পোস্টগুলি

অক্টোবর ১৯, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

ছবি
  সূচিপত্র প্রবন্ধ - নিবন্ধ: সুনন্দ মন্ডল    প্রণব কুমার চক্রবর্তী    অরুণ চট্টোপাধ্যায়    বটু কৃষ্ণ হালদার গল্প : সিদ্ধার্থ সিংহ তাপসী লাহা    সোমনাথ বেনিয়া    মৌমিতা ঘোষাল    সঞ্জয় গায়েন    চন্দ্রানী দত্ত    সঞ্জয় কুমার মল্লিক    সুমন্ত কুন্ডু    অঞ্জনা গোড়িয়া কবিতা/ছড়া: নাসির ওয়াদেন    উদয় সাহা     সঞ্জীব সেন    ফিরোজ হক্    আবদুস সালাম    সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়    অমিতাভ দাস    মঞ্জীর বাগ    উত্তমকুমার পুরকাইত    সুজন মুহাম্মদ    অনিন্দ্য পাল    শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়    সুকুমার কর    জগবন্ধু হালদার    চন্দন মিত্র    সুব্রত সামন্ত    বিজয়ন্ত সরকার    তাপসকিরণ রায়    কোয়েলী ঘোষ    ফরহাদ হোসেন    মাথুর দাস    মৃত্যুঞ্জয় হালদার    নিসর্গ নির্যাস মাহাতো    প্রণব চক্রবর্তী    রাজিত বন্দোপাধ্যায়    মোনালিসা পাহাড়ী    শুভাশিস দাশ    সাইফুল ইসলাম    বলরাম বিশ্বাস    সজল কুমার টিকাদার    সবিতা বিশ্বাস    কাজী জুবেরী মোস্তাক    শানু ধোলে    শঙ্করী বিশ্বাস    অসীম মাহাত    সুচন্দ্রা পাল    তপন কুমার মাজি    তরুনার্ক লাহা    দেবাঙ্কুর কুন্ডু    উৎস ভট্ট

নিবন্ধ : সুনন্দ মন্ডল

ছবি
সমাজ-শারদীয়া-সমকাল                             মানুষ সামাজিক জীব। মানুষই সমাজ গড়ে তুলেছে। নিজের সুবিধা ও পারিপার্শ্বিক প্রয়োজনে বেছে নিয়েছে প্রকৃতির মধুর রূপ রসের অঙ্গন। দেয়াল তুলেছে নিজের চারিদিকে। আবদ্ধ হয়ে পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখতে খাবার জোগাড় করেছে। গাছপালা, বন-জঙ্গল কেটে পথ বানিয়েছে। উপায় খুঁজেছে জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার।          ‎সমাজের মধ্যে প্রত্যেক মানুষ নিজের স্বপ্ন নিয়ে চলে। বুকের মধ্যে পুষে রাখে অসম্ভব কল্পনার চাদর। বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে অটুট থাকে। কখনো সফল, কখনো বা অসফল। আর সামাজিক জীব হিসাবে প্রত্যেক মানুষেরই একটা দায়বদ্ধতা থাকে। সেই দায়িত্ব থেকেই সমাজ উন্নত করার চেষ্টা করে।           ‎মানুষ যুগের বিস্তারে কর্মঠ হয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ ও বাস্তবে মনের ভিত শক্ত হয়েছে। সমাজের ধারণা গেছে পাল্টে। যে সমাজের মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে ঈশ্বর অর্থাৎ দেব-দেবীর কাল্পনিক চেহারা গড়েছে, সেই সমাজের মানুষ দেব-দেবীর মূর্তি বানিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। প্রত্যেকের হাতেই টাকার বান্ডিল। স্বাবলম্বী মানুষ অর্থের দিক দিয়ে আর দুর্বল নয়। একে অপরে টাকার লড়াইয়ে মেতেছে।          

কবিতা ।। নাসির ওয়াদেন

  চেনা অচেনার গল্প কতদূর চিনি চরিত্র তার কতদিন ধরে গোলাপি মেঘের রোদে বারান্দা জুড়ে ভাষা ঠিক গ্রাম হয়ে ঢোকে এ  শহরে রাস্তাঘাট চেনা বাকি, কাছে থেকে দূরে দৃষ্টি মাখা ভেজা শব্দের কোল ঘেঁষে বীণা বাজে সুর হাওয়ায় তালি মারা আলপথে ক্লান্তিজ্বর কাঁধে চড়ে পেরিয়ে  চলে অজানা অকথিত ভাষাদেশে, সান্ধ্য তারার জগতে ডানার সংকেতে ফিরে পাখি নিজ নীড়ে বিদ্যুত-আঁকা পথ  আলোহীন ঠোঁট বৃষ্টিপতন শব্দে মাছের স্পর্শরেখা জুড়ে শিহরিত গন্ধ-ঢেউ  মাতে, বিমর্ষ করোট অরণ্য নিজ ভাষা বোঝে, পাতার মৃদু মর্মরে নৈঃশব্দের স্বপ্নডালি ছুঁয়ে যায় গভীর শিবিরে                          ------         কৃতজ্ঞতা               কৃতজ্ঞতা আসে না সদর দরোজা দিয়ে চুপি চুপি আসে ভালবেসে নয় কিছুটা ফাইফরমাশ মেনে অস্তিত্ব হাওয়া হয়ে গেছে বেপাড়ার কুকুরের মতো সংশয় নিয়ে ঘোরে সূর্যের আলো চুষে ফড়িঙ সবুজ ঘাস এখন গর্ভবতী হতে উন্মুখ পিপীলিকা গর্ভে সন্তান ধারণ করে আছে তিনমাসের ডিম্বাণু কোষ পূর্ণ করে অসংখ্য প্রাণের সৃষ্টি করছে কেউ ভাবছি বলে মনে হয় না কৃতজ্ঞতা তাদের থাকার কথা যাদের বিবেক নামে বস্তু আছে আমি বোধক

নিবন্ধ: প্রণব কুমার চক্রবর্তী

বীরাঙ্গনা কল্পনা দত্ত                    ছবিটা দেখতে দেখতে দাঁতের কোনে পাইপটা কামড়ে রবার্ট সাহেব বললেন, ডিসগাস্টিং, দিস বিউটিফুল লেডি ইস আ টেররিস্ট! আই ডোন্ট বিলিভ। ইউ অল আর ননসেন্স। চট্টগ্রামের ডেপুটি পুলিশ সুপারের চোখে চোখ রেখে গোয়েন্দা অফিসার মিঃ বসু বললেন,সত্যি আমরা ননসেন্স। আমাদের বুকের ওপর বসে এইভাবে বিপ্লবী কাজ চালাচ্ছে, আর আমরা জানতেই পারিনি। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের কাছে খবর আপনার ওই বিউটিফুল লেডি একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। রবার্টের চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো। তিনি বললেন, এর কেস হিস্ট্রির ফাইলটা দেখি। অ্যান্টি টেররিস্ট শাখার অফিসার ডিউক বললেন, কেস হিস্ট্রি নেই, কারন কোন অপরাধ প্রমান হয়নি। তবে হিস্ট্রিটা শুনুন। এর বাবার নাম বিনোদবিহারী দত্ত। এইখানের গ্রামের স্কুল থেকে খুব ভালো রেজাল্ট করলো মেয়েটা। ম্যাট্রিকে মেয়েদের মধ্যে চতুর্থ হোল। শিক্ষিত পরিবার, দাদু দুর্গাদাস দত্ত বিখ্যাত ডাক্তার। তাই সবাই চাইলো মেয়ে সায়েন্স পড়ুক কলকাতার কলেজে। সেই মতো বেথুন কলেজে ভর্তি হোল সে। ফর্সা ছিপছিপে সাধারনের চেয়ে বেশ লম্বা সুন্দরী মেয়েটি অন্যদের থেকে অনেক বেশি প্রাণচঞ্চল,সব কিছুতে খুব উৎসাহ। আ

প্রবন্ধ। অরুণ চট্টোপাধ্যায়

ছবি
আগুন-পাহাড়ের ইতিকথা -ডাঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায় ঘুমন্ত বসতিতে হঠাৎ জেগে উঠেছে এক দানব। অন্ধকারের বুক চিরে সে বেরিয়ে এসেছে উত্তপ্ত আগুনের জ্বলন্ত বিভীষিকা নিয়ে। একটা বিশাল ড্রাগন যেন তার বিশাল হাঁ বিস্তার করে উদ্গিরণ করে চলেছে আগুনের অন্তহীন স্রোত। শীতকালে অন্ধকার রাস্তার ধারে টায়ার পুড়িয়ে শরীর গরম করার দৃশ্য যারা দেখেছে খানিকটা সেই রকম। তবে আগুনের পরিমাণ এখানে পাহাড় প্রমাণ বিশাল। এতই বিশাল যে তা কল্পনার বাইরে ।    এটা এতক্ষণে সবাই নিশ্চয় বুঝতে পেরেছে যে এই দানবটি হল আসলে একটি বিশাল পাহাড়ের মুখ দিয়ে লেলিহান শিখা বিস্তার । আগুন পাহাড়ের চুড়োর মুখটি হঠাৎ ফেটে গিয়ে উত্তপ্ত গলিত লাভা আর বিশাল পরিমাণ গ্যাস বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে। এই গ্যাস যেমন কিছু পরিমাণে অদাহ্য তেমনি বেশ কিছু পরিমাণে দাহ্য। এই দাহ্য গ্যাস প্রচন্ড উত্তাপে প্রজ্জ্বলিত হয় অর্থাৎ জ্বলতে থাকে আর জ্বলতেই থাকে । এক্ষেত্রে ড্রাগনের মুখ হল ফেটে যাওয়া পাহাড়ের চুড়ো। আর তার মুখ দিয়ে বেরোন আগুনের হলকা হল প্রজ্জ্বলিত এই গ্যাসের স্তূপ। ড্রাগন একটি কল্পিত বিষয় হলেও এটি একট

প্রবন্ধ : বটু কৃষ্ণ হালদার

জাতীয়তাবাদী মহান বিপ্লবী ভগৎ সিং বনাম জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী         ২৮ শে সেপ্টেম্বর মহান বিপ্লবী ভগৎ সিং এর জন্মদিন। তার জন্মদিনে আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্মরণ সভা করে তার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করব ও  দেশপ্রেমের নানান কার্যকলাপ জনগণের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব।                 ১৯১৯ সালের কুখ্যাত জালিয়ানওয়ালাবাগ নিশংস হত্যাকাণ্ড ভগৎ সিং এর মনে গভীর রেখাপাত করে। যখন সে এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা শোনেন তখন ভগৎ সিং খুব ছোট ছিল। সেই ছোট্ট বেলায় বিদ্রোহের আগুন শিরায় শিরায় ছড়িয়ে পড়ে তার ছোট্ট শরীরে।ছোট্ট শিশুর অবুঝ মনে মাটির টানে বাঁধ ভেঙে বেরিয়ে পড়ে।বাসে উঠে প্রায় ৫০ মাইল দূরে অমৃতসরের জালিয়ান ওয়ালাবাগে ছুটে যান। সমকালীন উত্তপ্ত পরিবেশকে উপেক্ষা করে কুড়িয়ে আনেন সেখানকার   রক্তরঞ্জিত মাটি। সেই রক্তাক্ত পবিত্র মাটি তাকে আরো বিদ্রোহী করে তোলে। শিশুর অবুঝ মন মেনে নিতে পারেনি নির্মম হত্যার লীলাখেলা কে।এই মাটি ছিল তার কাছে বিদ্রোহের প্রতীক। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে এর বদলা সে একদিন নেবেই।এইভাবে ছোটবেলা থেকেই ব্রিটিশদের প্রতি ঘৃণা আর বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ক