Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

ছবি
  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

মুক্তগদ্য ।। কাল নিরবধি ।। বিজয়া দেব



  কাল নিরবধি 

বিজয়া দেব 


রান্না করতে গেলে অনেকসময় হাত পুড়ে যায়, তারপর ঠান্ডা জল বরফগলা জল পোড়ার মলম কত কী। তারপরও ফোসকা কিংবা ছ্যাঁকার চিহ্ন থেকে যায়। চলতে চলতে পা মুচড়ে যায় ভাঙ্গা রাস্তায়। তারপর ব্যথা হলুদপ্রলেপ কাজ না হলে ডাক্তারের কাছেও দৌড়োনো। ওখানেও সহজে ডাক্তারের দেখা মেলে না। নম্বরের সারিতে নিজেও একখানা নম্বর হয়ে অপেক্ষা করতে হয়। তখন আবার কাল নিরবধি। কখন যে ডাক্তারের কাছে গিয়ে দাঁড়াই নিজেই বুঝি না।
    দৈনন্দিন জীবনের কিস্যা নিয়ে রাতে ডাইরি লিখি। খুঁটিনাটি সব। কোনও দিন বিকেলে যেদিন চারপাশ খুব ফাঁকা তখন নিজের লেখা ডাইরির পাতা একের পর এক উল্টে যাই। দেখি সময়টা এক গোলকধাঁধা। এ ঘর থেকে ওঘর ও ঘর থেকে এ ঘর, বেরোবার পথ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তখন পথ খুঁজে পাওয়ার জন্যে ব্যাকুল হয়ে পড়ি।
      "পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি" 
এ এমন এক "বন্ধনহীন গ্রন্থি"র কথা বলছেন কবি যে "গ্রন্থি" প্রতিমুহূর্তে আলগা হয়ে যায় আলগা করে দেয় পথচলার বাধা। কিন্তু আজকের এই যে চলতি হাওয়া  তাতে ভেসে ভেসে যাওয়ার নাম বুঝি জীবন? যেদিকে হাওয়া সেদিকে তরী ছেড়ে দিলে সে তরতর করে ভেসে যায়, ভারি স্বস্তি। উল্টোস্রোতে দাঁড় বেয়ে যাওয়া কঠিন বটে। তার ওপর ফুটো নৌকো হলে তো প্রাণ নিয়ে টানাটানি।                    
                 সেদিন কাজের ঠিকে মানুষটি এসে বিদ্যাসাগরের জীবনী চাইল। তার মেয়ে ইস্কুলে পড়ে। প্রোজেক্ট জমা দিতে হবে। বই কোথায় পাওয়া যায় জানে না। সুতরাং লিখে দিলাম। লিখতে লিখতে মনে হল বিদ্যাসাগর একটানা উল্টোস্রোতে দাঁড় টেনে গেছেন। কীভাবে করলেন সেই অতি কঠিন কাজ তা একটি গুরুতর প্রশ্ন। আজকাল তো এমন হয় না, হচ্ছে না। যদি আজকের এই সময়ে বিদ্যাসাগর জন্মাতেন তাহলে কি তিনি বিদ্যাসাগর হয়ে উঠতেন? তাহলে সময়ের কি একটি ভূমিকা আছে ব্যক্তির হয়ে ওঠার কিংবা না হয়ে ওঠার?  আপাতত আমার কাছে হাত পুড়ে যাওয়ার কষ্ট কিংবা পা মুচড়ে যাওয়া কিংবা ডাক্তারের কাছে নম্বর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার গোলকধাঁধা যে তৈরি হচ্ছে নিয়ত তার জন্যে কি দায়ী এই বহমান সময়? হ্যাঁ, সময়ের একটা মুখ আছে - অতীত বিশ্লেষন করলে তা বেরিয়ে আসে।
   গতকাল বাইরে কাজ সেরে ফেরার পথে দেখলাম কোনও টিভি চ্যানেল পথের পাশে এক মহিলাকে দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করছে। বিষয় - ডেঙ্গি। নর্দমার স্থির জলে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে শতশত লার্ভা। পুষ্ট হয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ছড়িয়ে পড়ছে জনজীবনে। রোগাক্রান্ত করে চলেছে অবিরত। করোনা ডেঙ্গি আর কতশত রোগ।
    বাড়তি সাহস হারিয়ে ফেলি। ডাইরির পাতা শুধু এসময়ের সাক্ষী হয়ে থাকে।

==============
#বিজয়া দেব ।
225 পূর্বাচল রোড নর্থ ।
কলকাতা - ৭৮ ।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল