পোস্টগুলি

জুন ১৬, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

কবিতা -- নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত

ছবি
এই বিশ-কুড়িতে *************** বিশ-কুড়িতে করোনার জ্বরে ভুগছি স্বপ্ন হারিয়ে অন্ধকারে ধুঁকছি বিশ্বময় বিশ্বাসী কেউ আছে কি? চিন? নাকি 'মেরিকা?কে দাঁড়াবে পাশে? আমরা রয়েছি অমলিন বিশ্বাসে ভগবান আছে।যারা দেয় দিক ফাঁকি। চেয়ে দেখো তারও কি করুণা হয়েছে? নাকি করোনা তাকেও গরাস করেছে! কেউ নেই দেখো মন্দিরে মসজিদে। যদি বিষকুঁড়িগুলো ফুল হয়ে ফোটে গোঁদ ভরে যাবে বিষাক্ত বিস্ফোটে কাকে মালা দেবে প্রার্থনা- সঙ্গীতে? তার চেয়ে চলো দেখি সকলেই খুঁজি পুজার্চনা ভিন্ন অন্য কোনো পুঁজি সাফল্যের অন্য কোনো চাবিকাঠি। পরিযায়ী শ্রমিক স্বপ্ন খুঁজে পাক রুটি-রুজির খোঁজ এ রাজ্যেই থাক জীবন কাটাতে যেন পারে পরিপাটি। ********************************* Sender : Nripendranath Mahanta Vill. & Post-HEMTABAD Dist. Uttar Dinajpur  PIN-733130 Mobile No.-8918861003

কবিতা: বিশ্বজিৎ কর

ছবি
বাস্তবতার দর্পণে অবরুদ্ধ পথ, অবিন্যস্ত হাঁটা!  ফুলের গন্ধে, ছটফটে মনে  কবিতার আঁতুড়ঘর, কবি উদাসীন...... অবরুদ্ধ পথ ,তবুও হাঁটা!  পাখির গানে, আন্দোলিত মনে  কবিতার জন্ম, কবি আয়েশী.....  অবরুদ্ধ পথ, হাঁটা চলছেই!  গাছ-মায়ের সজীবতায়, উৎফুল্ল হিয়ায়  কবিতা হাসছে, কবি সম্বর্ধিত......  কেউ কেউ কি বিক্রি হচ্ছে? ************************** বিশ্বজিৎ কর বোড়াল, দঃ২৪ পরগণা  মোবাইল 9635629906 *************************

কবিতা ।। দীপান্বিতা হক

ছবি
ব্যাধ ও ফাঁদ একদিন এক পাখির বাজারে গিয়ে একজন ব্যাধের সন্ধান পেলাম। সে কতগুলো সুন্দর সুন্দর মুনিয়াপাখি নিয়ে বসেছিল বিক্রি করবে বলে। আমি তার কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই- সে স্মিতহাস্যে ঘোষণা করল সে একজন ব্যাধ, আর মুনিয়াগুলো তার নিজের ধরা। তার উজ্জ্বল চোখ, উন্নত কপাল, চ ওড়া বুক আর সত্যভাষণে- আমি তাকে ভালোবেসে ফেললাম। বাসব না- ই বা কেন? এ জীবনে প্রথম ব্যাধ দেখলাম যে তার শিকারকে স্বীকার করছে। আমি তাকে অকপটে জানালাম যে- আমি তাকে ভালোবেসেছি। সে হতচকিত হলেও আমাতে মুগ্ধ হল আমি তাকে বললাম তবে চলো সেই অপোবনে যেখানে থাকব আমি, তুমি আর এই মুনিয়ারা ব্যাধ রাজী হল। জালটি ফেলে দিয়ে আমরা চলে গেলাম তপোবনে।।                        --------------- Name. Dipanwita Haque Address. Park street kol 16

ছড়া - লিপি ঘোষ হালদার

ছবি
    ।। ছোট্ট পরীর জন্মদিন।।         এক- দুই- তিন- গুণে গুণে                 তিনটি বছর  হল পার, বৈশাখ নয়, জ্যৈষ্ঠ নয়,                 এলো  পয়লা  আষাঢ়। আষাঢ়মাসের প্রথম দিনে                 ছোট্ট  পরীর  জন্মদিন, ঝিলিমিলমিল্  ছোট্ট  পরী                  নাচবে  তাধিন  ধিন্। ছোট্ট কুঁড়ির দেশে--                    সে  এক  ছোট্ট  পরী, মুখে তার মিষ্টি হাসি,                       দুষ্টু  অবুঝ  ভারী। ঝলমলমল্ ঝালোর জামা                      সে  উচ্ছ্বল  চঞ্চল; অভিমানে ঠোঁট কাঁপে তার,                      চোখ  করে  ছলছল্। টলমলমল্ দুপায়ে মল্                       রুম ঝুম ঝুম্  বাজে-- হাঁটি  হাঁটি  পা  পা                          থমকে  যায়  লাজে। আধো আধো বুলি মুখে--                    যেন  সবুজ টিয়া, জয়  করবে  হিয়া সবার                   তার নামটি  অলিপিয়া। অলির প্রিয়া ফুল হয়ে যে গন্ধ বিলাবে-- দেশের দশের প্রিয়া হয়ে মন সে ভরাবে।।                       -------- লিপি ঘোষ (হালদার) ৫/১/ডি  বীর অনন্তরাম মন্ডল লেন্, কলকাতা- ৫০ 

কবিতা - অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য্য

ছবি
    অন্ধকারের কবিতা                      আমাকে অন্ধকার দাও ।         যে আঁধারে সন্তানসম্ভবা মা হাঁটে মাইলের পর মাইল, যে আঁধারে পরিযায়ী ক্ষতবিক্ষত পা'র রক্তে লাল হয় মাটি,      যে আঁধারে রেললাইনের ধারে পড়ে থাকে         ক্ষুধার্ত ভারতবর্ষের রক্তমাখা নিশান, যে আঁধারে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মৃত মা-এর কাছে বসে এক শিশু বলে ওঠে, "মা, ও মা ওঠো,বাড়ি যেতে হবে",              আমি সেই আঁধার চাই।   আমি সেই অন্ধকারকে রাঙাবো সাদা-সবুজ রঙে,      রাম নাম  দিয়ে মুছে দেব তার বাহ্যিক কালো,        নবজাতকের ভারতবর্ষ হবে রঙিন, অন্ধকারের অস্তিত্ব নিয়েও সংশয় জাগবে তার মনে।    আর সেই অন্ধকারের অন্তর্নিহিত কালো    আমি ফেলে আসব আর এক ভারতবর্ষে।    যে ভারতবর্ষ বিবেকানন্দের ভারতবর্ষ,    যে ভারতবর্ষের জন্য দেশত্যাগ সুভাষের,  যে ভারতবর্ষের জন্য প্রাণত্যাগ কত সহস্র ভারতসন্তানের,   যে ভারতবর্ষ জগৎসভায় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটধারী।   আমি সেই ভারতবর্ষের কাছে রেখে আসব এই ভারতের অন্ধকার বর্তমানের দলিলখানি।   ==================== Ardhendu Bhattach

কবিতা -- সুজিত কুমার মালিক

আত্মনির্ভর            সামাজিক কারণেই আজ সমাজ থেকে অনেক দূরে বন্দিত্বে মানিয়ে নিয়ে নিত্য মেপে চলেছি পর্দায় ক্ষোভ-কান্না-হাহাকার  নিশ্চুপ দর্শক হয়ে। জ্বেলে নিয়েছি মোমবাতি থালা-বাটি ঢাল নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছি। আমার পায়ে রক্তাক্ত তোমার মাটি আমার বর্ম ভেদ করে বহমান লবন জলের স্রোত... তোমরা তখন কাজিয়ায় মত্ত, সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে ব্যস্ত! কিসের লড়াই?কার সঙ্গে? সময় এসেছে, শিখে নেওয়ার- আত্মসমালোচনার!আত্মনির্ভরতার! ================== সুজিত কুমার মালিক মইখন্ড, হেলান, আরামবাগ, হুগলী

কবিতা।। বলরাম বিশ্বাস

ছবি
     ভুল আমরা অল্প অল্প মিথ্যা বলি প্রয়োজনে। ধরতে পারিনে কেউ বা ধরা পড়লেও মুখের চেহারা দৃঢ়তা রেখে বলি। সত্যি। প্রয়োজনে ঝগড়া করতে হয়। প্রয়োজনে আবার মনকে বোঝায় তা ছিল নিছক উল্টো। সামান‍্য রাগ। সামান‍্য ক্ষতির পূর্বাভাস। চিক চিক করে ওঠে যখন আমরা কাঁদি। তারপর রাগ পড়ে গেলে ভালোবাসা নামক অনুভূতি দেখিয়ে অদৃশ্য হাতটা বুকের কাছে নিয়ে দীর্ঘশ্বাসের মতো বেদনা বের করে দিয়ে বলি। আর হবেনা। তবুও আবার হয়। তবুও আবার গন্ডি পেরিয়ে হিলহিল করে বেড়িয়ে আসে দগ্ধ অংশ থেকে সিরাম...... নতুন ভাবনা পুরাতন হয়। আর পুরাতন বুঝিয়ে দেয় তা ভুল ছিল। কিন্তু আমরা ভুল ঠিক করব বলেও বারবার ভুল করে বসি। -------------০০০------------- বলরাম বিশ্বাস Vill - chandpur Nadia 741503

কবিতা ।। দীপ্যমান জানা

ছবি
   খুনখারাপি খবর পেলাম দেশটা নাকি ছুটিতে রয়েছে বাড়িতে বসে ই-মেল করছে, মনখারাপি...!  আক্রান্তরা বেড়ে চলেছে লাফিয়ে লাফিয়ে... তবুও দেমাক ভুলে যায়নি খুনখারাপি – গেল মাসের মাসকাবারির কমল  হুজুগ হুজুগ এবার ঘোরাল মন, ডালগোনায় – টেন, টুয়েলভ্, গ্র্যাজুয়েসান ও এটসেট্রা... বহু চেতনা হাঁপিয়ে গেছে অধ্যাপনায় !! এত দিন ধরে ঘর গুনেছে ক্লক্ওয়াইস।  অ্যান্টি পথে পিছনো মেশিন, কী সাংঘাতিক!! মাংসাশী মন উপোস করেছে কয়েকটা দিন চেঞ্জ হয়নি খাবার-দাবার, মশলাপাতি ! গল্প থেকে স্ক্রিপ্ট বানিয়ে সিনেমা হয়েছে ! প্রস্থেটিকে ফুটিয়ে তোলা ধর্ষণ , অ্যাসিড...  শুনানির শেষে সাজাও পেল অপরাধবোধ- বদহজম সারাতে পারে নি, অ্যান্টি অ্যাসিড্ । ================= দীপ্যমান জানা (Dipyaman Jana) Contact No. - 8100381250 Address - 18, Dr. Bankim Mukherjee Street                    Konnagar , Hooghly                    PIN - 712235 

নিবন্ধ ।। শুভঙ্কর দাস

আজও বাঙালির আদরের ধন রবিঠাকুর                কলকাতার রাস্তার সিগন্যালে ক্রসিং। রেড লাইটের জন্য বাসগাড়িগুলি লম্বা রেলগাড়ির মতন সারিসারি হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারপরে বাস থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে না করতেই হঠাৎ কানে আসে "আমার বেলা যে যায়, সাঁঝবেলাতে" গানটি। সেই ক্ষণিকের মুহূর্তে বাইরের জনরোসের কোলাহল থেকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরম পরিবেশে নতুনভাবে মেলে ধরা যায় নিজেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ফরমান, তাই এখন এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে কানাচের চারপাশে ব্যবস্থা করা হয়েছে রবীন্দ্র সংগীত বাজানোর। সামনেই এগিয়ে আসছে বোনের জন্মদিনটা। কিন্তু উপহার হিসেবে কি দেওয়া যায় ! সাত পাঁচ ভেবে ঠিক করলাম, একটা 'গীতবিতান' দিলে কেমন হয় ? আসলে বোন তো ক্লাস দশম শ্রেণীর ছাত্রী, আর পাঁচটা বাঙালি মেয়ের মতন সেও তো একটু আধটু গান শেখে। গত বছর সচক্ষে দেখা কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলার একটি স্টলে, অফিস থেকে সদ্য ফেরা বাবা ও মায়ের সঙ্গে থাকা ছোট্ট স্কুল পড়ুয়া ঢুকে পড়েছেন একটি স্টলে। থরে থরে সাজানো রবীন্দ্রনাথের নানান বুক কিনে নিচ্ছেন। কাউন্টারে থাকা ব্যক্তিটি বলে চলেছেন - &quo

অণুগল্প ।। গুরুস্বরূপ মুখোপাধ্যায়

        সন্দেহে রক্তিমা নাভির কাছে উষ্ণহাতের স্পর্শপেয়ে চমকে ওঠে।বুঝতে পারে শাম্বের ডান হাতের পাঁচ আঙ্গুল খুঁজতে থাকে রক্তিমার অতল নাভির ঠিকানা।রক্তিমা শাম্বের চোখে চোখ রেখে মৃদু শাসনের ভঙ্গিমায় বলে , বিয়ের আগে মেয়েদের ওসব জায়গায় হাত দিতে নেই।শাম্ব রক্তিমার কথায় কম লজ্জা পায়নি। শাম্ব শুধু বলেছিল আমার সুখের স্বর্গ খুঁজছিলাম তোমার সুন্দরের উৎসমূলে।     ড্রেসিং টেবিলে রাখা মোবাইলের ম্যাসেজ রিংটোন শুনে স্ত্রী রক্তিমার মোবাইল হাতে তুলে নিল শাম্ব। স্ক্রিনে ম্যাসেজ বডির সেণ্ডারের নাম দেখে আশ্চর্য হল। চিন্তায় মাথা টনটন করতে লাগল। ভাবতে লাগল রক্তিমার ছলনার কথা। স্বামী থাকলেও অপর পুরুষের প্রতি টান।আপাদমস্তক ঘৃণায় ভরে গেল রক্তিমার প্রতি। ম্যাসেজ টা ছিল ,"বেহালার চৌরাস্তায় দেবুদার দোকানে দেখা করিস , ইতি সুইট হার্ট।" তারপর অনেক জিজ্ঞাসা করেও রক্তিমার মুখ থেকে সুইট হার্টের খোঁজ মেলাতে পারেনি। রক্তিমার দেহ জ্বলছে নদীর পাড়ে শ্মশানে। দাহকার্য শেষের মুখে। কে যেন বলে উঠল , রাতের শ্মশানে নাভি পুড়লে স্পষ্ট বুঝা যায়। নীল রঙের আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। নাভির পুড়া শেষ হলেই এবার

শংকর হালদারের কবিতা

ছবি
                      পূর্বাভাস                           এ কোন দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রভাতী ভোর যার স্বপ্ন আঁধার চেয়েও ঘন । এ কোন হৃদয় যা হলাহলকে হার মানায় । দু'চোখে প্রজ্জ্বলিত এ কোন আলো যা চিতার অগ্নিকে স্বাগত জানায় । এ কোন সময় ধারা সবুজ বুকে যার ঘুনপোকা ক্ষত । আপন নিয়মে যার গমন আগমন ক্ষণিকের অবসরে সে ব্যথা সহনীয় । পলে পলে বেড়ি বাঁধা দুঃস্বপ্ন ক্ষণ মায়ায় আবিষ্ঠ হয় মিহি সুতোয় । সবুজের এ কোন প্রনয় যা বিলাপের মর্মবেদনা উৎকন্ঠার জাল বোনে । প্রকৃতির কোন বে'ভুলে এ কোন দোলা যা সময় আগে সব হারায় । স্বপ্নের কুঁড়ি মেললো না চোখ দুঃস্বপ্নের এ কোন বাতাবরণ । প্রেম প্রীতি কূজনে এ কোন হাহাকার তরঙ্গ ফেনায় এ কীসের ঘোষণা? =============================                                     শংকর হালদার                          দাড়া, জয়নগর, দঃ২৪ পরগণা                          মোবাইল-৮৬৩৭৫৩২৯৯৩

কবিতা // ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়

ছবি
আমার চোখে সে রিয়াল হিরো সে এক  ছেলে আছে নামটি তার বলবো নি,  বলবো তার কাহিনী ছোটো থেকেই খুব দুষ্টু সে, সারাদিন দুষ্টুমি।  সাথে মা এর বকুনি সারাদিন দৌড় ঝাঁপ বাড়িতে ফিরে মা এর মার। তবুও দুষ্টুমি করতে সে ছাড়বে না। অবশ্য দুষ্টুমি তে তার জুড়ি মেলা ও ভার সারাক্ষণ মাথায় ঘোরে নিত্য নতুন কারসাজি। স্কুলে গিয়ে বসে খুলে গল্পের ঝুলি। ছোট থেকেই বাবার কাছে শুনতে বসতো গল্প। সে গুলো কেই স্কুলে গিয়ে বলে বসে নিজেকে  ভাবত সে হয়ে গেছে বড়ো। কখনো ভুত কখনো বা রূপকথা কখনো বা অন্য কিছু। এই ভাবেই স্কুলে হলো সে খ্যাত নিজেকে ভাবত বিরাট গল্পকার। এক বার হলো কি বাড়িতে দুষ্টুমির পর্যায় হলো চুড়ান্ত। ঘরে খেলতে গিয়ে মাথায় আসলো বুদ্ধি দুর্দান্ত। হঠাৎ খেলতে খেলতে ঘরের দরজায় তুললো খিল। সারা বাড়িতে দুষ্টু ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে মা এর তো মাথায় হাত। ছেলে গেলো কই??? হঠাৎ ঘর থেকে শোনা যায় কান্নার আওয়াজ দেখে তো এ যে দুষ্টু টা। অবশেষে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে কপালে জুটল মার। মামারবাড়ী র সবাই ভয়ে পায় ওই দস্যি ছেলে কখন কি করে বসে ! দস্যিপনা যতই থাক  ছেলে আম

ছোটগল্প ।। ফরহাদ হোসেন

সাজু ----------- স্কুল জীবনে সবচে কঠিন চিন্তা শুরু হয় সূর্য উদয়ের পর।স্কুল যেতে মন চায়না।ফাঁকি দেওয়ার উপায় খুঁজতে খুঁজতেই স্কুল যাওয়ার সময় হয়ে আসে। কোনদিন উপায় খুঁজে পেলে সারাদিন এমাঠ থেকে ওমাট-উন্মাদের মত ছোটাছুটি করে কখন যে দিন ফুরিয়ে আসে মালুম হয়না।আবার স্কুল! খেলার মধ্যেই আছে সর্ব সুখ একথা যদি বাবা মায়েরা বুঝতো। সাজু সুমনকে বলে মল্লিক পাড়ায় ক্রিকেট খেলতে যাবেনা।বাবার জন্যেই তাকে মনে হয় খেলা ছাড়তে হবে।এত নজর রাখছে আজকাল খেলেও শান্তি পায়না।কোন সময় মাঠে ঢুকে চিল্লাচিল্লি করে বন্ধুদের সামনে ইজ্জতের বারোটা বাজিয়ে তের করে দেবে এই নিয়ে সব সময় একটা ভয় থাকে মনের মধ্যে। সাজু ক্রিকেট পাগল।ক্রিকেটের জন্যই বাবার কাছে কতবার যে মার খেয়েছে তার হিসেব নেই। সামনে মাধ্যমিক বাবার রাগ করা স্বাভাবিক।সাজু মনে মনে ঠিক করে পরিক্ষার আগে দু মাস আর ক্রিকেট খেলবে না।খেলা-টেলা পরিক্ষা পর। পড়া শুনায় মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করে।কিন্তু বিকেলে ঘরে মন থাকতে চায়না?জানলা দিয়ে তাকিয়ে থাকে দূরের মাঠের দিকে।বাবা-মায়ের চলার শব্দ শুনলে জোরে জোরে চিৎকার করে পড়ে-"মাইট্রোকন্ড্রিয়াকে বলা হয় কোষের পাওয়ার হাউ

কবিতা // অগ্নি মুখার্জী

ছবি
অশান্তি তোমার অনিচ্ছাকৃত ভুলে ভরা জীবন, জাপটে তাকেই জাপটে করছি যাপন। কষ্ট সয়ে যথেষ্ট আমৃত‍্যু বাঁচা, জড়িয়ে জোর জড়িয়ে রয়েছে খাঁচা। তার‌ই মধ‍্যে ছটফট এই প্রাণ পায়নি খুঁজে পায়নি তোমার ঘ্রাণ। ফন্দি আঁটতে নিজেই বন্দি যখন সমর্পণ ব‍্যতীত উপায় নেই আর তখন। জ্বলছে মন সারাক্ষণ এক দহন নেই ক্ষান্তি তাই অশান্তি করছি বহন। বাঁচার ভুলে যদি খাঁচা খুলে দিই শেষ ক্লান্তি, চিরশান্তির স্বাদ নিই। সেই তো ছিন্ন প্রাণেও মৃত‍্যু বসত গড়বে আমার সাথে না হয় অশান্তিতেই মরবে‌।। =============== অগ্নি মুখার্জী গ্রাম + পোস্ট‌অফিস : পার্বতীপুর  থানা: ডোমজুড় জেলা: হাওড়া পিন কোড: ৭১১৪০৫ ফোন নং: 6290010431

কবিতা ।। রণবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

সোনা আমার !! কি বিচিত্র হলো এই ব্যাপারখানা যে রে - সবই আছে , দেখছি সবই ; তবু নেইতো শরীরে ! আচমকা বেশ জোরসে ব্যাথা হয়েছিলো বুকে , তারপরে এই ভাসছি হাওয়ায় , গেছে ব্যাথা চুকে : ওইতো আমি দিব্যি শুয়ে চাদর মুড়ি দিয়ে , জব্বর ঘুম দিচ্ছি আমি ঠ্যাং দুটো ছড়িয়ে !! আ মোলো যা মহারাণী , কেঁদে মরিস কেন ?! মনেতে ভাবাই ছিলো , আপদ জলদি কাটে যেনো । দেখছি রগড় কিছু লোকের , কতো ভালোবাসে : করে পলিটিক্স সারাক্ষণ , ন্যাকা কান্নায় ভাসে ! বেশ জমাটি কেসটা হলো এবার হাওয়ায় উড়ে , এধার ওধার করবো আমি পুরো জগৎ জুড়ে : ভার শরীরের নেমে গেলো হালকা আমি এখন , এই তো আমার মৃত্যু সোনা এসে পড়েছে যখন !!

কবিতা // সান্ত্বনা চ্যাটার্জি

আমার ভাইয়ের হাসি সময়ের সাথে চলে যাওয়া স্মৃতি উঁকি মারে, বারে বারে মনের আয়নায় ছবি ধরা পরে- আমি কি এতটা নিষ্ঠুর এতটাই উদাসীন ভাবে আঘাত করেছি তাকে! ভেবে ভেবে বুক ফেটে যায় হায় , কেন কিছু বলিসনি আমায়, কেন চোখে আঙ্গুল দুটো পুরে বলিসনি জোরে, একদিন নিজের ভুল কাঁদাবে আমায় যেদিন তুই কাছে নেই পরিতাপ তাই শতগুণ জ্বলবে  অন্তরে । ফিরে আয় ফিরে আয়, তোর প্রণের অধিক প্রিয় বোন ডাকে, চলে গেছে যে জীবন সেকি আসে! আকাশ বাতাস হাসে, আমি চেয়ে রই আমার ভাই এর হাসি কই! -- Santwana Chatterjee কলকাতা

কবিতা // নারায়ণ প্রসাদ জানা

ছবি
আকাশটা আর আগের মত নেই সারাটা দিন মন খারাপের বৃষ্টি বৃষ্টিতো নয়  ; যেন অনাসৃষ্টি সৃষ্টি এখন যাক রসাতলে রসাতলে সুখ খুঁজি স্বর্গের। স্বর্গের ভোর এখন অলীক স্বপ্ন স্বপ্ন গুলো মাটির কাছাকাছি মাটির থেকে নিচ্ছি তুলে ঘ্রাণ সে ঘ্রাণেতে নোনা রক্তের স্বাদ। রক্তের স্বাদ লেগেছে জিভে হায়নার হায়নারা সব টহল দিচ্ছে রাত দিন দিনের বেলায় রাত নামে ঘনিয়ে রাত পেরিয়ে কখন ভোর হবে? ভোরের স্বপ্ন সত্যি হয়না আর সত্য এখন মিথ‍্যার পিছু ধায় মিথ‍্যার মালা জপছি সকাল সন্ধ্যা সন্ধ্যা  নামে  মনের গভীর কোনে। মনের লাগাম দিয়েছি কবে খুলে বিহঙ্গের মত এদিক ওদিক ওড়া উড়তে গেলে লাগে এখন পারমিট আকাশটা আর আগের মত নেই। স্বাধীনতার অর্থটা এখন কালো অক্ষরে বইয়ের পাতায় লেখা, জীবনটা এখন নিভে যাওয়া দীপ আকাশ প্রদীপ জ্বালেনা কেউ আর। আকাশটা আর আগের মত নেই ঘন অম্বুদে ঢাকা গোমরা মুখ মুখের থেকে ভীষণ বিকট হাসি সে হাসিতে ফোটেনা কোনো ফুল। ফুল গুলো সব নষ্ট করে কীট কীটেরা সব কেড়েছে ফুলের হাসি সে হাসিতে আকাশ ভরেনা আলোয় আকাশটা আর আগের মত নেই। ================ নারায়ণ প্রসাদ জানা গ্ৰাম+ পোস্ট

কবিতা // মেহেদি হাসান

ছবি
আষাঢ়ের শাপ মেয়েটা ছিলো মিষ্টি অনেক বলতো কম সে কথা, হঠাৎ করেই পিছলে পড়ে পাইলো ভীষণ ব্যাথা। হাতটা ভাঙলো পা'টা ছিড়লো নামলো বিষম শোক, ছোট্ট খুকির জীবন থেকে হাড়িয়ে গেল সুখ।   পড়া বন্ধ নাঁচ বন্ধ যায় না বিদ্যালয়ে, কলম হাতে মাতে না আর চিত্র শিল্পালয়ে। খুকির মনে স্বপ্ন ছিলো অনেক বড় হবে, স্বপ্ন সকল নষ্ট হলো কাঁদছে বসে স'বে। বাইরে গিয়ে পা পিছলে নষ্ট দেহের অঙ্গ, আষাঢ় মাসের বৃষ্টি খুকির স্বপ্ন করলো ভঙ্গ। =====০০=====

কবিতা : সুস্মিতা চৌধুরী

ছবি
হৃতসর্বস্ব আমাদের প্রথম দেখা এক অজানা স্টেশনে। শত ভিড়ের মাঝে দেখেছিলাম   আবেগ ভরা দুটি চোখ। সেই শুরু, অনেক প্রতিশ্রুতি, অনেক প্রেমালাপ,  এক দীর্ঘ পথ চলার অঙ্গীকার। তারপরই হটাৎ করে সব নিশ্চুপ। আমি যে অনেক দিন হলো, তাকে হারিয়ে ফেলেছি ! তোমরা কি তাকে দেখেছো ? সে বলতো , আমি নাকি তার হৃদয় ভোমরা। আজ সেই ভোমরা নিজের ঘর ছাড়া। তোমরা কি পারবে সেই ঘরের সন্ধান দিতে? বিশ্বাস করো তোমরা! তার ভালোবাসায় আমি নতুন প্রাণ খুঁজে পেতাম, তার ছোয়ায় আমার শরীর হতো শিহরিত। মন্ত্রমুগ্ধের মতো প্রগলিত হতাম তার প্রেমে। তার প্রতিটি চুম্বনে, আমার শুষ্ক হৃদয়ে হতো সজীব বৃক্ষের রোপণ। তার হাতে হাত রাখলে আমি সারা বিশ্বকে পরোয়া করতাম না। আজ আমি পাগল প্রেমীকা। তোমরা তাকে খুঁজে দিতে পারবে? সে বলতো , আমার বিরামহীন কথা বলা তার সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে। অথচ ভাগ্যের পরিহাসে আজ সে আমার থেকে অনেক দূরে; এখন আমি একা। পরন্ত বিকিলে অস্তগামী সূর্যের মতো আমার জীবন। অজানা কালো ভবিষ্যতের মধ্যে  এক দীর্ঘ পথ আমায় চলতে হবে ; সর্বহারা আজ আমি তাকে খুঁজ

সুবীর হালদারের কবিতা

ছবি
চিঠি  ------------------------------------- খোকা তুই কেমন আছিস?  কতদিন তোদের খবর পাইনে বিষ্টু কেমন আছে? খুব দেখতে ইচ্ছে হয়।  ভীষণ দুষ্ট হয়েছে ঠিক যেন ছোট্টোটি তুই।  অন্তরে অন্তরে হয়তো ঠাম্মারে খোঁজে!  তবে বলতে পারে না ছোট্টো তো..  অন্য মাদের মতো এখানে আমি বেশ আছি।  তোদের ভাবনায় দিন কাটে তবে রাতটা কিছুতেই কাটতে চায় না।  মনটা একটা ভরসার হাত খোঁজে খোঁজে মা ডাক।  বৌমা অকারণে আর রাগ করেনা নিশ্চয়ই!   দেয়না বাবার বাড়ি যাওয়ার অজুহাত।  ওর সমস্ত রাগের কারণই আমি ছিলেম বড় অভিমানি মেয়ে ওর খেয়াল রাখিস। খোকা পূর্বের বকুল গাছটি আছে?  তুই যখন এক বছরের দুলেদুলে চলতি তোর বাবা গাছটি এনেছিলেন।  বলতেন বয়সকালে দাদু ভাইয়ের সনে বকুলের গন্ধ ছায়াতলে খেলায় মাতবো। বসবার ঘরে ওনার সাদা-কালো ফটোটা আছে?  নাকি সৌন্দর্য নষ্টের শঙ্কায় বাক্সে ঠাঁই পেয়েছে?  গত ভাদ্রে চিঠি দিলি আশ্বিনে আসবি পথ পানে চেয়ে রইলাম খোকা আসবে!  দূর হতে ভেসে আসছে আষ্টমী মন্ত্র  উলু-শঙ্খধ্বনি ঢাকের আওয়াজ।  জানালায় চেয়ে দেখি- নূতন বস্ত্রে সন্তান নিয়ে মা চলেছ

দীপজয় গাঙ্গুলী // কবিতা

ছবি
       হৃদয় অর্থনীতি বড় সস্তা আজ মন , সমাজে – অমূল্য বলে বিনামূল্যে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে । হৃদয় তুলাযন্ত্রে গোলযোগ – একটু বেশি দিয়ে দেয় দোকানদার ।                                         আমার সে খদ্দের , যাকে আমি দিয়েছি – দাম সে কি দেবে ! খদ্দের আমার একটু বেশি কিপটে , অগত্যা বিনামূল্যে বিতরণ । বাজারে মুদ্রাস্ফীতি , দাম তবু বাড়াইনি । কেইনসিয় সমীকরণ গোলমেলে ঠেকে , জীবণ সূচক নেমেই চলেছে – বড় টালমাটাল জীবনের অর্থনীতি । পড়ন্ত বাজারে , দুরন্ত ছোকরার সীমাহীণ প্রেম জীবণের অর্থনীতিকে তার অর্থ বোঝাতে চায় । কিন্তু খদ্দের কে সন্তুষ্টকরা চাই , বড় সাচ্চা এ দোকানদার । ওহে খদ্দের ! চেয়ে দেখ  চারিপাশে বাজারে হৃদয় মূল্য বেড়েয় চলেছে ,শুধু কম এ দোকানে । ঠকে যেওনা বেশি দামে ভালো পাবে বলে , জীবণের গুদামে পচন ধরেছে , সাবধানে । জীবণ অর্থনীতি বেসামাল , মুদ্রাস্ফীতি চারিদিকে – কিছু সমীকরণ বহু অর্থনীতিবিদ দেবে তোমায় , ঠকে যেওনা জীবণের অর্থনীতিতে ; প্রিয় গ্রাহক

কবিতা // অমিত দেশমুখ

ছবি
ছদ্মবেশী .......…............................ পৃথিবীর অসাড় তথ্য গুলো  কি হবে পড়ে ? আমি তোমায় সেই টুকুই শিক্ষা দেব যেটুকু আমার। যেটুকু জেনে  নিজের ডাল ভাত নিজেই যোগাড় করা যায় দীর্ঘ উপবাসের বদলে উপবাস ভেঙে। আমাদের শিক্ষা লক্ষ লক্ষ বেকারের জন্ম দেয় ছদ্মবেশী বেকার। যারা মাটিকে ভয় পায় লঙ্গলকে ভয় পায়। আমি তোমায় উৎপাদনের শিক্ষা দেব ডালভাতের শিক্ষা। ডাল ভাত ছাড়া, পৃথিবীর গভীরতম খাদ মারিয়ানা। পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ এভারেস্ট। সুপেয় জলের হ্রদ সুপিরীয়র। ক্রেমলিনের ঘণ্টা। কুইন এলিজাবেথ। পানিপথ। খানুয়া। বক্সার। এম.এ বি.এড। এমনকি পৃথিবীর বৃহত্তম হীরক কুন্নিলান মানুষের পেট ভরাতে পারে না। ........................................ নাম - অমিত দেশমুখ ঠিকানা - গ্রাম - চকদৌলত পো: মুচিশা থানা: নোদাখালি জেলা: দক্ষিণ ২৪ পরগণা।

কবিতা // শিবপ্রসাদ গরাই

ছবি
ছদ্ম-বিপ্লবী আমি নিশ্চিত ছিলাম , একদিন তোমার আমার দেখা হবে লাল উপত্যকায়  বিপ্লবের নেশায় বুঁদ হয়ে ছেড়েছিলাম ঘর, আত্মীয়স্বজন,পাড়াপড়শি  তুমি আর আমি নিয়েছিলাম শপথ এগিয়ে যাবার,হারিয়ে দেওয়ার  পুঁজিবাদীর মিথ্যে ফানুস । আমি নিশ্চিত ছিলাম  একদিন সব দরজা জানালা খুলে যাবে  আমাদের ওষ্ঠের চুম্বনে  দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে লাল নিশান  চুম্বনের আঘাতে বিশ্বে সুনামি আসবে  লন্ডভন্ড করে দেবে ধনীর অট্টালিকা, গরিবের কুঁড়েঘর  আমরা আবার নতুন করে সভ্যতা নির্মাণ করব যেখানে উড়বে শুধুই চুম্বনের লাল নিশান । আজ এতদিন পর এসব কথা ভাবলে হাসি পায়  ছাপোষা মধ্যবিত্ত জীবন , পায়ের উপর পা তোলা সকাল , ছুটির দিনে ট্যাংরা অথবা গলদা , ছেলের ইংলিশ মিডিয়াম , বেশ ভালোই আছি বলতে পারো । ওসব বিপ্লব-টিপ্লব আমার দ্বারা হবে না  তার চেয়ে চলো একদান লুডোই  খেলি । ========================                        শিবপ্রসাদ গরাই                        পোস্ট ও জেলা বাঁকুড়া                        পিন  722101                      

কবিতা ।। আশিস ভট্টাচার্য

ছবি
 তোমায় ডাকবো বলে  তোমায় ডাকবো বলে নজর দিয়েছি গোটা পথের পরে কখন তুমি আসবে সামনে দিয়ে দিন কেটেছে বৃথা অপেক্ষায় তোমায় ডাকবো বলে সুর সেধেছি হেরে গলায় কত না গান কত কাব্য গাথা ভেস্তে গেল আমার সকল প্রয়াস তোমায় ডাকবো বলে বানিয়ে ছিলাম নতুন পোশাক খানি মলিন হল জীর্ণ হল সেটি স্থান পেলো সে আবর্জনার মাঝে এ পথ দিয়ে গেলে হাজারবার বেড়েছে হায় বুকের ধুকুপুকু শুকিয়ে গলা হল মরুভূমি জিভ দিয়ে আর বেরোয়নিকো স্বর তাকিয়ে ছিলে জ্যোৎস্না ভরা চোখে আমি তখন ডুবছি ক্রমে ক্রমে চারিদিকে মোর ভয়ের চোরাবালি তোমায় ডাকার হলোনা ফুরসৎ ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, আশিস ভট্টাচার্য শান্তিপুর নদিয়া

গল্প // মোহাঃ বেলাল উদ্দিন মন্ডল

ছবি
বাস্তব অভিনেতা বড়বাবু --আরে তুই আজও এখানে দাড়িয়ে।গতকাল তোকে মেরে তাড়িয়ে দিলাম। শ্রমিক--হাঁ সাহেব! বড়বাবু --তবে এখানে দাঁড়িয়ে লকডাউন মানছিস না কেন? শ্রমিক--সাহেব আমার জমি জায়গা নেই,আমি দিন মজুর ।বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা মা ও ছেলে মেয়ে রয়েছে। বড়বাবু--তাতে কি হয়েছে। শ্রমিক --আমি এখানে রোজ দাঁড়িয়ে থাকি ,কারো কাজ থাকলে আমাকে বলে আর সেটার পরিবর্তে টাকা পায় তাতে আমার সংসার চলে তাই দাঁড়িয়ে থাকি।করোনার ভয় আমার ও আছে।তবে আমার জন্য কয়েকজন অপেক্ষা করে থাকে। পুলিশ --সাহেব পাশে শুনুন ,লোকটি বড়ো অসহায় তবুও কেমন অভিনয় করে হাসিমুখে কথা বলছে ।দুঃখ থেকেও বোঝা যাচ্ছে না।ওকে আজ মেরেন না। বড়বাবু --কাওকে মারতে আমারও ইচ্ছা করে নারে তবে আইন মেনে অভিনয় করে কাজ করতে হয়।দুঃখ আমাকেও লাগে।যদি ভয় না দেখায় তাহলে রোগ ছড়িয়ে সকলে মারা যাবে। পুলিশ--হাঁ বাবু মনে দুঃখ নিয়ে হাসিমুখে বাস্তবে অভিনয় করে চলতে হয়। আমাদের মত কত বাস্তব অভিনেতা অভিনয় করে ঘুরে বেড়াচ্ছে একমাত্র মহান ঈশ্বর-ই জানে। ====================== মোহাঃ বেলাল উদ্দিন মন্ডল পিতা মোহাঃ আব্দুল হান্নান গ্রাম -ভাবতা পোস্ট,- ভাবতা থানা -বে

কবিতা // অন্বেষা দত্ত

ছবি
ঝরা পাতা যখনই পড়বে এই চিঠি মনে পড়বে আমার কথা একসাথে দু'জনের অনেকটা পথ হাঁটা সেই শান্তিনিকেতনে কোপাই নদীর তীরে আমাদের সম্পর্কটা কেমন যেন বদলে গেল ওখান থেকে ফিরে আমাদের একসাথে ঘাসে পা ফেলা দু'জনের কত কথা বলা বা কত কথা না বলা লক্ষ্য করেছিলাম কেমন যেন ছিলে অন্যমনস্ক খুব বেশি না হলেও পরিবর্তনটা ছিল সূক্ষ পাশে থেকেও যেন ছিলে  সেই আগের মত তোমার মনে জপছিলে অন্য কারোর ব্রত তখনও তুমি বুঝি ছিলে দোটানায় শেষ অবধি পুরনোর মায়া কাটিয়েছিলে নতুনের হানায় ঘাসের ওপর নজর কাড়ছিল হলুদ ঝরা পাতা নদীর ধারা মনে করিয়ে দিচ্ছিল আমাদের অনেক পুরনো কথা হলুদ ঝরা পাতার শোভা বাড়াচ্ছিল বিকেলের সোনালী রোদ পাখিদের মিষ্টিডাক জাগিয়ে তুলেছিল তোমার মধ্যে ভালোবাসা বোধ আমাদের সম্পর্কটাও ঠিক যেন ঝরা পাতা ঝরে তো গেল, কিন্তু তোমার কখনো হয়নি ব্যথা? ================== নাম - অন্বেষা দত্ত Address - 15/D, Rajendra Lal Street,                     Kolkata - 700006 Location - Near Manicktala Post Office P.O. - Beadon Street P.S. - Narkeldanga

একটি কবিতা // দেবব্রত ভট্টাচার্য্য

শুভানুধ্যায়ী মহিসাদল বই মেলা থেকে চট জলদি বেরিয়ে এলাম মনটা বাড়ীর টানে বড় টানছিল, মা মুখো ছেলে।  বেরিয়েই একটা টোটো পেলাম  সাথী জুটলো মনের মত, -মৃনালদা।  রাস্তাটা চওড়া নয়, পাশে সাইকেলের স্রোতে উজান ভাটির টান।  আরও সরু একটা গলি থেকে সবুজ স্কার্ট সাদা জামার মেয়েটা  হঠাৎ বেরিয়ে এসে হুড়মুড়িয়ে পড়ল টোটোর উপর।  সাইকেল টা ছিটকে গেল  টোটোর সামনে চাকার তলায় মেয়েটির হাঁটু, ডান কব্জিটা।  টোটোওলা নিজেই নেমে মেয়েটিকে চাকা মুক্ত কোরে  পথের পাশে নিয়ে গিয়েছে, এদিক ওদিক দেখছে। বোধহয় জল এবং সাহায্য খুঁজছে।  আমরাও রাস্তায়, অসহায়।  বেশী সময় লাগেনি। বহু শুভানুধ্যায়ী ভীড় করে এলেন।  টোটো চালকই লক্ষ্য। আমরা উপলক্ষ্য তো বটেই।  মেয়েটির প্রতি তাঁদের একটা কর্তব্য তো আছে!  যতই হোক সচেতন নাগরিক বলে কথা,বেচারা মেয়েটা ! তখন ও যন্ত্রণায় কুঁকড়ে তার দেহটা।  মৃনালদা বোঝাতে গেলেন, আরও উত্তেজনা  ! আমরা তো বিরোধী পক্ষের। এখন বিচার সভা চলুক। চিকিৎসা ? এ ঠিক পালিয়ে যাওয়ার তাল।  টোটো চালক কে বাঁচিয়ে যখন বেরিয়ে এলাম  ততক্ষণে একই পোষাকের কয়েকটি মেয়ে ঘিরে দাঁড়িয়ে ম

কবিতা- শতানীক ভট্টাচার্য

ছবি
   "শপথ"       মেঘের পরে মেঘ জমেছে জল ভেঙেছে বাঁধ! মরার দেশে বিপদ গুনেও করছি বাঁচার সাধ!!      করছে লড়াই ,দেশজুড়ে ভাই  হাত ধরো সবাকার! অভুক্ত মানুষ সহস্র মরে  চারিদিকে শুধু হাহাকার!!          সময়ের সব বেড়াজাল ভেঙে মৃত্যু-জ্বরা-ব্যাধির বাঁধন ছিড়ে! দাঁড়াবে দেশ আপন বলে ফিরবে মানুষ স্বপ্ননীড়ে!!         নতুন ভোরে ফুটবে আলো জীবন-ই দেখাবে আশার প্রদীপ!  গড়বো পৃথিবী ,বাঁচাবো সবুজ, এটাই মোদের হোক শপথ!! ................................... নাম- শ্রী শতানীক ভট্টাচার্য পেশা- শিক্ষকতা( পদার্থবিদ্যার শিক্ষক) গ্রাম ও পোস্ট -বাইনান /থানাঃ- বাগনান /জেলা- হাওড়া দূরভাষ- 9733694590 Email id- shatabhatt@gmail.com

কবিতা // শুভজিৎ দে

ছবি
মিনিয়াপোলিস এর উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত আকাশে হঠাৎ কালো মেঘের সঞ্চার আলোহীন গাঢ় অন্ধকার থেকে  একটু আলোর জন্য– নিউইয়র্ক থেকে লস এঞ্জেলেস, মিনিয়াপোলিস থেকে ওয়াশিংটন পিয়ানোর সুর ভেসে উঠছে আমার পিয়ানো নেই, অথচ অন্ধকারের ভীষন ভয়! আমার কালো মাউথ অর্গানে পিয়ানোর সুর ভেসে ওঠে। ============ শুভজিৎ দে গ্রাম - শাশপুর জেলা - বাঁকুড়া  চলভাষ নং- 9091709626

ভ্রমণ // রাম সরেন

বেলুড় মঠ ও দক্ষিণেশ্বর ভ্রমণ" কলেজে রোজ ক্লাস করতে করতে কেমন যেন ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলাম, বার বার মনে হচ্ছিল কোথাও যদি একটু ঘুরে আসতে পারতাম। সকালে কলেজে যাও বিকেলে বাড়ি ফেরো এই একঘেয়েমিটা আর মোটেও ভালো লাগছিল না। একদিন হঠাৎ জোস্না বলল  -- "কীরে বেলুড় মঠ বেড়াতে যাবি ?" --"তোরা কে কে যাবি ।" --"ওই তো আমি, রূপা, সহিনী, কবিতা, আর অতসী।" --"আর আমি একা যাব " --"আমি আছি তো " --"জানি তুই আছিস,  আচ্ছা ভেবে বলছি " --" দেখছি ফেকছি নয়, তুই যাবি ব‍্যাস্ , আমি কিছু জানিনা তোকে যেতেই হবে " সবার জীবনেই এমন একজন বন্ধু থাকে যার কথা তুমি না শুনলেও তোমার মন শুনতে বাধ্য, আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। পরের দিন কলেজে গিয়ে জানতে পারলাম ওরা বেড়াতে যাবার দিন পর্যন্ত ঠিক করে ফেলেছে ,৩০ শে নভেম্বর । কি আর করি ওর কথা ফেলতেও পারলাম না। বললাম --"ঠিক আছে যাব " আমি সবকিছু প্রায় ভুলতে বসেছিলাম, ২৯ শেষ নভেম্বর রাতে জোস্না ফোন করে বলল --" কী রে মনে আছে তো ? কাল সকাল ৮:১০ এ ট্রেন।&quo