বিদায় মিনা
অঙ্কিতা পাল
অরূপ সকালের খবরের কাগজে চোখ রাখতে না রাখতেই চমকে ওঠে। খবরের শিরোনামে সল্টলেকের এক গৃহবধূর আত্মহত্যা।
খবরটি দেখে তার সারা শরীর শিউরে ওঠে চোখ অন্ধকার হয়ে যায় মাথা ঘুরে যায় দুচোখে জল নেমে আসে।
তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে কাঁদতে থাকে - এই মিনা, মীনাক্ষী তুমি কোথায় হারিয়ে গেলে। তারপর সে কাঁদতে কাঁদতে খাটের এক পাশে বালিশ মাথায় দিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়ে............. চোখে ঘুম আসে না, ভেসে ওঠে সেই অতীতের হারিয়ে যাওয়া প্রতিচ্ছবি।
এইতো সেদিনের কলেজ জীবনের কথা আমি তখন বাংলা অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আর মীনাক্ষী নতুন প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আজ কলেজের নবীন বরণ উৎসব একটি মেয়ের পরনে গোলাপী রংয়ের চুরিদার খুব ফর্সা অপরূপ সুন্দরী সে, যেন মনে হয় আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আর আমি ও তার ডাক উপেক্ষা না করেই লাল গোলাপ টা তার হাতে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম নাম কি তোমার? সে যেন এক ফালি হেসে উত্তর দিলো - আমার নাম মীনাক্ষী, মিনা ও বলতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব ঠিক তারপরে ভালোলাগা ও পরে প্রেমে পরিনত হলো আমাদের সম্পর্ক। এভাবেই কটি বছর কেটেছে।.................
মনে মনে ভাবলাম আজ মিনার সঙ্গে দেখা করে তাকে চমকে দেবো হঠাৎ সেদিন সকালে একজন পিওন দরজায় কড়া নাড়ে, দরজা খুলতেই এলো বিয়ের চিঠি।............
আমি কিঞ্চিত অবাক হয়ে চিঠিটা খুলে দেখি পাত্রী - মীনাক্ষী সেন। আমার দুই চোখ জলে ভরে গেলো। আজ ও সেটি সম্পূর্ণ পড়া হলো না, সযত্নে রেখে দিয়েছি। তা ও প্রায় দেখতে দেখতে ২ বছর হয়ে গেছে, আর যোগাযোগ করা হলো না মিনার সাথে। সে যেন আঁধারে বিলীন হয়ে গেলো আমার জীবন থেকেই, মনে হলো যেন গোটা পৃথিবী টা আয়নার মতো ভেঙে টুকরো টুকরে হয়ে গেছে।
এরপর শুরু হল আমার নতুন পথ চলা, আমি এখন পলাশপুরের প্রাথমিক স্কুলের হেডমাস্টার কতো দায়িত্ব ও কতো কর্তব্য আমার। সবকিছু ভুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বেশ ভালই কাটছিল জীবনটা।
কিন্তু আজ সকালে আবার সেই খবর...........
খবরের শিরোনাম " সল্টলেকের বিখ্যাত ব্যবসায়ী আকাশ রায় এর স্ত্রী মীনাক্ষী রায় ( সেন ) আত্মঘাতী হন।..............
------------------------------------
খবরটি দেখে তার সারা শরীর শিউরে ওঠে চোখ অন্ধকার হয়ে যায় মাথা ঘুরে যায় দুচোখে জল নেমে আসে।
তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে কাঁদতে থাকে - এই মিনা, মীনাক্ষী তুমি কোথায় হারিয়ে গেলে। তারপর সে কাঁদতে কাঁদতে খাটের এক পাশে বালিশ মাথায় দিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়ে............. চোখে ঘুম আসে না, ভেসে ওঠে সেই অতীতের হারিয়ে যাওয়া প্রতিচ্ছবি।
এইতো সেদিনের কলেজ জীবনের কথা আমি তখন বাংলা অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আর মীনাক্ষী নতুন প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আজ কলেজের নবীন বরণ উৎসব একটি মেয়ের পরনে গোলাপী রংয়ের চুরিদার খুব ফর্সা অপরূপ সুন্দরী সে, যেন মনে হয় আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আর আমি ও তার ডাক উপেক্ষা না করেই লাল গোলাপ টা তার হাতে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম নাম কি তোমার? সে যেন এক ফালি হেসে উত্তর দিলো - আমার নাম মীনাক্ষী, মিনা ও বলতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব ঠিক তারপরে ভালোলাগা ও পরে প্রেমে পরিনত হলো আমাদের সম্পর্ক। এভাবেই কটি বছর কেটেছে।.................
মনে মনে ভাবলাম আজ মিনার সঙ্গে দেখা করে তাকে চমকে দেবো হঠাৎ সেদিন সকালে একজন পিওন দরজায় কড়া নাড়ে, দরজা খুলতেই এলো বিয়ের চিঠি।............
আমি কিঞ্চিত অবাক হয়ে চিঠিটা খুলে দেখি পাত্রী - মীনাক্ষী সেন। আমার দুই চোখ জলে ভরে গেলো। আজ ও সেটি সম্পূর্ণ পড়া হলো না, সযত্নে রেখে দিয়েছি। তা ও প্রায় দেখতে দেখতে ২ বছর হয়ে গেছে, আর যোগাযোগ করা হলো না মিনার সাথে। সে যেন আঁধারে বিলীন হয়ে গেলো আমার জীবন থেকেই, মনে হলো যেন গোটা পৃথিবী টা আয়নার মতো ভেঙে টুকরো টুকরে হয়ে গেছে।
এরপর শুরু হল আমার নতুন পথ চলা, আমি এখন পলাশপুরের প্রাথমিক স্কুলের হেডমাস্টার কতো দায়িত্ব ও কতো কর্তব্য আমার। সবকিছু ভুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বেশ ভালই কাটছিল জীবনটা।
কিন্তু আজ সকালে আবার সেই খবর...........
খবরের শিরোনাম " সল্টলেকের বিখ্যাত ব্যবসায়ী আকাশ রায় এর স্ত্রী মীনাক্ষী রায় ( সেন ) আত্মঘাতী হন।..............
------------------------------------
নাম - অঙ্কিতা পাল
ভাঙ্গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন