পোস্টগুলি

জুন, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

ছবি
ব্লগ নবপ্রভাত ১৬শ সংখ্যা আষাঢ় ১৪২৬ , জুন ২০১৯  -: সূচিপত্র :- প্রবন্ধ-নিবন্ধ : সঞ্জয় কুমার মল্লিক   রমলা মুখার্জী   অনিরুদ্ধ সুব্রত    রাণা চ্যাটার্জী   তন্ময় সিংহ রায় মুক্তগদ্য : শিবনাথ দত্ত     নিসর্গ নির্যাস মাহাতো     সুমিত্রা পাল     আবদুস সালাম     পিয়ালী মজুমদার     সুমিত মোদক     নন্দিনী লাহা সোম   রবীন বসু    সৌরভ দত্ত     বরুণ দুবে    শেফালী সর   সম্পা পাল গল্প/অণুগল্প : আকাশ নীল মাইতি   তুলি মণ্ডল    শ্যামাপদ মালাকার    ফরহাদ হোসেন   রণেশ রায়   অরুণ চট্টোপাধ্যায়   সান্ত্বনা চ্যাটার্জী রম্যরচনা :   তপন তরফদার কবিতাগুচ্ছ :    বনশ্রী রায় দাস   সুপ্রীতি বর্মন  রঞ্জন ভট্টাচার্য   দেবব্রত দাস  তাপসকিরণ রায়  দুটি কবিতা:  সৌগত রাণা কবিয়াল    আবির্ভাব ভট্টাচার্য  সবর্না চট্টোপাধ্যায় কবিতা/ছড়া :   জগবন্ধু হালদার   সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়   চন্দন মিত্র   মনীষা কর বাগচী   মৌসুমী ভৌমিক   মোনালিসা পাহাড়ী    তাপসী লাহা    কাকলী দাস ঘোষ   পলি ঘোষাল   সত্য মোদক   সুজিত কুমার মালিক    সবিতা বিশ্বাস   নিলাদ্রি চক্রবর্তী   তন্ময় পাল ,  

মুক্তগদ্যঃ পিয়ালী মজুমদার

ছবি
অকিঞ্চিৎকরের ডায়েরি- ৪ --------------------------------------------------------- একটা আলুথালু দুপুর পেরোচ্ছি অপেক্ষার। বারোটা বেজে দশ কুড়ি....তিরিশ...  ঘড়ির কাঁটায় একটা নাকফুল স্পষ্ট হচ্ছে ক্রমশ। ঝিকমিক করে এগিয়ে আসছে এই সুরভিত রেস্তোরাঁর দিকে। এখানে জীবন বড়ো মাংসল। বিরিস্তা- কেশরে মাখামাখি। নতমুখে ঘ্রাণ নিচ্ছে তৃপ্ত যুবতী। উষ্ণ তন্দুরে লোভ ঝলসে নিচ্ছে অস্থির যুবক।  খুশবুদার, তুলতুলে কাবাবের সাথে একটা ঝুঁকিপূর্ণ শহরের হা-মুখের ভেতর  মিলিয়ে যাচ্ছে জোমাটোবালকেরা।  ক্রমাগত আসা- যাওয়ার চিলচিৎকার ব্রীজ পেরোতে থাকা রেলগাড়ির মতো ঝমঝম করে বাজছে ওদের মাথার ভেতর। রূপমতীর শীর্ণ আঙুল জ্বালা করে উঠছে উচ্ছিষ্ট হাড়ের খোঁচায়। ফুটন্ত ফিরনির মতো ক্ষুধা গাঢ় হচ্ছে  আবহে। সন্তানের মুখ ঢেকে যাচ্ছে চিমনির ধোঁয়ায়।  এমন সব দৃশ্যের পাশে পাত্তা না পেয়ে, একটু দূরে দাঁড়িয়ে ফ্যালফ্যাল তাকাচ্ছে গোলাপবিবি। হাতের প্লাস্টিকে ভাগের অন্ন। পাত পড়বে এক্ষুনি। লেজ নাড়াতে নাড়াতে এসে পড়েছে সবাই। ওদের অবোলা চোখে ছায়া ফেলছে বিষণ্ণ অন্নপূর্ণা....  এসে পড়েছে নাকফুলও। তার ভেজা ভেজা হাসির সাথে যেন খানিক ছলকে পড়ল

মুক্তগদ্য: নন্দিনী লাহা সোম

অলক্ষ্য রঙ লাগলো আমার অকারণের সুখে বসন্ত যে এসেছে, সে জানে কেবল এক পাগল কোকিল। অফিস ঢুকছি, কুউউউউ...লাঞ্চে নেমেছি, না, ঝুপস্-এ খেতে নয়, এমনি  এলোমেলো হাঁটতে, অমনি কুউউউউ....BSNL অফিস ছুটছি, আর্জেন্ট মিটিং, কুউউউউ... হ্যাঁ, আর বলবেন না আর কোথাও জায়গা পায় নি, আমারই অফিসের সামনের কোনো এক গাছে বাসা বেঁধেছে। এমনিই আমার ডেস্কের পিছনে দেওয়ালটা হঠাৎ শেষ হয়ে গেছে জানলায়। ঠিক যেখানে মেট্রোর সেক্টর ফাইভ স্টেশন আর উইপ্রো ফ্লাইওভার দুজনে দুজনকে না ছুঁয়ে ছুটে যাচ্ছে সেখানে আকাশ তার সমস্ত মন খারাপ নিয়ে থমকে থাকে, বলে "আয়"....তার মধ্যে ঐ কোকিল!!!  না, এই বসন্তে দিকশূণ্যপুর যাবার উপায় নেই, দিগন্ত ব্যাপী নীলে গুচ্ছ গুচ্ছ পলাশের লালের আগুন হয়ে জ্বলে থাকা যে এমনিই দেখতে পায় তার কাছে এ রোজকারের ব্যাপার, সে কি করে বুঝবে কালো কফিতে চুমুক দিতে থাকা আমি-র এই বারোতলার বদ্ধতা?....তাই বোধহয় ঐ এক দেওয়াল আকাশ, ঐ পাগল কোকিল আর অফিস থেকে ফেরার পথে "বসন্তের ঐ মাতাল সমীরণ"... এর মধ্যে একদিন হৃদি জানালো, তার স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে এবারে "ওরে গৃহবাসী" গাইতে গাইতে, নাচতে নাচ

মুক্তগদ্যঃ সুমিত মোদক

ছবি
সনাতনী ভাবাবেগ মোড়কে ঢাকা খাজুরাহর কলঙ্কিত অধ্যায় হাজার বছর আগেকার ঘটনা । সে কারণে , সঠিক কোনো ইতিহাস নেই । প্রায় পুরোটাই দাঁড়িয়ে আছে মিথের উপর । বিশ্বাসেরব উপর । যেহেতু বিষয়টি সনাতনী হিন্দু ভাবাবেগ সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে  সে কারণে হয়তো সমসাময়িক ঐতিহাসিকগণ বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন । হয়তো বা স্পর্শকাতর হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত লাগবে ভেবেই । বা ঐতিহাসিকগণ মনে মনে করে ছিলেন বিষয়টির মধ্যে ঐতিহাসিক কোনো উপাদান নেই ।  # প্রতিবেদকের আধুনিক দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে খাজুরাহর মন্দির সৃষ্টির নেপথ্যের এক কলঙ্কিত অধ্যায় । যৌবন ও যৌনতার অধ্যায় । সেটাকে ঢাকার জন্য মন্দির গাত্রে যৌন ভাস্কর্য । যেটা এক সময় ছিল দ্যা টেম্পল অফ সেক্স । সেটাকে বতর্মানে সারা বিশ্বকে দেখানো হচ্ছে দ্যা টেম্পল অফ লাভ । কেবল মাত্র বিশ্বায়নের জন্য । পর্যটন শিল্পের জন্য । # খাজুরাহর মিথটা হলো , রাজেব্রাহ্মনের কণ্যা হেতস্বী অপূর্ব সুন্দরী  । অল্প বয়সেই বিধবা হয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন। এক রাতে নদীতে স্নান করতে গিয়ে চন্দ্রদেবের আকাঙ্ক্ষার শিকার হন এবং দুজনের যৌন মিলন ঘটে । চন্দ্রদেব ও হেতস্বীর মিলনের ফলে যে সন্তান জন্ম

নিবন্ধঃ রমলা মুখার্জী

ছবি
কৃষক-বন্ধু রবীন্দ্রনাথ প্রকৃতি আমাদের মা। পরম প্রকৃতির দানেই জীব-জগতের আবির্ভাব,লালন-পালন। কিন্তু বুদ্ধিমান নাকি বুদ্ধুমান মানুষেরা সেই প্রকৃতিই করছে দূষিত। সবুজ জঙ্গল কেটে বানাচ্ছে কংক্রিটের জঙ্গল। সবুজ গাছ উধাও হলে যে আমাদের অস্তিত্বের সঙ্কট হবে তা রবীন্দ্রনাথ সে যুগেই মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছিলেন, তাই প্রবর্তন করেছিলেন বৃক্ষরোপণ উৎসবের। সেকথা আমরা সবাই জানি, কিন্তু যা অনেকেই জানি না তা হল যে পল্লী বাংলার দুঃখ-দুর্দশা তাঁকে এতটাই ভাবিয়ে তুলেছিল যে তিনি সক্রিয়ভাবে পল্লীবাংলার উন্নতিতে মনোনিবেশ করেছিলেন।    রবীন্দ্রনাথ অনুভব করেছিলেন যে দেশে কোন কৃষি-বিদ্যালয় নেই, নেই কোন সরকারি কৃষিনীতি। তাই রবীন্দ্রনাথ কবি ও কৃষিবিদ্ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সহযোগিতায় শিলাইদহে আলুর চাষ শুরু করেছিলেন। প্রথমবার এই কৃষিকাজে সাফল্য তাঁর আসেনি। প্রচুর ব্যাঙ্গ-কৌতুকের বৃষ্টি উপেক্ষা করে তিনি পুনরায় ঐ কাজে ব্রতী হলেন। এবার আলুচাষে এল সাফল্য। আজকে বাংলার যে ফসলটির ওপর আমরা অনেকটাই নির্ভর করি সেই আলুর বিজ্ঞানসম্মতভাবে চাষের প্রথম প্রবর্তনের জন্যও আমরা রবীন্দ্রনাথকে একজন দরদী, আধুনিকমনস্ক কৃষকব

মুক্তগদ্যঃ শিবনাথ দত্ত

ছবি
ছক  ১      আজও সুতনুর মনকে সেদিনের বিয়েবাড়ির স্মৃতি উদাস করে দেয়। সেই আলো ঝলমলে লোকারণ্যের মাঝখানে উজ্জ্বল সুন্দর সাজে সজ্জিত চঞ্চলা হরিণী সারদার দুষ্টুমিভরা চাহনি মনে পড়লে অজান্তেই সুতনুর ঠোঁটে মৃদু মধুর হাসি ফুটে ওঠে।      মাস চারেক আগের কথা। ফাল্গুনের মাঝামাঝি সুতনুর কাকার ছোট মেয়ের বিয়ে হল। তার হবু ননদ সারদা এসেছিল ওদের বাড়ি। ওরকম রূপ সাধারণত খুব কম চোখে পড়ে। উজ্জ্বল ফর্সা শরীরে গোলাপি শাড়িখানি দারুণ মানিয়েছিল। শাড়ির সাথে ম্যাচ করে গোলাপি মালা, কানের দুল ও গোলাপি টিপ পরেছিল। আর খোঁপাতে ছিল একগাদা রজনীগন্ধা। মনে পড়তেই সুতনুর মন গোলাপি নেশায় ভরে ওঠে। সে রূপের সঙ্গে মনের মাধুরী মিশিয়ে তার স্মৃতি খানি আরো মধুর হয়ে ওঠে।      সেদিন বিয়েবাড়িতে ওই সুন্দরীটি অনেক যুবকেরই নজর কেড়েছিল সত্যি। তবে সুতনুর মতো আর কারো মনে এতটা দোলা জাগায়নি। এতদিন কেটেছে, অথচ তার সেই দোলায় সুতনুর হৃদয়পাত্রের রঙিন জলে আজও সমান ভাবে ঝিলমিলিয়ে ঢেউ খেলে ওঠে। আর যখন তা মাঝে মাঝেই মনকে ছাপিয়ে ওঠে, তখন কবিতা না লিখলে মনের উচ্ছ্বলতা কমে না। খাতাগুলো ভরে উঠছে। ম্যাগাজিনে বেরোচ্ছেও দু-একটা।

রবীন বসুর মুক্তগদ্য

ছবি
দুখু মিয়া কবি     ———————— দুখু মিয়া কবি l আমাদের কাজী নজরুল ইসলাম l আদ্যন্ত দুখী এক পরিবারে জন্মেছিলেন l সম্বল ছিল একটা বাঁশের বাঁশি l খিদে ভুলতে তাতেই সুর তুলতেন l মধ্যদুপুর অতিক্রান্ত বিকেলের বাতাস সে সুর বয়ে যেত বহু দূর l ঘাট থেকে ঘাটে, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে l একদিন সেই বাঁশিকে সম্বল করে ঢুকে পড়লেন লেটোর যাত্রাদলে l শুরু হল ভ্রাম্যমান জীবন l জনপদ মুখরিত হল তাঁর বাঁশির সুরে l  পালার কাহিনী থেকে জীবনের পাঠ শিখে নিলেন l শুরু হল স্ব-শিক্ষার ভিত্তিস্থাপন l পরে নিজের চেষ্টায় আরবি, আর ফারসি শিখেছিলেন করাচি সেনানিবাসে এক পাঞ্জাবী মেজরের কাছে l নিজেই ব্যঙ্গ করে লিখেছেন একসময়— 'বিলেত ফেরনি?' প্রবাসী-বন্ধু ক'ন্, 'এই তব বিদ্যে ছি !'     ছি! ছিল তাঁর সারাটা জীবন l  হিন্দুরা বলেছেন 'নেড়ে', মুসলমানরা বলেছেন 'কাফের' l অথচ তাঁর মত উদার সর্ব-মানবিক সংস্কারমুক্ত সত্যিকার সাম্যবাদী মানুষ বিশ শতকে কমই জন্মেছেন l "গাহি সাম্যের গান মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান !" নারী-পুরুষে সমানাধিকার চেয়েছিলেন l &quo

মুক্তগদ্যঃ শেফালি সর

 ।। প্রথম।।                                 জীবনের শুরু টাই তো প্রথম। প্রথম যা কিছু তার মধ্যে থাকে একটা নবীনতা যা সবকিছুকে সুন্দর করে তোলে। প্রথম ভূমিষ্ঠ হলাম যেদিন, সেদিন পৃথিবীর আলোটাও ছিল আমার কাছে প্রথম। মায়ের হাতের প্রথম পরশ পেলাম সেদিন-অনুভূতিটাকে হয়তো উপলব্ধি করতে পারি নি, তবু ও সেই প্রথম পরশ আমাকে পবিত্র করেছিল। তারপর জীবন নদী প্রবাহিত হ'তে শুরু ক'রল। জীবন প্রবাহিত হবার যে কী অপরিসীম আনন্দ তার  উপলব্ধি  কত মধুরতম! উচ্ছল চঞ্চল জীবন প্রবাহ কত মন ছুঁয়ে ছুঁয়ে জীবনের ঘাট পেরিয়ে পেরিয়ে কত কথা কয়ে কয়ে এগিয়ে চলেছে। কখনো সে থামেনা বুঝি থামবেও না। সেই অনন্ত প্রবাহ মিলিত হবে অনাদি কালের স্রোতে। কিন্তু সেই প্রথম প্রবাহের ক্ষণ টি যেন কত সুন্দর কত মধুময়!তা লেখা আছে কালের জীবন পঞ্জিকা তে।  তারপর প্রথম পাঠশালা মায়ের কোল। প্রথমেই মা হাতে খড়ি টা ধরিয়ে  শ্লেটের উপরে দাগ কাটতে শেখালেন। কালো শ্লেটের উপরে সেই প্রথম খড়ির সাদা  দাগটা আজ ও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মনের ঘরে তখন একরাশ ভালো লাগা যেন আজ ও অনুভবে ধরা পড়ে।একপা একপা করে সবে হাঁটতে শিখছি যখন, তখন সেই প্রথম হাঁটার দি

কবিতাঃ উত্থানপদ বিজলী

ছবি
বার্তাবহ ----------------------- আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে কবি কালিদাস, মেঘকে দিয়ে  খবর পাঠিয়েছিলে যক্ষের প্রেমিকাকে..... আজ আমার  চারপাশে ঘোরাফেরা করে বার্তাবহ বাতাস তাকে আমি এখন পাঠিয়ে দিচ্ছি প্রেমিকাকে কানে কানে কিছু কথা বলতে। কী বলবে সে ? সেটাই তো লাখ কথার এক কথা ! বিশ্বাস নিয়ে  কতক্ষণের প্রেমিকা ছিল সে,,,,,,, কেন না আকাশের বুকে ক্ষণে ক্ষণে  মেঘের খেলা বদলে যাচ্ছে । --------------------------------------- উত্থানপদ বিজলী নারিকেলডাঙ্গা,পোঃ-মধ্যশিবপুর দক্ষিণ 24 পরগনা,পিন-743372 ফোন-9733941690 Sent from my Samsung Galaxy smartphone.

কবিতা গুচ্ছঃ বনশ্রী রায় দাস

            মা উড়ো মেঘের জল সরিয়ে রোদ্দুরের ওম  শ্বেত শামুকের বুকে, ভিজে যাওয়া  পানপাতা উঁকি দিচ্ছে বরোজের ফাঁকে , হালকা রোদে পালক শুকিয়ে নিচ্ছে ছাতারে সোঁদা মাটির রাস্তা ধরে বালা ডাঙার পুকুর ঘাটের দিকে বাঁশি ঠাকুরমা । # ওদিকে কলসি ডোবানোর গুব-গুব আওয়াজ  বিষণ্ণ যুবতী ছায়া পড়েছে জলের মেঘে জল তরঙ্গে কাঁপে নাকছাবি । আকাশ পথে চলেছেন আমার মা ক্লান্তিহীন সেই  চলার ছন্দ ,খাঁ খাঁ করছে  তাঁর রেখে যাওয়া স্বরলিপির খাতা।        -----0----     অথৈ সূর্যাস্ত রেখা বরাবর রং মাখছে চতুর্বেদীয় ধ্যান  মাঝি ঘরমুখো,ছাতিম মেখে বাতাসের  ঢেউ । # সারাদিনের ক্ষয় ধুয়ে দিতে পাখিরা  খুঁজে নেয় আপন রমণ-ভাষা। # আমি শুধু জেগে থাকি মরা নদীর অরণ্যে  বেহাগের বিষাদ ছুঁয়ে পতঙ্গের ওড়াউড়ি । # হাপিত্যেশ নৌকা পানাফুল ভিজে যায় বিলকুল  হিসেব বুঝে নিতে নোঙর তুলে দিল বন্দর ।          ---------0------             জনক দুহিতা  সারি সারি চিতা শবের  ও সমাবেশ  কার সঙ্গে খেলবে শ্রী সংসার অনন্ত , তেরো নদী যদি অভিবাসী হয় কোন আঁচলে শীতল করবে দাহ ? #

দুটিকবিতাঃ আবির্ভাব ভট্টাচার্য

ছবি
  দেবী কঙ্কালগাছ দাঁড়িয়ে রয়েছ তুমি তোমার সেলাই খুলে যাওয়া জঠর, তার ভিতর দিয়ে দেখা যায় - ব্রম্ভান্ড! দেশ-কালহীনা দাঁড়িয়ে রয়েছ তুমি তোমার স্নেহশিকড়ের মুলটুকু ছুঁতে চন্দ্রালোকে ঘর ছেড়ে এসেছিল - তথাগত। বিষাদমন এক একটা রাতে বিষাদের কাছে মন - চৌকাঠে পা, এক পা বাইরে রেখে, ফজর নামাজে মন পেতে দিয়ে এসে চাঁদ খুঁজে মরে কাজুবাদামের গাছে। কোনো বিকেলের আনমনা রোদ আলো মাথার পাশে, বালিশের পাশে বসে, কপালে জমা স্মৃতির ধুলোর পরত আলতো আঙুলে তুলে নেয় তার হাতে। এক দু'মুঠো বিষাদগন্ধ রেখে - একদিন আর কুলায় ফেরে না পাখি। নিজেকে নিজেই বে-ঘর করল যে, অবসরে তাকে তথাগত বলে ডাকি। দরবারী রাগে আগুন জ্বলেছে রাতে হু-হু পুড়ে গেছে কালবৈশাখী বন, বিষাদের তারে মীড় দিয়ে যায় কে - শেষ সকালে কে গেয়ে যায় ইমন? বিষাদে বিষাদে বহুদূর এসে বুঝি, চিঠিরা মিথ্যে প্রতিশ্রুতির পাতা। রবিবার মানে অতীতেরা অতিথি, জানলা জানলা বিষাদ পর্দা ঢাকা। ------------------------------------------------- Name: ABIRBHAB BHATTACHARJEE Address: 20a/1, Bonmosjid Para Kalna Gate Burdwan 713101 Email: bhab.ab

কবিতাগুচ্ছঃ দেবব্রত দাস

ছবি
।।অস্তিত্বহীন।। যা কিছু আকাশ ভরা পাত্র, তুমি পান করেছ নতুন দিনের মতো। ইতিহাস থেকে বেরিয়ে আশা সুর ত্রুমশ্য মুহ্যমান। শেয়ালের ডাক শোন মানুষের গুহাপ্রাচীরে। হাওয়া ঘনত্ব, বালির ওপারে নদী,আর জোনাকির গান এভাবেই  প্রতিদিন বলে যায়, এই ঘাসের চাদরে বসো,একটু স্থির হও, আশা,ভরসা,কামনা,যাতনা,শ্লাঘা, ক্রোধ ভাসিয়ে দেও মহাশূন্যে,  শুন্য হয়ে বাঁচো,অস্তিত্বহীন হয়ে বাঁচো! ।।তবে কোনো প্রশ্ন করো না।। তবে কোনো প্রশ্ন করো না,  বুঝে নিও ঠোঁটের ভাঁজ। সবসময়তো প্রেম আসে না,  মাঝেমাঝে আসে কালো মেঘ, ঠিক যেভাবে মহাকাশের তলানিতে পড়ে থাকে রাস্তারা,  জানালার বাহিরে জোনাকিরা কাঁপতে থাকে,  সময়ের চাদর কত ফুট চওড়া?  কেউ মনে রাখে না।  বুঝে নিও, শাড়িতে কিভাবে জড়ায় প্রথম আলো, গামছার জল গিলে নেয় মরুভূমি,  লাজুক প্রেমিকের শরীর রসায়নের ল্যাব,  বাতাসের নৌকা নেমে আসে সমুদ্র চিড়ে, পারলে আয়নার জলে ধুয়ে ফেলো সুষুম্না,  তবে কোনো প্রশ্ন করো না। ।।ঝড়।। ঝড় এখনো আসেনি,তবে হাওয়া থমকে আছে, এইসবে লোডশেডিং হল, নেমে এলো ছায়াদের অভিসন্ধি, ঝড় এ

দুটি কবিতাঃ সবর্না চট্টোপাধ্যায়

১. অস্টিওপোরোসিস ক্ষয়ে গেছে হাড়। হাঁটু থেকে সরেছে ফিমার আমি আরও হেঁটে গেছি দীর্ঘ পঁচিশ বছর। এত একা। এত মুখোশের ভিড়। শব্দেরা গ্রীষ্ম তাপের কোপে কেঁদেছে অন্তহীন। সে পথে দেখা মেলেনি আর তোমার চোখের মতো, নিষ্পাপ এক ভোর! হেঁটছে কত পথ। নগ্ন দাঁড়িয়ে এক মা। এঁকে চলেছে শিল্পী হাওয়া শরীরের দুঃখ তার... ওগো, ছিন্ন পলাশ কালো হয়ে আসা বৃন্তেরা... বদলেছে চেনা সম্প্রদায়! জানোইতো, চলতে গেলে পথে কত কী হয়! ২. নাকি অভিশাপ কোনও? শব্দের সংলাপ শেষ হল। নিথর ঠোঁট দুটো জমতে জমতে…বরফের পূর্ণতায় এ যেন অবিকল চাঁদের শরীর! ঝরা পাতা ঘিরে আছে, একা কাঠের বেঞ্চ দুটো ছেঁড়া চটি...হারিয়েছে এক পাটি কোথাও কি নিটোল পায়ের ছাপ… নাকি অভিশাপ কোনও…এভাবে ছেড়ে থাকার? ===================== Sabarna Chatterjee Mukherjee Apartment-I Shalbagan P.O-Noapara P.S.-Barasat Kol-700125

কবিতাগুচ্ছঃ রঞ্জন ভট্টাচার্য

ডাকাডাকি 22 আর কত লাইন লিখতে পারলে তোমার সমগ্র লেখা শেষ হবে, সত্যিই জানি না । লাইনগুলো কেমন করে নতুন বধূর বেশে ভালোবেসে বাজারে নামাবো ।  তোমাকে যেমন ভাবে দেখেছি,সবাই তো তোমাকে তেমন করে দেখতে পারবে না । তোমাকে যেমন ভাবে ডেকেছি, জানি কেউই তোমাকে তেমন ভাবে ডাকবে না । মাঠের ওপর কড়া রোদ্দুর পড়েছে । এই অবাধ নগ্নতার মধ্যে সমগ্র ঘাসের মাঝখান দিয়ে যে অকারণ রাস্তা চলে গেছে! সেই রাস্তা দিয়ে তোমার উঠানে গিয়ে উঠেছি। ব্যকাট্যরা গাছের নিচে সামান্য ছায়ায় একটা বাঁশের মাচা তৈরি করা করা আছে । সেখানে জল আর তিনদিন আগের ঠাকুরকে দেওয়া পিপড়েতে খাওয়া বাতাসা রাখা আছে । আমি পরম আদরে আবেগ বিহ্বল হয়ে নমস্কার না করেও জল বাতাসার সাথে তোমার মিষ্টতা অনুভব করেছি। আমার বন্ধুরা কি তোমাকে ভাগ করে নিতে চাইবে দুটো সুন্দর মলাট ছাড়া?                           -------------------- ডাকাডাকি 23 তোমার কল লিস্টে আমার নাম নেই । প্রবল ঝড় বাদলের রাতে ডাকোনি কখনো ওগো মধুরানী। বছরের প্রথম কালবৈশাখী এসেছে তখন ভোরের চেয়েও ভোর ।  সকালের প্রথম কবিতা আসে সাথে তুমিও এসেছো ঝুড়ি ব্যাগ হাতে । আলিপুর আবহাওয়া