পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৪৩তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

ছবি
    সূচিপত্র ======== প্রবন্ধ 'মহিষাসুরমর্দিনী' : বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কন্ঠে পূজা উদযাপন ।। পিনাকী সরকার অনুভবে, অনুধ্যানে অনালোকিত কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী ।। সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় অন্নদাশঙ্কর রায়ের রম্য ছন্দছড়া ।। মনোজিৎ কুমার দাস দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাট এলাকার কিছু কথ‍্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্.ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কাজী নজরুল ইসলামের লেখনী ও এই সময় ।। সৌমিক ঘোষ  রিমঝিম ঝিম বৃষ্টি ।। সিদ্ধার্থ সিংহ বিজ্ঞানের চোখে কান্না ।। অনিন্দ্য পাল রুবাই ও শায়েরী প্রসঙ্গে ।। শংকর ব্রহ্ম করোনাকাল ও ভারতে কৃষিসংস্কার ।। রণেশ রায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও আমাদের কর্তব্য ।। আবদুস সালাম   গল্প / স্মৃতিকথা   রওনা ।। অদিতি ঘটক   ছাতা ।। দেবশ্রী সরকার বিশ্বাস   একবাটি পোস্ত ।। সংঘমিত্রা সরকার কবিরাজ   অবলুপ্তি ।। অঞ্জনা গোড়িয়া    চায়ের দোকানের ছেলেটি ।। তাপসকিরণ রায়   ধূসর স্মৃতি ।। পারমিতা রাহা হালদার (বিজয়া)   অসম সুখ ।। পারিজাত ব্যানার্জী ্   সেকেলে ।। মিনাক্ষী মন্ডল   তুক ।। চন্দন মিত্র    উজ্জীবিত উজ্জয়িনী ।। প্রদীপ দে সর্বনাশ ।। মোয়াল্লেম নাইয়া পিছনে ফেলে আসা ।। দীপ

'মহিষাসুরমর্দিনী' : বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কন্ঠে পূজা উদযাপন ।। পিনাকী সরকার

ছবি
রেডিও থেকে ভেসে আসছে 'আশ্বিনের শারদ প্রাতে, বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির, ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা, প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত, জ্যোতির্ময়ী জগতমাতার আগমন বার্তা৷' যাঁর কণ্ঠ দিয়ে হয় শারদোৎসবের এই আগমন, তাঁর নাম বিরূপাক্ষ ওরফে শ্রী বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠের জনপ্রিয়তার কারণে বেতারের অনুষ্ঠানকেই 'মহালয়া' বলে ভুল করেন অনেকে। আসলে 'মহালয়া' একটি তিথি। অনুষ্ঠানটির নাম 'মহিষাসুরমর্দিনী'। মহালয়ার পুণ্য প্রভাতে তাঁর গম্ভীর কণ্ঠে স্তোত্রপাঠ দিয়েই শুরু হয় আনন্দময়ী মহামায়ার আগমনী। আকাশবাণী কলকাতার প্রভাতী অনুষ্ঠান 'মহিষাসুরমর্দিনী' দিয়েই শুরু হয় মহালয়ার ভোর। বিরূপাক্ষর কণ্ঠ বেজে ওঠে ঘরে ঘরে। ১৯০৫ সালের ৪ অগস্ট উত্তর কলকাতায় মামারবাড়িতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের জন্ম হয়। পিতা ছিলেন রায়বাহাদুর কালীকৃষ্ণ ভদ্র ও মাতা ছিলেন সরলাবালা দেবী। কালীকৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন বহুভাষাবিদ, তিনি ১৪টি ভাষা জানতেন। পরবর্তীকালে ঠাকুমা যোগমায়া দেবীর সঞ্চিত টাকায় ক্রয় করা ৭, রামধন মিত্র লেনে উঠে আসেন তাঁদের পরিবার। পাঞ্জাবের নাভা স্টেটের মহারানির প্রাইভেট টিউটর হিসেবে নিয

প্রবন্ধ।। অন্নদাশঙ্কর রায়ের রম্য ছন্দছড়া ।। মনোজিৎকুমার দাস

ছবি
  অন্নদাশঙ্কর রায় (১৯০৪----২০০২ ) বাংলাসাহিত্যের সব্যসাচী লেখক। তাঁর লেখা প্রবন্ধ, গল্প,উপন্যাস, ছড়া বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।তিনি বাংলাভাষার অন্যতম ছড়াকার। তাঁকে ছন্দছড়ার রাজা বললে ভুল বলা হয় না। তাঁর লেখা ছড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০০। ছোটদের জন্য, বড়দের জন্য এবং সবার জন্য নানা আঙ্গিক, নানা ছন্দ ও নানা রীতিতে চিত্তাকর্ষক ছড়া তিনি রচনা করেছেন। তিনি নিজেই বলেছেন, তিনি নিজেই একজন ছড়াকার। নিজের লেখা ছড়ায় তিনি প্রকাশ করেছেন তাঁর ছড়া লেখার অভিব্যক্তি।     এক কোণে আমি রচি ছড়া                                                                                   বিনা ভাগে ভোগ করি ধরা।'     অন্নদাশঙ্করের লেখা রাঙা ধানের খই', 'আতা গাছে তোতা পাখি', 'হৈরে বাবু হৈ', 'রাঙা মাথায় চিরুনি', ' বিন্নি ধানের খই', ' সাত ভাই চম্পা', 'দোলদোল  দুলুনি', শালিধানের চিড়ে', ' যাদু এ তো বড় রঙ্গ' ইত্যাদি ছড়ার বইগুলোর নামের মধ্যেই মজার গন্ধ ছড়িয়ে আছে।       তাঁর লেখা ছড়াগুলোর নামকরণ থেকে ছড়ার বিষয় বস্তু এবং শব্দ ও ছন্দের দোলা সহজেই অনুধ

অনুভবে, অনুধ্যানে অনালোকিত কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী ।। সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়

ছবি
"এ কালে একটু লেখাপড়া জানা থাকাতে, এবং বঙ্গভাষায় অনেক গুলি পাঠ্য পুস্তক হওয়াতে কেবল পরনিন্দা করিয়া সময় কাটাইতে তাঁহাদের আবশ্যকও হয় না, প্রবৃত্তিও হয় না। …নিতান্ত সখ্যতা বা আত্মীয়তা না থাকিলে, সকল পেটের কথা খুলিয়া নিঃশ্বাস ছাড়িয়া তৃপ্তিলাভ করা, এ কালের মেয়েরা পছন্দ করেন না। তাঁহারা বইখানি, কার্পেটটুকু, নিজের স্বামী পুত্র লইয়া দিন যাপন করিতে বা একেলা থাকিতে কষ্ট বোধ করেন না।" —শরৎকুমারী চৌধুরাণীর এই লেখা (ভারতী ও বালক/ আশ্বিন কার্তিক, মাঘ/ ১২৯৮) দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না উনিশ শতকে নারীর লেখাপড়া শেখার উদ্দেশ্য ছিল মূলত আত্মমুক্তির জন্য। শুধু লেখাপড়া শেখা নয়, সাহিত্য সৃষ্টিতেও ছয়'এর দশক (উনিশ শতকের) থেকে নারীরা যে ধারা সূত্রপাত করেছিল তা নারীর আত্মমুক্তির পথকেই প্রসারিত করেছিল। ছয়'এর দশকের পূর্বেই ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ছাপার হরফে নারী রচিত কাব্য 'চিত্তবিলাসিনী' প্রকাশিত হয়। লেখেন কৃষ্ণকামিনী দাসী। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কবি ঠাকুরাণী দাসীর নাম উঠে আসতে থাকে, যিনি কবিতার পাশাপাশি গদ্যও লিখতেন। ঠিক সেই বছরই জন্মগ্রহণ করেন কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী, যাঁর কবিতা লেখা আত্মমুক্

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাট এলাকার কিছু কথ‍্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্.ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
  দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট থানা এলাকার স্থানীয় কথ‍্য শব্দ, শব্দের উচ্চারণ, বাগ্ . ধারা ইত‍্যাদির   কিছু সংগ্রহ ২০১৬ সালে রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকার বিশেষ ভাষা সংখ‍্যায় প্রকাশিত হয়েছিল যা পরে নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে (সুচেতনা, ৪ পৌষ ১৪২৩) যায়। ক্রমশ ব‍্যবহার-কমে-আসা এইসব শব্দ, পরিভাষা ইত‍্যাদির এখানে রইল আরও কিছু সংগ্রহ। দৃষ্টান্তগুলি একটু বেশি পুরোনো গ্রামীণ উচ্চারণে দেওয়া হল মূলত ধরে রাখার জন‍্যে। এখন আমরা সবাই সমস্তটা এত আগের উচ্চারণে বলি না – বিশেষত ক্রিয়াপদ, তবে বাগ্্ধারা, পরিভাষা জাতীয় শব্দগুলো এখনও অনেকখানি বর্তমান। আমাদের উত্তরপ্রজন্মের ছেলেমেয়েরা নানা কারণে এমন সব উচ্চারণের থেকে ক্রমশ দূরবর্তী হয়ে পড়ছে অনিবার্যভাবেই। আমরা নিজেরাই তো তাদের সঙ্গে আমাদের শিশুবেলার উচ্চারণে কথা বলি না, মান‍্য চলিত বাংলাই (মাচবা) মেনে নিয়েছি। কিন্তু ধরে রাখার দায় তো থাকেই – ওই বিপুল উচ্চারণ ও অর্থবৈচিত্র‍্য‍, সর্বোপরি চিত্রযোগ! তাই মিশ্র উচ্চারণ এড়িয়ে, একই ধরনে রাখার চেষ্টা এ অনেকখানি বাপ-পিতেমো, মা-ঠাগ্ . মাদের উচ্চারণ যে!          এ-জেলার একাধিক লে