পোস্টগুলি

নভেম্বর ২৭, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

সূচিপত্র ।। ৬৯তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩০ নভেম্বর ২০২৩

ছবি
  সম্পাদকীয় উৎসব সংখ্যার জন্য যে-সমস্ত লেখা এসেছিল, তার সব আমরা প্রকাশ করতে পারিনি। অতিরিক্ত লেখাগুলির সঙ্গে কিছু নতুন লেখা নিয়ে এই সংখ্যাটি প্রকাশিত হল। কেমন হল জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। সৃজনে থাকবেন।  নমস্কারান্তে, নিরাশাহরণ নস্কর   বিজ্ঞপ্তি: মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৪ সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান।  ইমেল: printednabapravat@gmail.com বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলাদেশে সাঁওতাল আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবন যাপন ।। রুদ্র সুশান্ত তিনটি কবিতা ।। আবদুস সালাম উপন্যাসিকা ।। মুদ্রার উল্টো পিঠ ।। সুদীপ পাঠক স্মৃতিকথা ।। মনের স্মৃতিতে ।। দীপক পাল নিবন্ধ ।। খিদে ।। দীপঙ্কর বেরা বড়গল্প ।। মানতে মানতে ।। কাকলী দেব গল্প ।। ছেলেবেলা ।। সম্পা মাজি অনুবাদ গল্প ।। সত্যজিৎ রায়ের লেখা 'বর্ণান্ধ' গল্পের ইংরেজি অনুবাদ ।। রণেশ রায় গল্প ।। দরাদরি ।। সেখ মেহেবুব রহমান দুটি অণুগল্প ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল গল্প ।। সান্ত্বনা চ্যাটার্জি ।। রঙিন পাথর দুটি কবিতা ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। এভাবে না বললেই হতো ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী নিবন্ধ ।। নারীদের প্রকৃত রূপ ।। এস এম মঈনুল হক তিনট

প্রবন্ধ ।। বাংলাদেশে সাঁওতাল আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবন যাপন ।। রুদ্র সুশান্ত

ছবি
সাঁওতাল আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবন যাপন রুদ্র সুশান্ত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে নানান জাতি ও ধর্মের লোক একত্রে বসবাস করে। বাঙালির পাশাপাশি অনেক আদিবাসী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাতিসত্তার বসবাস এখানে। এদের সাথে আমাদের বাঙালিদের দৈহিক, পারিবারিক, সামাজিক ভিন্নতা রয়েছে। ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, পোষাক-পরিচ্ছদ, বিবাহ ও বিভিন্ন উৎসবেও তারা বাঙালিদের চেয়ে আলাদা। বাংলাদেশে বসবাসরত তেমনি একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাতিসত্তা হলো সাঁওতাল ( Santal) । সাঁওতালদের আদি নাম হলো- সান্তাল, হড় ( মানুষ ),সান্দাল, সন্থাল, সান্থাল ও সান্তাড় । বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মধ্যে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী অন্যতম।২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দেশে বসবাসরত জনসংখ্যা প্রায় ২,০২,৭৪৪ জন। কিন্তু সে সংখ্যা এখন কমে গেছে, বাংলাদেশ ব্যুরু পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে বসবাসরত সাঁওতাল জনসংখ্যা ১,২৯,০৪৯ জন (পৃষ্ঠা ৩৪) ।  আধুনিক যুগে এসেও সাঁওতাল জনগোষ্ঠী তাদের পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য এবং নিজস্ব সংস্কৃতি দারুণভাবে আটকে ধরে বসবাস করছেন । সমাজবিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে জানা যায় সাঁওতাল জনগোষ্ঠী কোন এক সময় অস্ট্রেলিয়া থেকে এই উপমহাদেশে এসে বসবাস শুরু

তিনটি কবিতা ।। আবদুস সালাম

ছবি
  তিনটি কবিতা ।। আবদুস সালাম   শীত আসে     পাকা ধানের শীষ চামর দোলায় রোদের চাদর গায়ে বাজে আমন্ত্রণহীন নুপূর সারা মাঠ সোঁদা গন্ধে মাতোয়ারা ভোর হলে ই কুয়াশা লেপ্টে থাকে পাড়া মহল্লায় পিঠে পুলীর আমন্ত্রণ অঘ্রাণের পাঠশালায় নামতা শেখায় খেজুর রস কৌতূহলী যুবতীরা বনভোজনের গান করে পূর্ণ চ্ছেদ খুঁড়ে খুঁড়ে দুর্বলতা বিপ্লবী হয় মাঠে মাঠে পড়ে থাকে সঞ্জীবনী উত্তরাধিকার শীতবুড়ী আসে কুয়াশার চাদর মেখে মুখ থুবড়ে পড়ে ছেঁড়া ত্রিপলের বারান্দায় অনিমন্ত্রিত  শীত লজ্জা পায় কাগজকুড়োনীর দল ছেঁড়া টায়ার আর কাগজ পুড়িয়ে রক্ষা করে সেই  নিমন্ত্রণ   অ পেক্ষার বিষণ্ণ পালক   সব কিছু ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম রাস্তায়  ক্লান্ত সময় হামাগুড়ি দেয়  নিঝুম সিঁড়ি বেয়ে নেমে চলেছি  বুকে পুষে রেখেছি নির্ঘুম ট্র‍্যাজেডি  আর  সান্ধ্য সময়ের অবশিষ্ট উচ্চারণ     মাদুর পেতে আকাশের তারা গোনা শুধু   নিয়তি লিখে রেখেছে হাসপাতালের গন্ধময় বিছানা গোঙানির আস্ফালনে কাঁপে বিভেদভূমি  তীব্র ছুঁচ ফুটিয়ে মস্করা করে সেবিকা সুন্দরী ক্ষয়াটে সময় ডানা মেলে উড়ছে  লিখে রাখছি ঝরা পাতাদের আয়ুলিপি  অসতর্ক ঘুমে ঝরে পড়ছে পূর্ণবয়স্ক বিষন্নতা   জলঋতু জুড়ে শুধু

উপন্যাসিকা ।। মুদ্রার উল্টো পিঠ ।। সুদীপ পাঠক

ছবি
   উ প ন্যা সি কা মুদ্রার উল্টো পিঠ  সুদীপ পাঠক  পর্ব : ১ বুক ভরা ভালোবাসা  অঞ্জনা তার দুই ছানাপোনা নিয়ে বাপের বাড়ী এসেছে । মেয়ে বড় ছেলে ছোট । অন্নপ্রাশন হয়ে গেছে, সব ধরণের খাদ্যগ্রহণে অভ্যস্ত, মুখে বোল ফুটেছে, হাঁটতে পারে তবু তাদের দুগ্ধপোষ্য বললে ভুল হবে না । ওদের দিদিমার জিম্মায় দিয়ে ক'টা দিন হাত পা ছড়িয়ে থাকার মজাই আলাদা । বাচ্ছারাও দিম্মাকে পেয়ে আহ্লাদে আটখানা ।  তবে মিসেস অমিতা বর্ধন ডাকসাইটে মহিলা । কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ শুল্ক দপ্তরে উচ্চপদে চাকুরিরতা । স্বামী যতোটাই ব্যক্তিত্বহীন উনি ততোটাই রাশভারী । নইলে সংসার কবেই ভেঙেচুরে খানখান হয়ে যেতো । জীবন সংগ্রামে বহু উত্থান পতনের সাক্ষী তাঁর গুরুগম্ভীর মুখাবয়ব । মেয়ে স্কুলে পড়ার সময় পূর্বতন  কমপ্লেক্সের এক বখাটে ছোকরার হাত ধরে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায় । অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের ভুল বুঝতে পেরে মায়ের বুকে এসে আছড়ে পড়ে । অমিতা দেবী সস্নেহে লালন পালন করতে থাকেন নিজ সন্ততিকে । আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, সহকর্মী ও পরিচিত জনের বহু কটূক্তি, ঠাট্টা তামাশা সহ্য করে বা উপেক্ষা করে সেই মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে উচ্চশি

স্মৃতিকথা ।। মনের স্মৃতিতে ।। দীপক পাল

ছবি
মনের স্মৃতিতে দীপক পাল দুর্গাপুজো আমি বলতে গেলে আমার দীর্ঘ জীবনে তিন রূপে উপভোগ করেছি। ছেলেবেলা , যৌবনে বিয়ের আগে ও পরে ,  আর চাকরি থেকে অবসরের পরে অর্থাৎ বার্ধক্যে। সে যে ভাবেই হোক , আমার প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভালো লেগেছে। এর মধ্যে আমি ছেলেবেলার কথাটাই বলবো যা ছিল বড়ো মধুর। আমার বাস ছিল মধ্য কলকাতার   এন্টালী অঞ্চলে। আমাদের বাড়ির খুব কাছাকাছি তিনটে দুর্গাপূজা হতো। দেব লেনে দেববাবুর বাড়ির বহু পুরাতন একচালার দুর্গাপুজো। এ বাড়ির দুর্গা দালানে একমাস আগে থেকে কুমোররা মাটি এনে ঠাকুর গড়তো। তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা থাকতো জমিদার বাড়িতে। আমরা প্রতিদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একবার ভিতরে প্রবেশ করে দেখে আসতাম। মনে মনে সেইদিন থেকে আমাদের পুজোর আনন্দ লেগে যেত । বড়ো রাস্তার ধারে আমাদের বাড়ির অদূরে জাঁকজমক পূর্ণ দুর্গা পূজা হতো শহীদ স্মৃতি সংঘের। এই পূজার সঙ্গে বহু বিখ্যাত জন যুক্ত ছিলেন। শ্রদ্ধেয় পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ছবির খলনায়ক শ্রী কামু মুখোপাধ্যায়ের বাবা বালাই মুখোপাধ্যায় সঙ্গে বিশিষ্টজনদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি চাঁদা তুলতে আসতেন। এই