পোস্টগুলি

অক্টোবর ১৮, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

কবিতা।। জীবনানন্দের প্রতি ।। রবিউল ইসলাম মন্ডল

ছবি
বাংলা মায়ের ধন‍্য ছেলে ওহে জীবনানন্দ তোমার লেখায় সত‍্য পেয়ে পাই যে সদা আনন্দ।  বিশ্ব কবির মৃত‍্যু ব‍্যাথায় বাংলা যখন শূন‍্য ধূমকেতু সম আসিলে তুমি করিলে মোদের ধন‍্য।  কত না কলেজে করিয়াছ দান তোমার শিক্ষা বিদ‍্যা লিখে গেছ তুমি সময়োপযোগী পদ‍্য কাব‍্য কবিতা।  কুসুম কুমারী কবি মাতার ধন‍্য সন্তান তুমি মাতা পুত্রের লেখার গুনেতে পূর্ণ বঙ্গভূমি। ।  ভূষিত তুমি 'অ্যাকাডেমি'তে লিখিয়াছ উপন‍্যাস "রূপসী বাংলা" লেখার গুনেতে হৃদয়ে করিছ বাস।  বাংলার রূপ তোমার লেখনীতে পড়িয়াছে ধরা যত পাবনাকো আর যতই পড়ি কাব‍্য কবিতা শত।  মধুকর ডিঙা চাঁদ চম্পা ভেসে ওঠে সেই কাব‍্য মনসার স্মৃতি আজো ভুলিনি ঘুরিয়া সারাটা রাজ‍্য।  বিপন্ন মনবতার প্রতি ব‍্যাথা খুঁজে পাই তোমার লেখাতে  পড়ে ভাবি হায় নিষ্ঠুর মোরা আঘাত হানে বিবেকে।  সে সময়ের শিক্ষায় তুমি উজ্বল নক্ষত্রসম তোমার প্রেমেতে পূর্ণ মোদের হৃদয়মম্ ।।   ------------------  রবিউল ইসলাম মন্ডল ( সহ: শিক্ষক)

কবিতা ।। তুমি আমায় করো চুরি ।। সান্ত্বনা চ্যাটার্জি

ছবি
যত   ই   লিখি   গল্প   টল্প কবিতা   আর   ছড়া , সব   লেখার   ই   ভিতর   আছে তোমার   সুত্র   ধরা। জীবন     থেকেই   নেয়া     তো   সব তার   বাইরে   কিছুই   নেই লিখি   যখন   মনের   মধ্যে তোমার  …. অনুভব , কবি   তুমি   শিল্পী   তুমি গায়ক   সাহিত্যিক। বলি   যদি   আমার   লেখা আমার   অহংকার   কে   ধিক। তুমি   যখন     সূর্য   হয়ে   আলো   জ্বালাও     প্রাণে , ডগমগিয়ে   মনটা   ছোটে কবিতা   আর   গানে। অনেক   সময়   পাইনা   খুঁজে , কোথায়   যে   যাও   চলে ; বন্ধ   খাঁচায়   বন্দী   পাখি ভাসে   চোখের   জলে। ভিড়ের   মাঝে   হঠাৎ ছোঁয়া , এদিক   ওদিক   চাই মিটমিটিয়ে   হাসছ   বসে আমারই   প্রাণটায়   । যতদিন   জীবন   আছে   আমি   তোমায়   ধরি , ফুরিয়ে     গেলে   জীবন   তুমি   আমায়   কর   চুরি।।   -- Santwana Chatterjee

বিচিত্র কুমারের কয়েকটি কবিতা

ছবি
এক মিনিটের প্রেমিকা হঠাৎ দেখা,এক মিনিটের প্রেমিকা একপলকে হারিয়ে গেল সেই অনামিকা, আনছান বুকের ভিতর শিরা উপশিরায় কোথায় গেল কোথায় গেল আধো-আলোয়? সে ছিলো হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ আমার না বলা কথা গুলো হলো না আলাপ।    উর্বশী তোমার বৃষ্টিভেজা তুলতুলে শরীর হার মানায় ফুটন্ত লাল গোলাপকেও, আমি পুরুষ বলেই হয়তো --- সুন্দরের পূজারী রূপের পিপাসীও। তুমি হয়তো ললনা উর্বশী তাইতো বারবার বলি ভালোবাসি।  মধু হই হই কলিযুগের মেয়েদের শরীরে আমি দ্রৌপদীর শরীর গন্ধ পাই, হোক না সে গোলাপ কিম্বা রজনীগন্ধা চতুর্দিকে শুধু খাই খাই শব্দ পাই। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে দুর্যোধন হই ফুলে ফুলে শুধু মধু হই হই।    দেবদাস  তুমি বনলতা কিম্বা লাবণ্য নও নও তুমি উর্বশী কিম্বা মাধবী, তবু তুমি ঝড় তোলো হৃতপিণ্ডে  তুমি নারী ললনা প্রেমের দেবী। তোমার রুপে জ্বলেপোড়ে হয়েছি তাস আমি এখন কলির দেবদাস।  আকাঙ্ক্ষা আমি যখন চৈত্রখরা রৌদ্র হই তখন তুমি হয়ও পাখি চাতক, একপশলা বৃষ্টি হয়ে এসো তুমি  আমি না হয় হবো ঘাতক।  রঙধনুর রঙে রাঙাব আমার আকাশ প্রিয়া তুমি হয়ও আমার শীতল বাতাস।  হৃদয়ের অঙ্কন আমার কল্পনা জগতে ছিলো এক অচিনা নারী, সে যেন ঠিক রঙিন প্রজাপতি কিম্ব

কবিতা।। নষ্টনারী ।। অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য্য

ছবি
নষ্টনারী অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য্য       আমাকে দেখতে পাবে রাস্তার ধারে দাঁড়াতে  দেখতে পাবে শহরের অন্ধকারে শরীর বেচতে।  রাত্রিকালীন আঁধারে মুখে পড়ে কৃত্রিম আলো      তোমরা ভাবো আমার পছন্দের রং কালো।           পছন্দ নয়,কালো আমার পেশা          অতীতকালে আমারও ছিল ভালোবাসার নেশা।   ভালোবাসার গল্প শুনি অনেক লোকের মুখে 'ভালোবাসি' বলে না তো কেউ আমার চরম দুখে।     মানুষ খোঁজে সুখের অতল, শরীর সমুদ্রে,    সুখহীন মন পড়ে থাকে একা আমার মধ্যে।   মনের খবর নেয় দুটি চোখ,অশ্রু ঝরে তাই     সমাজ বলে নষ্টনারী স্ত্রীরূপে না চায়।   সমাজ,তবে প্রশ্ন করি,আর নাই কোনো ভয়     শরীর ছুঁলেই মা সীতা কী নষ্টনারী হয়?                      ------------------------  Ardhendu Bhattacharyya Address:Berhampore, Murshidabad Mobile no. 7047888239                

কবিতা ।। উৎসবের আনন্দ ।। পাভেল আমান

ছবি
উৎসবের আনন্দ পাভেল আমান অতিমারির স্তব্ধ পরিবেশে  চারিদিকে ভেসে আসছে আগমনীর মধুর সুর জানান দিয়েছে শারদোৎসব সবাই যেন কিছুটা হলেও ভুলে গিয়েছে নৈরাশ্যতা আনন্দের বার্তা নিয়ে বাঙালি মজেছে দুর্গাপুজোয় এক নিমেষে বিলীন জমে থাকা যাতনার কথামালা প্রাণের পরশে উজ্জীবিত ঝিমধরা বাঙালি মানস এসো আজ সবাই মিলে মেতে উঠি পুজোর অনাবিল আনন্দে সব ভেদাভেদ বিসর্জনে গড়ে তুলি সম্প্রীতির বাতাবরণ। ------------    পাভেল আমান- হরিহর পাড়া -মুর্শিদাবাদ

কবিতা ।। নতুন দিনে ।। শান্তনু গুড়িয়া

ছবি
নতুন দিনে   শান্তনু গুড়িয়া   সোনা রোদ্দুর, সোনা রোদ্দুর খুশির পালকে উড়ছে পাখিরা গান জুড়ছে; অতিমারীর বিদায় বার্তায় আজ উল্লসিত অন্ত:পুর ! জেগে উঠছে বৈঠকি আসর, চায়ের কাপে তুফান --- ঝড় বাদলের শেষে পান-সুপুরির দেশে, ফুল-বাতাসায় উঠছে সেজে নতুন দিনে আগমনী গান | ------------------------------

কবিতা ।। পরীক্ষা ।। ঐশ্বর্য্য চ্যাটার্জ্জী ৫

ছবি
  নদী পথ হারিয়েছে, স্রোতহীন তবুও তার পথ চেয়ে থাকা, অপেক্ষা। কাদম্বিনী তুমি অসমানের বুকে ঢেকেছ মুখ নিধি হয়েছে অসহায়, তাকে করেছ উপেক্ষা। বহুদূরে শোনা যায়, মোহনবাঁশি- রাধার দীর্ঘশ্বাস,অকৃত্রিম অপেক্ষা। চেনা সড়ক,মরুভূমির দৃষ্টিভ্রম জল ছবি, প্রতিচ্ছবি মনে সংশয় নিরীক্ষা। আজীবন হেরে যাওয়া,চুপচাপ সরে যাওয়া ইতিহাস হেসে যায়, নিয়ে থাকে পরীক্ষা।                 ----------------     ঐশ্বর্য্য চ্যাটার্জ্জী গরলগাছা, হুগলী।  

কবিতা ।। রোজ বিকেলে ।। মীরা রায়

ছবি
  এই বিকালে নরম রোদে ধূলিমাখা বায়ুতে শরীর মন ছুঁয়ে যায় এক প্রশান্তিতে। মাঠের এই বুনো গন্ধে বাতাস মাতয়ারা লাঙ্গল কাঁধে ঘরে ফিরে যত চাষীরা। চারিদিকে সবুজ ঘাস মাঠ ভরা কচি ধান চরিয়ে গরু রাখাল ছেলে ফিরে খোঁজে বাড়ির অভিধান। একটু পরে সন্ধ্যা নামে ঐ দূরের মাঠের কোল ঘেঁষে কিচিরমিচির শব্দে পাখি বাসায় এসে বসে। বধূমাতারা শঙ্খ বাজায় প্রদীপ নিয়ে হাতে রোজ বিকেলে একই দৃশ্য হচ্ছে দেখতে। ভালোই লাগে,প্রান ছুঁয়ে যায় বাঙালির ঘরে ঘরে কিবা ভিখারী,ধনী নির্ধন ভেদাভেদ নাই সকলের তরে। -------------------    আঁকড়িশ্রীরামপুর পুরশুড়া হুগলী ৭১২৪০১

কবিতা ।। অভিনয় ।। অনুরাগ রায়

ছবি
অভিনয় অনুরাগ রায় কিছু অভিনয় ক'রে যেতে হয়, কিছু অভিনয় মেনে নিতে হয় জীবনে।  যারা মঞ্চে ওঠেনি কখনো, তারাও অভিনেতা হয়। অভিনয়ে মেতে থাকে নিরন্তর। সারাদিন পর বাড়ি ফিরে, পোষাক বদলে নেয় তারা। উলঙ্গ নিজেকে দেখে নেয় একবার, জেনে নেয়, সে অভিনেতা।  পৃথিবীতে আজ জন্মালো যারা, অথবা যারা ছাড়ল এ পৃথিবী, সব তারা একে অন্যের,  অভিনেতা থেকে যায়। জন্ম, মৃত্যু সব এক হয় মিশে। সবকিছু শেষে মিটেমুটে যায়, প'ড়ে থাকে শুধুই অভিনয়। ************************* অনুরাগ রায় ১ নং পান্নাঝিল, কবিতীর্থ রোড, নোয়াপাড়া, বারাসত, কলকাতা- ৭০০১২৫  

কবিতা ।। মায়ের পুজোয় দেবি তুষ্ট ।। বাদল রায় স্বাধীন

ছবি
মদ্যপানে মাতাল হয়,মায়ের পূঁজো করতে, খবর শুনি আবার কেউ,নেশা করে মরতে। জ্যান্ত  মাকে  খাবার দেয়না,তাড়ায় দূর দূর, দেবী  মায়ের জন্য কাঁদে,নরাধম সে অসুর। শক্তির পূজা করতে নাকি,শক্তি যোগায় মদ, বিসর্জনে বুকটা ভাসায়,যে ছেলেটা বদ। মাকে  দেয়না ঔষধ খেতে,দেবির জন্য ঢালি, জন্মদাত্রী  মাকে  দেয়,কথায় কথায় গালি। মাকে  রেখে আলগা  ঘরে,দেবির জন্যআসন, লুটিয়ে পড়ে প্রনাম করে,নিজের  মাকে  শাসন। দেবিকে কয় মাগো তুমি,বছর ধরে থাকো, বুড়ি  মাকে  বলে বউকে,কোনের ঘরে রাখো। মায়ের জন্য পথ্য কিনতে,টাকার অভাব পরে, দেবির জন্য লক্ষ খরচ,সে ছেলেটি করে। দেবি বলে আমায় দাও,তুলসি পাতা বেল, কিন্তু আমরা তবু ঢালি,তেলা মাথায় তেল। আসল  মাকে  কষ্ট দিয়ে,করলে দেবি পূজা, নরকে তুই নিশ্চিত যাবি,হিসাব অতি সোজা। জীবন্ত মায়ের পূজা করো,সময় থাকতে তাই, ইহকাল পরকালে,শান্তি পাবি ভাই।         ----------------- 

অণুগল্প // অনুকরণ // অঙ্কিতা পাল

ছবি
 অনুকরণ অঙ্কিতা পাল আমি মানুষটা একটু সহজ সরল, পৃথিবীর আর পাঁচটা মানুষের থেকে বোধ করি একটু আলাদা। এটা কি আমার মনের ভুল,নাকি আর পাঁচটা লোক সেটাই মনে করেন? জানিনা আর কে কেমন ।মনে হয় আমার বড় মেয়েটা অনেকটা আমার মতো। সে যেন আমার সবকিছুতেই আমাকে অনুকরণ করে। বেশ কয়েক বছর ধরেই আমার ছবি তোলার ভারি শখ।যেমন আকাশের ভাসমান মেঘ  বাতাসে ভেসে বেড়ায়, কখনো কখনো নীল মাছরাঙ্গা মাছ নিয়ে যায়, কখনো বা সুন্দর ফুলটার, আবার কখনো বা দক্ষিণের পুকুরটার ও।  বর মাঝে মাঝেই রহস্য করে বলে - তোমাকে একটা ক্যামেরা কিনে দেবো। মেয়ে টাও তখন বলে ওঠে - হ্যাঁ হ্যাঁ গোল্ডেন ক্যামেরা বাবা । আমি তার দিকে তাকিয়ে হা হা করে হাসি, আর বলি - হ্যাঁ এবার ডিএসএলআর হবে। সে অমনি খুশি হয়ে নাচতে নাচতে চলে যায়। একদিন সে ও দেখি পুকুর ধারের ঘরে বসে বসে কি যেন একটা ছবি তুলছে। আমি কৌতুহলী হয়ে তাকে প্রশ্ন করলাম - কিরে কি করছিস? সে মৃদু হেসে উত্তর দিলো - পণ্ডের ফটো তুলছি মা। একদিন হঠাৎ করেই দেখি সে নিজে নিজেই একটা সেলফি তুলেছে, আমি জিঞ্জাসা করতেই সে উত্তর দিলো - তুমিও তো সুইট ক্যামেরা য় ফটো তোলো। ওর বাবা তো ক্ষানিক চেঁচামেচি করে বললো, এই তো

কবিতা ।। অচল পয়সার মর্মকথা ।। জয়শ্রী সরকার

ছবি
   অচল পয়সার মর্মকথা        জয়শ্রী সরকার            অচল পয়সার অর্থ যদি আক্ষরিকেই হ'তো এক নিমেষে হটেই যেত মনের কষ্ট যত । অচল পয়সা শুনলে পরেই মনটা কেমন করে মা-বাবা আজ বৃদ্ধাবাসে ডুকরে কেঁদে মরে ! আদর-সোহাগ পেয়ে ছেলে আজ সে অনেক বড় উড়তে শেখা ছেলের কাছে ওরাই জড়োসড়ো । সেদিনের সেই অচল পয়সা ছিল সচল কত আজ যে ওরা খরচ-খাতায় ঠিক ফকিরের মতো! অন্ধ বাবা ভিক্ষে করে সচল পয়সা আনতে ইচ্ছে করে ? কারণটাকে একটুও কী জানতে ! পয়সা-কড়ি না আনলে যে জুটবে না তো খাবার চোখের জলে বুক ভেসে যায়, সময় যে আজ ভাবার ! সংসারেতে অচল যারা তারাই যে আজ ব্রাত্য মনের মধ্যে গুমরে কাঁদে অচল-পয়সা আর্ত । সেই ট্র্যাডিশন আসবেই ফিরে, সন্তান হবে বৃদ্ধ অচল পয়সার মর্মকথা ভেবেই হবে ঋদ্ধ ! তাই বলি কী , ছোট্ট থেকেই মা-বাবার এই শিক্ষা স্মরণ করো সারাজীবন , সেটাই হবে দীক্ষা । অচল ভেবে ওদেরকে তো করলে অবহেলা জীবনটা যে সুতোয় বাঁধা ভবের লীলাখেলা ! ^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^   জয়শ্রী সরকার ,  দিনান্তিকা , প্রেমবাজার , খড়গপুর ,  পশ্চিম মেদিনীপুর , পশ্চিমবঙ্গ , ভারত । পিন নম্বর : ৭২১৩০৬ মোবাইল+হোয়াটসঅ্যাপ : ৯৯৩২৩৯৫৮২৯

কবিতা ।। পুজো আসছে ।। শ্যামাপ্রসাদ লাহা

ছবি
বিবর্ণ কাশের বনে শুভ্রতা আছে ঝুলে চারাধান বানভাসি; জল ঢুকে গেছে ঘরে তবুও কুমোর মূর্তি গড়ে; পুজো আসছে অনাদরে! বাজবে ঢাকের কাঠি জানি এক চিলতে আনন্দের তালে; মনে হয় বৃষ্টি নামবে একটু পরে; টুপ টুপ করে ভাঙ্গা চালের মাথায়; ছেড়া জামায় কিংবা কর্মহীন অর্থহীন অসহায় বাঙালিয়ানায়! মাগো তুমি আসবে কবে? বুকে বড় জ্বালা  পারো যদি সঙ্গে এনো শিব ঠাকুরের মালা লক্ষ্মী- সরস্বতীর পুরনো জামা যদি থাকে একটা-দুটো মা ; সাথে করে নিয়ে এসো মেয়েগুলোর গায়ে হতো;  মনটা যেত ভরে ভাতেরগন্ধে  শিউলিফুটে সব দোরে-দোরে। ------------- গ্রাম+ পোস্ট: পাত্রসায়ের জেলা: বাঁকুড়া পিন:৭২২২০৬ আলাপন: ৯০৯৩৭১৭১১০

কবিতা।। অনুভূতি ।। ইমরান খান রাজ

ছবি
অনুভূতি  ইমরান খান রাজ  তোর চিরচেনা মিষ্টি হাসি, তোর ঐ লম্বা কালো কেশ,  আর তোর গোলাপি ঠোঁটের তিল,  কখনো ভুলতে পারবো না।  তোর পিছু ফিরে তাকানো,  তোর ঐ ভালোবাসি বলার মুহুর্ত,  আর তোর সাথে কাটানো সময়গুলো,  কখনো ভুলতে পারবো না।  তোর মায়াবী অপরুপ চেহারা,  তোর ঐ হাতে হাত রাখার অনুভূতি,  আর তোকে জড়িয়ে ধরে থাকাটা,  কখনোই ভুলতে পারবো না।  -----------  নামঃ ইমরান খান রাজ  শিক্ষার্থী, শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ।  ঠিকানাঃ সাতভিটা, নারিশা, দোহার-ঢাকা ১৩৩২, বাংলাদেশ  মোবাইলঃ 01930173778 (what's app) অথবা 01728714790 ই-মেইলঃ imrankhanraj222@gmail.com   

কবিতা ।। সংকেত ।। দেবযানী পাল

ছবি
সংকেত দেবযানী পাল সংকেত অবশ্য আগেই ছিল বোঝেনি যৌবনের ডাগর জলে ভেসেছিল রাগিণী সুন্দরের বার্তা দিকে দিকে তুলেছিল ঝড় কত শত ভ্রমর উড়ে এসেছিল প্রেম নির্ভর মেয়েটা হাসিখুশি,উচ্ছল এক পুণ্যতোয়া জানেনা জীবন জারি করেছে কঠিন ফতোয়া দিন দিন বাড়ছে কাশি, জ্বর মোটে ছাড়ে না কমজোরী লাগে তবু মেয়ে যেন বোঝেই না পুজোর বেশি দেরি নেই,চললো কেনাকাটায় ফিরতি পথে হঠাৎ মাথাটা ঘুরে জ্ঞান হারায়। গলা ব্যাথা লেগেই ছিল,স্বর ধরে যেত বারবার গুরুত্ব কি আর ছিল তাতে পূর্ণিমা হাসি যার! পরীক্ষা হল অনেকগুলো,মেয়ে থোড়াই কেয়ার পরিবার ভাসে চোখের জলে লুকিয়ে রাগিণীকে পুজো এলো নিয়ম মেনে উজাড় ভালোবাসা ওকে নতুন জামা,নতুন শাড়ি,হরেক গয়নায় সুন্দরী মেয়ে সাজলো সবার লুকোনো সজল চোখের পানে চেয়ে দশমীর বাজছে ঢাক,মেয়েও শুয়ে পড়ে এবার কর্কট রোগটা শেষ পর্যায়ে,ডাক দিয়েছে উমার সাথে যাবার। ------------------- 

কবিতা // আপন ঘরে // স্বপন মুখোপাধ্যায়

ছবি
আপন ঘরে  স্বপন মুখোপাধ্যায়  চারদিকে ওই সাজো সাজো রব মা আসছেন ঘরে, ভুবন জোড়া ভালোবাসা নিয়ে একটি বছর পরে। মন্ডপেতে বাজবে ক'দিন দেদার খুশির ঘন্টা কাঁসর, সন্ধ্যাবেলা আটচালাতে উঠবে জমে গানের  আসর। নদীর পাড়ে কাশের বনে বইছে বাতাস আপন মনে, পেঁজা তুলোর মেঘ ভেসে ওই ছুটছে দূরে নীল গগনে। ভোরের আলোর শিউলি ঝরা শিশির ভেজা অবুঝ ঘাসে, আগমনীর উঠলো রে দোল থাকবো চেয়ে মায়ের পাশে। ********************************* বহড়া,ষাটপলসা,বীরভূম  পিন নম্বর  ৭৩১২৩৪

কবিতা // মায়ের দুঃখটা যে অজানা // সৌমিক ঘোষ

ছবি
 মায়ের দুঃখটা যে অজানা                                  সৌমিক ঘোষ                  মেঘলা সকালে , - কত সে কথা ;                       আসবে যে বৃষ্টি অঝোর ধারায় -                         ঝড়ের দুপুরে ব্যস্ত যে মা ;                        জানলা কপাট ছাদ সামলায় ।                        বিষাদ আলোয় টিভিতে বলে ,                         জীবন বিপর্যস্ত ভেজা শহরে ;                          ফাঁকা জল থই থই গলিপথে -                         পথচারীর মাঝে ,  নেইতো,  সে !                           মেঘের পরে মেঘ এসেছে , -                            বৃষ্টি ফেলেছে দীর্ঘশ্বাস ;                           ঘরেতে মা , একলা বসে ;                           আশংকায় অস্থির বিশ্বাস ।                          কিন্তু আজ  রাজপথের  ঐ জলে - ,                           আঁধারে ভাসছে নিথর দেহ ;                         স্কুটার , হেলমেট ,‌ ব্যাগের সা‌জে ,                          বেওয়ারিশ লাশ সে , জেনো ।                          মিডিয়ার বাইটে চিন্তা বারংবার ,                             মৃত্যুর কত যে জবানী ;  

কবিতা // রাখতে চাই প্রমিস - টা // মানস দেব

ছবি
  রাখতে চাই প্রমিস - টা  মানস   দেব পড়ন্ত বিকেল , বার্ধক্যে উপনীত সূর্যের আলো ; সমুদ্রের জলকে করেছে স্বর্ণাভ । সন -সন করে বইছে হাওয়া । সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে দুই নর - নারীর ছায়া মূর্তি। " আজ প্রমিস - ডে  জানো তো ? " জানি বলেই তো আজ এসেছি সমুদ্র সৈকতে । কুড়ি বছর আগে কোনো একজনকে দেওয়া কথা রাখতে - ই এখানে এসেছি আজ । অতীত প্রেম যে এখনো মনে পড়ে । রাখতে চাই সেই প্রমিস - টা । ভালোবাসি তোমাকে । কেবল তোমাকে । আবীরের মধ্যে প্রেমিক মেটেরিয়ালটা আজো যে জীবিত । বসন্তের আগমনে তা আরো হয়েছে গভীর থেকে গভীরতর । **************************   বালুরঘাট  ,  দক্ষিন দিনাজপুর , পশ্চিমবঙ্গ  

ছড়া ।। পূজোর দিনে ।। গুরুস্বরূপ মুখোপাধ্যায়

ছবি
আগলে রেখো মা যে মোদের দশভূজা দশটা হাতে আসছে মা গো এই ধরাতে খুশির জোয়ার আনন্দেতে। দীঘি ভরা পদ্মফুলে শাপলা শালুক দুলছে জলে কাশের বনে ঢেউ খেলে যায় শেফালিকা ডালে ডালে। অঞ্জলিতে ভীড় জমেছে বেলাপাতা আর ফুলে ফুলে যুবক শিশু নাচছে কত কাঁসর ঢাকির তালে তালে। নতুন জামা রংবাহারি নতুন গন্ধ আসছে নাকে প্যাণ্ডেলেতে খেলছে শিশু যেন উড়ছে প্রজাপতি ঝাঁকে। উৎসবেরই দিনগুলো মা রঙিন আরো সাজিয়ে দিও বিভেদ শত্রু বিনাশ করে মা ভক্তিভরে প্রণাম নিও। -----------------    গুরুস্বরূপ মুখোপাধ্যায়।কোতুলপুর।বাঁকুড়া। ফোন 7908493321

কবিতা // টিনএজ // বৈদূর্য্য সরকার ৪

ছবি
টিনএজ  বৈদূর্য্য সরকার  অক্টোবর এলে তেরো বছরের কথা মনে পড়ে দেবীর রঙের আলো গাবলু দেখতে মেঘ মায়া... ক্যাপ বন্দুক নাগরদোলা ছেড়ে গেছে ততদিনে ।  শরীর মনে একটা আসমানী রঙ উড়ু উড়ু  মাখন জিন্সের প্যান্ট নতুন ভর্তি হওয়া কোচিং  বন্ধুদের সাথে পাড়ার মোড়ে প্যান্ডেলে ঘুরঘুর ।  পায়ে হেঁটে যতদূর এগোতে পেরেছি তাতেই মোহিত  সাউথ যাবার উপায় হয়নি... ফুচকা ঝালমুড়ি টপকে পাড়ায় সদ্য হওয়া আরামবাগসের বার্গার !  সন্ধের পর বিরক্তি বাপমা ভিড় এড়িয়ে গৃহকোণে ওদিকে বাইরে গোটা পৃথিবী ডাকে কী সম্মোহনে... সেই থেকে দ্বন্দ্ব এবং বস্তুবাদ মিশেছে পুজোতে ।  **************************************  16A/1A Baghbazar Street . Kolkata – 700003 

কবিতা // আমি দ্রৌপদী // আশিস ভট্টাচার্য্য

ছবি
আমি দৌপদী  আশিস ভট্টাচার্য্য আমি দ্রৌপদী, রাজনন্দিনী সুন্দরী ,স্বাস্থ্যবতী, সুলাক্ষণা  রন্ধন পটিয়সী গৃহকর্মে নিপুনা কলা বিশারদ। সুতপুত্র কর্ণকে আমি প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ অর্জুনের রূপ যৌবনে আমি বিমোহিতা তার পৌরুষে আমি রতি বিহ্ললা আমি তার সাথে সুখে সংসার করতে চেয়েছিলাম। অথচ আমার শাশুড়ি কুন্তীর নির্দেশে বাস্তবিক আমি বহুবল্লভি অসতী । আমার দাম্পত্য সুখের হয়নি আমার ব্যক্তিত্ব আমার দাম্পত্য প্রণয়ে বাধা । আমার শাশুড়ি কুন্তী যিনি নিজেও ছিলেন বহুগামিনী তিনি আমার সতীত্ব নষ্ট করালেন মজা দেখুন বহুগামিনী হলেও  আমি আমার শাশুড়ি দুজনেই পঞ্চসতীর অন্যতমা।  পুরুষোত্তম কৃষ্ণ আমার বন্ধু হওয়া সত্বেও আমি হারিয়েছি আমার কিশোর পুত্র বীর অভিমন্যুকে আমাকে বাজি ধরে জুয়া খেলেছেন ধর্মরাজ আর মদমত্ত কৌরব আমাকে বিবস্ত্রা করতে চেয়েছিল। রাজকন্যা রাজবধূ আমাকে 13 বছর পথে-প্রান্তরে বনে বাস করতে হয়েছে অথচ জ্ঞানতঃ আমি নিষ্পাপ আমি দ্রৌপদী মহাকাব্যের সবচেয়ে বিতর্কিত নায়িকা।  *****************************  রামকানাই গোস্বামী রোড ,  শান্তিপুর, নদিয়া- 741404

রামেশ্বর নারায়ণ নন্দের কবিতা

ছবি
           ভেসে যায়          রামেশ্বর নারায়ণ নন্দ                                 ভেসে যায়,               ভেসে,ভেসে,ভেসে যায়। নৌকায় হালহীন মাঝি                                 খাবি খায়। জীবন, বাঁকা চাঁদ,গোল হয় কখন দুরের পানে তাকিয়ে,দিকচক্রবালে সকল ই গোল গোল লাগে। সিগারেটের ধোঁয়া ওঠা গোল যেন বস্তূহীন অবয়বের মতো,                 বড় থেকে ছোট, আরও ছোট বুদ্বুদের জন্ম দেয় মস্তিষ্কের কোষে কোষে,               তীব্র যন্ত্রনা....... প্রলয় নাচন্ নাচে ধ্রুপদী নৃত্যের তালে। অনুকম্পারা সার দিয়ে দাঁড়িয়ে, প্রদীপ জ্বালিয়ে বিদায় জানায়। 'আমি' ভেসে যায়।              ভেসে, ভেসে, ভেসে যায়। ------------------    রামেশ্বর নারায়ণ নন্দ সোনালী আবাসন লালবাজার বাঁকুড়া পিন: ৭২২১০১

কবিতা ।। অভিষা লায়া

ছবি
চললেন ওমা স্বর্গ পারে অভিষা লায়া আজকের সূর্যটা বেশ অন্যরকম  উদাসী হাওয়া বয়ে চলেছে চারিদিকে  প্রভাতের পাখির গুঞ্জন আজ দুঃখের ক্রন্দন  নদীর পাড়ে ওই যে দেখা যায় ফলার কোন। উমা ফিরবেন স্বর্গতলে স্বামীর কাছে আবার  এক বছরের অপেক্ষাতে মরিয়া হবে  মর্ত্য গণ নৌকায় চেপে ভেসে ভেসে যাবে স্বর্গ পারে যাবেন ভাসিয়ে উল্লাসের মন সপরিবারে ফিরে। বরণডালা, সিঁদুরখেলা, মিষ্টি করে  কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে চলেছে নদীর পাড়ে  মন ভার করে চোখের জলে বিদায় দেব মাকে জানিনা সত্যি আবার কবে পড়বে কাঠি ঢাকে। মা, আসবে তো আবার এক বছর অপেক্ষার পরে? আসবে তো আবার পাপের বলের বিনাশ করতে? চোখের জলে ভাসিয়ে দিলাম উমার যাত্রা ভেলা তোমার আগমনির অপেক্ষায় রইলাম এই বেলা।। _______________________________________   Abhisa Laya 27/2 Baksara Road, Baksara, Howrah-10 Mob: 8240483312

ছড়া // মাছি দেয় হাঁচি // দিলীপ কুমার মধু

ছবি
মাছি দেয় হাঁচি  দিলীপ কুমার মধু মাছির মেলা-হাঁচির মেলা দেখবি নাকি আয় হোয়াইট হাউস, আইফেল টাওয়ার মাছি মেলা বসায়। দুশো মাছি ফিচ ফিচ হাঁচে যেন, পরমাণু বোম রিখটার স্কেলে মাত্রা ছাড়ায় হাজারটাও কম। দশতলা বা তারও বেশি বিল্ডিং-শপিংমল ঘর-বাড়ি সব তছনছ হল জল অদলবদল । সূর্য ওঠা, পৃথিবীর গতি সব হল নয়ছয় সূর্য এখন পৃথিবীটার খুবই কাছে রয়। মানুষ -পশু-ঘর-বাড়ি সব ছাইয়ের মতো ওড়ে সাগর শুকনো, জলস্তর সব আকাশেতে ঘোরে। মাছির হাঁচি এমনরে ভাই ধরাশায়ী সব হাজার কিমি শুনতে পাবে যেথায় ছাড়ো রব। *******************     মেমারি,পূর্ব বর্ধমান, কথা--8509852447

কবিতা ।। হাসিটুকু থাক ।। মুনমুন মুখার্জ্জী

ছবি
হাসিটুকু থাক মুনমুন মুখার্জ্জী সবাইকেই তো যেতে হয় থাকে না কারো অস্তিত্বটুকু,  বলো না কিসের অহংকার যেখানে থাকে শুধু স্মৃতিটুকু।  আনন্দের ডালি সাজিয়ে মাদুর্গাও প্রতিবার আসে,  চারদিন হাসিয়ে যায় চলে সমস্ত জগৎ দুঃখে ভাসে।  চিরস্থায়ী যখন নয় কিছুই থাকা ভালো অল্পতেই খুশি,  আনন্দ দিতে পারি না-পারি দুঃখেও মুখে থাকুক হাসি।    ---------------                    মুনমুন মুখার্জ্জী আমবাগান, তেঁতুল তলা পোস্ট অফিস - বার্ণপুর জেলা - পশ্চিম বর্ধমান

কবিতা ।। কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব ।। রূপো বর্মন

ছবি
কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব রূপো বর্মন  সেদিন সকাল দশটা নাগাদ বাজার থেকে আসার পথে  রূপকের জন্য চকলেট  আর খুশির জন্য বিস্কুট কিনেছিলাম  কারণ বাজার থেকে ফেরা মাত্রই  ওরা দুই ভাইবোনে  আমাকে জড়িয়ে ধরে হাত পাতবে  ওদের পছন্দের চকলেট আর বিস্কুটের জন্য আর না পেলে কান্নাকাটি করবে  তাই মনে করে কিনে নিয়েছিলাম আর বাড়ি থেকে ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম  বাড়িতে পৌঁছালেই এক্ষুনি বাবা বাবা বলে আমাকে জড়িয়ে ধরবে  অবশেষে বাড়িতে পৌঁছালাম  কিন্তু কেউ বাবা বলে দৌড়ে এলো না আমাকে জড়িয়ে ধরলো না  চকলেট আর বিস্কুটও চাইল না  অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম  ভাবলাম আসবে হয়তো একটু পরে  খেলতে গেছে বুঝি  কিন্তু না  এতো অপেক্ষা করার পরেও ছেলে মেয়ে দুটো এলো না আমাকে এভাবে আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে  মা কাছে গিয়ে বলল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি ভাবছিস  যা হাত মুখ ধুঁয়ে আয় বউ যে কখন বাজারের ব্যাগটা হাত থেকে নিয়ে গেছে  একটুও বুঝতে পারি নি  হঠাৎ বাবা বাইরে থেকে এসে  আমাকে একটা খবরের কাগজ হাতে দিয়ে বলল  দেখতো আমাদের রূপক আর খুশির ছবি দিয়ে কি লিখেছে  শুনে অবাক হয়ে গেলাম কিছুক্ষণের জন্য  খবরের কাগজে দেখতে পেলাম  আমার ছেলে মেয়ে দুটোর ছবি দিয়ে লেখা আছ