পাত্তারি
অবশেষ দাস
আটচালা পাঠশালা
পন্ডিত একটা
স্তব্ধতা ভেঙে দিয়ে
ডাকে প্যাকঁ প্যাঁকটা।
আট ছড়া গাঁটছড়া
কাট ছড়া চলকে
লাউমাচা চোখ নাচা
শোল-ল্যাটা ঝোল খে।
শরপুঁটি ধর পুঁটি
ধর খুঁটি জাপটে
শোল পোনা বলবো না
শিরদাঁড়া সাপটে।
আটচালা পাঠশালা
চার চালা সামনে
রাত হলে ভয় নেই
দারোগার নাম নে।
খোকা লেখে ক্যালকাটা
খুকি লেখে পাটনা
বড়োবউ দুই বেলা
বেটে যায় বাটনা।
প্রতিবেশী খড়খড়ি
মুখে নেই ঢাকনা
মেয়েগুলো বড়ো হলে
মেলে দেয় পাখনা।
পাঠশালা রোজ বসে
রাখালের টিকি নেই
ছুটে ছুটে মাস যায়
কানাকড়ি সিকি নেই।
পন্ডিত ডাক দেয়
হাঁক দেয় জোর সে
এসব তো সেকালের
পুরাতন ভোর সে।
আটচালা পাঠশালা
আঁকছিল পটলা
বাঁধানো সে বটগাছে
হচ্ছিল জটলা।
নিধিরাম আলুওলা
বেচুরাম সবজি
কুস্তিতে প্যালারাম
ভেঙেছিল কব্জি।
কত ছবি উঁকি মারে
রকমারি পাতাতে
কিছু ছবি মুছে যায়
থাকে না সে মাথাতে।
জলপাই জল খাই
চল ভাই বাড়িতে
ঠাকুর দা এঁকেছিল
ক্লাশ পাত্তারিতে।
====000====
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন