প্রত্যাবর্তন
পার্থসারথি মহাপাত্র
বউয়ের
সাথে নিয়মিত ঝগড়া হয়। আর ভাল্লাগছে না। ভাস্কর তাই রাগ করে কাউকে কিছু না
বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে। নির্জন ডাকবাংলার মাঠে একা বসে বসে ভাবছে। মা
ঠিকই বলতেন, 'খোকা, এত রাগ, তেজ যা আমার উপর দেখাচ্ছিস আমি সব সহ্য করছি,
অন্য কেউ করবে না।' আজ তাই সত্যি হলো। যার কারনে সব ছেড়ে এলাম আজ তাকেও
অসহ্য লাগছে। এই সব ভাবতে ভাবতে ভাস্করের চোখ বেয়ে নিঃশব্দ ঝর্ণা ধারা
বেরিয়ে এল। বছরখানেক আগে ও মাকে মিথ্যা দোষারোপ করে, ঝগড়া করে ছেলে বউকে
নিয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরের এক ভাড়া বাড়িতে উঠেছে। তারপর থেকে মায়ের সাথে আর কথা
বলেনি।
আজ খুব ইচ্ছে করছে। কোনরূপ বিলম্ব না করে মোবাইল ফোন পকেটে থেকে বের করলো।
-হ্যালো মা, তুমি কেমন আছ?
- এইতো ভালো আছি বাবা। তোদের কথা বল। কেমন আছিস? আমার নাতি সাহেব ভালো আছে তো বাবা। ওকে চোখে চোখে রাখিস।
ভাস্কর কথা বলতে গিয়ে কান্না বেরিয়ে আসে।
মা জিজ্ঞেস করে, ' কাঁদছিস কেন বাবা?
-ভালো নেই মা। তোমার কাছে আসতে চাই।
- একশবার আয়। অনুমতির কি আছে। ঘরের ছেলে ঘরে আসবি চলে আই। বৌমা নাতিকে অবশ্যই সাথে আনবি।
পার্থসারথি মহাপাত্র
বলরামপুর স্টেশনপাড়া
ডাকঘর - রাঙ্গাডি
জেলা পুরুলিয়া
সূচক ৭২৩১৪৪
৯৯৩২৬৯৬৫৫৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন