জামাই ষষ্টি
শুভাশিস দাশ
রাতে খাবার টেবিলে বসে প্রিয়তোষ তার স্ত্রী রেণু কে বললো-এবার বোধহয় তোমার বাপের বাড়ি থেকে নেমন্তন্ন হবে না!
রেণু আড় চোখে তাকিয়ে উত্তর দিলো-সত্যিই মানুষ বটে তুমি বুড়ো হতে চললে এখনো আদিখ্যেতা গেলো না ।বলি বাড়িতে তো শুধু বৃদ্ধা মা আর তার কেয়ার টেকার।আর এমন পরিস্থিতিতে এসব তোমার মনে আসে কী করে?
কই লক ডাউনে তো একবারও গিয়ে খোজ নিয়ে এলেনা মা কেমন আছেন !
কথা গুলো শেষ না হতেই প্রিয়তোষ এর মোবাইল ফোনটি বেজে উঠলো ।
হ্যালো? অপর প্রান্ত থেকে শ্বাশুড়ীমার গলা-কে? বাবা প্রিয়?
হ্যাঁ,বলুন
বলছিলাম আর বাঁচি কী না বাঁচি এবার ষষ্টি তে এসো সবাই ।
প্রিয়তোষ যেন একটা শক খেলো ।শুধু বললো ঠিক আছে ।ফোন নামিয়ে রেখে রেণু কে বললো মার ফোন ।ষষ্টি র নেমন্তন্ন ।
রেণু ঝামটা মেরে বললে-পেলে? নেমন্তন্ন পেলে তো? এ কি আর তোমার বাপের বাড়ি? একটা দিন নাতি টার খোজ নিয়েছে?অথচ ঠাকুমা ভাই ফোটায় তো নাতি টাকে একবারও যেতে বলেনি ।
প্রিয়তোষ কোন উত্তর দিতে পারেনা কেননা রেণুকে বিয়ে করার জন্য ওরা আর মেনে নিতে পারেনি।দোষ ছিলো রেণু রা জাতিতে কইবর্ত।
অথচ বিয়ের পর কোন বার বাদ যায়নি ষষ্ণু, নেমন্তন্ন।শ্বশুর মাশায়ের মৃত্যুর বছর কেবল খাইয়েছে নিয়ম হয়নি ।
প্রিয়তোষ ভাবতে থাকে মানুষ আজো জাতপাতের অন্ধত্বের অন্ধকারে ডুবে আছে ।
রেণুকে বিয়ে করে এক দিনের জন্যও তার কোন দুঃখ হয়নি ।
এই জামাই ষষ্টি এলেই একটু খুনসুটি শুধু রেণুর সংগে।
================
শুভাশিস দাশ
দিনহাটা
9932966949
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন