তার পায়ের শব্দ না পেলে ঘর ঘুমায় না।
উঠান খালি গায়ে জেগে থাকে, তার অপেক্ষায়।
আচ্ছন্ন জ্যোৎস্নার কাছে কামিনীর লেখা চিঠি পৌঁছায়।
একটা তারা খসার দুঃখ নিঃসঙ্গ রাতচরা পাখির মত উঁকি দেয়, চিঠির পাতায়।
পশ্চিমের জানালা ধরে বুড়ো চাঁদ ঘরে আসে।
তখনও সে জেগে জেগে রাত্রির প্রতিবেশী হয়ে নদীর শোকের মত নিজেকেও সঁপে দেয়, নিষ্পাপ জোনাকির কাছে।
কামিনীর তীব্রতা বাতাসের পায়ে ধরে কাঁদে।
তার বিছানার শূন্যতা গায়ে দিয়ে ঘর যেন পাশ ফিরে আছে।
আর একটা রাত আসে, আর একটা রাত আসে
তার চোখে ঘুম আসে না।
দুঃস্বপ্নের মত রাতের কুঁড়িগুচ্ছ ঝরে যায়।
সে অপেক্ষা করে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন