বাধা
অষ্টপদ মালিক
ক্লাস নাইনের ছাত্রী অন্তিমা । খুব সুন্দর দেখতে। আজকালকার যেকোনো যুবক তাকে দেখে বেশ কিছুক্ষণ চোখ ফেরাতে পারে না। এই অপরিণত অন্তিমা পাশের গ্রামের পলাশের সঙ্গে প্রেমে পড়ল। প্রথমদিকে তাদের এই সম্পর্ক গোপন ছিল কিন্তু গোপন প্রেম আর গোপন থাকলো না। পাড়া ঘরের মধ্যে জানাজানি হল। বাড়ি থেকে পালিয়ে তারা একদিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলো। পলাশের বাবা-মা এ বিয়ে মেনে নিলেও অন্তিমার বাবা মা মেয়েকে জোর করে বাড়িতে এনে আটকে রাখল , এই কাজে অবশ্য তারা পঞ্চায়েত প্রশাসনের সাহায্য নিয়েছিল। এই ঘটনার বেশ কয়েকদিন পর অন্তিমার বাবা-মা অন্তিমাকে একাকী বাড়িতে রেখে তাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে হরিনাম সংকীর্তন শুনতে গিয়েছিল। ব্যাস ফাঁকা ঘর। এই সুযোগে অন্তিমা ওই রাতে সটান ছেলেটির বাড়িতে চলে আসে। পরদিন ভোরবেলা পলাশ অন্তিমাকে সঙ্গে নিয়ে পিসির বাড়ি চলে আসে এবং ওই দিন রাতে ছোটখাটো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরোহিত ডেকে তাদের আরো একবার বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় । এরপর দুইদিন কেটে গেল। পলাশ স্ত্রী অন্তিমার জন্য পোশাক কিনতে বাজার গেল এবং পোশাক কিনে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার পাশে মোটর বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা মারে। খুবই দুঃখের বিষয় ঘটনাস্থলেই পলাশ মারা যায় ।
=================
বিনম্র শ্রদ্ধাসহ
অষ্টপদ মালিক
পাঁচারুল, হাওড়া -৭১১২২৫
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন