ছোটোবেলায় শুনতাম --- খুদে নুনে বরাকর / তিন নিয়ে দামোদর ।
পরে জেনেছি আরও আছে, যেমন --বোকারো, ভেরা, ঘাড়ি, জামুনিয়া ।
তখন আমরা কুলটিতে । বরাকরেও যাতায়াত ।
এখন তো দামোদরপাড়েই বাস । দুঃখ বারোমাস বলব না ।
বাঁধের গেট ভেঙে জলকষ্টে ভোগাল ইদানীং দু'বার ।
নইলে তো বাড়িতে অতিথি এলে ওই আমাদের ঘুরবার জায়গা ।
শীতে পিকনিক । রনডিহা থেকে হুচুকডাঙা ---আমরা চষে বেড়াই ।
মাইথন বা পাঞ্চেত । আমরা থাকি ।
আমাদের জল বালি হাওয়া শ্মশান সব নিয়েই আমাদের দামোদরের হাঁড়িকুড়ি ।
বিদ্যাসাগর এ- নদী সাঁতরে পার হয়েছিলেন বলে আমরা পড়ে থাকি ।
আবার এই নদীই ফি-বছর চোরাঘূর্ণির ফাঁদে ফেলে টেনে নেয় তরতাজা তরুণদের ।
ছোটোনাগপুরের চুলহাপানি থেকে যার নির্গমন সে অষ্টাদশ - ঊনবিংশ শতকে
হয়ে উঠেছিল বাংলার দুঃখ । প্রতি বর্ষায় তার ভয়াল বন্যা ।
তাকে ঘোড়ার লাগামের মতো বাঁধ দিয়ে বাঁধতে চাইলেন প্রথমে
বর্ধমানের মহারাজা কীর্তিচাঁদ তারপর বৃটিশেরা ।
তারপর তো দামোদর ঘাঁটি নিগম ।
এ নদী সভ্যতার সাক্ষী । এ নদী খনি ও শিল্পের আশ্রয় ।
এ নদীর জলে কত ফসল । এ নদীর হাওয়ায় কত কবিতার রেণু ।
==================
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন