পোস্টগুলি

আগস্ট ১৮, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

ছবি
সূচিপত্র   (প্রচ্ছদ-বিষয়ঃ" দেশ ও দেশের মানুষ ঃ সুখ-দুঃখ আবেগ-অনুভূতি ) প্রচ্ছদ বিষয়ক  প্রবন্ধ / নিবন্ধ : রমলা মুখার্জী    আশিস চৌধুরী     ডাঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়    অনিরুদ্ধ সুব্রত    শেফালী সর প্রচ্ছদ বিষয়ক  মুক্তগদ্য : সঞ্জয় গায়েন    আবদুস সালাম    মোনালিসা পাহাড়ী     সত্যম ভট্টাচার্য     ইতিকা বিশ্বাস প্রচ্ছদ বিষয়ক  অণুগল্পঃ   সোমনাথ বেনিয়া প্রচ্ছদ বিষয়ক  গুচ্ছকবিতা :      লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল    সুমন দাস প্রচ্ছদ বিষয়ক  কবিতা :  অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়     চন্দন   মিত্র     নাসির   ওয়াদেন     সুদীপ্ত   বন্দ্যোপাধ্যায়  সুমিত   মোদক     উদয়   সাহা  পবিত্র   কুমার   ভক্তা    উত্তমকুমার   পুরকাইত      সুপ্রীতি বর্মন   মনীষা কর    সুধাংশুরঞ্জন সাহা    অমিতাভ দাস         তপন কুমার মাজি    নারায়ণ প্রসাদ জানা      বিদিশা কয়াল    রণেশ রায়     চন্দন ঘোষ    গৌর গোপাল সরকার      লিপি ঘোষ হালদার     স্বরূপা রায়     দুলাল সুর   শংকর হালদার   শুভাশিস দাশ   সম্পা পাল     সুমন নস্কর     প্রণব কুমার চক্রবর্তী    গণেশ

চন্দন মিত্রের কবিতা

ধ্বজা ও ধ্বনির দাস পরবাসী হে   দেখাও এমন ভাব যেন অনাহুত নাভিহীন আমি অযোনিসম্ভূত এ আমার দেশ নয় এই কামরাঙা ফুল পথের ধুন্ধুল এই মাঠ এই গ্রাম নদীখালবিল  অথবা শহর-শহরতলি গঞ্জ ও হাটের মৌরসিপাট্টা বুকপকেটে রাখো তুমি যে-কোনো সময় দেখানোর ধক আছে তোমার একার এই মিশ্রজাতের দেশে তুমিই নির্ভেজাল অং বং বিশুদ্ধ রক্তবাহী কোনোদিন বেডে শুয়ে অচিন রক্তস্রোত টানোনি শিরায় বলে  গোপন গর্বে বুঝি ফুলে ফুলে ওঠো আর ধ্বনি দাও ভুবনকাঁপানো যেন ফারাওদের আত্মা থেকে আরকগন্ধ মেখে একবিংশ শতাব্দীতে সটান এনেছো বয়ে তুমি শুদ্ধস্বর ও পবিত্র পতাকা ...  ছড়িয়ে দিয়েছ খোলা দেশময় বদ্ধজলার গন্ধ যারপরনাই দিচ্ছ চেতাবনি শ্বাস যদি রোধ হয়ে আসে তো যাও যেখানে তোমার ভালো লাগে তুমি জানো কোথায় আমার ভালো লাগে তাই ভূখণ্ডও দেগে দাও নির্বাসিতের এহেন হিম্মত দেখাও আজকে যেহেতু নিশান হারিয়ে ভুল পথে বেপাড়ায় পা রেখে বেকুব হয়েছি বড় সেহেতু সইতে হবে তোমার রোয়াব ও সারমেয়স্বর তুমিই পাতাল থেকে পাঠক্রম তুলে এনে পাঠশালা খুলে পড়াবে অচল পাঠ ধূপধুনো জ্বেলে সকলে ধন্য বলে মগজ ফাটিয়ে ঘিলুর অঞ্জলি দেবে তোমার সমী

কবিতা: অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
১৫ ই আগষ্ট           এখনও  রক্তের রঙ লাল  এখনও  ক্ষুধার নাম ঝলসানো রুটি  এখনও ধর্মের রাস্তা ধরে আমরা হাঁটি  এখনও রাস্তার ধারে পড়ে রুগ্ন শীর্ণ মানবতা  কে বুঝবে এসব ভাষা  কে বুঝবে শূন্য হতে হতে অন্তরীক্ষ হয়ে গেছে মৃত আশা  আমাদের  সূর্যের নাম স্বাধীনতা  আমাদের চন্দ্রের নাম ১৫ ই আগষ্ট ... ================== অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়  লাভপুর  বীরভূম  পশ্চিমবঙ্গ  দূরভাষ - 7908600710

