সে এল।
অদ্ভুত এক প্রশান্তি নিয়ে
পৃথিবীর সব প্রান্ত ছুঁয়ে
অনিবার্য ভাবেই এসে পড়ল।
মুহূর্তের সন্ধিক্ষণ মাত্র। স্মৃতিপটে
টুকরো ছবির অসংখ্য কোলাজ। একে একে
সব ছুঁতে ছুঁতে
যেন অগস্ত্য যাত্রায় সামিল।
আর তখন
অভিমান রাগ হিংসার আপেক্ষিক ছেলেমানুষি তে বিস্মিত হই।
নিজস্ব বলে কিছু রইল না।
এখন শেষমুহূর্তের হিসাব বাকি।
সরল অঙ্ককে জটিল করে
সম্পর্কগুলোয় ফাঁক খোঁজা সারা হলে
মিথ্যা রাঙিয়ে বিভেদের প্রাচীর তোলা হল
চাওয়ার বৃত্ত বড় হতে হতে আকাশ ছুঁলে
অদৃশ্য নিয়মে শ্রেণিবিন্যাসের তত্ত্ব খাড়া হয়।
অথচ শরীর একই।
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর হেরফের হলে
সোনার চামচ কোদাল গাঁইতিতে বদলে যেত
বিস্ময়ের ঘোর মিটে গেলে --
অকথিত কথা,কিছু অক্ষমতা,আর ছেলেমানুষিকে তার হাতে সঁপে দিলে
শরীর জুড়ে শিহরণ, এত ভালোলাগা
কখনো আসেনি তো
গ্রন্থিহীন মুক্তির আনন্দে শরীর স্নাত হতে থাকে।
_______________________________________
তন্ময় পালধী। শংকরপুর, ঠাকুরানীচক, হুগলি
চলভাষ 9734789877
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন