পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রসঙ্গ ভাদুগান : দার্শনিকতার প্রেক্ষিতে // উপানন্দ ধবল

ছবি
প্রসঙ্গ ভাদুগান : দার্শনিকতার প্রেক্ষিতে – উপানন্দ ধবল  ভাদু মূলত লোকদেবী। ভাদুগীত ও নৃত্যকে আশ্রয় করে দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার বাউরি, বাগ্দি, মাহাত, কুম্ভকার, মাল, মাহালী, কুড়মী, সাঁওতাল প্রভৃতি প্রান্তিক সম্রদায়ের মানুষেরা ভাদ্র মাসের পয়লা (১ তারিখ) থেকে সংক্রান্তি অর্থাৎ সমগ্র ভাদ্রমাস জুড়ে যে লোকোৎসব পালন করে, তা-ই হল ভাদু-পরব। ভাদু গানের এলাকা : পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল তথা মানভূম হল ভাদু গান ও উৎসবের প্রধান ক্ষেত্রভূমি। বর্তমানে পুরুলিয়া জেলার কাশীপুর, মানবাজার, হুড়া, বলরামপুর, বান্দোয়ান, পাড়া প্রভৃতি অঞ্চলে বাঁকুড়া জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ যেমন তালডাংরা, সিমলাপাল, সারেঙ্গা, রায়পুর, মটগোদা, রাণীবাঁধ, খাতড়া প্রভৃতি অঞ্চলে, বর্ধমানের পশ্চিম অংশে, পশ্চিম মেদিনীপুর,  ঝাড়গ্রাম জেলা, ঝাড়খণ্ডের সিংভূম, রাঁচী  ও হাজারীবাগ জেলার কিছু অংশ ছাড়াও বীরভূম জেলায় ভাদুগান প্রচলিত।  ভাদুগানের উৎস ও নানা কিংবদন্তি : ভাদুগানের উৎস সম্পর্কে নানা কিংবদন্তি ও মতামত প্রচলিত আছে। এগুলির মধ্যে ব্যক্তিকেন্দ্রিক, কালকেন্দ্রিক ও ফসলকেন্দ্রিক নামকরণই ব্যাপক প্রচলিত। কারো কারো মতে ভাদোই ফসল থেক

কবিতা ।। জ্ঞানের আলো ।। ইন্দ্রাণী দত্ত

ছবি
  জ্ঞানের আলো ইন্দ্রাণী দত্ত শিক্ষা যেন প্রদীপ সম ছড়ায় দীপ্তি তাহার অন্ধকারের বদ্ধ দ্বারে থাকবো নাকো আর, আমরা গড়বো সোনার সেতু লক্ষ্য যেথা স্থির অতল জলে গা ভাসিয়ে খুঁজবো মোরা তীর, দেশ দেশে জ্ঞানের আলো, উড়বে বিজয় ধ্বজা  শিক্ষা সবার দ্বিতীয় জন্ম, নয়তো কোন বোঝা, আসুক ছাত্র দলে দলে, ক্লাসরুমে কলরব হাতে থাকুক বই ব্যাগটা, ভুলে যাক বাকি সব, ইংরেজিটা শক্ত ভীষণ, বাংলা মোটামুটি, ভূগোলেতে গোল আর অংকে কাটাকুটি, পড়তে হবে সকল বিষয় গড়তে ইতিহাস বিজ্ঞান টা নয়তো সোজা, যুদ্ধ বারোমাস ! ইস্কুলটা মন্দির হোক, শিক্ষক ঈশ্বর সমান,  আমরা গড়বো নতুন রেকর্ড, গ্রহান্তরে অভিযান ৷

কবিতা ।। জীবনের খনি ।। মোহিত ব্যাপারী

ছবি
জীবনের খনি মোহিত ব্যাপারী                  জীবনের বাঁকে বাঁকে আজও ওরা হেসে খেলে চলে। জটিল জীবনের ফাঁদে ছটফট জীবন। তার মাঝেও ছোটবেলা হাসে। জীবন এগিয়ে চলে জীবনের পথে। মানুষ বড় হয় সময়ের সাথে। নাম যশ প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ে। তবু আজীবন সখ্যতা ছোটবেলার সাথে। বড় হতে হতে জীবনের বিস্তৃতি বহুদূর। তবু মন পড়ে থাকে সেই সোনার খনিতে। ============                              ( MOHIT BAPARI )                    VILL - NORTH KANCHDAHA                   PO - KANCHDAHA                   DIST - NORTH 24 PARGANAS                   PIN - 743247

কবিতা ।। করোনায় প্রতীক্ষা ।। মানিক ঘোষ

ছবি
  করোনায় প্রতীক্ষা     মানিক ঘোষ  অতৃপ্ত আজ স্কুল আঙিনা নেই কোন পদচিহ্ন,   শূন্য ঘরে কাটিয়েছি কত  ক্লান্ত অপরাহ্ন।  নাইবা হল কথাবার্তা  নাইবা হল দেখা , হৃদয় ভূমে রয়ে গেছে এক  অনুভূতিময় রেখা।  রেখা কখনো সরল কখনো বাঁকা  কখনো তির্যকময়,  নানা রূপ নেয় নানা সময়  তোদেরই অপেক্ষায়।  জীবনের তরী বাইতে হবে  জানিনাকো কত কাল,  থেমে যাবে আজ এখানেতে নাকি দেখবে শুভ সকাল ?  ঘুচে যাক এই ব্যবধান খানি  আসুক নতুন দিন,  নব উল্লাসে সুধিব তোদের  পড়ে আছে যত ঋণ।। 

কবিতা ।। আমার ক্ষুদিরাম ।। মানস বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়

ছবি
  আমার ক্ষুদিরাম  মানস বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়                       ক্ষুদিরামের নামের সঙ্গে            জড়িয়ে ছিল রাম ,           রামের মত বীর ছিল তাই           আমার ক্ষুদিরাম ।            আগুন ছিল বুকের মাঝে            মাথায় বরফ ঢাকা ,            স্বপন ছিল স্বাধীন ভারত            মনের মধ‍্যে রাখা ।            অত‍্যাচারী কিংসফোর্ডকে            মারতে গিয়ে বোমা ,            মেরেছিলেন ইংরেজ নারী             নিজেকে করেনি ক্ষমা ।            বলেছিলেন আমার ক্ষুদি            মারাতাম যদি কিংসফোর্ড            বলে দিতাম কেউ দেখেনি            ক‍েশ লড়তাম হাইকোর্ট ।            বীরের মত ফাঁসির সাজা            তাই নিয়েছেন মেনে ,            গীতার বাণী আত্মা অমর            গিয়ে ছিলেন জেনে ।             

কবিতা ।। ঘাস ।। সেখ নাসিবুল আলি

ছবি
  ঘাস  সেখ নাসিবুল আলি                       জষ্টির রবি রশ্মিতে দিনে-দিনে       ভীষণ ক্লান্ত সে আজ  একটু শাদা শীতল  জল চায় !         নইলে জ্বলে যাচ্ছে,               তার প্রতিটি লতা পাতা যেন ওর বেড়ে গেছে,   - চিন্তা ! তাই, সংকোচে জানাই সুমধুর শব্দ বিন্যাসে বর্ষার জলদকে।      সে যেন তাকে দ্যায় দু ফোঁটা শাদা শীতল জল তাহলে সে আবার  সবুজে সবুজে  সেজে ওঠবে । জলদ' দের দু ফোঁটা জলের  শব্দ        গভীর গহবরে  জন্ম দেব                এক একটি সন্তান -                ক্লান্ত পৃথিবীর বুকে ।            তখন ঘাস  আরো                            সুগন্ধ ছড়াবে । মাথার উপর দিগন্ত  প্রসারিত  নীলিমার মতো ।              :::::::::::::::::০:::::::::::::: সেখ নাসিবুল আলি গোপালপুর পো:খাড়রা থানা: ইন্দাস জেলা বাঁকুড়া

কবিতা ।। চাওয়া পাওয়া ।। হৃষীকেশ ঘোষ

ছবি
  চাওয়া পাওয়া হৃষীকেশ ঘোষ   কতশত গল্পের মধ্যে তোমাকে আমি খুঁজেছি, বসন্তের পাতাঝরা বনে , কৃষ্ণ আর রাধাচূড়ার হলুদ লালের ফুলের খেলায় আমি তোমাকে খুঁজেছি,  তটিনীর ধারে হাঁটতে হাঁটতে নদীর দিকে তাকিয়ে আমি তোমায় খুঁজেছি, রাতের অন্ধকারে দীঘির বুকে আকাশের প্রতিচ্ছবিতে তারার মাঝে আমি তোমায় খুঁজেছি, বৃষ্টি ঝরা দিনে ঝর ঝর বৃষ্টির ফোঁটায় আকাশের মেঘে ঢাকা কোলে আমি তোমাকে খুঁজেছি, শীতের প্রভাতে কুয়াশাঘেরা প্রকৃতির বুকে বিন্দুবিন্দু শিশির কণায় আমি তোমাকে খুঁজেছি, প্রখর গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় হৃদয় জুড়ানো সমিরনের মাঝে আমি শুধু তোমাকে খুঁজেছি, আজ পেলাম তোমায় খুঁজে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিগুলোর মাঝে...! যে হাতে রেখেছো হাত,  যদি দাও তুমি শত সহস্রবার আঘাত, তবু আমি থাকবো তোমার অভিমানে, আর তুমি থাকবে আমার  বালিশের ভেজা রজনীতে !

কবিতা ।। আমি যে রাধা ।। মহা রফিক শেখ

ছবি
আমি যে রাধা মহা রফিক শেখ  কোন এক বৈশাখী বিকালে  ঝড় উঠুক মনে,  প্লাবনে ভাসুক ভালোবাসা .... হৃদয়ের কোণে। উষ্ণতায় ঝরে পড়ুক লাজুক প্রেমবারি, চুম্বনে ব্যস্ত ওরা  শুক ও সারি। আসুক রুক্ষ হওয়া  আসুক যত বাধা,  তুমি তবে কৃষ্ণ  আমি যে রাধা।   ===========    মহা রফিক শেখ,  মহিসার, খড়গ্রাম,মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বঙ্গ -742147

কবিতা ।। মৌন মুখর ।। আশীষ হাজরা

ছবি
  মৌন মুখর আশীষ হাজরা এখানে এখনো রিসোর্ট গড়ে উঠেনি পর্যটকদের আনাগোনা মদের বোতল এখনো গড়াগড়ি খায়নি, উৎকট ডি জে বাজনায় নদী জল বনভূমি এখনো কেঁপে উঠেনি। এখনো এখানে অনন্ত নীরবতা পাখিদের কাকলি ভীরু খরগোসের চকিত আনাগোনা বুনো হাঁসের জলে নেমে হুটোপুটি খেলা আর মাছ ধরা, শাল মহুল ফুলের গন্ধে চারদিক আমোদিত করে, গজরাজ পরিবার নিয়ে নীরবে জল খেয়ে কোথায় চলে যায় । এখানে এক বুক নির্মল বাতাস নীল আকাশে মেঘের ভেলা কাজ শেষে মরদের সাথে ক্ষেতমজুর রমণীর ঝিলে অবগাহন । উদাস দুপুর ধীর লয়ে ছোট্ট পাহাড়ের ফাঁকে গড়িয়ে যায়, বনবীথি মাঝে সূর্য ডোবে নিবিড় অন্ধকার ছেয়ে আসে, এখানে এসো নীরবে যেন অনন্ত সুন্দর নীরবতার ধ্যান না ভাঙ্গে ।।   ------------+------------- আশীষ হাজরা::সারেঙ্গা:বাঁকুড়া: পঃবঃ, ভারত: পিন -৭২২১৫০

ছড়া ।। সেদিন দেখি হাটে ।। দিলীপ কুমার মধু

ছবি
সেদিন দেখি হাটে দিলীপ কুমার মধু   সেদিন দেখি হাটে অশীতিপর এক বৃদ্ধা কুমড়োর ফালি কাটে, দেখে থমকে দাঁড়াই এক ফালি সেই কুমড়ো নিতে ডান হাতটা বাড়াই। কতো প্রশ্ন মনে উত্তর খুঁজে পাই না মোটে লোকের আগমনে, দীর্ঘশ্বাস ফেলি বৃদ্ধার দিকে তাকিয়ে একবার ধীরে যে পা ফেলি। ঘন্টা খানেক ধরে বাজার করি, কী যে করি ! মাথায় ভাবনা ঘোরে, ঘরের দিকে পা আমার মা আর বাজারের মা- একই তো সে মা। পৃথিবীটা ঘোরে হঠাৎ দেখি পৃথিবীটা আমার ঘরের দোরে, পৃথিবীকে নমি পৃথিবীকে আশ্রয় করে আমরা মিথ্যে ভ্রমি।   ---------- দিলীপ কুমার মধু, মেমারি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত

কবিতা ।। মনিবের ডাকে ।। সবুজ জানা

ছবি
  মনিবের ডাকে  সবুজ জানা আমরা দিনমজুর দম্পতি  কাকভোরে মনিবের ডাক আসার পর সদ‍্য স্নান সেরে আমার পাশে বস আজ ও অনন্তকাল... মাটির আঁচে গরম তেলে শুকনো লঙ্কা যখন স্বাদ ও গন্ধের পূর্ণতা পাচ্ছে মুড়ি আর পেঁয়াজ নিয়ে অপেক্ষা করি... চালে গোঁজা কাস্তে আর ঝুড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ার আগে অবিন‍্যস্ত এলো চুল বেয়ে নেমে আসতে দাও জলের সোহাগ ভ্রুক্ষেপহীন ঠোঁটে  প্রতিশ্রুতিরা সাগরের তল ছকে নেওয়া ভালবাসার জেলিফিস  এমন করে ছুঁয়ে থেকো সে ছোঁয়া যেন মুছে না যায় সারাটি দিন বিরামহীন... আর একটু পরে আলো ফুটলে সে মনিবের ডাক মাথায় রেখে  এ সোহাগ ভুলে  পিছুটিন খুলে  বিজ্ঞপ্তিহীন মাথাগোঁজার এ ঘর খালি করে  প্রতিদিনের মত তোমায় আমায় মিলে যেতে হবে  যেতেই হবে তবে আমাদের ফেরা আর না ফেরা মাঝে  চিরকালই দাঁড়িয়ে থাকে সেই মনিব। =============== সবুজ জানা পাঁশকুড়া পূর্বমেদিনীপুর

কবিতা ।। রাত্রি-দিন ।। অভিজিৎ হালদার

ছবি
রাত্রি-দিন অভিজিৎ হালদার এই সব দিন রাত্রি পেরিয়ে কোনো এক সুন্দরী নারী  দেখা দিল নক্ষত্রের হৃদয়ে। তর তম আমার'ই তপস্যা তর্জমা হল তরঙ্গিণীর ঝর্ণা তন্ন তন্ন করিয়া বক্ষ এখন অবদান পেলো প্রেমের ভাষা। ঢের বেশি দূরে চলে গেল রাত্রি দিনের হৃদয়ে শুকনো পাতার ঘ্রাণ হৃদয়ে শুধু বিষের বাঁশি বাজে। সকল ঘৃণা করিবার তরে মুক্তমালা সমাধির বুকে বুকে -- একরাশ আশা নিয়ে বেঁচে থাকা তবুও ভালোবাসার গোলাপ ফোঁটা। রাত্রি দিন তফাতের নারী ফ্লোরেন্স শহরের পথে পথে শতাব্দী কাটিয়ে দেয় উঁচু উঁচু অট্টালিকা নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে। জাগে প্রেম গভীর থেকে গভীরে মুসি নদীর মাঝে সোনার দ্বীপ টাইটানিক জাহাজে করে তুলে এনে দেবো কোনো এক সুন্দরী নারীর হাতে।। ==============   Abhijit Halder  Mobarockpur Fatepur, Nadia West Bengal, India 

কবিতা ।। প্রাণের জন্য পণ ।। বিমান প্রামানিক

ছবি
  প্রাণের জন্য পণ বিমান প্রামানিক আবেগে ভাসিয়ে মন চলেছে বাইক হাতে, লাগামহীন চালনার ফলে যাচ্ছে প্রাণ তাতে। মরছে কত জনা, ভাঙছে যেন পরিবার, শখের বাইক সুখ কেড়ে নেয়, বাবা-মার। বিনা হেলমেটে চলেছো উড়িয়ে ভাবো না নিজের কথা? বিপদ যখন আসে তখন দাঁড়াবে তুমি কোথা? বাইক হাতে চলেছো যে সবকিছু ভুলে হাইরোডে ভাবো কি? বাবা, মা, স্ত্রী আপনজন থাকে দুশ্চিন্তাতে। পথে পথে দেখি, যেন কতই না রেষারেষি, চলেছে টেক্কা দিয়ে কেউ কম কেউ বা বেশি। কেউ বা জেদের বশে, কেউ বা বাহাদুরিতায়, লাগামহীন বাইক হাতে ছুটে ছুটে যায়। কেউ বা পড়ে গাড়ির তলায়, কেউ বা নয়ানজলি, নিজের গাড়ি নিজের হাতে, এটাই সদা বলি। শেষে কিনা খবর আসে, আসে কাফনবন্দি বাড়ি, তাই তো বলি আবার, সাবধানে চালাও গাড়ি। কেউ আবার চির পঙ্গু হয়ে, হারায় যে হাত পা, বলবো কি আর কতবার এমন দুঃখী মনের কথা! তোমার জীবন নিঃস্ব হলে ভাঙবে যে সংসার, তোমার সাবধানতায় বাঁচবে তুমি, বলছি বারবার। গাড়ি চালাও, বাইক চালাও , চালাও সাবধানে, টেক্কা দিয়ে যেও না খবরদার রেখো সদা  মনে। এগিয়ে চলো গন্তব্যে, এসো ফিরে বাড়ি সময় মতন, চালাও বাইক, চালাও গাড়ি সজাগ হয়ে,করো পণ। ==============

কবিতা ।। পড়বে মনে ।। অজয় মুখোপাধ্যায়

ছবি
  পড়বে মনে অজয় মুখোপাধ্যায় তোমায় আমার  অধিক করে পড়বে মনে দুঃখ-ভরা প্রাণে, রইবো বসে একা আমি চেয়ে পথের পানে। নাই-বা হলো দেখাশোনা, নাই-বা হলো কথা,- তোমার গন্ধ জাগায় মনে ব্যথা। নীল আকাশে তারার মাঝে তুমি জ্যোৎস্নালোকে ভরিয়ে তোলো যামী। নিদাঘকালে কালবোশেখের ঝড়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টি যখন পড়ে; কিংবা, শীতের সাদা চাদর মুড়ে হিমেল হাওয়া পথের বাঁকে ঘোরে, তখন তোমার কথা অধিক মনে পড়ে; দুঃখটা তাই বইবো কেমন করে!                ________    অজয় মুখোপাধ্যায়, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ।  

কবিতা ।। বর্ণমালা ।। অশোক দাশ

ছবি
  বর্ণমালা অশোক দাশ  বর্ণে-বর্ণে গাঁথা বর্ণমালা শব্দ অলঙ্কার, প্রেম প্রীতি আবেগ ভালবাসার মনিহার।     ‌‌      শব্দ ঝঙ্কারে বিদ্রোহের  অগ্নি স্ফুলিঙ্গ,            কথার জাদুতে  কপট পাশা খেলায় ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরের আত্মসমর্পণ। বীর পাণ্ডব পৌরুষের দাসত্ব বরণ,                                 দ্রৌপদীর লজ্জা হরণ। শব্দের মারপ্যাঁচে উচ্চারণের তারতম্যে কৌরব সেনাপতি দ্রোণাচার্যের অস্ত্র ত্যাগ। কথার পিঠে কথা বসিয়ে      কূটিলা মন্থরার ষড়যন্ত্রে রামের বনবাস। নকশী কাঁথার বুকে নিপুন দক্ষতায় পরম মমতায় আমার আবেগ ভালবাসার বর্ণমালার                                       বর্ণময় অলংকরণ, চলমান ভারতবর্ষের বৈচিত্র্য একতার মুখ।                            আমার প্রাণের ভাষা                                        মনের ভাষা                                        স্বপ্নের ভাষা                                         আমার গরবিনী                                         বাংলা ভাষা                                         মাতৃভাষা। ***************** অশোক দাশ ভোজান, রসপুর, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।         ‌‌         

কবিতা ।। আঁচড়কামড় ।। রহিত ঘোষাল

ছবি
  আঁচড়কামড় রহিত ঘোষাল যার সামনে চোখ বন্ধ রাখা যায়, ঘুমিয়ে পড়া যায় শান্তিতে, জাপটে ধরা সমুদ্রের নুন রইলো সেখানে নীল অনুরাগ আপাতত মাথা ভর্তি, দার্শনিকের অভিশাপ অস্বীকার করে আনম্র তূর্যধ্বনি, আমরা দুই থেকে এক  হই  দাগড়া দাগড়া ক্ষত ভুগে গিয়ে ।। ============================= রহিত ঘোষাল বাঁশদ্রোণী সোনালী পার্ক কলকাতা ৭০

কবিতা ।। একদিন হারিয়ে যাব ।। বাবুল হাওলাদার

ছবি
  একদিন হারিয়ে যাব বাবুল হাওলাদার একদিন হারিয়ে যাব... একবুক কষ্ট বুকে জমা করে। হারিয়ে যাব একসমুদ্র চাপা কষ্ট নিয়ে। সমস্ত ভালোবাসা সেদিন হারিয়ে যাবে অগুনতি দুঃখের মাঝে। হারিয়ে যাব আমার প্রিয়জনের কাছে সমস্ত আশা-ভরসার অকাল মৃত্যু হবে সেদিন। মৃত্যু হবে ভালোবাসা নামক অবুঝ শব্দটির। ভালোবাসার অভাবে অসুস্থ হবে সেদিন আমার হৃদয়। অসুস্থ হব ক্রমে ক্রমে আমি। জীবনের যত চাওয়া-পাওয়ার সমাপ্তি হবে। সমাপ্তি হবে আমার জীবনের সব অনুভূতির। সমুদ্র সমান অভিশাপ নিয়ে জীবন্ত শরীর আমার মৃত হবে। বাঁচার ইচ্ছা শেষ হবে। জীবনের লেনদেন সেদিন চিরদিনের জন্য শেষ হয়ে যাবে। গলাকাটা মুরগির মত ছটফট করতে থাকবে  আমার কম্পিত হৃদয়। ভালোবাসারা বড্ড অসহায় হয়ে পরবে সেদিন। আকাশ সমান স্বপ্নগুলো টুকরো টুকরো  বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরবে চোখের কোণে সুখগুলো সেদিন উপহাস করবে আর হাসবে  আমার করুন পরিনতি দেখে। একদিন হারিয়ে যাব... সমস্ত মান, অভিমান ভুলে। হারিয়ে যাব আমার একাকিত্বের মাঝে। সমস্ত স্মৃতিগুলো তখন উপহাস করবে আর প্রচন্ড কাঁদাবে।  সেদিন হয়ত মানুষিক রোগি হব। স্বাভাবিক মানুষের ন্যায় আচরণ থাকবে না। ছোট ছেলেমেয়েরা পাগল ভেবে ইট, পাথর নিক্ষেপ করবে। ক

ছড়া ।। শিশু ।। মুহাম্মদ আলম জাহাঙ্গীর

ছবি
  শিশু মুহাম্মদ আলম জাহাঙ্গীর   ছোট্র ছোট্র কচিকাঁচা হাসে মায়ের কোলে,  পুষ্প হয়ে সতত তারা  কোলে কোলে দোলে । পিতা-মাতা দাদা দাদী বাসে তাদের ভালো, আদর সোহাগ না পেলে যে মন করে ভাই কালো। পাড়া পড়শি কেউবা ডাকে রহিম করিম যিশু, এই ধরাতে সবার প্রিয় ছোট্র কঁচি শিশু।   ============== মুহাম্মদ আলম জাহাঙ্গীর গ্রাম : নতুন পানিসারা,ডাকঘর: পেঁচুল-৫৮৪০, উপজেলা: শেরপুর,জেলা: বগুড়া, বাংলাদেশ। 

কবিতা ।। সভ্য বনাম অসভ্য ।। প্রবোধ কুমার মৃধা

ছবি
সভ্য বনাম অসভ্য প্রবোধ কুমার মৃধা  প্রস্তর যুগ পেরিয়ে মানুষ                 বড়াই করে সুসভ্যতার । শিক্ষা -দীক্ষা , জ্ঞান-গরিমা–                 আদব-কায়দা ভব্যতার । সভ্য মোরা হলাম কীসে                  অসভ্যতার সংজ্ঞা কি ? মূর্খ‌ বনাম পন্ডিত জনের                  কে খাঁটি আর কে মেকি ? হাল-হকিকৎ দেখে শুনে                   হাজার প্রশ্ন মগজ ঘিরে । মনুষ্যত্ব-মানবিকতা                  বিকিয়ে যাচ্ছে জলের দরে। জনগণের ক্ষমতা কেড়ে                কুক্ষিগত  করল যারা । বিত্তশালী আজকে তারাই                জনগণ আজ সর্বহারা । আদিম যুগের  সমাজ চিত্র               ইতিহাস  যা' রাখল ধরে। ছদ্মবেশে  নতুন করে                আবার  কি সব আসছে ফিরে?                    __________

কবিতা ।। শরৎ এলে পরে ।। তপন মাইতি

ছবি
শরৎ এলে পরে  তপন মাইতি   গ্রাম শহুরে জনজীবন  যখন ফিরে ঘরে  অপরূপ সৌন্দর্যে উচমন  শরৎ এলে পরে।  বর্ষা গেলে মেঘটা কাটে  মনটা কেমন করে  পাহাড় থেকে স্নানের ঘাটে  শরৎ এলে পরে।  পুজোর গানে মুখর শরৎ  জোড়া শালিক চরে  আনুগত্যে রাজা ভরত  শরৎ এলে পরে।  সমোষ্ণ রূপ হীমেল হলে  ভোরে শিশির ঝরে  পদ্ম শালুক যেন বলে  শরৎ এলে পরে।  নীলাকাশে মুগ্ধ হয়ে  শরৎ চন্দ্রের জ্বরে  ঠাণ্ডা লাগা ধাতের ভয়ে  শরৎ এলে পরে।  কাশের গায়ে দক্ষিণ হাওয়া আমলকী বন ডরে  গলা মিলিয়ে গান গাওয়া  শরৎ এলে পরে।  ঝিঁঝি ডাকে সন্ধ্যা নড়ে  নির্জন থাকার তরে  পুজো সাজায় থরে থরে  শরৎ এলে পরে।  মনটা কি আর ওঠে দরে? হৃদয় গেল ভরে  ফুল দোকানি ফুটপাত ধরে  শরৎ এলে পরে। 'ভূতের রাজা দিল বরে....' 'দেবদাস' হলে মরে  কেউবা বলে হরে হরে  শরৎ এলে পরে।  ================ তপন মাইতি গ্রামঃ পশ্চিম দেবীপুর; পোঃ দেবীপুর; থানাঃ মৈপীঠ কোস্টাল; জেলাঃ দঃ২৪পরগণা; পিন-৭৪৩৩৮৩; পশ্চিমবঙ্গ। ভারতবর্ষ। 

কবিতা ।। তবু চায় ।। মনোরঞ্জন ঘোষাল

ছবি
  তবু চায় মনোরঞ্জন ঘোষাল ফুলেরাও সঙ্গী চায় মাততে চায় যৌবন উল্লাসে নিজেরা সবাই পারে না তাই ডাকে ভ্রমরকে নানা আহ্বানে রঙ গন্ধ কিংবা অন্দরের মধু তার জন‍্যই পসার সাজিয়ে বসে। মধুকর সাড়াদেয় তার আহ্বানে ফুল জড়িয়ে ধরে প্রেম নিবেদনের অছিলায় আসলে সে চায় তার পরাগের মিলন অন্তরের আবেগের নিরসন। ভ্রমর তা বোঝে তাই ছেড়ে যায় তাচ্ছিল‍্য ভরে অন‍্য ফুলের তরে প্রেম নিবেদনে। হায়! বোঝেনা সে প্রেম অন‍্য কারোর জন‍্য তার জন‍্য নয় তবু সাধ মেটানোর খেলায় খেলে যায়। বুঝে যায় তার ওটাই জীবন এর বেশি কিছু তার পাবার নয়। ফুল ঝরে পড়ে বেঁচে থাকে সে  নতুন ফুলের আশায়। রোজ রোজ নতুন ফুলে সেজে ওঠে বন থাকে তারা আশায় প্রতিক্ষায় জানে সাধ পূরণ হবে  হয়ত অন‍্যের দ্বারায়। =============== মনোরঞ্জন ঘোষাল আত্মারামপুর পশ্চিম রামেশ্বরপুর বজ বজ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা পিন 700140

কবিতা ।। অচেনা শহর ।। সুদীপ ঘোষ

ছবি
  অচেনা শহর সুদীপ ঘোষ আমার চেনা চৌহুদ্দি এ                 আমার চেনা চারপাশ ; শুনশান সবই কর্ম বিহীন                 জনশূন্য আশপাশ : কার জীবনে কি যে লেখা                 কেউ কখনও জানে ? ব্যস্ত তবু সবাই এখন                 দোকান বাজার ধ্যানে । সেই ফাঁকে তে চুরি করে                 একটি দুঃখী ছেলে ! তার পকেটে পয়সা কোথায়                 বাবা এখন, জেলে...... যাচ্ছিল সে রিক্সা নিয়ে                 রেশন তুলবে বলে । চোর সন্দেহে নিয়ে গেলো                  পুলিশ ভ্যানে তুলে ! পুজোর ছুটি আনন্দ নেই                   না খেয়ে দিন কাটে: বাটি হাতে দাঁড়িয়ে থাকে                  ট্রেনে, বাসে, হাটে -   যে মেয়েটা সং সেজেছে                  চৌ- মাথানির মোড়ে ; সেই তো এখন হেঁসেল টানে                  বাবুর পকেট মেরে । হে ভগবান আর কতদিন                 গুনতে হবে প্রহর ? কাছের মানুষ দূরেই থাকে                  অচেনা এই শহর ।         """""""""""""""""""" সুদীপ ঘোষ Maheshtala South 24 parganas West Bengal