পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

মাসিক ব্লগ-নবপ্রভাত ।। ৩৪তম সংখ্যা ।। প্রচ্ছদ ও সম্পাদকীয় ।।

ছবি
  ।। সম্পাদকীয় ।। পৌষের হিমেল হাওয়ার স্পর্শ গায়ে মেখে প্রকাশিত হল ব্লগ-নবপ্রভাতের ৩৪তম সংখ্যা। আপনাদের আন্তরিক লিখিত মতামত জানান প্রতিটি লেখার নীচে মন্তব্য লেখার নির্দিষ্ট ঘরে। লেখকলেখিকাগণ এবং আমরা সবাই আপনাদের মতামতে প্রাণিত হব।  সকলকে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছাসহ-- নিরাশাহরণ নস্কর। ******************* #এই সংখ্যার লেখকতালিকা পাবেন ব্লগের একেবারে নীচের বাঁদিকে blog Archiveএ। নির্দিষ্ট লেখার লিংকে ক্লিক করলেই তা খুলে পড়া সম্ভব হবে।  অসুবিধা হলে সরাসরি কথা বলতে পারেন 9433393556 নম্বরে।   ========================================================= Better  Some Tabs. For You 1.  Samsung Galaxy Tab A 10.1 (10.1 inch, RAM 2GB, ROM 32GB, Wi-Fi-Only), Black Deal Price: Rs. 12,499.00 Extra 10%  direct off  on SBI Card (20-23 Jan, 2021) For Details  CLICK HERE 2.  Lenovo Tab M10 HD Tablet (10.1 inch, 2GB, 32GB, Wi-Fi Only) Slate Black Deal Price: Rs. 9,990.00 Extra 10%   direct off    on SBI Card (20-23 Jan, 2021) For Details  CLICK HERE 3.  Samsung Galaxy Tab A7 (10.4 inch, RAM 3 GB, ROM 32 GB, Wi-Fi

প্রবন্ধ।। মাটির মানুষ আবদুল জব্বারের দারিদ্র্যতা ও প্রতিবন্ধকতা ।। ইউসুফ মোল্লা

ছবি
মাটির মানুষ আবদুল জব্বারের দরিদ্র্যতা ও প্রতিবন্ধকতা - ইউসুফ মোল্লা "আমি মাটির মানুষ। আমি জমিতে  নিড়েন দিয়েছি, নৌকায় করে মাছ ধরেছি, গাছে উঠে ডাব পেড়েছি, মাছের আঁশটে গন্ধ শুঁকে কেটেছে আমার দিন। সাধারণের অন্তরের ভাষা আমি বুঝি। আর বুঝি বলেই তাদের কথা লিখতে পেরেছি।"  - এইরকম কথা যিনি বলতে পারেন, তিনি আর কিছু হোক আর না হোক মাটির মানুষের জয়গান করবেন। যদিও তিনি গ্রহণীয় হয়েছিলেন সকল স্তরের মানুষের কাছে। বাংলা সাহিত্যে তিনি তাঁর নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছিলেন একটি মাত্র গ্রন্থ লিখেই, কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনের কথা তুলে ধরতে শেষ বয়স পর্যন্ত লিখে গিয়েছিলেন। তিনি আর কেউ নয়, আমাদের জেলার মানুষ সাহিত্যিক আবদুল জব্বার। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলার সাতগাছিয়া থানার অন্তর্গত নোদাখালীর এক দরিদ্র পরিবারে তাঁর জন্ম। আজন্ম দরিদ্রতার কারণে প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেন নি। পিতৃহারা হওয়ার পরেই ক্লাস সিক্সে পড়া ছেড়ে দিয়ে সংসার চালানোর তাগিদে মেটিয়াবুরুজে দর্জির কাজে যান। এরপর বজবজের বিড়লা জুট মিলের কাজে যান। এই কাজ ছেড়ে দিয়ে হাওড়ায় ঢালাই মিস্ত্রির কাজে যান। এস

পৌরাণিক কাহিনি ।। দেবী কন্যাকুমারী কেন আজীবন কুমারী- ডঃ রমলা মুখার্জী

ছবি
দেবী কন্যাকুমারী কেন আজীবন কুমারী                                    -  ডঃ রমলা মুখার্জী   কন্যাকুমারী দেবী দুর্গারই একরূপ। দেবীর নামানুসারেই তামিলনাড়ুর এই তীর্থনগরীর নাম কন্যাকুমারী। খুবই জনপ্রিয় এই তীর্থস্থান। একদিকে ভারতভূমির শেষপ্রান্ত আর অন্যদিকে আরবসাগর, ভারতমহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর এই তিন সমুদ্রের সম্মিলন। এইজন্য একে ত্রিবেনী সঙ্গমও বলা হয়।    উত্তরদিকের তোরণদ্বার দিয়ে কুমারী মন্দিরে প্রবেশ করার প্রধান পথ। পরমাসুন্দরী বালিকারূপিণী দেবী ডানহাতে মালা নিয়ে তপস্যারতা। তামিল বৈশাখী মাসে (মে-জুন) বৈশাখ উৎসব খুব ঘটা করে এখানে হয়। দু বেলা দেবীকে শোভাযাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হয়। সাদা মার্বেল পাথরে তৈরী মূর্তিটি ভারি সুন্দর।     আমার মনে প্রশ্ন জাগল দেবী কেন এখানে কুমারী? অনুসন্ধান করে জানতে পারলাম সেই পৌরাণিক কাহিনি।  একসময় দৈত্যরাজ বালাসুর দেবতাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে করতে দেবতাদের পরাজিত করে তাদের শুধু বিতাড়িত করল না নির্মম অত্যাচার করতে লাগল। সহ্য করতে না পেরে মা বসুন্ধরা বিষ্ণুদেবের কাছে গেলেন। শ্রীবিষ্ণু পরাশক্তির স্মরণ নিতে বললেন কারণ একমাত্র পরাশক্তিই পারবে প্রবল পরাক্রান্ত বালাসুরক

ছোটগল্প ।। আলোকবর্তিকা ।। গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
               আলোকবর্তিকা  গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রেনটা যে এতখানি ভিড় হয়ে যাবে ভাবতেও পারেননি রেণুবালা। শান্তিপুর থেকে যখন উঠেছিলেন তখনতো বেশ ফাঁকাই ছিল। বসার একটা জায়গাও মিলেছিল । তারপর কোথা থেকে একটা দমকা ভিড় এসে মুহূর্তের মধ্যে জমাট বেঁধে একেবারে গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি আকার নিয়ে বসল। বছরে অন্তত পাঁচ-ছ বার শান্তিপুরে রাধামাধব মন্দিরে যান রেণুবালা । প্রতিবার এই ট্রেন ধরেই ফেরেন। আজ তো প্রথম নয়, কতবছর ধরেই যাচ্ছেন। কিন্তু এমন অসময়ে এত ভিড় আগে কখনো দেখেছেন কিনা মনে করতে পারেন না। নিরেট ভিড়টাকে আরেক ঝলক দেখলেন। বুকটা কেঁপে উঠল তার।  দুটো সীটের  মাঝেও চাপাচাপি ভিড়। দন্ডায়মান সেই ভিড়ের ফাঁকফোকর গলে তার দুটো মরিয়া চোখ ঠিক কোন স্টেশন এল ঠাহর করার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হল। অবশেষে সেই চেষ্টায় ইতি টেনে মুখ খুললেন --- "কোন স্টেশন এল দয়া করে একটু বলবেন।" "টিটাগড়।" তারমানে মাঝখানে খড়দা তারপর সোদপুর। মনেমনে  ভাবলেন রেণুবালা। এখনই না উঠলে আর নামতে পারা যাবেনা। রেণুবালা উঠতে না উঠতেই সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি তাকে একপ্রকার ধাক্কা মেরেই ঝাঁপিয়ে পড়ে দখল নিল তার সীটটার । অন্যকেউ হলে দু

গদ্য ।। ভেনাস ফ্লাইট্রাপ ।। সংঘমিত্রা সরকার কবিরাজ

ছবি
ভেনাস ফ্লাইট্রাপ সংঘমিত্রা সরকার কবিরাজ ঝিরঝির ঝুরঝুর বৃষ্টিতে সারারাত স্নান করে ভোররাতে বেশ ঠান্ডা লাগছিলো ভেনাসের।  দিন কয়েক ধরে আবহাওয়াটা খুব বাজে।আকাশটার হঠাৎ  করে কোনো কারণে বুঝি খুব মনখারাপ হয়ে গিয়েছিলো।ব্যথার ধূসর কালো বিষণ্ণতা জুড়ে ছিলো সারা আকাশের শরীরটাকে। কাল বুঝি সে ভারের বোঝা আর বইতে না পেরে অশ্রুত কান্নায় ভেঙে পড়েছিলো।কোনো শব্দ ছিলো না।শুধু মৃদু ঝিরঝিরে অনবরত  বারিবর্ষণ। সারারাত বোবাকান্নার পর আকাশের মন অনেক হালকা। কে বলে চোখের জলের কোনো রং নেই ,নেই কোনো ওজন ।তবে   কেন কান্নার পর বুক হালকা হয়ে যায় আর কালিমা ঘুচে গিয়ে শুভ্রতা ফিরে আসে।আজ আকাশ নীল রঙের একটা পাতলা সাটিনের জামা পড়েছে। তাতে সাদা সাদা ফুলের মতো বড় বড় ছাপ।  বেশ লাগছে আকাশটাকে ।আজ আকাশের মেজাজ ফুরফুরে। আশেপাশের লোকের হাসিমুখ দেখলে এমনিতেই নিজের মুখেও যেন অজান্তে একচিলতে খুশির হাসি ছাপ দিয়ে যায়। সূর্যটাও মনে হয় বন্ধুর মনের কথা ভেবে কয়দিন চুপচাপই ছিলো। আজ উষ্ণ নরম রোদ ছড়িয়ে হাসিমুখে জমিয়ে বন্ধু আকাশের সাথে গল্প শুরু করেছে সকাল থেকেই।  তবে সে সবই  ঠিক আছে। কিন্তু ভেনাসের যে প্রচন্ড খিদে পেয়েছে। এই কয়দিন জোলো হাওয়া আ

ছেলেবেলার গল্প ।। তন্ময় পালধী

ছবি
ছেলেবেলার গল্প  তন্ময় পালধী রাজদূত বলটা পাস করে দে।কিন্তু বল কই? রাজদূত প্রপাত ধরণীতলে।মানে ধপাস ধাঁই আর কি। বর্ষাকাল এলেই আমাদের মানে তোতন টিংকু বেচ, পাঁচু, রাজকুমার(ধাপা) হারু,চিনু, গোবে সকলের কি আনন্দ।হোমমেড বলে ফুটবলের সে কি মজা! মন যেন খুশিতে বলে উঠত- হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে ময়ূরের মতো নাচেরে। খেলার মাঠে ইচ্ছা করে ঠেলে দিয়েই হি হি করে হাসি। কাদায় লেপ্টে উঠেই অন্যজনকে জড়িয়ে ধরা কি ফুর্তি। আসলে সকলে কাদায় মাখামাখি না হলে সুখ কিসের?খেলা যত না হত কাদামাখা হত তার থেকে বেশি। রাগারাগি নামক বিষম বস্তুটা আমাদের মধ্যে তখনও কায়েমী হয় নি। এক একদিন বৃষ্টিতে ফুটবল ছেড়ে চিকে খেলা হত। এঁটেল মাটি বৃষ্টির সোহাগে গলে গিয়ে নরম হয়ে যেত।আর আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকত আয় আয়।গোটা মাঠ জুড়ে দাগ টেনে নিতাম।দাগের দুদিকে চৌকো চৌকো ঘর।দুটো দলে ভাগ হয়ে খেলা হত।একদল সবাই ঘরের মধ্যে।দুদিকে পাহারাদার।পরের ঘরগুলোতেও পাহারাদার থাকত।কিন্তু তাদের কাজ শুরু হত প্রথম ঘর থেকে বিপক্ষ দলের কেউ বার হলে।এভাবে প্রথম ঘর থেকে বিনা বাধায় কেউ শেষ পর্যন্ত পৌঁছলে সে পাকা। কিন্তু দলের কোনো একজনকে বিপক্ষ দলের কেউ ছুঁয়ে

বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার দিবসের তাৎপর্য ।। পাভেল আমান

ছবি
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের ভ য়াবহতায় কেঁপে উঠেছিল পুরো বিশ্ববাসী। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও বিভিন্ন মহল থেকে মানুষের মৌলিক মানবাধিকারগুলোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিষয়ে দাবি উঠতে থাকে। এসব দাবিদাওয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারও ভূলুণ্ঠিত হয় মানুষের মৌলিক অধিকার। বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধের পূর্ববর্তী সময় এবং যুদ্ধকালে হিটলার ও মুসোলিনির অক্ষশক্তির নৃশংসতা এবং ববর্র কাণ্ডে স্তম্ভিত হয়েছে মানবতা। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মানবাধিকার বিষয়টি তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে ওঠে। যার ফলে গঠিত হয় মানবাধিকার কমিশন। এই কমিশন মিসেস এলিয়েনর রুজভেল্টের নেতৃত্বে 'মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা'র খসড়া (ড্রাফট) তৈরি করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের মাধ্যমে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জমা দেওয়া হয় এবং ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। বিশ্বের অন্য যেকোনো আন্তর্জাতিক দলিলের তুলনায় মানবাধিকার ঘোষণার প্রভাব গভীর ও স্থায়ী। ১৯৪৮ সালে গৃহীত হওয়ার পর থেকে ঘোষণাটি সর্বকালের সার্বিক পরিচিত এবং প্রভাবশালী দলিলগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।

প্রবন্ধ ।। কোথায় দাঁড়াবো আমরা ।। শিবপ্রসাদ গরাই

ছবি
কোথায় দাঁড়াবো আমরা শিবপ্রসাদ গরাই 'এ বড় সুখের সময় নয় ' আমরা আজ পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসাবে যে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তাকে দুঃসময় বলবো, না দুঃখের সময় বলবো আমরা জানি না । তবে চারিদিকে যা হচ্ছে তাতে যেন বুক ভরে কাঁদতে পারলেই সুখ হত কেননা প্রতিবাদ ভাষা হারিয়েছে, আক্রোশ পরিণত হয়েছে কান্নাতে । 'পৃথিবীর গভীর গভীরতম অসুখ এখন' বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখতে হচ্ছে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত ব্যক্তি বিদেশ ভ্রমণ করছে অবলীলায়, আইনের কোনো ভয়ডর ছাড়াই। একদিকে কৃষকরা না খেতে পেয়ে মরছে অন্যদিকে একদল মানুষ নানা রকমের বিলাস-ব্যসনে মত্ত । কারো কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই- কে মরল, কে বাঁচল, কার কাজ গেল, কে কাজ হারালো, সেই সব দিকে কোন চিন্তা নেই শুধুমাত্র ভোগ,ভোগ আর ভোগ। মানুষ এখন এতটাই স্বার্থপর এবং স্বার্থমগ্ন যে পাশের বাড়ীর লোকের যে অবস্থা সম্পর্কে সে কিছুই জানেনা। আজ একজন শিক্ষিত ব্যক্তির কোন মূল্য নেই, এখন যত রকমের অশিক্ষিত এবং টাকাওয়ালা লোকেদেরই বেশি গুরুত্ব সমাজে। আমার কথার প্রমাণ পাবেন, আপনি আপনাদের পাড়ার দিকে তাকান, দেখবেন সেখানে যে দুর্গাপূজা বা কোন সামাজিক

সুবীর ঘোষের স্মৃতিকথা "আমার বাজারসরকারবার" //

ছবি
স্মৃতিগদ্য                       আমার বাজারসরকারবার                         সুবীর ঘোষ   ছোটবেলায় দেখতাম পাঁজি বা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন বের হত এই ঠিকানায় এত টাকা পাঠালে একটা ট্রানসিস্টর রেডিও পাঠানো হবে । তখন অনেকের বাড়িতেই রেডিও নেই । ফলে অল্প খরচে রেডিও পাওয়া যাবে ভেবে অনেকেই টাকা পাঠাতেন । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠিকানা দেওয়া থাকত জলন্ধরের । টাকা পৌঁছনোর পর একটা প্যাকেট এসে যেত ঠিকই তবে তাতে অধিকাংশ সময় হাবিজাবি জিনিস থাকত, রেডিও নয় । সেই বোধহয় আমার জীবনে দেখা আদিযুগের অনলাইন পারচেজ । তবে কিছু ক্ষেত্রে ঠিকঠাক জিনিস এসে পৌঁছতেও দেখেছি । একবার আমার দাদা কাশ্মীর থেকে শাল আনিয়েছিলেন । একবার দিল্লি থেকে মস্ত লম্বা চওড়া একটা অ্যাটলাস বা মানচিত্র । এছাড়া ভিপিপি যোগে বইপত্র তো আমরা কলকাতা থেকে অনবরত আনাতাম ।   বিশ্বায়নের পূর্ববর্তী সময়ে আমাদের দেশে বাজারগুলির অবস্থা নিয়ে কিছু বলা দরকার । তখন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর কিছু কিছু থাকলেও শপিংমল বলে কিছু ছিল না । প্রধানত কাপড়ের দোকান , মুদির দোকান বা মনোহারি দোকান এসব জায়গা থেকেই মানুষজন