কবিতাগুচ্ছ: লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল

ছবি
অশ্রুদাগ নিখিল আজ কতকটা শান্ত   যেটুকু বাকি,  অচেনা দিনের ছেলে মেয়েরা হাঁটে রাত্রি নিয়ে  বিষাদের ছায়া ঘিরে আছে চার দিক সিস্টেমের মধ্যেই উত্তেজক চার পেগের দৃশ্য পলেস্তারা খসে পড়া প্রতিটি নিঃশ্বাসে স্পেশাল এস্কর্ট যৌনতা ভাগাভাগি করে অনুদান ঘোষনায়  এসব চলছে চলুক,  ভীষণ ফাঁকা এই মাটি   নিঃস্বতার  সীমারেখা বেড়ে যায়  প্রতিটি নিঃশ্বাসে  উত্তাপের অশ্রু দাগে মুছে যায় আয়ুষ্কাল কথা     অনিদ্রার ভিতরে অন্ধকার এলে কয়েকটা টর্চ চলে যায় রাইচক জঙ্গলের দিকে ঝিঁঝিঁরা ভুলিয়ে  দেয় সমস্ত রাতের বাড়ি ফেরার কথা আমরা কি পালিয়ে যাব কুয়াশার ভিতর সমস্ত লক্ষ্যের বিফল নিয়ে মেঘের ঘনঘটা মাদকেরা চলে যায় চোরা চোরা ঘর্মাক্ত ক্লীভেজে  এমন অভিসম্পাতে সংগ্রহ করেছি অসুখ   কুণ্ডলী পাকানো সংকর জিনের শরীরে আচমকা কাশির শব্দ তিল তিল বেঁচে থাকা দোদুল লণ্ঠনের  যুদ্ধময় ছায়া   ডি ন এ ' র গুচ্ছ থেকে মুছে দিচ্ছে প্রবল প্রতিবাদ  চলে যাচ্ছে যন্ত্রণাময় করোটির শঙ্কিত অনিদ্রায় শব্দহীন অন্ধকার ভাবতেই ফিনকি দিয়ে বার হয় শিরদাঁড়া খ

প্রবন্ধঃ ডাঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়

ছবি
ইতিহাসের কলঙ্কঃ সেলুলার জেল সূচনা ও ইতিহাসঃ ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীর আমবাগানে ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌল্লার পতন আর বাংলায় ইংরেজ শাসনের পত্তন হয়। ইংরেজরা ভারতে ঢুকেছিল মূলত ভারতের পূর্ব অর্থাৎ কোলকাতা দিয়েই। তাই বাংলার এই পরাজয় তাদের রক্তে এনেছিল অভূতপূর্ব এক উন্মাদনা। বাংলায় নবাবী শাসনের পর ধীরে ধীরে সেই পরাজয়ের ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে সারা ভারতবর্ষে কারণ দিল্লীর দুর্বল মোঘল শাসন ইংরেজদের মোকাবিলা করতে সমর্থ ছিল না। ফলে সেদিন পলাশীর আমবাগানে স্বাধীনতার যে সূর্যটি অস্ত গিয়েছিলে তা সারা ভারতবর্ষকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রেখেছিল দীর্ঘ অন্তত একশ বছর যখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে জোরাল কোনও প্রতিবাদের স্বর মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে নি। প্রায় একশ বছর পর ১৮৫৭ সালের ১০ই মে সিপাহি বিদ্রোহের মধ্যে দিয়ে সূচনা হল একটা আন্দোলনের বৃটিশ শাসকের বিরুদ্ধে। যদিও এই প্রতিবাদ দীর্ঘস্থায়ী হয় নি, মতান্তরে ব্যর্থই হয়েছিল বলা চলে, তবু এই বিদ্রোহই ভারতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল। এই বিদ্রোহই

প্রবন্ধ: রমলা মুখার্জী

রবীন্দ্রনাথের স্বদেশ চেতনা ভারতবর্ষ যখন পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দী হয়ে ইংরেজদের অকথ্য অত্যাচারে জর্জরিত তখন এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল ভারতবাসী। ঠাকুর পরিবার এই জাতীয় আন্দোলনে সামিল হয়েছিল এবং এর বিস্তার ঘটিয়েছিল। রবীন্দ্রনাথের জীবন স্মৃতিতে দেখা যায় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে 'স্বাদেশিকতার সভা' নামে একটি সভা হত ঠনঠনিয়া অঞ্চলে। খুব ছেলেবেলা থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই স্বাদেশিকতার সভার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৮৬৭ খ্রীস্টাব্দে ১১ই এপ্রিল ঠাকুর বাড়ির উদ্যোগে 'হিন্দু মেলা' নামে একটি জাতীয় সম্মেলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যার উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে স্বাদেশিকতা বোধে উদ্বুদ্ধ করা এবং নবগোপাল মিত্র ছিলেন এই 'হিন্দু মেলা'র সর্বময় কর্তা। তাই রবীন্দ্রনাথ স্বাভাবিক ভাবেই স্বদেশ ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন সেই ছোট্টবেলা থেকেই। 'হিন্দু মেলা' প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'ভারতবর্ষকে স্বদেশ বলিয়া ভক্তির সহিত উপলব্ধির চেষ্টা সেই প্রথম। হিন্দু মেলায় দেশের স্তবগান গীত, দেশানুরাগের কবিতা পঠিত, দেশীয় শিল্প ও ব্যায়াম প্রদর্শিত এবং গুনীজন সমাদৃত হইতেন।' রবি কবি প্রত