পোস্টগুলি

জুন ১৬, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

ছবি
   সূচিপত্র  শঙ্খ ঘোষের কবিতার অনাসক্তি ।। সুবীর ঘোষ কোভিড সংকটকালে স্বেচ্ছা মৃত্যুর প্রাসঙ্গিকতা ।। র... নিবন্ধ ।। স্নানযাত্রা ও জগন্নাথ দেব ।। সুদর্শন মণ্ডল গুচ্ছকবিতা ।। রাজেশ্বর গোপাল কবিতা ।। রাত্রিযাপন ।। শুভজিৎ দে কবিতা ।। কথা-বীজ ।। চিন্ময় গঙ্গোপাধ্যায় কবিতা ।। কৌশলী ।। জগবন্ধু হালদার কবিতাগুচ্ছ ।। ইন্দ্রজিত নন্দী ভ্রমণকাহিনি ।। চাপড়ামারির জঙ্গলে ।। শংকর লাল সরকার অ্যান ওড টু দ্য সিটি অব জয় ।। শান্তনু চ্যাটার্জি গল্প ।। অনিন্দ্য পাল গল্প ।। শিক্ষক ।। চন্দন মিত্র গল্প ।। পাখিপাহাড়ে ।। অরূপ কুমার গোপ মন্ডল তিনটি অণুগল্প ।। জয়তী ব্যানার্জি মুখার্জি গল্প ।। বসন্ত জাগ্রত দ্বারে ।। স্তুতি সরকার একলাইনের পাঁচটি কবিতা ।। সুকন্যা ভট্টাচার্য্য ছড়া ।। বাঁচার আশা ।। রিয়াদ হায়দার বৃষ্টি দিনের ছড়া ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। মানুষ ।। মহাজিস মণ্ডল কবিতা ।। আমার ভারত ।। সোনার ভারত সেকেন্দার আলি সেখ কবিতা ।। উটের পিঠে উঠেছে দেশ ।। জীবনকুমার সরকার অণুগল্প ৷। গোলাপের কাঁটা ।। মোয়াল্লেম নাইয়া ২ কবিতা ।। অতিমারীয় ।। কার্তিক চন্দ্র পাল দুটি কবিতা ।। নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত কবিতা ।। দে

শঙ্খ ঘোষের কবিতার অনাসক্তি ।। সুবীর ঘোষ

ছবি
    শঙ্খ ঘোষের কবিতার অনাসক্তি সুবীর ঘোষ     পঞ্চাশের দশকের প্রধান কবিদের কবিতায় যখন আত্মজৈবনিক রূপরেখা প্রবল ভাবে ছায়াপাত ঘটাচ্ছে তখন সেই দশকেরই আর এক প্রধান কবি শঙ্খ ঘোষ-এর কবিতায় আমরা কবিতার বিশুদ্ধ ইঙ্গিতময়তার   কোনো অভাব খুঁজে পাই না । এই যে তিনি সমকালীনের সঙ্গে পথ চলে বুকের মধ্যে আবহমানতাকে আগলে রাখার নিপুণতা রপ্ত করে নিলেন সেই তরুণ বয়সেই তা-ই তাঁকে পাঠকের মুগ্ধতা উপহার দিতে লাগল দশকের পর দশক । কবিতায় তাঁর দ্বৈতসত্তার চলাচল । এক সত্তা প্রকাশমান , এক সত্তা নিহিত । এক সত্তা তথাগত , এক সত্তা ভাসমান । তাঁর 'দ্বা সুপর্ণা' কবিতাটি পড়া যেতে পারে । " এমন জটিলঝুরি সমকালীন / সব জায়গায় থাকি , আমার / অন্য একটি পাখি কেবল আড়াল ক'রে রাখি" । দ্বা সুপর্ণা সযুজা সখায়া / সমানং বৃক্ষং পরিষস্বজাতে ।   শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ জানাচ্ছে আসক্ত পাখি ফল খায় , নিরাসক্ত পাখি উপোস দেয় । জীবাত্মা সুখদুঃখের চক্রে আবদ্ধ । পরমাত্মা নিরাসক্ত তথাগত । জীবাত্মা ভাসমান । স্বামী বিবেকানন্দের ভাষায়—" অনাসক্তি হল প্রচন্ড কর্মব্যস্ততার

