়ে থাকে। 

ফুল ফুটে ঝরে যায় নিরালায় 

নব বসন্ত রঙ মাখায়।


হয় না শুধু তার সাথে দেখা যে 

এই রঙিন ভুবনে।


=================== 




বিচিত্র কুমার

গ্রামঃ খিহালী পশ্চিম পাড়া

পোস্টঃ আলতাফনগর

থানাঃ দুপচাঁচিয়া

জেলাঃ বগুড়া

দেশঃ বাংলাদেশ






























কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন