পোস্টগুলি

জানুয়ারী ১৫, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৪৭তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪২৮ জানুয়ারি ২০২২,

ছবি
    সূচিপত্র বিশেষ রচনা ।। অন্নের ত্রিকোণমিতি ।। শ্রীজিৎ জানা একগুচ্ছ কবিতা ।। দেবাশিস সাহা আবদুস সালাম-এর গুচ্ছকবিতা কবিতা ।। জয়িতা চট্টোপাধ্যায়  কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় অণুগল্প ।। এক চিলতে রোদ্দুর ।। অদিতি ঘটক কবিতা ।। কাড়া নাকাড়া ।। হামিদুল ইসলাম কবিতা ।। আমাদের অক্লান্ত আহ্নিক ।। জগবন্ধু হালদার নিবন্ধ ।। মানুষই পারবে মানবতার অসুখ সারাতে ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী করোনা-পরিস্থিতিতে এক শিক্ষিকার একান্ত নিজস্ব অনুভূতি ।। অঞ্জনা গোড়িয়া গল্প ।। গাঁইয়া ।। চন্দন মিত্র গল্প ।। মিৎসুবিশি ।। অনিন্দ্য পাল অণুগল্প ।। শতরূপা ।। বিজয়া দেব কবিতা ।। দুপুর তার ।। অনিরুদ্ধ সুব্রত কবিতা ।। ফিরে আসতে হয় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। বল্ দেখি মা ।। বদ্রীনাথ পাল গল্প ।। একই সূত্রে ।। রণেশ রায় দুটি কবিতা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গল্প ।। উপহার ।। কবিরুল কবিতা ।। সময়ের হাত ধরে ।। লক্ষ্মণ চন্দ্র নস্কর ছড়া || পাত্তারি || অবশেষ দাস কবিতা ।। রোদ্দুর ।। শংকর হালদার কবিতা ।। তোমার ছবি ।। জগদীশ মন্ডল কবিতা ।। সময়ের ক্যানভাসে ।। বিশ্বজিৎ কর ছড়া ।। জীবন-নদী ।। কার্ত্তিক‌ মণ্ডল কবিতা ।। জানুয়ারি

বিশেষ রচনা ।। অন্নের ত্রিকোণমিতি ।। শ্রীজিৎ জানা ।। "অভুক্তের দেশে খাদ্যউৎসব ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুরতা..."

ছবি
অন্নের ত্রিকোণমিতি শ্রীজিৎ জানা ক্ষুধা আদিমতম; অনন্ত। প্রাণময় দেহ, অন্নময় কোষ। গুহাবাসী হাতে অস্ত্র তুলে নেয় শুধুমাত্র আত্মরক্ষার্থে নয়, ক্ষুধা নিবৃত্তির কারণেও। ক্ষুধার থালায় একটা অস্ত্র লুকানো থাকে।খাদ্য মানে একটা চলমান লড়াই ; সংগ্রাম। আহার্য দ্রব্য সংগ্রহে আদিমমানুষদের নিশ্চত লড়তে হয়েছে। অরণ্যবাসী হওয়ার কারণে বনজ খাবার সবসময় ও সর্বত্র সহজলভ্য ছিল তা তো নয়। যাযাবর জীবনে বিবর্তনের পশ্চাতে ছিল খাদ্যাদি অন্বেষণ। পশুমাংসের ক্ষেত্রে পশুশিকারও ছিল যথেষ্ট ঝক্কিঝামেলার। তার সাথে শিকারের কৌশল তৈরি, অস্ত্র নির্মাণ, অস্ত্র চালনের পারদর্শিতা - সবমিলে ছোটখাটো একটা যুদ্ধের আয়োজন! যূথবদ্ধ ভাবে শিকার করলেও বিপরীত দিক থেকে হিংস্র আক্রমণ এবং প্রাণহানির শঙ্কা থেকেই যেত। কিন্তু সবশেষে সবার গ্রাসে সমান খাদ্য বন্টন হত।           আদিম মানুষ তার ক্ষুধা নিবৃত্তির কারনেই প্রথম গ্রাস মুখে তুলেছে। গুহাচরদের স্বাদ উপলব্ধির প্রাথমিক অবস্থা কেবলমাত্র অনুমানজাত। খাদ্যগ্রহণের সূচনালগ্নে স্বাদগ্রন্থির ছিল সওয়া আর না সওয়ার বাছবিচার। লালারসের আমুদে নিঃসরণ এবং স্বাদকোরকের আস্বাদনের বিলাসিতা বোধকরি ততখানি

একগুচ্ছ কবিতা ।। দেবাশিস সাহা ।। "ফুলের গন্ধ সংক্রামিত হলে এই দেশ ভরে যাবে লাশফুলে..."

ছবি
লাশফুল রক্তের পাশে ফুল রেখো না ফুল ভিজে গেলে সংক্রামিত হবে গন্ধ গন্ধের গভীরে  জীবনের কুয়ো লজ্জা পেয়ে আমার মা আমার বোন আমার বারবণিতা ঝাঁপ দিচ্ছে কুয়োয় নতজানু হচ্ছে মৃত্যুর কাছে তুমি ফুল রেখো না ওদের পাশে জল্লাদের উল্লাসে ওদের যেন ঘুম না ভেঙে যায় যারা জেগে আছে  তাদের ঘুম ভাঙাও জেগে উঠুক তাদের আগুন ফুলের গন্ধ সংক্রামিত হলে এই দেশ ভরে যাবে লাশফুলে চোতক্ষ্যাপা দারুচিনির দেশে  কেউ কেউ নেমেছে দারুর খোঁজে  চিনি নিয়ে আগ্রহ নেই মধুমেহ প্রেমিকের স্লেট থেকে ভাগ্যরেখা মুছে দারিদ্র্যরেখা এঁকে দিলো অমাবস্যা  উড়ালপুল ধরে হেঁটে যায় ভাত পিছু পিছু ভাই ও আমরা  সিঁড়ি কাকে কী শেখায় জানি না সেই একই পড়া প্রতিদিন ফুটপাত টকভাত বমি আর অন্ধকার ঘরে ভ্যপসা গন্ধ নিজের বুকে ভর করে ব্রিজের নীচে ফিরেছে কামিজ লতিয়ে লতিয়ে   এ বাড়ি সে বাড়ি চলে যায় আলো রঙের আনন্দ  সাবান জলে হাত ধুয়ে রাত ঘুমাতে যায় সাবান জলে ধোয়া ভোর  দিদিমণির চাল আলুর দিকে বাড়িয়ে দেয় হাত মাস্ক গ্লাভসের কাছে  আরো কিছুটা সময় চেয়ে নেয় জীবন  পুলিশের ইশারার অপেক্ষায়  নরম নরম আলোগুলো বসে থাকে  পাতার আড়ালে  চোতক্ষ্যাপার দল কাদা করছে রেশন দোকান  মানুষ আজ সংখ্যা প

আবদুস সালাম-এর গুচ্ছকবিতা ।। পিচ্ছিল সময়ের হাত ধরে বয়ে যায় উন্মাদের ব্যাকরণ...

ছবি
সময়ের নদী দিয়ে পিচ্ছিল আয়োজন ভাসে সময়ের নদী দিয়ে পিচ্ছিল আয়োজন ভাসে সময়ের কোটরে ওত পেতে থাকে সবুজ জার্সি বারবার বদল হয়  মনের পোশাক  জীবন থেকে চলে যায়  ভূমিকাবিহীন গোত্র পরিচয়    রাখালের সংসদে আসে আত্মীয়-স্বজন রাতের আয়োজন ফুরিয়ে গেলে রাস্তায় বসে শুনি ঘাসের  ফিসফিসানি চরিত্র হারানোর ভয়ে দেবমন্দিরের চাতালে বুনে দিই প্রতারণার বীজ পিচ্ছিল সময়ের হাত ধরে বয়ে যায় উন্মাদের ব্যাকরণ   অলক্ষুণে  সম্পর্কের উঠোন আজ স্যাঁতস্যেঁতে   বিবর্ণ ঢেউ উঁকি মারে জলের ছায়ায় অসমতল স্নেহগুলো ভেজালের বারান্দায় সেঁকে নেয়   ভরসা সময়ের শ্যাওলা জমেছে নিস্তব্ধতার ঘাটে  পিচ্ছিল উপত্যকায় শুনি  মৃত্যুর পদধ্বনি ব্যর্থ দহন চিত্র খুঁজে পায় খাজুরাহের গায়ে নৈরাশ্যের চরে বাসা বেঁধেছে ডাহুক  নৈঃশব্দের চিল উড়ে চলেছে স্যাঁতস্যাঁতে আকাশে  প্রচ্ছদহীন অলক্ষুণে বারান্দায় জমা হয় নৃশংস অন্ধকার  আলনা আমাদের দুঃখগুলো সাজিয়ে রাখি আকাশের আলনায় তথা কথিত স্বজনেরা  বসিয়ে দেয় রাস্তায় সব অসহযোগিতাগুলো   রাস্তার মোড়ে বাজায় মরুভূমির গান  বিষন্ন পাহাড়ের গায়ে সেঁটে আছে ধ্বংসের পতাকা আকাশের আলনা

কবিতা ।। জয়িতা চট্টোপাধ্যায় ।। আঙুল জুড়ে বিষাদকলোনি...

ছবি
বেমানান জয়িতা চট্টোপাধ্যায় ভাঙা ভাঙা তার চোখের চাহনি, যেখানে রোজ নামছে শীত, আঙুল জুড়ে বিষাদকলোনি বুকের ভেতর সহজাত কৃষ্ণচরিত, তার মাঠ ভরা বাতাসের খনি, এলোমেলো চলা অনেকটা সংযত, যেমন তার চোখ সতত উদাসীন, বুকের ভেতর পিষে যাওয়া বিদায়ের ক্ষত, অথচ হাসি দুঃসহ অমলিন। যেন এসেছে সে দূর কোনো ঠিকানা ছাড়িয়ে, অসময়ে তার সাথে হল শেষ দেখা, চোখের বাইরে যেন বিরহ দাঁড়িয়ে, স্মৃতিরা বেজে চলে নহবতে  একা। হারিয়েছে দিল তার পালকের ফাঁকে, মুখোশের পৃথিবীতে যদিও মানায় না তাকে। 

কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
  উত্তরাধিকার আমরা কয়েকজন যুবক নবমীর বিকেলে আকাট বেরিয়ে পড়েছিলাম পৃথিবী পরিক্রমা করব বলে পিছু ছাড়ছিল না ঢাকের বাদ‍্যি কিংবা আরতির জ‍্যোতির্গময় ,বিপুল শূন্যে ছড়িয়ে থাকা হৃদয় পিছু ছাড়ছিল না  দেখা দিয়ে ডুবে যাওয়া লাবনী ঘোষাল ,মরা জ‍্যোৎস্নায় আমাদের চোখে পড়ছিল নগরপোশাকে র‍্যাম্প স্টেটমেন্ট আমাদের চোখ থেকে ক্রমশ সরে সরে যাচ্ছিল অর্জিত স্বপ্ন মার্কস লেনিন সুভাষ গান্ধী... পথকে অজস্র টুকরো করে ছড়িয়ে দিল যারা, বলল বৃষ্টি দাও সঙ্গে দাও চাল ডাল সব্জি আনাজ এই আমাদের গথিক অহংকার এই আমাদের লাজ ভয় উত্তরাধিকার সন্তান যেন মাড় ভাত পায় .. শিক্ষক বুকের ভেতরে ছিল শ্বাস,আজ সে শিখেছে ধ্বংসের মন্ত্র,একদিন তোমার পায়ের কাছে বসে শিখেছি কত জটিল অঙ্ক মনে মনেও কোনোদিন ধন্যাবাদ দিইনি প্রণাম করিনি ... সমস্ত কৃতজ্ঞতা আজ ভিড় করে এলো জানু পেতে বসে ভাবি কাকে জানাবো আশেপাশে কাকেইবা জানাবো তাই আমি অরণ্যের কাছে যাই আমি যাই অতলান্ত সমুদ্রের ধারে অথচ একটাই মানুষ কিন্ত্ত সে আমি নয় অথচ কী আশ্চর্য এখন সব কিছু ছেড়ে কাঙ্গাল হতেও লজ্জা নেই শুয়ে থাকি বসে থাকি অনন্তের দিকে চেয়ে নির্জনতা ভেদ করে চলে যেতে চাই সেই কিশোরবেলায় যেখা

অণুগল্প ।। এক চিলতে রোদ্দুর ।। অদিতি ঘটক

ছবি
এক চিলতে রোদ্দুর  অদিতি ঘটক 'কথারা ভিড় করে আসে  তবু তোর চোখের দিকে তাকালে বুকের ভেতর নিরন্তর ঢেউ ভাঙার শব্দ আমায় অবশ করে রাখে তুই তো কোনো জাদুকর নয়  তবুও এই সম্মোহনী মায়া দিগন্তের মত বিস্তৃত হেঁয়ালি কিছু অবগাহন না সঞ্চরন তোরই হাতে আমার জীবন মরণ আমার সকল বোধ' .........   "মা, এই লোকটা কে? যে তোমায় রোজ কবিতা লেখে। তোমায় লেখে কেন?" "বুবু, তুই আবার আমার ফোন ধরেছিস! বারণ করেছি না।" --"আমার ফোনে নেট আসছিল না। তাই নিয়েছি। লোকটা জানে তোমার এত বড় মেয়ে আছে?" বোলো। তাহলে আর লিখবে না। কোনো বুড়িকে কেউ কবিতা লেখে না। হিঃ, হিঃ।  মেয়ের কথায় বিদিশার চোখে জল চলে আসে। তবুও কিছু বলে না। একটা কিশোরী বয়সের মেয়েকে সব অনুভূতি ব্যাখ্যা করা যায় না। ফেসবুক ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎই একজনের কবিতা ভালো লাগে। কয়েক দিন পর পর পড়ে কমেন্ট করার পর লেখক নিজেই কবিতা কোথাও পোষ্ট করার আগে বিদিশাকে পাঠায়। বিদিশা পড়ে অনুমোদন দিলে বা সংশোধন করে দিলে তবে লেখক কবিতা পোস্ট করেন। এই ভাবেই দুজনের মধ্যে এক অদ্ভুত রসায়ন গড়ে উঠেছে। এই নাম বিহীন নির্ভরশীলতার কোনো দিক নেই কোনো দিশা নেই বিদিশা তা জানে। তবুও

কবিতা ।। কাড়া নাকাড়া ।। হামিদুল ইসলাম

ছবি
কাড়া নাকাড়া হামিদুল ইসলাম                        জীবনের চলার পথে কখনো ফেলে আসি  এক আধটি শর্ত কিছু বিচ‍্যুতি  জল হাওয়া সয়ে সয়ে এভাবে জন্ম নেয় নির্জন প্রান্তর   ।। কিংবদন্তি ধরে জলের সোহাগ মাপি ঠোঁটে  স্তম্ভন ক্ষণস্থায়ী  দেবতা আর অপদেবতাদের যুদ্ধ ছবির পাতায়   ।। আসলে বিশ্বাস করে নিতে হয় অনেক কিছু  দুঃখ কষ্টের মালিকানা আমরা এখনো তুলে দিই ঈশ্বরের হাতে  আমরা আজও ঠুঁটো জগন্নাথ  নিমিত্ত অনিমিত্ত বৃক্ষদিন   ।। বিজ্ঞান দেখছে নিমিত্ত হয়ে  বিজ্ঞান ফুল হয়ে ফুটলে  কফিন ঢাকা অন্ধকারে ছেয়ে যায় না ঘুমবাগান  ।। তাই বলে যবন হরিদাস ! নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক এসব মনুষত্ব। যুদ্ধ বাধুক  বাজুক ঘরে ঘরে কাড়া নাকাড়া    ।। __________________________________       হামিদুল ইসলাম গ্রাঃ+পোঃ=কুমারগঞ্জ। জেঃ=দক্ষিণ দিনাজপুর।

কবিতা ।। আমাদের অক্লান্ত আহ্নিক ।। জগবন্ধু হালদার

ছবি
  আমাদের অক্লান্ত আহ্নিক                 জগ বন্ধু হালদার   এরপর কু-ঝিকঝিক অচিন গন্তব্যের দিকে মাঠ ও মাঠের গাছ, পুকুর- বাড়ি, সেতু-স্রোত ধু ধু ক্ষেত,  অচেনা আঁধার সাঁইসাঁই ফেলে বিরাম বিহীন ছুট  দু'বেলা ঘেমো গায় ছাই ছাতারের  মতো  হাসি, জ্বর আর গালভর্তি কথায় গোটা দিন ছায়া চৌফালি করে, নুয়ে-ঝুঁকে, চ্যাপ্টা চিড়ে । তবু চুল চিরে চিরে শুধু মুনাফার খোঁজে ঘোরে বগ্গা জীবন ,  চ্যাঁচায় ও চাটে তৈলাক্ত ফলাফল আর সুফল-সন্ধানে মরিয়া সে আমরণ... আবার চুমু দেয় ফিরে ঘুমন্ত শিশুর মুখে ও চোখে গৃহিণীর ভেজা হাত ছুঁয়ে প্রাক্তন ওমের সন্ধানে সন্ধ্যা ক্রমে রাত হয় উদোম আলস্য হাই তোলে বারবার, বিছানা-বালিশ চুপচাপ শোনে নিশাচরি গান আর নিশার গাঢ় তর আঁচলে টুপটাপ ঝরে বকুলের ফুল এভাবেই থোড় বড়ি ও খাড়ার গল্পে টিকি বেঁধে আমাদের দৈনিক বেঁচে থাকা --------------------   ছবিঋণ- ইন্টারনেট।

নিবন্ধ ।। মানুষই পারবে মানবতার অসুখ সারাতে ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

ছবি
মানুষই পারবে মানবতার অসুখ সারাতে পার্থ সারথি চক্রবর্তী জীবন, যাপন, জীবিকা- আজ সময়ের আঘাতে সবটাই টালমাটাল। তবু সকল বিঘ্নকে ভ্রুকুটি শানিয়ে, জীবন আবার বহমান হতে সচেষ্ট অনন্ত জীবনে, অমৃতের সন্ধানে। গত প্রায় দুই বছর ধরে যেন আমরা নিজেদের সাথে লুকোচুরি খেলছি। রামায়ণের মেঘনাদ যেমন আড়াল থেকে যুদ্ধে অংশ নিত, এও অনেকটা একই রকম। কোনোভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে  লকডাউন করতে গিয়েই মানুষ আজ মানুষের থেকে দুরে সরে যাচ্ছে । একেকটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো । যোগাযোগ  হয়ে উঠছে প্রযুক্তি-নির্ভর । শিশুদের মন খারাপের শেষ নেই। মনে সীমাহীন সংশয়। এসবের মধ্যে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেটা হলো মানুষের মন ও মনন। রোজ এক ভয়, বন্ধু-বান্ধব, স্বজনদের সাথে দেখা না হওয়া, ধীরে ধীরে দীর্ঘমেয়াদী ভয়ে পরিণত হচ্ছে । আর এ থেকে জন্মাচ্ছে হতাশা, নেগেটিভ মানসিকতা, ডিপ্রেসন। ক্রমশ হতাশা গ্রাস করছে জীবনের পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে। সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৫ বছর ধরে চলা একটা গবেষণার কথা এখানে প্রাসঙ্গিক। বিভিন্ন বয়সের অনেকের কাছে সুখের সংজ্ঞা জানতে চাওয়া হয় । গবেষণা শেষে দেখা যায়,  হ্যাপিনেস হচ্ছে Ge

করোনা-পরিস্থিতিতে এক শিক্ষিকার একান্ত নিজস্ব অনুভূতি ।। অঞ্জনা গোড়িয়া

ছবি
     শিক্ষকদের ওপর এত বিষোদ্গার  না করে নিজেরা সচেতন  হোন  অঞ্জনা গোড়িয়া   প্রথমেই  বলি, আমি   দিদিমনি। হ্যাঁ আমি অহংকারী।  আমি একজন প্রাইমারী স্কুলের দিদিমনি। জানেন ছোটো বেলায় যখন পুতুল খেলতাম। আমি  দিদিমনি সাজতাম। একটা কঞ্চির ছড়ি হাতে নাড়তে নাড়তে  সবাইকে  পড়াতাম। বড় বড় চোখ করে ছোটোবেলার স্কুলের বিষ্টুস্যারের মতো।  তখন খুব  দিদিমনি সাজার সখ ছিল।  তখন কী জানতাম আমিও  দিদিমনি হবো?  তবু হয়েই গেলাম দিদিমনি। তার আগে অবশ্য একটা  প্রাইভেট স্কুলেও ছিলাম।  তাই সরকারি  আর বেসরকারি  স্কুলের  কাজ কর্ম কোনো কিছুই  অজানা নয়। এখন আমি  সরকারি দিদিমনি।ঠিকই ধরেছেন।  তাই অহংকারও কম নয়।  কেন হবে না  বলুন?  দামী  দামী  শাড়ি পরে চোখে সানগ্লাস দামী  ঘড়ি পরে স্কুলে যাই। যদিও  আমি বাম হাতেরই পরি। তবু বেশ সেজেগুজে স্কুলে  যাই।না না হাই হিল পরি না। তবে জুতোটা  বেশ দামী।  তবু আমি গর্বিত  আমি ওদের একজন দিদিমনি। যারা কে. জি, ইংলিশ  মিডিয়াম স্কুলে পড়তে পারে না। নিতান্তই  হা ভাতে ঘরের ছেলেমেয়েদের আমি দিদিমনি।  গর্ব করারই মতো।  প্রথম যে দিন স্কুলে যাই।  হাত পা কাঁপছে।  কান দুটো  বেশ লাল। থমথমে মুখে ক্লাস রুমে ঢুকলাম