চলিলাম আমি...
কি হে পথিকবর বড়ো জোরে হাঁটছো যে...
কাজ আছে বুঝি,নাকি...
"আরে দূর মশাই,যতসব ভুল ভাল বকেন আপনি,
কি প্রচন্ড রোদ ,অনুভব হচ্ছে না বুঝি!!"
ভালোই বুঝলাম রোদে তিক্ষ্ণীন হয়ে উঠেছেন তিনি...
'তা কি কি নিয়ে চলেছেন?ব্যাগ তো ভর্তি!'
উচ্চস্বরে প্রায় চিৎকার করেই বলে উঠলেন--
"দেখো বাপু,ওতো শতো বলার সময় নেই
জলদি বাড়ি চলুন তো.... বকবক করবেন না,
এনার্জি ক্ষয় করছেন বড্ড ,
যাক "চলিলাম আমি""...
কিন্তু একি ,কি হলো!! রোদ থেকে বৃষ্টি চলে এলো যে...
প্রায় ছুটেই আমরা বড়ো গাছটির নিচে স্থান নিলাম।
রৌদ্র তিক্ষ্ণীন মানুষটিও বৃষ্টির মধ্যে প্রাণ ফিরে পেল...
যেন সতেজ হয়ে উঠেছি মোরা...
আর তখনি অজান্তেই বেরিয়ে এলো
এক অজানা অলিখিত গানের সুর...
"ওগো বৃষ্টি তুমি যখনি আসো
ফিরাও সজীবতায়
ওগো বৃষ্টি তুমি আবার ফিরেছো
আমার নিরবতায়।
ওগো বৃষ্টি তুমি ফিরে ফিরে আসো
দূর করো যত ক্লান্তি
তুমি আসিলেই প্রকৃতিসাজে
ফিরে আসে সব শান্তি।..."
অজান্তেই এই সুরে সুরে মিলিয়ে
তিনিও গেয়ে চলেছেন অবলীলাক্রমে...
বৃষ্টি থেমেছে--
এবার বাড়ি যেতে হবে...
পরস্পর পরস্পরকে অভিবাদন করে
শুধু একটাই কথা --"চলিলাম আমি.."
//সমাপ্ত//
sontu pal