কোভিড সংকটকালে স্বেচ্ছা মৃত্যুর প্রাসঙ্গিকতা ।। রণেশ রায়

ছবি
আজ দেড় বছর ধরে কভিড ১৯ এর আক্রমণ সারা বিশ্বের সমাজ জীবনকে তছনছ করে দিয়েছে। মৃত্যু মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আক্রান্তের হার আকাশ ছোঁয়া, অল্প কিছুদিনের সোয়াস্তির পর ব্যাপক উদ্বেগ আর আতংক ছড়িয়েছে, তা ভয়ঙ্কর মাত্রা পেয়েছে। অর্থনীতি তলানিতে। সমাজ জীবন স্তব্ধ, মানুষ হারিয়েছে গতিশীলতা। সে সবার থেকে বিচ্ছিন্ন একা। সামাজিক দূরত্বের নামে এক অস্পৃশ্যতার মনন আমদানি করা হয়েছে। একজন আরেকজন থেকে বিচ্ছিন্ন।স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কার্যত রাস্তায় রাস্তায় মৃতদেহ পড়ে, সৎকারের ব্যবস্থা নেই। অথচ অব্যাহত আছে যুদ্ধের প্রস্তুতি নির্বাচনের জমায়েত ধর্মীয় সভা আর অব্যাহত আছে তথাকথিত অর্থনৈতিক সংস্কার যা দেশকে কর্পোরেট হাতে বিক্রি করে দেওয়া ছাড়া কিছুই না। আর অব্যাহত আছে প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা আর ঘৃণা। ধর্ম বর্ণ নিয়ে বিভেদের খেলা। চিত্র তারকার মার। লাশ ফেলার হুমকি। মারবে এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে। আন্তর্জাতিক এক সংকটের মুখে ভারতের প্রথম হওয়ার দৌড়। আয় বৈষম্য যুদ্ধে সে প্রথম, স্বাস্থ্য শিক্ষার  অভাবের দৌড়ে সে প্রথম হওয়ার দৌড়ে। আর এখন কভিড ছড়ানোর হারে কভিড মৃত্যু ও সংক্রমণ সংখ্যায় বিশ্বে প্রথম। কভিড

নিবন্ধ ।। স্নানযাত্রা ও জগন্নাথ দেব ।। সুদর্শন মণ্ডল

ছবি
স্নানযাত্রা ও জগন্নাথ দেব সুদর্শন মণ্ডল ধর্ম প্রাণ মানুষের কাছে স্নানযাত্রা কেবল মাত্র একটা উৎসব নয়,ঈশ্বরের সান্নিধ্য ও সহায় লাভের হাতিয়ারও বটে। হিন্দু পঞ্জিকা মতে জ্যৈষ্ঠ মাসের দেবস্নানা পূর্ণিমা তিথিতে আয়োজন করা হয় এই স্নানযাত্রা অনুষ্ঠান। কথিত আছে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে মনু এক বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করেন। সেই যজ্ঞের প্রভাবেই প্রভু জগন্নাথ দেব আবির্ভূত হন এই ধরা ধামে। এর পরথেকেই ঐ বিশেষ পুন্য তিথিতে ভক্তরা মহা সমারোহে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা কর্মসম্পাদনে সামিল হয়। আড়ম্বরের কোন ত্রুটি রাখা হয় না সেখানে। ঘটা করে পালিত হয় এক বিশেষ পার্বণ।   জ্যৈষ্ঠের উত্তাপে যখন চারপাশ পুড়ে ছাই হবার যোগার, ঠিক তখনই পৃথিবীর বুকে নেমে আসে শান্ত শীতল জলের ধারা। ঘরা ঘরা জলে যেন এক শান্তি এনে দেয় স্নানযাত্রার মোরকে আটকে থাকা এক অনুষ্ঠান। ভক্তরা মেতে ওঠে তাঁদের পূর্ণ অর্জনে। শীতল হয় ভুমি। স্নান যাত্রার এই পূর্ণ দিনটিকে বৈষ্ণবরা বিশেষ শুভ দিন বলে মনে করেন। তাঁদের বিশ্বাস ঐ দিন ভগবান জগন্নাথ দেবের দর্শন করার অর্থ , গত জন্ম আর এই জন্মের সকল পাপ ধুয়ে যাওয়া। দেব দর্শনে নির্মূল হয় অত

গুচ্ছকবিতা ।। রাজেশ্বর গোপাল

ছবি
 "অন্তঃকরণ" চোখের পলকে অলসতার আঁচড় না ফেলে কয়েক শতাব্দী যদি আঁধারে বসে সময় গোনা যায়   শোনা যাবে বিচ্ছিন্ন হাওয়াই ভাঙা ব-দ্বীপের নিঃশ্বাস। ঝুরোঝুরো মাটির মেরুদণ্ড ভাঙলে নদীর পাড়ও কেমন ভেঙে পড়ে           ঝুপঝাপ শব্দে আঁচড় কাটে জলের আঁচল   এই যে নদী এবং নদীর নিচে থিতিয়ে পড়া বালি, এদের কুষ্ঠি বিচার করলে দেখা যাবে        জল ও মাটির অনুশীলন লিপি; দীর্ঘ অনুশীলনে মহাকাব্যিক ছন্দ অনুকরণে-অনুরণনে-অনুবদ্ধে...বেমালুম খুনসুটি      কীভাবে হাড়-পাঁজর ভেঙে ইতিহাস গড়ে ওঠে  কীভাবে জলরঙ মেখে রুপ নেয় রঙ সভ্যতা!  নিয়মিত সূর্য উঠার আগে  ফুটে ওঠে লাল আলো,  প্রভাত পাখির গান  এই দিন গুলো সবার জন্য নয়; আলোর তীব্রতা সহ্য হয় না সমান                                কষ্টগুলি বাসা বাঁধে বুকে। এরপর যদি বৃষ্টি আসে,আসুক একে একে ধুয়ে ফেলি অচল আয়তনে                                     জং ধরা বিবর্তনের গল্প      ভেঙে ফেলি দিনকানা মৌমাছির মধুচাক....    "অর্বাচীন"  স্বপ্নেরা ডুব দিল জঙ্গলে                               পাহাড়ের চূড়ায় রাখি দৃষ্টি --- সমতল থেকে ক্রমশ উচ্চতার দিকে  তাপমাত্রা কমে আসে ; রাতভোর প

কবিতা ।। রাত্রিযাপন ।। শুভজিৎ দে

ছবি
আলো নিভে এলে  অসুখের ঘোর লাগে চারিদিকে পৃথিবীর আর একটি শেষ প্রহরের শুরু শব্দ থেমে নির্জনতা ভিড় করে আসে। কেবল অসংলগ্ন কথাবার্তারা মাথাচাড়া দেয়। ঝিঁঝিঁর শব্দের সাথে তাল মেলায় প্রেমিকা যুগল  ও কি কালপেঁচা ডাকে নাকি! ভালো করে শুনে দেখি সদ্য প্রেম ভেঙে যাওয়া যুবক কাঁদছে অবিরত। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ইঁদুর গর্ত কাটে আলো ফুটতে দেরি নেই, কোকিল ডেকে গেল এই মাত্র।   ================== শুভজিৎ দে গ্রাম - শাশপুর জেলা - বাঁকুড়া ডাকঘর - শাশপুর ডাক সংখ্যা - ৭২২২০৫ যোগাযোগ - ৯০৯১৭০৯৬২৬

কবিতা ।। কৌশলী ।। জগবন্ধু হালদার

ছবি
              তড়িঘড়ি দাগ মুছে কেতন ওড়ানো হলো, জড়ো হলো প্রভুর আদেশে ছোট, বড়ো, হাফ-ফুলেরা মাঠময় যারা সিদ্ধ নর মিশে যেতে পারে সহজ ভাদ্দুরে স্রোতে দৈবমধু লোভে যুগ্ম-অযুগ্ম ফুল, অনুপম ভাষ আর সঙ্গত হুল্লোড়ে মেতে গেল  ফোকলার আকর্ণ আনন্দে  ঢিপঢিপ করে বুক শালিকের ডানায় ও বুকে পেলব প্রলেপ এসেছে মেয়েটির সবে যেকোনো সন্ধ্যায় দুয়ারে দাঁড়াতে পারে ঘাগু হিতৈষী যেকোনো ফাঁকে গলায় ঢুকে যেতে পারে টোপ যেকোনো উজানে ভেসে যেতে পারে গন্ডি সুদ্ধ গোটারাত বশ্যতাই নির্বিকল্প কৌশল মেনে  ছাপোষা জীবন ঠিক্কেন দুপুরে চাল বাছে, একমনে আর ঘরপোড়া আলোয় পরষ্পরকে খুঁজে আগলে রাখে পুঁটলির ভিতরে মান্দাস ও এপিক কে জানে কখন বাঁচায় কোনটি বিপদে...... ========================= জগবন্ধু হালদার  ধনপোতা, মগরাহাট, দঃ ২৪ পরগনা 

কবিতা ।। কথা-বীজ ।। চিন্ময় গঙ্গোপাধ্যায়

ছবি
  কিছু কথা উড়ে আসে অসাবধানে— ফুলের রেণুর মতো। গোপন অন্তরালে আশ্রয় খোঁজে— উর্বর ক্ষেত্রের আদুরে আলিঙ্গনে। মোচড় দেওয়া ঢেউ জাগে— কোন অচেনা গভীরে। বুক-আগলে যত্নে কোনো নারী রেখেছিল সেই কথা-বীজ। উড়ে উড়ে এসে কোন উত্তরণের ধ্রুবতারা যেন  চিনিয়ে দিল নিমেষে। সেই শস্যের কথা–বীজ — অপেক্ষায় অপেক্ষায়— বিহ্বল তরুণের মতো। তুমি বর্ষাবতী মেঘ–মালা ভিজিয়ে দিচ্ছ–ভিজিয়ে দিচ্ছ পিপাসার্ত কথার শরীর। ভরা ভর্তি শরীর জুড়ে জুড়ে— জন্ম নিচ্ছে দেখি অমর কথামালা।