পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৫৫তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

ছবি
  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মহিষাসুরমর্দিনী : রূপান্তরপর্বের কিছু কথা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। গল্প ।। সুবীর সরকার প্রবন্ধ ।। দ্বন্দ্ব তত্ত্বের আলোয় সাহিত্যে কল্পকথা ও কল্পচিত্র ।। রণেশ রায় গল্প ।। রজনীকান্তের পাঠশালা ।। প্রদ্যোৎ পালুই অণুগল্প ।। গুরুদক্ষিণা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ অণুগল্প ।। মেন্টাল ।। চন্দন মিত্র কবিতা ।। ছোয়াঁ যাইনি ।। মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায় কবিতা ।। মানুষ ।। মুহা আকমাল হোসেন কবিতা ।। পুজো ।। সুকন্যা ভট্টাচার্য্য ছোটগল্প ।। জীবনের দাবি ।। সৌমেন দেবনাথ কবিতা ।। ইন্দ্র মেঘওয়াল ।। জীবনকুমার সরকার কবিতা ।। সময় ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভাবা যায় না ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। জীবন ও মৃত‍্যু ।। হামিদুল ইসলাম কবিতা ।। স্বপ্ন ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। বাগান চোর ।। অমিত মজুমদার মুক্তগদ্য ।। কাল নিরবধি ।। বিজয়া দেব কবিতা ।। কথোপকথন ।। মনীষা কর বাগচী কবিতা ।। বুকের ভেতর গুনগুন ।। দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় কবিতা || সে কারও প্রেমিকা নয় ।। অবশেষ দাস দুটি কবিতা || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় তিনটি কবিতা ।। আবদুস সালাম আঞ্চলিক কবিতা ।। উমার

নিবন্ধ ।। মহিষাসুরমর্দিনী : রূপান্তরপর্বের কিছু কথা ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
মহিষাসুরমর্দিনী : রূপান্তরপর্বের কিছু কথা     অরবিন্দ পুরকাইত সলতে পাকানো কলকাতায় বেতারকেন্দ্র চালু হয় ১৯২৭ সালের ২৬ আগস্ট সেই সময়ের রাজ্যপাল স্যার স্ট্যানলি জ্যাকসনের হাতে। বৃষ্টিদিনে পথের পাশের আশ্রয়ে দাঁড়িয়ে আপনমনে 'এমন দিনে তারে বলা যায়' গেয়ে ঘটনাক্রমে বেতারে পৌঁছে-যাওয়া পঙ্কজকুমার মল্লিক, টাঁকশালের চাকরি ছেড়ে বেতারে-আসা তরুণ বাণীকুমার অর্থাৎ বিধায়ক ভট্টাচার্য এবং ইস্টার্ন রেলের চাকরি ছেড়ে আসা বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র প্রমুখ  ১৯৩২ সালে ঠিক করেন যে শারদীয় দুর্গাপূজার সময় বেতারে একটি মনোরঞ্জক অনুষ্ঠান করা হবে। প্রাথমিক প্রস্তাব ছিল বাণীকুমারেরই, যার সূচনা 'বেতার জগৎ' পত্রিকার সম্পাদক সাহিত্যিক প্রেমাঙ্কুর আতর্থী অর্থাৎ বুড়ো – বুড়োদার পরামর্শে। কলকাতা বেতারের প্রাথমিক সেই পর্যায়ে বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রোতাচিত্ত জয় করার প্রচেষ্টা ছিল জোরদার। তা শুরু হল তোড়জোড়। ঠিক হল বাণী লিখবেন ভাষ্য, গান ও স্তোত্র; পঙ্কজকুমার মল্লিক দেবেন সুর এবং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র থাকবেন গ্রন্থনা ও চণ্ডীপাঠে। কায়েতের ছেলে চণ্ডীপাঠ করলে কেউ কিছু মনে করবে কি না এই নিয়ে একজন খুঁত ধরায়, তখনকার দিন

কবিতা ।। গল্প ।। সুবীর সরকার

ছবি
গল্প সুবীর সরকার শীত থেকে কিছুটা দূরে আছি। বালুচর ও জিপসী তাঁবু থেকে দূরে                                                  আছি  মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখি সাজিয়ে রাখা গল্পের                                           মোড়ক  প্রশংসা চিরকালই আবেগ ঘন  অনেক গানই সুপারহিট হয় না  আমি কখনো আক্রমণ ফিরিয়ে দেই                                               না   বিছানায় অপমান উঠে এলে    মৃদু হাসি ও পাশবালিশ জড়িয়ে শুয়ে                                             পড়ি ।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।। সুবীর সরকার দেবীবাড়ি নুতন পাড়া কোচবিহার_৭৩৬১০১   

প্রবন্ধ ।। দ্বন্দ্ব তত্ত্বের আলোয় সাহিত্যে কল্পকথা ও কল্পচিত্র ।। রণেশ রায়

ছবি
দ্বন্দ্ব তত্ত্বের আলোয় সাহিত্যে কল্পকথা ও কল্পচিত্র  রণেশ রায় সাহিত্যে ও সাহিত্যিকের সঙ্গে কল্পকথা কল্পচিত্র সৃষ্টির ওতপ্রোত সম্পর্ক থাকলেও  সাহিত্যকে নেহাত সাহিত্যিকের স্বপ্ন বিলাস অলস কল্পনার এক আবেগঘন ক্ষণিক মুহূর্তের  নান্দনিক প্রকাশ বলে মনে করার কারণ নেই।  প্রকৃতিরই অংশ মানুষ তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাঁচে যা তার চেতনায় আলোকিত। সেটা  তার মনোজগত তথা মানসলোক। এই মনোজগতকে মানুষ কথায় প্রকাশ করতে পারে ভাষায় লিপিবদ্ধ করতে পারে ইঙ্গিতে উপমায় প্রকাশ করতে পারে। সাহিত্যিক তাকে নিজের জীবন বোধ  সৌন্দর্য বোধে নান্দনিক করে তোলেন সন্দেহ নেই। তিনি সাহিত্যে কল্পকথা কল্পচিত্র সৃষ্টি করেন। কিন্তু তাঁর এই শিল্প সৃষ্টি   নেহাত স্বপ্ন বিলাস জীবনবোধ বর্জিত কল্পনার জালবোনা নয়, তার থেকে বেশি আরো কিছু যা  সাহিত্যিকের জীবন দর্শন জীবন বোধ সমাজের দায়িত্ব বোধকে বেষ্টন করে থাকে।  এক দ্বান্দ্বিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে বিষয়টাকে সামগ্রিকতার প্রেক্ষাপটে বিচার করা দরকার । এই সামগ্রিকতা হল এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড যা প্রকৃতি মানব সমাজ আর প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কে সম্পর্কিত। মানুষে মানুষে সম্পর্ক নিয়ে

গল্প ।। রজনীকান্তের পাঠশালা ।। প্রদ্যোৎ পালুই

ছবি
                                      রজনীকান্তের পাঠশালা প্রদ্যোৎ পালুই ভানুর বয়স এখন চার বছর। তবে দুষ্টুমিতে সে সবার ওপরে। সবসময় তার কিছু করা চাই। চুপ করে বসে থাকতে পারে না। কাজের চাপে তার বাবা মা সময় পায় না। ফলে ভানুর দেখাশোনার দায়িত্ব সামলাতে হয় তার দাদু ঠাকুমাকে। কিন্তু একটা শিশুকে নজরদারি করতেই দুটো মানুষকে খাবি খেতে হচ্ছে। এখন পড়াশোনা শুরু করা সময় হয়েছে। ওর বয়সি বাচ্চারা বাংলা ইংরেজির সব লেটার চিনে ফেলেছে। একটু আধটু পড়তে শিখেছে। কিন্তু ও কোন কিছুই শিখছে না। দাদু ঠাকুমা জোর করে বসালে অ-আ, ক-খ যদিও একটু আধটু পড়ে। তবে ওই পর্যন্তই। মিনিট দশেকের মধ্যে বই বন্ধ করে দৌড়ে বাইরে চলে যায়। বই নিয়ে তাকে একঘন্টা বসিয়ে রাখা সত্যিই মুশকিল। অনেক ভেবেচিন্তে শীতল একদিন নাতিকে নিয়ে রজনীকান্তের পাঠশালায় হাজির হলেন। রজনীকান্ত তাঁর অনেক দিনের পরিচিত। একই গ্রামে বাড়ি। সম্পর্কও ভাল। গিয়ে বললেন, "রজনী, তুমি তো্মার পাঠশালায় আমার নাতিটাকে ভর্তি করে নাও।" রজনীকান্ত তখন অন্যান্য বাচ্চাদেরকে পড়াচ্ছিলেন। বললেন, "দাদা, তোমার নাতির বয়স কত ?" পাঠশালার ছেলেগুলোকে দেখিয়ে

অণুগল্প ।। গুরুদক্ষিণা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ

ছবি
গুরুদক্ষিণা    অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ "এই সবার মনে আছে তো, সোমবার  শিক্ষক দিবস"।  আমাদের স্কুলের শিক্ষকদের সম্মান  জানানোর দিন।  বিদায়ী  শিক্ষককে বিদায় সম্ভাষণ  করার দিন।  ক্লাসের মনিটর জোরে জোরে বলে দিল  কাল প্রত্যেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা  নিয়ে আসিস।  রাহুল ক্লাসের সব থেকে ভালো  ছেলে।কিন্তু  বড্ড গরীব।  আজ কেমন রাহুলের মুখটা শুকিয়ে গেল।     সবাই  নিয়ে এল ১০০ টাকা চাঁদা।  রাহুল শুধু শুন্য হাতে মাথা নিচু করে  দাঁড়িয়ে।   একজন  বলে উঠল, কি রে রাহুল, মাত্র ১০০ টাকা তাও দিতে পারলি না? রাহুলের বাবা সামান্য ডাব নারকেল  বিক্রি করে কোনো ক্রমে সংসার চালায়। যখন বিক্রি  হয় তখন টাকা পায়। যখন হয় না, কিছুই  পায় না।  রাহুল মৃদুস্বরে বলল,বাবা বলেছে পরের সপ্তাহে  ঠিক দিয়ে দেবে।  আজ একদম হাতে  টাকা নেই বাবার কাছে।  কয়েকজন হেসে বলল, তোর জন্য কি শিক্ষক দিবস  পিছিয়ে দেব?  মাত্র ১০০ টাকা তা ও নেই?   এই চল আমরা গিফট  কিনতে চাই।  রাহুল কে একপ্রকার ধাক্কা দিয়েই  ওরা চলে গেল গিফট কিনতে। রাহুলের খুব ইচ্ছে ছিল ওদের সাথে উপহার কিনতে যেতে। কেউ ডাকল না। চোখ দুটো  রক্ত জবার মতো  লাল হয়ে গেল।  ঠোঁটের পাতা কেঁপে উঠল।

অণুগল্প ।। মেন্টাল ।। চন্দন মিত্র

ছবি
মেন্টাল চন্দন মিত্র   অত বড়ো অফিসার তবু বাড়িতে কোনো মান নেই। কথায় কথায় বউ মেন্টাল বলে খোঁচা দেয়। মেয়ে অবশ্য সরাসরি বলে না, রেগে গেলে মায়ের রেফারেন্স টেনে বলে, এইজন্যই মা তোমাকে ড্যাস বলে। না, শব্দটি সে ভুলেও উচ্চারণ করে না কখনও।     শনিবার অফিস-ফেরতা নির্মলবাবু গেলেন মাছবাজারে। তাঁকে দেখে নিরঞ্জন একপ্রকার ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্যার আসুন আসুন একেবারে কাঁচা ইলিশ দেব এই গঙ্গার। নির্মলবাবু, নিরঞ্জনের বাঁধাধরা কাস্টমার, কদাচিৎ অন্য দোকান থেকে কেনেন। সে অবশ্য নিরঞ্জন হাত দেখালে তবে। যেদিন ভালো মাছ থাকে না, সেদিন নিরঞ্জন নির্মলবাবুকে হাত দেখিয়ে দেয়। থার্মোকলের বাক্স থেকে প্রমাণ সাইজের ইলিশটি বের করে ডালার উপরে রাখে নিরঞ্জন। বরফের কুচি মাখা রুপোলি শরীর বিজলি বাতির ছটা পেয়ে ঝকঝক করছে যেন এখনো প্রাণ আছে। নির্মলবাবুর চারপাশে ভিড় জমে যায়। জোড়া জোড়া চোখ থেকে অদৃশ্য জিভ বেরিয়ে সেই রুপোলি শরীরখানি চেটে নিতে চায়। নির্মলবাবু কিছু বলার আগেই নিরঞ্জন পাল্লায় চাপিয়ে দেয় সেই পেল্লাই সাইজের ইলিশটিকে। পাল্লায় শুয়ে সেই সুন্দরী এমন ভাব দেখায় যেন সে তার দাম সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তার চোখের

কবিতা ।। ছোয়াঁ যাইনি ।। মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায়

ছবি
ছোয়াঁ যাইনি মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায়  শরীর ছুঁতে যারা চেয়েছিল তারা পারেনি ছুঁতে আলগা করা  যাইনি রেশমের আবরণ । যেখানে আগল ধরা আছে যা, সে তো শরীরে কত আঁটোসাঁটো  পাহারায়। পালা করা কর্তব্যে ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রন ঢাল তলোয়ার প্রেসমেকার যতই হোক না জরাজীর্ণ  শরীর তো নিছক মামুলি। কত সহজে সব উপেক্ষা করে  গভীরে  নিশ্চিন্তে এক আলোময়  দেবালয় । পূজা পার্বণ ঘণ্টাধ্বনি ধুপ দীপ ফুল চন্দন কিছুই লাগে না।  ভালোবাসার এক নীরব মাইলস্টোন।  ভাঙতে ভাঙতে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে আছড়ে পড়ছে উত্তাল ঢেউ । মুহূর্তে দুর্বল হয়ে তছনছ  হয়ে যেতে পারে যা   অথচ সেখানে পুরোপুরি পৌঁছনো সম্ভব হয়নি   ছোয়াঁও যাইনি  ।

কবিতা ।। মানুষ ।। মুহা আকমাল হোসেন

ছবি
মানুষ মুহা আকমাল হোসেন পোশাক দেখলেই চিনতে পারছি  এরা কোন পৃথিবীর মানুষ।  হাত দেখলেই বুঝতে পারছি  লম্ব  খাটো বাম ডান হাতে হাতে চকচকে কুস্সা শানিত চাকু! ঠোঁটের ফাঁক দেখলেই বুঝতে পারছি   কতটা বাঁচাল অপবিত্র,।  মানুষ খুঁজতে গিয়ে সবকটা ধর্ম পড়া হয়ে গেল  রক্ত ছাড়া ধর্ম  নেই।  আজও আরন্য বেলার ভিতর শিকার শিকারী খেলা। ==========================   মুহা আকমাল হোসেন ছোট সুজাপুর মালদা-৭৩২২০৬

কবিতা ।। পুজো ।। সুকন্যা ভট্টাচার্য্য

ছবি
পুজো সুকন্যা ভট্টাচার্য্য এসব কথা বলার জন্য সূর্যাস্ত হল। অন্ধকারে ধীরে ধীরে পৃথিবীর ঝিঁ ঝিঁ দল  বাঁশের দোলনা খুশি  ছোটো নদী কাটাকুটি খেলছে  জলকাদায় লুটোপুটি খাচ্ছে চাঁদ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। অভাব ওভেনে চাপিয়ে যেদিন সেদ্ধ ভাতের গন্ধ আসে সেদিনই আমাদের বাড়িতে দুর্গাপুজো আর আমরা সবাই আলো আঁধারের ভদ্রলোক।  =================   সুকন্যা ভট্টাচার্য্য  

ছোটগল্প ।। জীবনের দাবি ।। সৌমেন দেবনাথ

ছবি
জীবনের দাবি সৌমেন দেবনাথ  ভালো লাগতে লাগতে ভালো লাগাতে মরিচা ধরে। ভালো লাগার রং জ্বলে যায়। ভালো লাগার বয়স বাড়লে ভালো লাগা আর থাকে না। ভালো লাগা দীর্ঘস্থায়ীও নয়, টেকসইও নয়। একের ভেতর বৈচিত্র্যের অভাব, একের ভেতর নতুত্বের অভাব, তাই অন্যতে মন রাঙে বেশি। মানুষের মন এমনই, একজনকে নিয়ে ভাবতে তার ভালো লাগে না। একজনকে জানা, একজনকে বোঝা হয়ে গেলে তার প্রতি আর আগের মত তৃষ্ণা থাকে না। কিন্তু জীবনে সুখী হতে হলে একজনকেই একেক ভাবে আবিষ্কার করতে হয়। একজনের ভেতরের দোষ না দেখে গুণ দেখেই সন্তুষ্টি থাকা শিখতে হয়। সন্তুষ্টি শিখতে জানতে হয়, নতুবা সুখী হওয়া যায় না। মানুষের সন্তুষ্টির চেয়ে আফসোস বেশি। কারণ প্রাপ্তির হিসাব না করে করি অপ্রাপ্তির হিসাব। কসমেটিকসের দোকান আছে আসিফের। সৌন্দর্য বর্ধনের কোন স্নো, পাউডার, ক্রিমের অভাব নেই রুমিলার। ঘর-সংসার সামলাতে গিয়ে সাজ-গোজ করা হয়ে উঠে না তার। আসিফের তাই কড়া প্রশ্ন, লিপস্টিক কি আমি ঠোঁটে দেবো? আমাকে মানাবে? একান্ত বাধ্য হয়ে রুমিলা ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে এসে বললো, কেমন লাগছে? আসিফ দেখে রেগে বললো, সাজতে তোমার ভালো না লাগার কারণ কি? ঠোঁটে লিপস্টিক দিলেই কি ভালো লাগে? আমার