কাশ্মীরকে কেউ মা বলে কিনা
যারা বিচ্ছিন্ন হতে চায় তারা নিজেদের বলে বিপ্লবী কিন্তু যারা বিচ্ছিন্ন হতে বাধা দেয় তারা ওদের বলে বিচ্ছিন্নতাবাদী।
স্বাধীনতার জন্মলগ্ন থেকে কাশ্মীরে তেমন একটা আভ্যন্তরীণ লড়াই চলছে। এখানে প্রশ্ন আমাদের কোন পক্ষে থাকা উচিত। আমি বলব সে পক্ষ নির্বাচনের আমাদের স্বাধীনতা থাকা উচিত যেহেতু এ দেশ গনতান্ত্রিক আর দুই পক্ষের জনগনই আমাদের দেশবাসী।
কিন্তু সমস্যা হল যখন সে যুদ্ধে পাকিস্তানের মত অন্য একটা রাষ্টশক্তি অবাঞ্ছিত ভাবে ভুমিকা গ্রহন করে। পাকিস্তান এমন একটা দেশ যাদের রাষ্টশক্তির ভিত্তিই হল ধর্মীয় বিদ্বেষ আর হিংসা,
যাদের স্বাধীনতার পর বেশিটা সময় কেটেছে সেনা শাসনে আর যাদের নিষ্ঠুরতা জগৎজোড়া,
বাংলাদেশের ইতিহাস তার সাক্ষী আছে।
আর আছে মোল্লাতন্ত্রের গভীর বিস্তার যার মাধ্যমে সারা বিশ্বে অন্ধকার নামিয়ে আনা যার নাম তাদের ভাষায় জেহাদ। আমি এখানে সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিকদের কথা বলছিনা, বলছি সেখানকার ক্ষমতাতন্ত্রের কথা। সেই ক্ষমতাতন্ত্র যখন আমাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় তখন আমাদের সেনার মুখের বদলে বন্দুক কথা বললে আমার বুক গর্বে ভরে ওঠে।
আমি সেনা শাসনের বিপক্ষে কিন্তু ৬০ হাজার কাশ্মীরি পন্ডিতেরা কেন অত্যাচারিত হয়ে ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে সেই প্রসঙ্গটা বাদ চলেগেছে। এটা অবশ্য স্বাভাবিক কারন এটা সবাই ই বাদ দেয়। কাশ্মীর কাশ্মীরিদের এটা নিয়ে আমি তর্ক করতে পারি কিন্তু কাশ্মীর শুধুমাত্র মুসলিমদের এটাকে আমি মেনে নেব না।
ঔপনিবেশিকবাদের বিষ এঁটো হল আমাদের সোনার কাশ্মীর। আজ সেখান থেকে যখন অর্ধশতাধিক তরতাজা প্রান লাশ হয়ে ঘরে ফিরল আমরা গর্জে উঠে বলছি ভারতমাতা এর আগেও অনেক সন্তান বলি দিয়েছে দরকার হলে আরও দেবে! ভারতমাতা বীরপ্রসবিতা! হাজারটা তর্ক আমাকে গুলিয়ে দেয় জানা হয় না কাশ্মীরকেও কেউ মা বলে কিনা......
----------------১৬ই ফেব্রুয়ারি'১৯---------
(গোধূলি)
#মতামতের দায় একান্তভাবে লেখকের।
#মতামতের দায় একান্তভাবে লেখকের।