প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সময়ের নদী দিয়ে পিচ্ছিল আয়োজন ভাসে
সময়ের কোটরে ওত পেতে থাকে সবুজ জার্সি
বারবার বদল হয় মনের পোশাক
জীবন থেকে চলে যায় ভূমিকাবিহীন গোত্র পরিচয়
রাখালের সংসদে আসে আত্মীয়-স্বজন রাতের আয়োজন ফুরিয়ে গেলে রাস্তায় বসে শুনি ঘাসের ফিসফিসানি
চরিত্র হারানোর ভয়ে দেবমন্দিরের চাতালে বুনে দিই প্রতারণার বীজ
পিচ্ছিল সময়ের হাত ধরে বয়ে যায় উন্মাদের ব্যাকরণ
সকাল হলেই শুনি কাক,কুকুরের বিভৎস চিৎকার
ভেসে আসে মুমুর্ষের আর্তনাদ
সংগঠিত ক্ষয় আর মনুবাদী হুংকার বেভুল চৈতন্য মাতোয়ারা হয়
আ্যম্বুলেন্স ছোটে হাসপাতালের দিকে
মনুষ্যত্বের আহবানে বিপর্যয় নেমে আসে পাড়া মহল্লায়
দীর্ঘ শ্বাসে কেঁপে উঠে সময়ের দালান
উদ্বাস্তু মসজিদের ইঁট উড়ে যাচ্ছে আকাশের কার্নিশে
হাত,পা ভাঙা আর্তহাহাকার আর ধর্ষণের বাজনা বাজছে তারস্বরে
উদ্ধত ঘাতক খুলে বসেছে ধর্মের দোকান
দেদার বিক্রি হচ্ছে হাড়ের মালা আর ধর্ষকের বীজমন্ত্র
শরণার্থী শিবিরে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠছে আগুন
জাতীয় পতাকার উপর সেঁটে দিচ্ছে
ধর্ম পতাকা
ঐতিহাসিক প্রজন্ম ধ্বংসের উৎসবে মাতে প্রতিদিন
শূন্যতার উচ্ছ্বাসে শয্যা পাতে অবৈধ চৈতন্য
ভ্রষ্ট যমুনায় খেলা করে সম্মোহন
রোজ রোজ চৈতন্যের দরজায় কড়া নাড়ে ভ্রম
রাতের বিছানা কন্টকাকীর্ণ হয়
ছটফট করি
নিঃসঙ্গতা গিলে খায়
ফুল ফোটে জাগরণের
উলঙ্গ রাত
ব্যাভিচার ডানা মেলে
বিষবৃক্ষের ছায়ায় দুদন্ড বিশ্রামের চেষ্টা করে বিষাদ কন্যারা
আমাকে চুম্বন করে
অবৈধ ইচ্ছেরা স্বপ্ন মৈথুনে মগ্ন হলে
চৈতন্যের দরজায় কড়া নাড়ে রূপ কথার কন্যা
বিবর্ণ ক্ষতগুলো মূখর হলেআমাকে উলঙ্গ করে প্রতিদিন
জাগরণের উৎসবে মেতে ওঠে ব্যাভিচার
উপশমহীন যন্ত্রণারা প্রায়শ্চিত্ত করে
হোলি খেলে মরচে ধরা বিবেকের মাঠে
বিরাম বর্জিত জনপদে হেঁটে যায় মনুষ্যত্বের আধমরা লাশ
বিষন্ন জলে স্নান করে সূচী হতে চাই নিঃসঙ্গ ব্যাভিচার আর বিশ্বাসের নদীতে যখন জোয়ার আসে
তখন ডুবে যায় আমাদের উদ্বাস্তু প্রেম
###
আবদুস সালাম
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন