পোস্টগুলি

মে ১৭, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৫১তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ মে ২০২২

ছবি
  সূচিপত্র  প্রবন্ধ ।। পরলোক চর্চায় রবীন্দ্রনাথ ।। অনিন্দ্য পাল প্রবন্ধ ।। বাঙালি জাতিসত্তার বাতিঘর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।। পাভেল আমান নিবন্ধ ।। রবীন্দ্রনাথের নারীভাবনা ।। তপতী মণ্ডল প্রবন্ধ ।। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য : মিঠেকড়া কাব্য থেকে ।।  শিবপ্রসাদ পুরকায়স্থ  নিবন্ধ ।। স্বাতন্ত্রের স্রষ্টা কাজী নজরুল ইসলাম ।। শেফালি সর নিবন্ধ ।। নজরুলের জীবনের শেষ চৌত্রিশটা বছর ।। শংকর ব্রহ্ম রবীন্দ্র বিষয়ক গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতা ।। রবীন্দ্রনাথ ।। অজিত কুমার জানা কবিতা ।। আমার নজরুল ।। সান্ত্বনা ব্যানার্জী কবিতা ।। রবীন্দ্রনাথ ।। কার্ত্তিক মণ্ডল কবিতা ।। রবি-নজরুল ।। বদ্রীনাথ পাল কবিতা ।। রবীন্দ্রনাথ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। প্রবল বিদ্রোহে ।। সুবীর ঘোষ কবিতা ।। পঁচিশে বৈশাখ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কিশোর বিদ্রোহী কবি ।। শ্রীমন্ত সেন কবিতা ।। তথাগত ।। প্রতীক মাইতি কবিতা ।। আগুন কবি ।। অরুণ কুমার দাঁ প্রবন্ধ ।। সাহিত্য দলিত ।। জীবনকুমার সরকার কবিতাগুচ্ছ ।। রাজেশ্বর গোপাল কবিতা ।। অসময়ের স্বরলিপিতে ।। সুমিত মোদক ছোটগল্প ।। বামুনডিহির টুবাই মাহাতো ।। কাকলী

প্রবন্ধ ।। পরলোক চর্চায় রবীন্দ্রনাথ ।। অনিন্দ্য পাল

ছবি
" মরতে মরতে মরণটারে  শেষ করে দে একেবারে   তারপরে সেই জীবন এসে       আপন আসন আপনি লবে। " বিশ্বকবির চেতনায় মৃত্যু এবং জীবন আবহমান বাস্তবতা পেরিয়ে যেন অন্য কোন অনির্দিষ্ট জগতের ইঙ্গিত বহন করছে। দৈব এবং আধ্যাত্মিকতার অপূর্ব মিশ্রণে তাঁর চিন্তা-চেতনা এক ঐশ্বরিক দ্যুতিময়তায় উদ্ভাসিত হয়েছিল। বাস্তব থেকে পরাবাস্তব সর্বত্র ছিল সেই দ্যুতির গতিময়তা। তাঁর চিন্তার সঞ্চারপথে যেমন আনন্দ, বিষাদ এবং প্রকৃতি কে ছুঁয়ে গেছেন, তেমনি প্রায় ৬৮ বছর বয়সে লৌকিক বাস্তবতার পর্দা সরিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন জীবনের পরে কী? মৃত্যুই কি শেষ? না কি তারপরেও কোন জগতে মানবাত্মার পদার্পণ ঘটে! ১৮৭৫ সালে নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠিত থিওসফিক্যল সোসাইটির ভারতে পাকাপাকি আস্তানা জোটে ১৯০৭ সালে অ্যানি বেসান্তের হাত ধরে। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি এই অলৌকিকত্বের সন্ধানকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। ১৮৯০ সালের আগেই হেলেনা ব্লভৎস্কির প্রতিষ্ঠিত থিওসফিক্যল সোসাইটি বর্তমান চেন্নাই এর আদ্যর এ ঘাঁটি গেড়েছিল, কিন্তু অ্যানি বেসান্ত এই প্রতিষ্ঠানের আবেদন ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন ভারতব্যাপী। দয়ানন্দ সরস্বতীর আর্য সমাজ, ঠাকুর পরিবার, নন্দলাল বসু, ডঃ অমিয় চক্

প্রবন্ধ ।। বাঙালি জাতিসত্তার বাতিঘর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।। পাভেল আমান

ছবি
তিনি আজও সুখে দুঃখে, চিন্তনে ভাবনায়, স্মরণে বাঙালি মননে ছেয়ে আছেন। বাঙালি সাহিত্য, সংস্কৃতি, জাতি আবেগ, আবহমান ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বাংলা ভাষা, সাহিত্য সংস্কৃতিকে দেশ কালের গণ্ডি পার করে আন্তর্জাতিক আঙিনায় সসম্মানে সম্মানিত করেছিলেন আমাদের সকলের প্রিয় রবীন্দ্রনাথ। এক কথায় বাঙালি চেতনা, জাগরণের যথার্থ বাতিঘর হিসেবে তিনি প্রতিভূ।আজও কবিগুরুর সাহিত্য সম্ভার গান ও কবিতা বাঙালির অনুপ্রেরণা ও নতুন আশার বাণী। বাঙালির বেঁচে থাকার চিরায়ত অবলম্বন রবীন্দ্রনাথের জীবন দর্শন ও সৃষ্টি সম্ভার। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সবার উপরে। রবীন্দ্রনাথের সমগ্র জীবনের প্রেক্ষাপটেই তাঁর কবিমানস ও সাহিত্যকর্মের স্বরূপ অনুধাবন সম্ভব। জীবনের পর্বে পর্বে তাঁর জীবনজিজ্ঞাসা ও সাহিত্যাদর্শের পরিবর্তন ঘটেছে। যুগে যুগে পৃথিবীতে সাহিত্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা, দর্শন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যে রূপান্তর ঘটেছে, রবীন্দ্রনাথ সবকিছুকেই আত্মস্থ করেছেন গভীর অনুশীলন, ক্রমাগত নিরীক্ষা এবং বিশ্বপরিক্রমার মধ্য দিয়ে। তাই তাঁর সাহিত্যজীবনের নানা পর্যায়ে বিষয় ও আঙ্গিকের নিরন্তর পালাবদল লক্ষণীয়। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার

নিবন্ধ ।। রবীন্দ্রনাথের নারীভাবনা ।। তপতী মণ্ডল

ছবি
"আজি হতে শতবর্ষ পরে  কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি     কৌতূহলভরে, আজি হতে শতবর্ষ পরে!"  হ্যাঁ,বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গান, কবিতা, উপন্যাস, গল্প ও বহুবিচিত্র রচনা- সম্ভার আমরা শতবর্ষ নয়, শত শত বর্ষ ধরে পড়তে থাকবো,আগলে রাখবো। যতদিন পৃথিবীতে মানব সভ্যতা থাকবে ততদিন কবি থাকবেন সমহিমায় তাঁর সৃষ্টির মাঝে। কারণ তিনি শুধু বাঙালীর কবি নন, সমগ্র মানবজাতির কাছেই অনুপ্রেরণাস্বরূপ। সুখ,দুঃখ, প্রেম,ভালোবাসা প্রভৃতি মানবিক অনুভূতিতে যে কোনো মানুষ আশ্রয় পেতে পারেন তাঁর সৃষ্টির মাঝে। তাই বুঝি তাঁর সঙ্গে আমাদের এমন আত্মিক সম্পর্ক;এমন অন্তরের টান। কবি বিশ্বাস করতেন মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক প্রেমের। তাই মহামানবের সাগরতীরে তিনি বারবার মানুষে মানুষে মিলনের ধ্বনি উচ্চারণ করেছেন।  রবীন্দ্রনাথ নারী জীবন ও নারীমুক্তির নানা প্রেক্ষিত নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন তাঁর লেখনির মাধ্যমে।আমি তাঁর বিস্তীর্ণ ও বর্ণময় সাহিত্যউদ্যান থেকে দু-একটি কুসুম চয়ন করেছি তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। কবি রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিভিন্ন রচনায় তৎকালীন সমাজে নারীর বিচিত্র অবস্থানকে ফুটিয়ে তুলেছেন।নারী এখানে এ

প্রবন্ধ ।। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য : মিঠেকড়া কাব্য থেকে ।। শিবপ্রসাদ পুরকায়স্থ

ছবি
        কিশোরকবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, জ্ঞান থেকে শুনে আসছি। আমি মনে করি বাস্তবিক ভাবে মননে চিন্তনে পরিণত এক কবি। কয়েকটি কবিতার পংক্তি সবার মুখে মুখে ফেরে। সম্ভবত পাঠ্যপুস্তকে বাধ্য হয়ে পড়ার দৌলতে। অনেক বেশি অপঠিত মূল্যবান লেখার খোঁজ কজন রাখি।         যেমন 'পূর্ণিমা চাঁদ যেন, ঝলসানো রুটি'। 'খাদ্যের খোঁজে এসে, খাবারের টেবিলে খাদ্য হয়ে যাওয়া'। গুরুগম্ভীর অতি রুঢ় বাস্তব লেখায় তুলে ধরেছেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য।         কবির জীবন খুব সুখের মধ্যে কাটেনি। তবুও জীবন থেকে হাসি ঠাট্টা রসিকতা শেষ হয়ে যায়নি। সুযোগ পেলে তারাও কবির কলমে প্রাণবন্ত হয়ে ফুটতে থাকে। "মিঠেকড়া" কাব্যগ্রন্থে নিজেকে প্রকাশ করে। তার টুকরো টুকরো অংশ এই লেখায় দেখতে পাবো।        "অতি কিশোরের ছড়া"য় কবি কেমন ছিলো অনেকটা আঁচ করা যাবে। সেটাই শান্ত প্রকৃতির নয়, নিজেই লিখেছেন। আসলে কবিরা আলাদা করে নিজের কথা লেখেন না। সবার মধ্যে নিজেকে প্রকাশ করে।       কবি মতের বিরুদ্ধে কিছুই গ্রহণ করতেন না। তথাকথিত বুঝদারদের সম্পর্কে অভিমত 'পণ্ডিত এবং বিজ্ঞজনের দেখলে মাথা নাড়া,/ ভাবি উপদেশের ষাঁড়ে করলে বুঝি তা

নিবন্ধ ।। স্বাতন্ত্রের স্রষ্টা কাজী নজরুল ইসলাম ।। শেফালি সর

ছবি
স্বাতন্ত্রের স্রষ্টা  কাজী নজরুল  ইসলাম শেফালি সর          নতুন  সৃষ্টির সাধনা  ছিল নজরুলের শিল্পী  সত্তার মূল  প্রেরণা  ও প্রবণতা। আর ঠিক  সেইজন‍্যই সমাজ, সংস্কৃতি, শিল্প সর্ব ক্ষেত্রে পুরাতন ধ‍্যান ধারণা ও মূল‍্যবোধ ভাঙার  জন্যে  তিনি  বিদ্রোহী।কবি,গল্পকার,ঔপন‍্যাসিক, নাট‍্যকার, গীতিকার, সুরস্রষ্টা সকলেই মূলতঃ সৃজনশীল  শিল্পী।নজরুলের শিল্পী  সত্তা প্রচলিত  পরিচিত গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছন্দ  ছিল না।তার প্রবণতা  ও আনন্দ  ছিল -'নিজের জন্যে  আলাদা  পথ তৈরী করে নেওয়া।' অর্থাৎ  নব নব সৃষ্টিতে  নতুন  ঐতিহ্য  ও মূল‍্যবোধের সৃষ্টি  করা।নজরুল করেছিলেনও তাই-সেই জন‍্যেই নজরুলের  আগের  ও পরের বাংলা সাহিত‍্য বা সংস্কৃতি  এক  নয়,বরং স্বতন্ত্র,আর সেই  জন‍্যেই কাজী নজরুল  হলেন  স্বাতন্ত্রের স্রষ্টা।             নজরুলের  শিল্পী সত্তার  এক অজানা  রূপের পরিচয়  পাওয়া যায় -১৯৪১সালের মার্চ মাসে বনগাঁ সাহিত‍্য সভায় প্রদত্ত  এক ভাষণ থেকে।তিনি বলেছিলেন -"আমার সাহিত্য  সাধনাতে কোনো বিলাস ছিল  না।আমি আমার  জন্মক্ষণ থেকে  যেন  আমার শক্তি  আর  আমার  অস্তিত্বকে সর্বদা খুঁজে  ফিরেছি।জীবনে কোনোদিন

নিবন্ধ ।। নজরুলের জীবনের শেষ চৌত্রিশটা বছর ।। শংকর ব্রহ্ম

ছবি
                           বাস্তবতা অনেক সময় কল্পনাকেও হার মানায়। এটা এমনই বাস্তবের এক মর্মান্তিক করুণ কাহিনী। গল্প হলেও সত্যি।                     নজরুলের জীবনের শেষ চৌত্রিশটা বছর ছিল মর্মান্তিক । অনেক অবহেলা আর বঞ্চনার শিকার হয়েছিলেন তিনি।          ১৯৪২এর ৯ই আগষ্ট থেকেই কবি অসুস্থ হয়ে পড়েন । তখন তিনি আক্ষরিক অর্থেই কপর্দকশূন্য । সংসারে দুই শিশুপুত্র , পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রীপ্রমীলা , শাশুড়ি গিরিবালা । ১৭০০ গানের রেকর্ডে লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফার করেও গ্রামোফোন কোম্পানী তার কোন রয়ালটি দেননি ,তাঁর লেখার প্রকাশকরা ফিরেও তাকাননি।  কবির অসুস্থতার কারণ , 'নবযুগ' সম্পাদনা কালে একবার কবি উত্তরপাড়ার এক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় , একদল  দুষ্কৃতিদের দ্বারা প্রহৃত হয়েছিলেন , তাঁর ঘাড়ে ও মাথায় কঠিন আঘাত লাগে।  নির্বাক কবি যখন বাংলাদেশে (১৯৭২), তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেলবোর্ড, কবির ঘাড়ের পুরাতন কঠিন আঘাতের চিহ্নটি সনাক্ত করেছিলেন ।            তার একবন্ধু জুলফিকার হায়দার খবরের কাগজে প্রচার করে দেন নজরুল 'উন্মাদ' হয়ে গেছেন ।             শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আর্থিক সহায়তায় কবিকে স

রবীন্দ্র বিষয়ক গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম

ছবি
আলোর দিশারী  স্বপ্নের বারান্দায় রোজ খুন হয়ে থাকি বেলা গড়িয়ে বিকেল হয় লাটাই এর সূতো আসে কমে মৃত্যুর দুয়ারে ফেলে আসা ঐতিহ্যের নির্মাণ কৌশল খুঁজে পায় সুরেলা বাতাসে রাতের প্রশ্রয়ে জমে আছে কাদা মাখা স্বপ্ন অশ্রু আর বেদনা ধুয়ে দেয় কলঙ্ক  পিচ্ছিল হয় পথ  মানবতা ভিজে যায় ধর্মের করুন জলে মগ্ন চৈতন্যের দীঘিতে স্নান করে বলি (আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ তলে)  কাঙালী পৃথিবীর মনে ভাসে দুর্বার আকাঙ্ক্ষা  সাহিত্যের প্রতিটি উঠোনে নেচেছে ময়ূর   যদিও হাওয়ায় ভেসে চলেছে কষ্ট কথারা দেহ খুলে উড়িয়ে দিয়েছো মানবতার ঘ্রাণ তাই তো  তোমারই পূজা করি কায়মনে    ###  রবীন্দ্র চর্চা   প্রহরী বিহীন লেভেল ক্রশি‍ং  বেপরোয়া রাস্তা পারাপারের গল্প এখন ভাইরাল    উৎসবের রঙিন ফোয়ারায় ভাসছে চরাচর বিশুদ্ধতা অভিমানে মুখ লুকায়  ঈশ্বরীয় তত্ত্বসঙ্গীত মাতালের পাল্লায় বেসামাল        তানসেন অভিমানে মুখ লুকায়    ### মায়াবী জলে শুদ্ধ হই জাগরণের মোহ উৎসারিত হলে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে পাড়ায় ধর্মের ব্যস্ত অনুভবে আত্ম- দৈন্যতার অসুখ বাড়ে  হাসপাতালের বেডে শুয়ে পালন করি নিস্তব্ধতা  মানবিক দৃষ্টির  অকুন্ঠ আহ্বানে খুঁজে পায় বিশ্বাস     তোম

কবিতা ।। রবীন্দ্রনাথ ।। অজিত কুমার জানা

ছবি
রবীন্দ্র সঙ্গীতের চকচকে দর্পণে,  কালবৈশাখী হয়, জন্মদিনের ঝড়। আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে,  বিশ্বকবির অমর ধ্বনি দেশান্তর।। রবি মামা, দেয় হামা,  কবির শিশুমনের বাস্তব কথন।  পঁচিশের সকালে রাঙা জামা,  স্মরণ, বরণ, শ্রদ্ধা, বিনোদন।। সমভূমি, মালভূমি, অরন্য, পাহাড়,  সংখ্যা মালার হৃদয় সিংহাসন।  থইথই উত্তাল জনসমুদ্র পাড়, পঁচিশে বৈশাখ শুভ আগমন।। প্রভাতের দুহাতে রবির শাঁখ, সমভূমি-পাহাড় নয় অনাথ।  মুদ্রিত সংস্করণে পঁচিশে বৈশাখ,  সূচনা ও উপসংহারে শুধু রবীন্দ্রনাথ।।   ===========   অজিত কুমার জানা  গ্রাম +পোষ্ট-কোটরা, থানা-শ্যামপুর,  জেলা-হাওড়া, পিন-৭১১৩০১, পশ্চিমবঙ্গ। 

কবিতা ।। আমার নজরুল ।। সান্ত্বনা ব্যানার্জী

ছবি
         তোমায় নিয়ে লিখি এমন সাধ্য আমার কই!  তোমার গানের সুরে আমি মগ্ন হয়ে রই।             সারা দিনের কাজের মাঝে,              তোমারই গান কণ্ঠে বাজে,              পূজার গানে প্রেমের তানে,              বীনা বাজাও আমার প্রাণে, ভাষায় তোমার যাদু এমন মাতাল হয়ে রই! আমার ভাষায় তোমায় আঁকি সাধ্য আমার কই! বিদ্রোহে আর রণসাজে তোমারই দুন্দুভি বাজে, লৌহ কপাট পড়লো ভেঙে ধুলার পড়ে ওই।              শ্যামের বাঁশি,শ্যামার অসি,              সমান বাজায় তোমার মসী, সবার ওপর মানুষ সত্য,এর বেশী আর কই! তোমার সুধায় হৃদয় ভরে প্রণত আজ হই।   =============

কবিতা ।। রবীন্দ্রনাথ ।। কার্ত্তিক মণ্ডল

ছবি
          চির সুন্দর, চির অম্লান ,নিত্য বিরাজিত তুমি তোমার কবিতা,গান,আজও কাঁপায় বিশ্ব ভুমি । প্রতি ঘরে ঘরে সব অন্তরে সকাল কিম্বা সাঁঝে কত না মধুর দূর অতি দূর সুর সংগীত বাজে । জয়ের তিলক ললাটে সজ্জা গীতাঞ্জলির কবি আকাশ বাতাস সারা বারোমাস মনোরম করা ছবি। কতনা গ্লানির মুখোশ খুলে,অবিচারে করেছ ঘাত কতনা ব্যথার পাহাড় ভেঙেছ জাগরিত কত রাত সবার মুখে ফুটিয়ে হাসি জালিয়ানে জ্বালো আলো কলম খুঁচিয়ে রক্ত ঝরাও সমাজের মুছো কালো অজ্ঞানে দিলে জ্ঞানের বিভুতি দুখিরে‌ তো দিলে সুখ এত দিনও পরে ঘরে বাইরে তাই সদা উৎসুখ । কত প্রেরণার স্রোত হয়ে তুমি ভাসিয়েছ জোয়ারে কত বিবেকের বন্ধ দোয়ার খুলেছ অগ্নি ফোয়ারে কত না মিথ্যা সত্যের কাছে বারবার কুপোকাত আছ সব হৃদে আসল ও সুদে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ। ----------------------

কবিতা ।। রবি-নজরুল ।। বদ্রীনাথ পাল

ছবি
  বৈশাখেতে রবীন্দ্রনাথ, জ‍্যৈষ্ঠতে নজরুল- একটি যেন ভোরের কোকিল, একটি ফোটায় হুল। "ক্লান্তি আমার ক্ষমা কর প্রভূ" গেয়ে চলে একজন- "মাথা নত নয়", অপর জনা করে ওঠে গর্জন। একের হাতে দিচ্ছে শোভা 'গীতাঞ্জলি', আর- ঝঙ্কার দেয় একের হাতে 'অগ্নিবীণা'র তার। একের কণ্ঠে সুললিত ছন্দ সুরের বাঁক, বজ্রমুষ্টি, কণ্ঠে একের শেকল ভাঙার ডাক। একটি যেন শান্ত নদী- শান্ত তাহার তীর, উথাল পাথাল আর এক নদীর বুকে ঢেউয়ের ভীড়। দখিন মলয় সকাল বেলার একজনা সু-স্বর অপরজনা বিকেল বেলার কালবোশেখীর ঝড়।   -----------------------------------      বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোষ্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া, ৭২৩১৩১ ফোন-৮১৫৯০৭৬৫৪৮ ---------------------------------

কবিতা ।। রবীন্দ্রনাথ ।। প্রতীক মিত্র

ছবি
তাও...অনেক দিন তো হল! ট্রাফিকেও জায়গা হয়ে গেছে আপনার শহীদ কাদরি যেমনটা ভেবেছিলেন। গণতন্ত্রীকরণের ড্রিলিং মেশিনে, ফিউশনে আপনার ধ্রুপদী বাহারকে  আকার-আকৃতি দেওয়ার কাজও প্রায় শেষ। সংস্কৃতির কি যানজট ছেড়েছে? মসৃণ যাতায়াত হলে আসা-যাওয়া, যাওয়া-আসায় বেশ একটা স্বাভাবিকতা আসে। সেই সব রাবীন্দ্রিক স্থিরতা, অবসর কে আর চায়? আপনি লাল নীল আলো দিয়ে গান শুনিয়ে পরিস্থিতিটাকে অভ্যেসের মতন করে দেবেন এটাই সবার বিশ্বাস। আপনাকে নিয়ে আমাদের গর্ব ছাড়া আর কিই বা আছে? চট করে ব্যবহার করে মাটিতে নামিয়ে  চর্চা যদি হয় সেই আশায়  শেষমেশ ট্রাফিকেও জায়গা দিয়েছে আপনাকে। সংস্কৃতির যানজট ছাড়ান আপনি! ==================== প্রতীক মিত্র কোন্নগর-712235, পশ্চিমবঙ্গ