পোস্টগুলি

অক্টোবর ২৪, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র

ছবি
সম্পাদকীয় সবাইকে উৎসবমুখর প্রীতি, শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা। মুদ্রিত নবপ্রভাতের গৌরবময় পঁচিশ বছর উদযাপন  অনুষ্ঠান, স্মারক যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ এবং দুর্গোৎসব এর কারণে এই সংখ্যাটি প্রকাশে কয়েকদিন বিলম্ব হল। আগামী মাস থেকে যথারীতি বাংলা ১লা তারিখে প্রকাশ পাবে এই ব্লগ। আপনারা নবপ্রভাতের সঙ্গে থাকুন। আমরা আছি।       আবারও সবাইকে শুভকামনা জানিয়ে শেষ করছি। উৎসবের আলোয় সবাই বর্ণময় থাকুন, খুশীতে থাকুন, ভালো থাকুন।                       নিরাশাহরণ নস্কর                        ৫ই কার্তিক ১৪২৫ সূচিপত্র প্রবন্ধ/মুক্তগদ্যঃ রণেশ রায়    প্রণব কুমার চক্রবর্তী     সবর্না  চট্টোপাধ্যায়   আশিস চৌধুরী  অমৃতা বিশ্বাস সরকার      রানা চ্যাটার্জি    দেব শঙ্কর দাস গল্পগুচ্ছঃ  পারিজাত  ব্যানার্জী      শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়   স্বরূপা রায়      বিজয়ন্ত সরকার      এম আরিফুল ইসলাম    মাসুদ রানা      বাবলু কুমার ঘোষাল     প্রণব কুমার চক্রবর্তী   কবিতাগুচ্ছঃ শুক্লা মালাকার    মোনালিসা পাহাড়ী    সায়ন মোহন্ত    চৌধুরী নাজির হোসেন   কৌশিক বড়াল    চিরকুট রূপঙ্কর চক্রবর্ত্তী

রণেশ রায়ের প্রবন্ধ

আজের এ ভারত আজ একই সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি করা এক বন্ধুর স্মরণ সভা l  এসেছে ধীমান l এসেছে সূত্রধর l সঙ্গে সুকন্যা। ইন্দ্র পতন ঘটে চলেছে। রোজই এক একটা নক্ষত্র খসে পড়ছে আকাশ থেকে আর তার স্মৃতিচারণে সভা। বেঁচে থাকা নেতাদের সবারই বয়স সত্তরের বেশি। তাই এক এক করে ডাক আসে। নেতা  নেত্রীদের প্রয়াণে এক একটা বর্ণাঢ্য স্মৃতি সভা। বক্তৃতার ফোয়ারা। ধীমানদের ডাক আসে সভায় অংশ গ্রহণ করার জন্য। শুধু স্মরণসভা নয় সংবর্ধনা সভারও শেষ নেই। কেউ কবি কেউ অধ্যাপক কেউ পন্ডিত। তবে সবাই নক্ষত্র জগতের লোক। নক্ষত্রের মেলা। এই সভাগুলোতে অংশগ্রহণ করা আজ যেন অভ্যেস হয়ে গেছে । এরই মধ্যে থেকে ইচ্ছের পাহাড়ের শিখরটা মাথা তুলে দাঁড়ায় । বার বার উঁকি মারে। হয়তো একদিন ধীমান সূত্রধরের স্মরণ সভা হবে । তাদের অতীত গৌরবান্বিত হয়ে উঠবে বক্তৃতার জৌলুসে। ধীমান ভাবে। তার অস্বস্তিটা বেড়ে ওঠে । বুকের ভেতরটা ধড়পড় করতে থাকে। মঞ্চে মাইক অনুরোধ জানায় ধীমান যেন মঞ্চে যায় । ধীমান ওঠার চেষ্টা করে । পারে না । পা জরিয়ে যায়। সে খবর পাঠায় তার শরীর খারাপ সে যেতে পারবে না । পাশে সূত্রধরের কাঁধে ভর করে বসে সে এলিয়ে পরে। মঞ্চে বক্তৃতা শুরু হয়।

প্রণব কুমার চক্রবর্তীর নিবন্ধ

ছবি
 কাজী নজরুল ইসলাম : এক অদ্ভুত অর্ধবিকশিত চরিত্র                                   অাজ যে মানুষটাকে নিয়ে এই অালোচনাটা করবো বলে মনস্থ করেছি তিনি যদিও অামাদের কছে বিদ্রোহী কবি বলে পরিচত  তথাপি বলতে দ্বিধা নেই  যে তিনি প্রকৃত পক্ষে বাস্কব এবং অবাস্তবের দ্বন্দে চাদরে মোড়া একটি অদ্ভুত অর্ধবিকশিত চরিত্র ! তাঁকে অাপাত দৃষ্টিতে বোঝা এবং উপলব্ধি করা যতটা সহজ বলে মনে হয় , অাসলে তা নয় ৷ তাঁকে তাঁর মানসিক এবং চারিত্রিক পরিকাঠামো সঙ্গে কর্ম এবং জীবন দর্শনের মিল খোঁজা , উপলব্ধি করা নি:সন্দেহে কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ ৷কারন শুরুতেই বলেছি - কাজী নজরুল ইসলাম হলেন একটি অর্ধবিকশিত এবং অর্ধপ্রস্ফূটিত চরিত্র ও ওর ব্যক্তিত্ব ৷     তাঁর জীবদ্দশা সাতাত্তর  বছরের কিছু বেশি ৷ ১৮৯৯ সালের ২৪শে মে বর্তমান পূর্ব বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে কাজী নজরুল ইসলাম জন্ম গ্রহন করেন ৷ পিতা - কাজী ফকির অাহমেদ এবং মাতা জাহিদা খাতুন ৷ নজরুল ছিলেন চুরলিয়ার কাজী পরিবারের চার ভাই - বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ৷ অন্যরা হলেন - কাজী সাহেবজন ( দাদা ), কাজী অালি হোসেন ( ছট ভাই  ) এবং বোন ঊর্মী কুলসুম ৷ বাড়ি এবং গ্রামের লোকজন তাঁ

সবর্না চট্টোপাধ্যায়ের মুক্তগদ্য

ছবি
ছেড়ে যাওয়ার সময় প্রতিবার এমন কেন হয় ? সন্ধে কড়া নাড়ল পশ্চিম দোরে । তখন বাড়ি ফিরছি । শ্রান্ত বিকেল । ঘুম চোখ ছেড়ে যাচ্ছে শান্ত হাওয়ার অবিচল বহমানতায় । ফেলে যাচ্ছি আমার ছোটবেলার ঘর । টিকিট কাউন্টারে ষাটোর্দ্ধ বাবা লাইনে দাঁড়িয়ে ঘড়ি দেখছেন । আর আমি ক্রমশ আটকে পড়ছি গঙ্গায় । এই সেই ঘাট যেখানে কত বিকেল হেঁটে গেছে , হাত ধরে । কত অভিমান দেখেছে সূর্যাস্ত । কতকত দিন আড্ডার ঝড়ে গাছগুলো উথালপাতাল । সন্ধে হলে পাখিরাও ঘরে ফেরে আমাদের মতো । আমি দেখেছিলাম , দূর থেকে কালোকালো ঝাঁক কিচকিচ করতে করতে মিশে গেল ঘন পাতাদের মাঝে । কত বাসা লুকানো আছে ঐ সবুজের অন্তরালে । আমরা চেষ্টা করিনা দেখার । শুধু কেড়ে নিতে পারি ওদের গোছানো সংসার । জেটিতে তখন বেশ ভিড় । নৌকাগুলো জ্বলে উঠল প্রদীপের মতো । মনে পড়ে গেল , হরিদ্বারের সন্ধ্যা আরতির কথা । তখন কি বা বয়স ! তবু মনে আছে অসংখ্য প্রদীপ ভেসে যাচ্ছে নিজের মতো করে । মায়ের হাতে আমার হাত । দূর থেকে ভেসে আসছে দুটো নৌকো । হয়ত আজ সারারাত আরও আরও দূরে গঙ্গার বুকে কাটবে । ডুব দেবে কত শুশুক । মাঝিদের রেডিওতে গাইবেন ভূপেন হাজারিকা । হাও