Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

নিবন্ধ ।। নারীদের প্রকৃত রূপ ।। এস এম মঈনুল হক

 

নারীদের প্রকৃত রূপ

এস এম মঈনুল হক


   কবিতা দিয়ে শুরু করছি। 

         "সংসারের প্রকৃত মা কে"

মা হয় মমতাময়ী মা গর্ভধারিনী,
মা হয় স্নেহের আধার মা সদা পদ্মিনী।
মা হয় করুণার আধার মা দয়ার অবতার,
মায়ের থাকে পবিত্র হৃদয় মা সর্বদা সদাচার।
সন্ধ্যাকাসের ধ্রুবতারা মা চাঁদের চেয়েও উজ্জ্বল,
শিশুর হাসি মায়ের কাছে চিরকালের সম্বল।
সন্তানের ক্ষুধা নিবারণে মায়ের অন্ন জোটে না,
অভুক্ত মা তবু কখনো প্রভুকে নালিশ করে না।
সন্তানের শত অপরাধে মা হয় ক্ষমা কারিনী,
মায়ের কাছে সকল সন্তান এক চোখেরই রাগিনী।
স্রষ্টা বলেন তোমরা শোনো আমাকে পাওয়ার এটাই হাত,
এমন মায়ের পদতলে সন্তানেরই জান্নাত।
বুকের চামড়া দিয়েও যদি জুতা করো মার লাগি,
শোধ হবে না কভু ওরে দুধের ঋণের এক ভাগই।
এমন মা সবার কাছে চিরকালের অহংকার,
শূন্য হৃদে জাগবে আশা মা যে তাহার অলংকার।
কিন্তু এটাও দেখছি ওগো মায়ের দ্বিচারিতা,
সব মা সন্তানের ত্বরে দেখাই না সম মমতা।
বিয়ের পরে ভাবেন মা আমার সন্তান হয়েছে পর,
এবার হয়তো সেই সন্তান বৌয়ের লাগি স্বার্থপর।
শশুর বাড়ি আসে বৌ নিজের মা-বাপ ছাড়িয়া,
ভাবে সে বৌ এবার আমি মা পেলাম নতুন করিয়া।
ননদ আমার বোন হবে ভাসুর দেওর দাদা ভাই,
শশুর হবে বাপের মত এর থেকে আর কি চাই।
শাশুড়িকে আপন করে মা মা ডাকে বারংবার,
মামনি ডাক শোনার জন্য বৌয়ের মনটি হাহাকার।
কিছুদিন হতেই গত মায়ের একি মূর্তি,
একটু ভুলে বলে সে মা খাটাই বিষম যুক্তি।
উঠতে বসতে দেয় সে খোঁটা বাপের থেকে আন টাকা,
হারামজাদি গিলবি শুধু করবি আমার ট্যার ফাঁকা।
একগাদা কাপড় এনে ননদ মুখে দেয় ছুঁড়ে,
সব কেচে আন তাড়াতাড়ি আছে অনেক কাজ পড়ে।
এসব দেখে বলে স্বামী ওগো প্রাণের প্রেয়সী,
আর সহে না তোমার কষ্ট দেখছে সকল পড়শী।
ভিন্ন ছাড়া নেই যে উপাই তোমায় নিয়ে অন্যথা,
দোষ না করেও ভুগছো তুমি শয়তানিদের সব ব্যাথা।
ছেলে বৌ হল পর মা ননদের ব্যবহারে,
বুঝলো না মা তারও মেয়ে যাবে একদিন অন্য ঘরে।
পাড়ায় পাড়ায় বলে বেড়াই বৌটি তাহার হস্তিনী,
করেছে জাদু তার ছেলেকে সবই বৌয়ের শয়তানি।
পুরুষ যদি হও প্রকৃত প্রাণ দিয়ে বাসো ভালো,
স্ত্রী যে তোমার গায়ের পোশাক কভু এটা নাহি ভূলো।
মা তোমার শ্রদ্ধার পাত্রী স্ত্রী ভালোবাসার,
ন্যায়ের ছায়ায় থাকো সদা করো না কারেও অত্যাচার।
আমি ভাবি কোন ছেলেই মাকে আঘাত করে না,
কিছু মা কিন্তু এই কথাটি আদৌ বিশ্বাস করে না।
কোন বৌ-ই চায়না কভূ ভাঙুক তাহার সংসার,
কিছু শাশুড়ির শয়তানিতে থাকে না আর একাকার।
তাইতো সদা ভাবি মনে শান্তি আসবে কোত্থেকে,
খুজে খুজে বেড়াই ওগো সংসারের প্রকৃত মা কে?
               

      "জন্মদাত্রী স্তন্যপায়ীনি দশমাস দশ দিন গর্ভধারিণী শ্রদ্ধেয়া মাকে কেউ বিন্দুমাত্র ও কষ্ট দেবে না। কেননা তিনিই তোমাকে পৃথিবীতে এনেছেন"
        মায়ের সংজ্ঞা-ই এখানে দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৬ সাল। আমি তখন মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়তাম। খবরের কাগজ পড়ার নেশাটা বরাবরই ছিল। মা এবং ননদের কারণে অনেক বধূকে অকালে আত্মহত্যার যুপকাস্টে বলি দিতে হয়েছে। আজও কিন্তু তার রেস কাটেনি। অনেকটা পথ চলার পর দেখেছি- যে শ্বশুর বাড়িতে বৌমাকে শাশুড়ি মামনি বা বৌমা বলে ডাকে ওই সংসারে দুঃখের লেস মাত্র থাকেনা। অন্যথা উল্টো হয়ে যায়। যেমন বেশিরভাগ শাশুড়ি বৌয়ের খু্ঁত ধরার চেষ্টা করে এবং শেষ পর্যন্ত ছেলেবৌ দুজনই  পর হয়ে যায়। আমার একটা কবিতাঃ

         "মায়েরাও পর করে"

ছাব্বিশ বছরেও-
মায়ের নিকট ছোট্ট ছিলাম।
মায়ের গলা জড়িয়ে ঘুমাতাম।
এল দাম্পত্য জীবন।
পত্নীর প্রতি ভালোবাসা জন্মালো।
একটু একটু করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে,
মা কখন আমাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে
আমি টেরই পাইনি।
যখন হঠাৎ আমাকে-
পরিবার হতে ভিন্ন হতে বলল,
তখনই জানতে পারলাম
মা আমাকে পর করে দিয়েছে।
শুধু ছোট্ট একটা কারণে,
পত্নিকে ভালবাসি বলে ।
কিন্তু, আমার চরম শ্রদ্ধার
বিন্দুমাত্র ও তো,
তার প্রতি কমেনি।
কেন তবে-
মায়েরাও পর করে?
               
        এত গেল একটা দিক। সমাজের পণ শব্দটির জঘন্য রূপ এখনো পাল্টায়নি। এখনো পণের কারণে অনেক বধূকে আত্মহত্যার স্বীকার হতে  হয়। এই দিকটা একবার দেখে নেওয়া যাক। কবিতা আকারে লিপিবদ্ধ করছি। তার আগে কিছু আলোচনা করা যাক। বিয়ে শুরু হতে আর কয়েক মুহূর্ত বাকি। মেয়ের বাবা এসে বলল, এবার বিয়েটা শুরু করা যাক।
-টাকা এনেছেন তো?
-আমি আর পারছি না বেয়াই মশাই।
-তা বললে তো হবে না। ছেলে প্রাইমারি মাস্টার। আশি হাজার টাকায় এমন ছেলে কোথাও পাবেন না। আপনার মেয়ে সত্যিই সুন্দরী বলে এত কমে রাজি হয়েছি। বাকিটা না দিলে--
-আপনি আমার উপর ভরসা রাখুন, এক সপ্তাহের মধ্যে যেমন করে হোক আপনার দেনা শোধ করে দেব।
-তাহলে বিয়ে হবে না।
-গরীব বাপটার ওপর একটু দয়া করুন বেয়াই মশাই। নইলে যে মেয়েটা লগ্ন ভ্রষ্টা হয়ে যাবে।
-ওসব দয়া মায়া আমি করতে পারবোনা। বাকিটা আনলে বিয়ে হবে, নচেৎ--
                মেয়ের বাবা অনেক কান্নাকাটি করল, কিন্তু দয়া সে পেল না। ছেলের বাবা ছেলেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে এমন সময় ছেলে বলল-ওসব টাকা পয়সার আমি ধার ধরি না। বিয়ে করতে এসেছি, বিয়ে করবো।
           শেষ পর্যন্ত ছেলের কথাতেই বিয়ে সম্পন্ন হলো। বরণ ডালা সাজিয়ে রেখেছিল ছেলের মা। দরজার সামনে গাড়ি দাঁড়ালে মা বের হয়ে এসে বললো- দেখি দেখি আমার বৌয়ের মুখখানা, আহ কি সুন্দর আমার বৌ। পাড়া প্রতিবেশীরা বলে, বৌয়ের রূপ যে ধরে না। আহ কি সুন্দর বৌয়ের রূপ। যেন সাক্ষাৎ লক্ষ্মী। এমন বৌয়ের রূপ দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এসো মা তোমাকে বরণ করে ঘরে তুলি।
        এক মাস খুব সুখে শান্তিতে কাটলো বৌয়ের জীবন। এমন সময় ছেলে বলল-বাকি ত্রিশ হাজার পাওয়ার জন্য তোকে সেদিন বিয়ে করেছিলাম। তারপরে অংশটি কবিতা আকারে বলি -

          "পণের জন্য"
লগ্ন ভ্রষ্টা করিনি সেদিন
তিরিশ পাওয়ার প্রতীক্ষায়,
আনিস যদি বাপের থেকে
বসে ছিলাম অপেক্ষায়।
আর দেরি নয় এই বাড়িতে
বাপের বাড়ি ত্বরা যা,
তিরিশ যদি আনতে পারিস
এই বাড়িতে রাখবি পা।
ছোটাছুটি করে মেয়ে
শশুর শাশুড়ির পা ধরে,                    
বাপটি আমার খুবই গরীব
রক্ষা করেন গরীব রে।
করেনা দয়া ছেলের মা বাপ
কথা শোনায় জঘন্য,
তোর কথা শুনবো না মোরা
বাপের বাড়ি খা অন্ন।
টাকা যদি পারিস দিতে
মুখ ফেরাবি এই পথে,
নইলে দিবি গলায় দড়ি
মরবি বাপ মায়ের সাথে।
বাপের বাড়ি ঢুকে মেয়ে
কান্নাতে বুক চাপড়ে যায়,
এই কি ছিল তার কপালে
বাপ মাকে সব শোনায়।
মেয়ের বাবা কেঁদে ঝরঝর
গরীব হওয়া মহাপাপ,
রক্ত দিয়েও করব রে শোধ
পিসাচীদের  ঋণ সাফ।
মেয়ের মনে একটি কথা
ঘুরছে শুধু বারংবার,
গলায় দড়ি দেওয়ার সময়
বাপ মাকে সাথী কর।
পুব আকাশে সূর্যি মামা
কেবল উঁকি মেরেছে,
বাড়ির ভিতর কান্নার শব্দে
পাড়া  এবার জেগেছে।
অপঘাতে মেয়ের মৃত্যু
বাপ বারে বার সংজ্ঞাহীন,
এমনি করে মোদের সমাজ
চোখের জলে কাটাই দিন।

                         এমন ঘটনা নিত্যদিন আমাদের সমাজে ঘটে চলেছে। পণ নামক এমন জঘন্য শব্দটা তবুও আমাদের সমাজে বেড়েই চলেছে। আমরা এখন থেকে যদি সচেতন না হই আমার মেয়ের জন্য আমাকে আফসোস করতে হবে। আমার মধ্যে আমিত্ব না আনতে পারলে সমাজের রূপ পাল্টাতে পারব না। আমরা স্বচ্ছ সমাজ গড়ে তুলতে পারবো না। সব সময় ভালো করা যায়। যদি ভালোটা আমরা বেছে নিতে পারি। সমাজে নারী পুরুষের অধিকার সমান। এর থেকে বড় কথা পৃথিবীতে আর নেই। পণ নামক প্রথা আদায়ের মূল নায়িকা হচ্ছেন নারী। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে অধিকাংশ ছেলের বাবা বেশিরভাগ সময় পণ নিতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু যেসব বাড়ির পরিচালনায় নারীরা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন, তারা পণের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। নারী রূপের এটাও একটা বিরাট অংশ।

        নারীর রূপের আরেকটা দিক আলোচিত হওয়া দরকার। নারীরাই তো রমণী রতন এ কথা চরমভাবে সত্য। প্রথমেই বলতে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তির আধার হচ্ছে নারী। নারী কখনো বিনাশকারিনী, কখনো মার্তিরুপিনি, কখনো বিনয়িনী, কখনো শক্তিরূপিনী, কখনো শাশুড়ি, কখনো বৌ, কখনো তনয়া। আরো অনেক বিশেষনে তাদেরকে চিহ্নিত করা যায়। আমরা যখন ঈশ্বরে বিশ্বাসী বা আস্তিক, তখন বলতেই হয় পৃথিবীতে দুষ্টের দমন কিন্তু করেছিলেন নারী শক্তি দশভূজা। তাই তিনি রমনীরতন। বাবা পরিশ্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরলে মেয়েরাই কিন্তু প্রথমে শরবতের গ্লাসটা তুলে ধরে। এটাও নারীর একটা রূপ। তাই কন্যা সন্তানেরাই হচ্ছে রমণীরতন। ইতিহাসের পৃষ্টায় দেখেছি রাজিয়া সুলতানাকে শত্রু সমূক্ষে যুদ্ধ করতে। দেখেছি মাদার টেরেসাকে অনাথদের সেবা করতে। এও দেখেছি, কল্পনা চাওলা সুনিতা উইলিয়ামসকে মহাকাশ জয় করতে। এটাও নারীরূপেরই একটা অংশ যা নারী শক্তি। তাই, এরাই রমণীরতন। আবার এটাও দেখেছি,
নারীর গর্ভে কন্যা সন্তান আসলে নারীরাই প্রথমে অবহেলা করে।
     
জীবনের শেষ পর্বে এসে নারীদের কি দশা হয় এটা প্রায়ই সমাজে দেখা যাচ্ছে। যে মা সন্তানের শৈশব বয়সে কোনো কারণে খেতে না পারলে নিজে কান্না করতো। সেই মা আজ বৃদ্ধা বয়সে সামান্য একটু খাবারের জন্য ছেলে বৌয়ের মুখপানে চেয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, না খেতে পেয়ে অভুক্ত মা আড়ালে চোখের জল ফেলে। এখানেও কিন্তু যা কিছু ঘটে তার জন্য সবচেয়ে দায়ী এই পরিবারের বৌ।সেও একজন নারী। আর একবার দেখি বৃদ্ধা মায়ের করুন আর্তি। কি করেন তিনি তার সন্তানদের  জন্য? বৌয়ের জন্য সেদিন সন্তানও পর হয়ে যায়। তার এই পরিণতীর  জন্য তিনিই কিন্তু দায়ী। সেই শাশুড়ি, সেই মা। কেননা এই পথের পথিক তিনি ও একদিন ছিলেন। তার সেই শিক্ষা পরবর্তী প্রজন্ম ও গ্রহণ করে। একটি কবিতাঃ         
                "মায়ের দুধের ঋণ"

শোধ করতে পারবি কি তুই?
মায়ের দুধের  ঋণ,
বুঝলি না তুই মমতাময়ীর
মাতৃত্ব কোনদিন।

বাজার থেকে আসিস যখন
বৌয়ের চোখটি ব্যাগে,
মা দেখে তোর মুখটি ওরে
তার হৃদয় কাঁপে আগে।

বাছা আমার ঠিক আছে তো
আঁচলে চোখ মুছে,
ব্যাগের ফলার নিয়ে মেয়ে বৌ
দেখে কি আর আছে।

এক কাঁথাতে কাটায় মা শীত
বৌয়ের মোটা লেপ,
অন্তর কি তোর এতই পাষাণ
হয়না, একটুও আক্ষেপ।

বুঝবি সেদিন যা করছিস তুই
আসবে হেন দশা,
মা-ই যে তোর সকল আধার
মা- ই পথের দিশা।
                    
পরিশেষে বলি, এর জন্য কিছুটা হলেও দায়ী কিন্তু পুরুষ শাসিত সমাজ। কেননা, আমরা নারীদের এখনও পর্যন্ত সুশিক্ষায় বাধা দিয়ে যাচ্ছি। এটা তারই ফল। যতদিন না আমরা নারীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারব,ততদিন পর্যন্ত সমাজকে এই ধরনের সমস্যায় পড়তে হবেই। বেগম রোকেয়াকে আমাদের অনেক আগে স্মরণ করা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি। কারণ আমরা চেয়েছিলাম নারীদেরকে সব সময় পুরুষের পায়ের নিচে দমিয়ে রাখতে। নারীরা শুধু ভোগের বস্তু নয়। তারা না থাকলে আমরা কেউই এই পৃথিবীতে আসতাম না। তাই নারী শিক্ষার প্রয়োজন। সর্বাজ্ঞে আমাদের সমাজকে কলুষ মুক্ত করতে হবে । সবার আগে নারীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে; নচেৎ নারীরা বারবার কলঙ্কিত হবে। 
 
=====================

           এস এম মঈনুল হক
           গ্রাম -ফূলসহরী
            পোষ্ট -রমনা শেখদীঘি
            থানা -সাগরদিঘি
            জেলা -মুর্শিদাবাদ






   

           











 

 








 

মন্তব্যসমূহ

  1. সত্যিকারের নারীদের যতোদিন আমরা সম্মান জানাতে না পারবো ততোদিন সমাজে এই অসম মূল্যায়ন হতেই থাকবে। সময়ের ঘেরাটোপে নারী মতোই নিজেকে মুক্তির আঙিনায় নাচার ব্যাবস্থা করবে পুরুষ সমাজ জানতে হবে ততই তাদের বাগে পাবে ।আর নারীদের এর থেকে মুক্তির ব্যাবস্থা করেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
    নারীদের যতোদিন আমরা সুশিক্ষিত করতে না পারবো ততোদিন এই অত্যাচারের পরম্পরা চলতেই থাকবে ।কেন না মেয়েদের শত্রু মেয়েরা নিজে। এদের মনোভাব যতোদিন না বদলাবে ততোদিন ওরা নিজে নিজে যুদ্ধ করে শেষ হয়ে যাবে। পুরুষ সমাজ এর থেকে মজা লুটে নিবে।
    বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার এই রচনা একটি মূল্যবান মূল্যায়ন । অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক