পোস্টগুলি

জুলাই ১৬, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

কবিতা // সাগর বর্মন

                  নির্বিকার                ফেজ একভাবে তাকিয়ে আছে গেটের লকটা...! সে ভাবছে  হয়তো বা তার প্রভূ পার্টির ডিনারে  না হয়,নতুন কোনো এগ্রিমেন্ট নিয়ে ডিসকাস করছে, সকাল  থেকে দুপুর নামে দুপুর থেকে বিকাল হঠাৎ ফ্লাশের লাইট জ্বলে ওঠে শান্ত ঘরটায় যেন মেলার আয়োজন হয়েছে, তার খুব প্রশ্ন করতে  ইচ্ছে  করে এরা কারা,এত কেন ভিড় আমার প্রভূ কই, তাকে দেখছি তো না সে এতো লোক বড়ো ভালোবাসে, কেউ  তাকে দেখছে না সবাই দাড়িয়ে নিশ্চল পাথর হয়ে নিগ্রে নেওয়া আদলে শুধু চোখে জল, পাথরের দেওয়ালটাকে প্রশ্ন করে বলে এরা কারা... নির্লিপ্ত গলায় উত্তর আসে আমি তো নির্জীব চোখে দেখি বলি না, সে দাঁড়িয়ে দেখে গোটা ঘরটা অন্ধকার ছায়া মূর্তি  বলতে কেবল সে দাড়িয়ে আছে।

কবিতা // পার্থ সারথি চক্রবর্তী

ছবি
   # অবগাহন # ঝিঝিঁ পোকার খোঁজে বেড়িয়েছিলাম এক পূর্ণিমা রাতে  এক গহন অরণ্যের বুক চিরে  এক হাঁটু জল কাদা পেরিয়ে  আমার ফেলে আসা শৈশবের নস্টালজিয়াতে  শাল সেগুনের ভিড় ভেদ করে যেখানে আলো পৌছয়নি  অকিন্চিৎকর প্রাপ্তির সন্ধানে  মাথা কুটে মরছে ইচ্ছারা  জেগে থাকে শুধু  অপছন্দের বিবমিষারা  কাদা জলে অবগাহন করি যন্ত্রণার সাবান মেখে নিয়ে  উঠে আসে কষ্টের হলাহল  পান করে নিই আকন্ঠ  তবু নীলকন্ঠ হতে পারিনা , আজন্ম চেষ্টায়

কবিতা // সুজিত কুমার কর

ছবি
 প্রকৃতির পাঠশালা যারে পিষেছো, ভেঙেছো, গড়েছো  আপনার লাগি আপন খেয়ালে,  সাগর - পাহাড় হতে বনাঞ্চল  রেখেছো করতল গত করে নিজ বাহুবলে। সাগরের মাঝে বসতি, পর্বত ভেঙে খান খান।  প্রকৃতিরে রেখেছো ক্রীড়নক করে,  মস্তিষ্কের উর্বরতায় তোমার দাসত্বে  নির্বাক প্রকৃতিরে করেছ বশ বহু যুগ ধরে।  এবার পালাবদলের পালা  রোষে, ক্রোধে জ্বালামুখী  প্রকৃতির শিক্ষায় কেঁপে ওঠে  ধ্বংসন্মুখ যন্ত্রণাক্লিষ্ট এ পৃথিবী  দিশেহারা জীবশ্রেষ্ঠ মানবকুল  উপর্যুপরি বিপর্যয়ের ধাক্কা  চারিদিকে ধ্বংস - মৃত্যুর পদধ্বনি  নাও পাঠ, বাস্তুতন্ত্রের প্রকৃতির শিক্ষা।  দাউ - দাউ লেলিহান শিখা  দ্রুত ছুটে চলে দাবানল  পালাও পালাও রব চারিদিকে  ধেয়ে আসে পঙ্গপাল।  সাইক্লোন - হারিকেন - তুফান  ভেঙে চুরমার সঞ্চিত অহংকার  ভাইরাস - মহামারী, জলোচ্ছ্বাস অসহায় নতজানু সবে দু চোখে অন্ধকার।

কবিতা // নিশা দাস

ছবি
মেঘ ও মায়া মেঘ ও মায়া,শ্রাবণের অঝোর বৃষ্টি, ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে, তুমিও চলে গেছ। বৃষ্টিবিন্দু শরীরে মেখে বাড়িয়েছো ক্ষত। 'শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা' গানটি আওড়েছো। বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ,খোঁজার নেশা, হ্যাঁ ভালোবাসা খোঁজার নেশা  ওই দুটি চোখজুড়ে। মনটা বড়ো আনমনা- মাঝে মাঝে ভাবি, কান পেতে শুনে যাও কাকে ভালোবাসি‌। খুঁজে চলেছো দৃষ্টি জুড়ে , আর এদিকে হৃদয় পোড়ে। টুপটাপ বৃষ্টি পড়ে, তোমার নাম,ছবি মনজুড়ে। যদি ভালোবাসো কাছে নাও টেনে। বেশিক্ষণ থাকার জোড় করবো না , চলে যেও কাল ভোরে। ============ Nisha Das C/O-Abani Kanta Das Vill- Patiram Master Para P.O-Patiram Dist-Dakshin Dinaj Pur Pin-733133

কবিতা ।। উজ্জ্বল মাহাত

ছবি
   সাঁকো কয়েকটি শব্দ বাঁধিয়াছে দুটি প্রান, দুটি মন আটকেছে শব্দমালা। টুকরো সুতোয় একটা সুঁচের জান, বিদ্ধ হয়েও জুড়ায় মনের জ্বালা। মুখোমুখির হয়তো থাকে না অবকাশ, একটু কথাই  বাঁচার সম্বল। শব্দমালায় বাঁচিয়ে রাখে আশ, যেমন অসহায়ের শীতের কম্বল। আকাশ জুড়ে স্বপ্নের যাওয়া-আসা, শব্দমালা করে পিওনের কাজ। ভাঙা ঘরেও নতুন আশার বাসা, বিনুনিতে সাজিয়ে তোলে সাজ। মুহুর্মুহু সেই তো বেগার খাটে, তার সাঁকো ভর করেই পারাপার। বহমান মন; সঙ্গেই যেন হাঁটে, শব্দ সাঁকোয় জীবনের দরবার।। ===========   উজ্জ্বল মাহাত  গ্রাম ও ডাকঘর - জবলা,   থানা - মানবাজার,  জেলা - পুরুলিয়া,  পশ্চিমবঙ্গ -৭২৩১২৮ ৯৮০০০৫০৮৯৬ ৯১২৬৫২৫৭৫৫

কবিতা ।। চিরঞ্জিত কুন্ডু

ছবি
   নব্য সুতপা বুকের উপর উঠছো বসে, একটা নরম আবেশ দিতে। এ যে নরম -শান্তি কই? আগলে রাখার ভ্রান্তি সই , উষ্ণ ঘন পড়ছে শ্বাস, শ্বাস কষ্টের পূর্বাভাস। এখনো কাঁদে-খোলা ছাদে শীর্ণ প্রদীপ জ্বেলে। এই যে কবি-তোমার ছবি বদলে দেবে বলে। আচ্ছা সুতপা তুই ই বল- এযে লাশের উপরে ভোগ-দখল। নিয়েছি তো তোকে কতো কাছে ডেকে; দিয়েছি অর্ঘ্য-গিয়েছি স্বর্গ। এখন নাহয় আমার  শ্বাস  থাকুক অজ্ঞাতবাস। অমি জানি আজি,ছেড়ে যাও যদি  না থাক সেকথা,অকথা,কুকথা। অতএব এসো,হাতে পায়ে বোসো। অথবা যদি চাও দুরে চলে যাও। তোমার কাব্য হয়তো লিখব তুমিই যে আমার নব্য সুতপা। =============== নাম-চিরঞ্জিত কুন্ডু গ্রাম-ব্রজমোহন পুর ডাকঘর-দহিয়াকান্দা  থানা-গোঘাট জেলা-হুগলি  রাজ্য-পশ্চিমবঙ্গ  পিন-712616 চলভাষ  8670696307

ছড়া ।। সাইফুল ইসলাম

কালো মেঘ কালো মেঘ কি ভয়াল শুধুই ভয় দেখানোই কাজ-- শস্যশ্যামল ধরণী বুকে কেবলই ফেলে বাজ?  দেশের চাষী চায় কেন তবে কালো মেঘের পানে,  মরু সম আঁখি দুটি কোন সে মায়ায় টানে।  কালো মেঘের পাহাড় দেখে আশায় বাঁধি বুক,  দূঃখ এবার নেবে বিদায় দেখব সুখের মুখ।  জমাট বাঁধা কালো মেঘে কালার বাঁশি শুনি,  কখন নামবে বাদলধারা তারই প্রহর গুনি।  কালো মেঘেই বর্ষা নামে পুকুর ডোবা ভরে,  গলা ফুলিয়ে খালের ব্যাঙ এক সুরে গান ধরে।  এ ধরণী প্রাণ ফিরে পায় কালো মেঘের লাগি,  সবার কথা চিন্তা করে কালো মেঘই মাগি।  হোক না কালো আরো কালো তবু হৃদয়ে থাক,  সবুজ চাদরে ঢাকুক মহী ভয়টা দূরে যাক।  -------------------------------------------------                                                     

কবিতা ।। আশিস ভট্টাচার্য

স্বপ্নে দুজনে,,,,, সাগরের বুকে হেঁটেছি হাত ধরে ঢেউ ভেঙে ভেঙে অনেকটা পথ হোক না স্বপ্নে, নয় বাস্তবে তবুও স্বপ্ন দেখেছি দুজনে। নোনা জল আর বালি মাখা দেহে       করেছি উষ্ণ আলিঙ্গন তোর তৃষিত চুম্বন থেকে সরাত       পারেনি আমার ঠোঁট আমিও গলেছি ভেতরে ভেতরে        আইস ক্রিমের মত তোর প্রেমে আমি হয়েছি যে            দিশা হারা হোকনা স্বপ্নে হোকনা নিশীথে পারিনা থাকতে একে অপরকে                   ছাড়া ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, আশিস ভট্টাচার্য শান্তিপুর নদিয়া ফোন নম্বর 6295300585

কবিতা : পরাগ ভট্টাচার্য্য

ছবি
একটি বৃষ্টির দিনে দিনটা  ছিল মেঘলা, ধোঁয়া ধোঁয়া,  জলভরা মেঘেরা ,দলবল নিয়ে,  উড়ে যেতে যেতে , ব্যস্ত পিকনিকে ,  আসর বসেছে , চাতালে বিছিয়ে; আমাদের আলো , কেড়ে নিয়ে,  করেছে রোশনাই,  আমন্ত্রিত হোমরাচোমরা , কেউ বাদ নাই চন্দ্র, সূর্য, তারা, এসেছে সবাই।  শুনি পুরোনো দিনের ,বাংলা গানের সুর ,  অক্লান্ত বৃষ্টির ফোটা , চুপচাপ,  ধীরে ধীরে ,ডুবতে থাকা মাঠঘাট ,  বিশুদ্ধ সুরে , বাজে টুপটাপ ;  উদোম গায়ে যায়, বিল্টু ছোটন,  থপথপ ফেলে পা, ঢেউ এসে লাগে,  কাকভেজা পাখিটা, ডালে বসে ভাবে,  সন্ধ্যা নামছে আজ , কেন এত আগে?  বাড়িটা কখন জানি,  গেছে ভেসে,  কতগুলো হাত, ডুবছে উঠছে বারবার,  কাদামাটি জল, গাছের একটা ডাল,  হাতগুলো পেলো তবে কিছু ধরবার। =================== পরাগ ভট্টাচার্য্য, দমদম রোড,  পিন 700074 দূরভাষ 8334892038

কবিতা ।। সুজিত কুমার মালিক

ম্যান্ডেলা ও কিউরিওসিটি তোমার অন্ধকার কারাগারের লড়াই আজও অন্ধকারেই! তোমার বিজয় নিশান বিরুদ্ধ হাওয়ায় বিপর্যস্ত, তুমি কোনোদিনই জিততে পারোনি ম্যান্ডেলা! ফ্লয়েড-রাই আমাদের পরিণতি। সিনেমার ফাঁকে উঁকি মারা ফেয়ারনেস ক্রীমে চোখগুলো চিক্ চিক্ করে ওঠে দিন বদলের সুখে। কিউরিওসিটি রোভার যতই তুমি মঙ্গল খোঁজ, হাই-ডেফিনিশন, থ্রিডি-র রঙিন জগৎ আজও হারিয়ে যায় সাদা-কালোর ভীড়ে। =============== সুজিত কুমার মালিক গ্রাম:মইখণ্ড, পো:হেলান, খানাকুল,আরামবাগ, হুগলী পিন:৭১২৪১২ মোঃ৯৬৩৫৪২৪৬৯২

কবিতা : বিনয় ডাঙ্গর

ছবি
তুমি তো পারোনি   মানুষ পেরেছে লাল ঝোরা ফেলে যেতে চারিদিকে , তুমি তো পারোনি।   নরম বুকের দেশ ভেঙে চুরে দেখেছে পাথরের জোর কতখানি , আলোবাতি নিভিয়ে কত যে খেলার ছলে হত্যা করেছে সুন্দরের পথ , তুমি তো পারোনি।   মানুষ পেরেছে গলায় জড়িয়ে দিতে কাঁটার পৃথিবী রঙিন । মানুষের দাঁতে কোবরা নিয়েছে ঠাঁই , ছোবল ছিল না এতদিন ,   বুঝবার মত বিষ সারা গায়ে অসংখ্য ছোবল মুহূর্ত দেখে মনে হয় , মানুষ পেরেছে স্থির দাগে কিছুটা বিষের রঙ লেপে দিতে , তুমি তো পারোনি।   মানুষ হেসেছে তোমার কান্না শুনে , পাপ ভালোবেসে তোমাকে ঠেলেছে দাউ দাউ আগুনে , তুমি পুড়ে বেঁচে আছো মানুষ জেনেছে সব , তুমি তা জানোনি।   মানুষ করেছে ঘেঁড়াকল , জিলিপির প্যাঁচ , ধারনার ফাঁদ আমাদের দেশ অহঙ্কারের মাটি মানুষ হেঁটেছে সরল পায়ের নীচে , তুমি তো পারোনি। ================== বিনয় ডাঙ্গর ৬৭/১ উকিলাবাদ রোড, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, পিন-৭৪২১০১ ফোন- ৮০০১৫৬৯৯৭১

কবিতা : তানিয়া ইসলাম

ছবি
যখন একা ------------------------------------ ঝলমলে রোদের পাড়ায় সূর্য কেন মান ভাঙায়? জ্যোৎস্না রাতের চাঁদের মায়ায়, অতীত স্মৃতি হুল ফোঁটায়। যখন একলা ঘরে প্রজাপতি ডানা ঝাপটায়, হীরক মুদি দোকান ঘরে রেশমী চাদর-- হাওয়ায় দোলা লেগে সুখেই নাচে। হারুর মায়ের জানলা জুড়ে ঝকঝকে পর্দা--- তার ছেলের বিলেতী সুখের ছোঁয়ায় শোভা বাড়ে। রাস্তা ভেজা, চোখের পাতা অভ্রভেদী, শুষ্ক ঠোঁটে হাসি বিরল প্রজাতী, যখল একলা জীবন, একলা মেঠো পথ যেন মলিন করে হৃদয় বাঁধ।।

কবিতা : রিঞ্জক

ছবি
স্বজন হওয়ার ব্রত           সম্পর্কগুলো প্রয়োজনের তরে যাচ্ছে বদলে হরিণ গতি ছুটি বাদলা দিনে ঈশান আকাশেতে মেঘমালায় শ্রাবণের ভ্রুকুটি জোনাকি কী সুখে দেয় আলো অন্ধকারে শুধে কী তার ঋণ আনন্দে জোয়ার ওঠে বাটে মুখ না মুখোশ বিপদে চিনে নিন। শ্রাবণের মেঘলা আকাশ জুড়ে বারিধারা ঝরুক অবিরত নিই সকলে আবার এই ক্ষণে দ্বেষ ভুলি স্বজন হওয়ার ব্রত।                     -:- রিঞ্জক ফরাক্কা, মুর্শিদাবাদ ৯০৬৪৩৭৮৮৫২

ছড়া ।। রণজিৎ হালদার

ছবি
করোনা মা হরিণের চিন্তা ভীষণ, বাছার বড় জ্বর মাঝে মধ্যে শ্বাসকষ্ট, নাক থেকে জল ঝরঝর। দুরন্ত বাছা তার, রাতদিন   কষ্ট পাচ্ছে,  চিন্তায় মরে সে, যাবে  কোন বদ্যির কাছে।   ভাল্লুক ও নাকি এমন জ্বরের কিচ্ছুটি জানে না। বিজ্ঞ শেয়াল শুনে বলে এটা বোধহয়  করোনা। বনের রাজা সিংহ মশায় ছাড়েন জোরে হুঙ্কার, আজ থেকে বন্ধ শিকার, ঘরে থাক যে যার। আমি রাজা, দেব সাজা কথা  যদি না শুনিস, মাস্ক পরে চলবি সবাই  পাই না যেন নালিশ। মা হরিণ কেঁদে ওঠে " বাঁচান আমার বাছারে", রাজা বলে ,"বাঁচাব  যদি আসিস  আমার ঘরে "।

কবিতা ।। শুভজিৎ দে

ছবি
যারা পাড়ি দিয়েছে চারিদিকে নিস্তব্ধতার আগমন রোদ্দুরও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে মাথার ওপর ক্রমশ মেঘেদের আনাগোনা মাথা নত করে নিয়েছে সভ্যতা- যেন প্রলয় আসার সময় হয়েছে! ক্রমশ অন্ধকার হয়ে আসছে অন্ধকার- যাদের আলো আছে; তারা আলো জ্বালিয়ে নিশ্চিন্ত। আর যাদের আলো নেই; যারা আলো আনতে পাড়ি দিয়েছে দূরে, দেশ-বিদেশে- তাদেরও কেউ খবর দিয়েছে প্রলয়ের খবর শুনে- তাদের বুভুক্ষ বুকে খরা এসেছে, চোখে ভেসে উঠেছে আকণ্ঠ মৃত্যু। তবুও তারা শেষবারের মতো মিলতে চেয়েছে কেউ সহধর্মিনীর সাথে,কেউ বা প্রেমিকার সাথে তাই তারা পাড়ি দিয়েছে- দিল্লি থেকে বিহার, কেরল থেকে বঙ্গে পুনে থেকে ঝাড়খণ্ড, গুজরাট থেকে উত্তরপ্রদেশের অঙ্গে। ------------------------ শুভজিৎ দে গ্রাম - শাশপুর জেলা - বাঁকুড়া Whatsapp Number -9091709626

কবিতা : অরূপ কুমার গোপ মন্ডল

ছবি
  ইচ্ছে করে পাহাড় নয়, ঘুমিয়ে আছে, আমার পূর্বপুরুষ। পায়ের নীচে ,স্রোতস্বিনী , মাথায় সবুজ বালিশ। ইচ্ছে করে, ছুট্টে গিয়ে, মনের কথা বলি। কথার পাহাড়, জমছে বুকে, কেমন করে ভুলি। মেঘের দেশে, হারিয়ে যাব, বৃষ্টি হব শেষে। কইবো কথা, দিনে রাতে, তোমার কোলে বসে। হাজার তারা, ঘুম পাড়াবে, জোনাক জ্বলা রাতে। ইচ্ছে করে ,লক্ষ বছর, থাকবো তোমার সাথে।। =============== অরুপ কুমার গোপ মন্ডল ঝালদা নতুন বাগমুন্ডি রোড ঝালদা পুরুলিয়া ৭০০১৯১১৮১০

কবিতা ।। দুলাল সুর

ছবি
                দায়বদ্ধতা               অন্ধকারের কালকুঠরিতে অনিঃশেষ উদভ্রান্ত যৌবন সমর্পণ অভাবী সংসার প্রতিপালনের দায়বদ্ধতায় অবক্ষয়ের কুয়াশার উষ্ণস্রোত মহামারী সর্বনাশা দিশাহীন তমসায় বিকারগ্রস্ত কামনার লিপ্সায় নিমজ্জিত। শ্বাপদকুলের শিকারি ছোবল একলহমায়   বিষাক্ত দংশনে খুবলে খায় অসহায় অবলার পবিত্র শরীর। সাক্ষী থাকে অমাবস্যার একফালি চাঁদ আর নিশিভোরের পবিত্র গঙ্গাবক্ষে নিত্য অবগাহন।             ****************************** -        দুলাল সুর – শ্রীনগর ১ নং, মধ্যমগ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা,                     কোলকাতা – ৭০০১২৯, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত,                Mobile + Whatsapp – 8777624513       Email – surdulal0301@gmail.com                

ছড়া ।। অষ্টপদ মালিক

খরস্রোতা নদী যখন পাথর - বুকে ঝরনা নামে ঝরনা থেকে নদী বয়ে যায় তার কুলু কুলু ছন্দে নুড়ি পাথর সত্তা হারায়  । আগে জানতাম না নদী তীক্ষ্ণ খরস্রোতা হয় , কত প্রজ্ঞা প্রতিজ্ঞা নিমেষে করে সে নয়ছয় ! নদী তার আপন খেয়ালে দুই কূল ছাপিয়ে যায়  ভয়ানক বন্যা হয় অসহায় প্রাণ করে হায় হায় ! নদী যখন সাগরে মেশে ডুব দেয় নোনা জলে , কে তাকে ফিরিয়ে আনবে কোন্ মহা দৈববলে ! =================                     অষ্টপদ মালিক         পাঁচারুল , হাওড়া -৭১১২২৫          মোবাইল-6295 32 1758 

কবিতা ।। রবিউল ইসলাম মন্ডল

আমি সৈনিক বলছি -----:--------:-------:---- মরনপণে যাচ্ছি মাগো যুদ্ধ ক্ষেত্রে লড়তে দেশের জন‍্য আমরা পারি জীবন বাজি ধরতে। দিও না বাঁধা শত্রু যে নিঃশ্বাস ফেলে কাঁধে আসছে ধেয়ে দেশের ভিতর আজ কে আমায় বাঁধে। শৃঙ্খলমুক্ত করবোই মাকে এ আমার দৃয় অঙ্গিকার হোক না যতই বড় শত্রু করবোই ছারখার। রক্ত ঝরিবে বক্ষ বহিয়া তবুও ছাড়িব না পতাকা আমরা মহান দেশপ্রেমিক, ওগো ভারত মাতা। ঝাঁঝরা করিবে মোদের বক্ষ দুঃখ করিব না - বাঁচিয়া থাকিতে বর্ডার থেকে এক পা সরিব না । চালাও গুলি হাজার বোমা হামলা করো শত বুক চিঁতিয়ে রাখবো তোমার দেশের সেবায় রত। আমরা যে মা শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে তাই বলে মা ছাড়বো নাকো শত্রু এলে। অপমানিত ইতিহাস নাহি লিখতে দেব বিপদ দিনে তোমার কোলে টেনে নেব। দু হাত মোদের মুষ্টি করে বজ্রাঘাতে দেশদ্রোহীর পাঠাবো নরক, যাক নিপাতে । এটাও জানি ওগো আমার ভারত সন্তান মৃত‍্যু হলে বীরের মতো করিবে সস্মান ।। --সমাপ্ত---

কবিতা : সত্য মোদক

অপক্ক আমি যখন চোখ দিয়ে দেখি তখন যা...দেখি সিকি ভাগ দেখি নতুবা অর্ধেক দেখি বা কোন কোন সময় দেখি-ই না৷ কিন্তু যখন আমি কান দিয়ে দেখি তখন অনেক অনেক রং দেখি কখনও কখনও একটু বেশি-ই দেখি৷ তবে আমার মা বলেন খোকা ..... কখন-কানে দেখিস না দেখিস—মাথা,চোখ....আর আমি বলি মা-গো আর.....? মা বলেন ওরে বোকা — হৃদয় দিয়ে দেখিস৷ ============ সত্য মোদক হেলেঞ্চা,বাগদা,উত্তর২৪পরগনা ৮৯২৬৪১২৩৫৪

কবিতা ।। কালাম হাবিব

ছবি
প্রার্থনা! """""""""""""""""""""""" চোখ অন্ধ শান্তি বন্ধ  কঠিন বিপদ দেশে, পা খানি তার পৌঁছে গেছে  বিনাশ অতি শেষে!  আলো ছালো কর্ম করে দাঁড়িয়েছে ফলে। ক্ষতবিক্ষত সোনার দেশটি  যাচ্ছে রসাতলে। সে যে আমার জন্মভূমি আঘাত লাগে মনে। রবের দোরে আরজ মাগী  শ্বসন ক্ষণে ক্ষণে! ওয়াদা তোমার পূর্ণ দেখি কেউ তাতো বোঝেনা, দৃষ্টি করে অন্ধ তারা কেউ পুণ্য খোঁজে না। অজানা আজ পৌঁছে গেছি বিনাশ নীরের কূলে! সারা দেশটা ভরে গেছে  ন্যু ইয়ে পড়া ফুলে। কেমন দেশের হস্ত পদ কেমন তাহার দেহ? তুমি বিনা মাওলা আমার  বুঝবে নাতো কেহ! কি বলবো আর দুঃখের কথা আছি নয়ন জলে, হৃদয় ফেটে চূর্ণবিচূর্ণ  নদী বয়ে চলে। স্মরণ এখন মাওলা আমার  বয়স গেছে ক্ষয়ে, পাপের পাহাড় গড়ে আমি পুণ্যে নিঃস্ব হয়ে!  তাওবা করার সুযোগ দিও গহীন আধার রাতে, উদার হস্তের ক্ষমা ঢেলে  দিও আমার হাতে! হস্ত তুলে দোয়া মাগী করো শিশুর মতো,  সারিয়ে দাও মাওলা আমার  ভারত মাতার ক্ষত! আল্লাহ আমায় ক্ষমা করো  বিদীর্ণ এই দেশে,  যেন অন্তঃশ্বাস নিতে পারি  তোমায় ভালোবেসে!

কবিতা : নারায়ণ প্রসাদ জানা

ছবি
সৈনিক মা আমি এখন দুপুর তোমার বুকেতে কালবৈশাখী সারাদিন দস‍্যিপনা আম -জাম-গাছের ডালে। মা আমি বৃষ্টি এখন তোমার শাড়ির ভেজা আঁচলে সারাদিন ঝাপসা আঁধার লেবুর পাতায় কর মচা। মা আমি এখন রাতে চাঁদ হয়ে বিছানার পাশে তোমার কোলে মাথা রেখে রূপকথার গল্প শোনা। মা আমি সীমান্তে এখন অতন্দ্র প্রহরী দেশের লাঞ্চার -মার্টারের সাথে ছিন্নভিন্ন শত্রুর দেহ। মা তুমি ঠাকুর ঘরে শত্রুর মুখে দিয়ে ছাই আমার জন্মদিন এলে দিনরাত প্রার্থনা তোমার। মা আমি দূরের আকাশে রাতের তারা হয়ে জাগি তোমার আদরের মানিক অশ্রু ভেজা আঁচলের খুঁট। মা আমি ছড়াই আলো সীমান্তের বেড়া ডিঙ্গিয়ে, মা আমার একটাই দেশ পৃথিবীকে ভরি আলোয়। =========== নারায়ণ প্রসাদ জানা গ্ৰাম+পোঃ=হাঁসচড়া জেলা- পূর্ব মেদিনীপুর পিন-721625 মোঃ-943128211.

কবিতা ।। রমেশ দাস

আটক                                                                                  ১      মা গো বাইরে দেখো  কারা যেনো করছে হৈ চৈ। বৃষ্টি জলে সব ডুবিয়ে গেছে মাঠ জলে থই থই।। ওই দেখো মা জালি নিয়ে ধরছে কারা রুই কই। আমি  একা  ঘরে  বসে  পড়বো  শুধু  বই ।।                                ২ না বাবু যেয়ো না  ওদের সাথে মিশো না ; ওখানে রয়েছে  করোনা ভাইরাস ভয়  । চুপ চাপ বই পড়ো  পড়া পরে গেম খেলো ; জলেতে পা দিলে হতে পারে জ্বর ।।                               ৩ ওই মাঠে বিশু অভি আর আছে ভাই রকি ; ওদের কই নাই ভাইরাসের ভয় । কেনো করো বন্ধ দ্বার ওরা যদি ছাড়া পায় ; আমি কেনো একা ঘরেতে রয়  ।।                              ৪ মাঠে খেলা ভুলে গিয়ে খাতা বই হাতে নিয়ে; করো শুধু পড়া কে স্মরণ। এখন আবার ঘেঁষাঘেঁষি করো সাথে মিশামিশি; সরকার সকলকে করেছে বারণ ।।      =========               -  রমেশ দাস             কান্দি , মুর্শিদাবাদ     (M)709846976

কবিতা ।। ফাল্গুনী গিরি

সেঁকে নিয়ে আঁচে   কষ্ট কিছু জড় করে কিনে ছিল সুখ  এক চিলতে আশ্রয়ের সুখ -- ভেসে গেল জলে। হলদেটে খামে মোড়া ছিল কিছু স্মৃতি,  হারিয়ে গেল কোন সে অতলে-- এখন আশ্রয়হীন দুটি চোখ  নেই কোনো জল,শুধুই মরুভূমি।  নুইয়ে পড়া মাথা নিয়ে চলতে শেখে নি সে কিশোরী মন থেকে সংগ্রামী একজন  শোণিত ধারায় আছে মিশে -               সে আবার দাঁড়াবে উঠে                সেঁকে নিয়ে নিজেকে গরম আঁচে-               মুঠোয় ভরে নেবে আঁধার সময়              জীবন্ত লাশ হয়েও কতজনই তো বাঁচে।।

কবিতা : সাবিউল ইসলাম

ছবি
নির্যাতিতা মানহারা মানবীর দ্বারে খসে পড়া সুন্দরীর আস্ফালন। তোমার উজ্জ্বলতা কামরূপি লোলুপেরা করে আগ্রাসন। স্বপ্ন খচিত তারার ন্যায় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ,  সোনার বরন মুখ, শুধু করে হাহাকার তোমার অপেক্ষায়। তুমি মায়ের ঠোঁটের কোনে লুকিয়ে থাকা অঘোষিত হাসি।  দিনান্তে দেখা মেলা বাবার রাজকুমারী। হঠাৎ-ই  দানবের আগ্রাসনে নেমে এল ঘোর অন্ধকার । তোমার অপেক্ষায়রত  তোমারই রাজারকুমার।  এখনো ফেরোনি বলে অভিমান করে আছে ছোট ভাই বোন । তুমি আসবে বলে ডাইনিংটা সাজানো রয়েছে আগেরি মতন। তোমার অপেক্ষায় হয়নি ডিনার সারা। একে একে ঘুমিয়ে পড়ে সম্পূর্ণ পাড়া । তবু তুমি ফেরোনি,  রাত্রির ঘোর অন্ধকারে তুমি হয়েছো নির্যাতিতা,  হয়েছো  জ্বলন দেহি।                ........................ নাম- সাবিউল ইসলাম।  ঠিকানা- গ্রাম-পশ্চিম শালবাড়ি, ডাকঘর- শালবাড়ি, থানা- ধূপগুড়ি, জেলা-জলপাইগুড়ি, ডাক সচক সংখ্যা-৭৩৫২১০ চলভাষ নম্বর- ৮২৫০৬৩৫৯১৫

কবিতা : সৌরভ মান্না

ছবি
শান্ত হও-শান্ত হও শান্ত হও-শান্ত হও- বিনা রক্তপানেও, রক্তের স্বাদ পেয়ে চলেছি। আগামীর আলো খুঁজে পাইনা- অন্ধকারের ঘেরাটোপে অস্থায়ী জীবনটা হাতড়ে মরছে দু-বেলা! তিলমাত্র মুক্তির আস্বাদও, এই চৌচির হৃদয় স্পর্শ করেনা। কত-শত লড়াই,অবিরত লড়াই- কতই না ভিন্ন রূপ তাদের, অস্তিত্বের সংগ্রামে জং ধরে যায় তবু,বাঁচার মোহ মৃত্যুকে তুচ্ছ করে! শান্ত হও-শান্ত হও - এইবার কিছুটা সময় বিজয়ের গল্প রচনা হোক- বিরহের কাঁটাতার ছিন্ন করে অমর মিলনের রাঙা আকাশ ফুটে উঠুক; শান্ত হও -শান্ত হও - আর কিছুটা সময়, না হয় চোখ বুজে থাকি। ================ sourav manna address:vill-raynagar,po-amardaha,ps-bagnan,dist-howrah,pin-711312 mobile-8017769776

কবিতা।। সোমা কর্মকার

ছবি
।।প্রকৃতির প্রতিশোধ।। আমাদের কৃত অন্যায়ের সঠিক বিচারের নালিশে ও তিলে তিলে সবকিছুর প্রতিশোধ নেওয়ার তাগিদে, শান্তশিষ্ট শস্যশ্যামলা প্রকৃতি হয়েছে ক্ষুদ্ধ আজিকে। পৃথিবী আজ পৌঁছে গেছে সমস্ত ধ্বংসের শেষপ্রান্তে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হয়েও শুধু মিথ্যে অহমিকায় ও পৈশাচিক লালসা পূরণের লোভে সব জেনে বুঝেও, অকারনে কেবল ক্ষমতার অপব্যবহার করছে যারা! অভুক্ত অসহায় মানুষের পেটে লাথিও মেরেছে তারা। অচিরেই নিরীহ পশুপাখী ও গাছপালা ধংস করছে! শতশত নিরীহ নারীকে করেছে নিথর, বিবস্ত্র, প্রাণহীন। আবাল থেকে বৃদ্ধা বনিতা কেউই তাতে বাদ যায়নি। বোধহয় এবার পূর্ণ হয়েছে তাদের সব পাপের ঘড়া। এবার বুঝি শুধু বিচার এবং প্রতিশোধ নেবার পালা। ভুলে গেছো নাকি সেইসব নির্মম নাশকতার কথা?? হিসেব কী রেখেছো কিছু, বলো সেইসব নৃশংসতার? তুমি আমি গুনতি করলে হয়তো বা ভুল হবে ঢের,  হিসেবটা খুবই লম্বাচওড়া, গুনতি করলে হবে প্রচুর। আড়াল থেকে একজন হিসাব রাখছে এসব কিছুর। রাজা থেকে শুরু করে তুমি আমি যেই হই না কেন,  ইচ্ছাকৃত করা ভুলে কারোরই কোনো নিস্তার নেই। কড়ায় গন্ডায় সুদে আসলে গুনতে হবে যে মাসুল। ভাবছো! এজন্মে আবার বিচারের কী হবে উসুল? ওসব বাজে কথা।

কবিতা ।। শিবপ্রসাদ গরাই

ছবি
কথোপকথন              সুখপাখি, সুখপাখি তুমি দাও না কেন দেখা? তোদের মত গরিবদের সঙ্গে কথা বলতে মানা। সুখ বলতে কি বুঝিস?  থালা ভর্তি ভাত? তোদের মত আকাল লোকের সঙ্গে কথা বলাই পাপ । ভাতের জন্য কেউ কি কখনও সুখের কথা বলে? তোমার মত বেয়াদবই ভাতের কথা বলে ? ভাত যখন খুঁজিস  সুখ খুঁজিস না  সুখ যখন খুঁজিস ভাত খুঁজিস না । শুকনো থালায় ভাত নেই ! সুখ খুঁজতে আসিস , সুখের কথা বললে পরেই মারবো এক থাপ্পড়, দেখিস।

ছড়া ।। রঞ্জিত বিশ্বাস

ছবি
এই পদ্যের উদ্দেশ্য যাকে দেখলেই বুক করে ছ্যাৎ, ছ্যাৎ, পড়া না পাড়লে বলেন "ধ্যাৎ,ধ্যাৎ, বেতের উচ্চারণ করেন তিনি ব্যাত, ম্যাজিকের ন্যায় ক্লাসে বোঝান ম্যাথ। কর্ণেলের ন্যায় যে স্যার পরেন ক্যাপ, দাড়ি ও গোঁফের মাঝে রাখেন না গ্যাপ। ছাত্র শাসনে নিজেকে ভাবেন RAF গুলে খাওয়াতে ভুগোল, দেখান ম্যাফ। কাঠি দিয়ে যে স্যার খোঁচান দাঁত, ক্রোধ বাড়লেই করেন ঘাড়টা কাত। ছাত্রদের গায়ে তোলেন না যদিও হাত। হিস্ট্রি বুঝিয়ে সৃষ্টি করেন জলভাত স্কুলের সব স্যারই শ্রদ্ধেয় মোদের, জাগ্রত করেন যারা শুভ বোধের, শোধ করা যাবেনা ঋন ওদের, শ্রদ্ধা জানানোই উদ্দেশ্য এই পদ্যের। ============= রঞ্জিত বিশ্বাস গ্রাম চাঁদপুর পোঃ বিজয়পুর জেলা নদীয়া ফোন নং 8145061784 পেশা শিক্ষকতা

কবিতা ।। অজয় মণ্ডল

ছবি
সন্দেহের ক্যাপসুল   """""""""""""""""""""""""""" সন্দেহ বিষ তারের চাবুক,          তুমি, ভাঙ্গলে মনের পাড়; বিশ্বাস বাঁধ বালির ছিলো,          তাই, প্রেমরোগ ক্যান্সার!    প্রেমের আঁতুর বারুদ ঠাসা,           তুমি,জ্বাললে আগুন সেই! নিকোটিন ছাই বিলীন তখন,           আমি,জীবন্ত আর নেই! অ্যালকোহল ভরা রক্ত মাতাল,            জানি,ফিরবেনা আর হুশ! নিথর দেহের জীর্ণ পাঁজরে,                 মৃত;বায়ুহীন ফুসফুস। তোমার জন্য রক্তে মিশেছি,              বলো! আর কতদূর যাব? ক্যাপসুল ছিঁড়ে,থাইমেট পুরে,             দেখো!সত্যি এবার খাব!         ============   নামঃ অজয় মণ্ডল পিতাঃশান্তিনাথ মণ্ডল গ্রাম+পোঃরাইবাঘিনী থানাঃকোতুলপুর জেলাঃবাঁকুড়া ডা.সূ.সংখ্যাঃ৭২২১২২ চলঃ7047369291