পোস্টগুলি

জুলাই ১৮, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৪১তম সংখ্যা : শ্রাবণ ১৪২৮ জুলাই 2021

ছবি
সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে কয়েকটি অনুরোধ ১) লেখকলেখিকাগণ নিজের নিজের লেখার লিংক সংগ্ৰহ করুন । সুচিপত্র থেকে অথবা সাইটের একেবারে নীচে বামদিকে প্রদত্ত সূচি থেকে। অসুবিধা হলে আমাদের জানান। আমরা অবশ্যই লিঙ্ক সংগ্ৰহ করে দেব।   নিজের লেখার লিঙ্ক যতখুশি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন। কিন্তু কোনভাবেই হুবহু লেখা বা লেখার স্ক্রিনশট শেয়ার করবেন না। আমরা কঠোরভাবে এর বিরোধী। ২) নিজের লেখাটির পাশাপাশি অন্যের কিছু লেখা অন্তত পড়ুন। ৩) পোস্টের নীচে মন্তব্যের ঘরে পঠিত লেখা সম্বন্ধে আপনার প্রতিক্রিয়া জানান। পাঠকের মতামত লেখক-প্রকাশক সকলকেই পথ দেখাবে। ৪) সামগ্রিক আয়োজন সম্পর্কে আপনাদের অকপট মূল্যবান গঠনমূলক মতামত-পরামর্শ জানান।  ধন্যবাদসহ-- নিরাশাহরণ নস্কর 9433393556 (call & w-app)   সূচিপত্র নিবন্ধ ।। কাব্যে বর্ষা ।। ঐশ্বর্য্য কর্মকার কবিতা ।। কথা বলা প্রয়োজন ।। প্রসাদ সিং কবিতাগুচ্ছ ।। রাজেশ্বর গোপাল কবিতা ।। সেইসব গ্রাম্যপ্রবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। ইচ্ছে পথ ।। পিঙ্কি ঘোষ কবিতা ।। শ্রাবণ এলে শালিক ঘামে ।। জগবন্ধু হালদার কবিতা ।। দুয়ারে দরকার ।। নীলমাধব প্রামাণিক কবিতা ।। গাণিতিক পদ্

নিবন্ধ ।। কাব্যে বর্ষা ।। ঐশ্বর্য্য কর্মকার

ছবি
  'অন্তরের পথঘাট এবার বর্ষায় গেছে ভেঙে খোয়া-খল ছড়িয়ে রয়েছে হাঁ-খোলা নয়ানজুলি উঠে এসে বসেছে সমূহ বুক জুড়ে। শান্তি নেই, পথঘাট বাজার কোথাও শান্তি নেই শুধু হেঁটে যাবো বলে, ভালোবাসা তোমাকে পথিক ক'রেও কি শান্তি আছে?' শক্তি চট্টোপাধ্যায় -এর লেখা কবিতা।  শ্রাবন আসে, আর প্রতিবার নতুন কবিতা নিয়ে আসে। বাংলার কবিদের সে বারবার নিংড়ে নিয়েছে।   নইলে কিভাবে একটা মানুষ এইরকম কবিতা লিখতে পারে।  জুন - জুলাই মাসের বৃষ্টির দিন। সকাল থেকেই আকাশ কালো করে রয়েছে, দুপুর হতে না হতে চারপাশ ঝাপসা করা বৃষ্টি নেমে এল। বাইরে ভিজছে বাড়ির ছাদ গুলো , যে প্রাণীগুলো মাথায় ছাদ জোগাড় করতে পারেনি তারা ভিজছে আর যারা পেরেছে তারা চুপ করে ছাউনীর তলায় বসে আছে।  কিন্তু যারা কবি হন , তারা শুধু দেখেন না , তারা অনুভব করেন সূক্ষ অনুভূতি গুলো।  দেখেন আর লিখে রাখেন।  এবং পরবর্তীতে জন্ম দেন  " মেঘদূত " এর। বর্ষাকাল যে কবিদের সব চাইতে উর্বর সময়, এ কথা মোটামুটি প্রমাণিত। জীবনের প্রায় সেরা কবিতা গুলো বর্ষাকালেই লেখা হয়। জানলার বাইরে ঝির ঝির থেকে ঝমঝম জমে উঠবে আর ডায়েরির পাতায় নতুন নতুন কবিতা নেমে আসবে না, এ

কবিতা ।। কথা বলা প্রয়োজন ।। প্রসাদ সিং

ছবি
১. এখন রাষ্ট্র নিয়ে কথা কথা বলা প্রয়োজন কথা বলা প্রয়োজন বাক্-স্বাধীনতা নিয়ে আপনি কবিতা পড়তে চাইলে কবিতা পড়বেন আপনি গল্প পড়তে চাইলে গল্প পড়বেন  ২. এখন রাষ্ট্র নিয়ে কথা কথা বলা প্রয়োজন কথা বলা প্রয়োজন মানুষ নিয়ে আপনি ঈশ্বরের মন পড়তে চাইলে ধর্মগ্রন্থ পড়ুন আপনি মানুষের মন পড়তে চাইলে মানুষকে বুকে জড়িয়ে ধরুন              ~/~    Prasad Sing Village - Marai Khunti PO - Chandri PIN - 721503 PS + DIST - Jhargram

কবিতাগুচ্ছ ।। রাজেশ্বর গোপাল

ছবি
  "অন্তর্বর্তী শূনতা" খিড়কির ছিদ্র দিয়ে চুঁইয়ে পড়া আলোর রোশনাই নীল আকাশের হাঁকাহাঁকি  অথচ অন্তর্বর্তী শূন্যতা ঘণ্টার পর ঘন্টা                                           বদ্ধ ঘরে এভাবেই --- যে পথে শহর সেজেছিল, যে শহরে বৃষ্টি এসেছিল তার কয়েকটি মেঘলা সন্ধ্যা আমি  জ্বলন্ত ল্যাম্পপোস্টের কোলে ফুরিয়ে এসেছি।  সেরকম এক একটি সন্ধ্যা                        এখন আমার চোখের সামনে ওড়ে আমি মুঠো করে ধরি, দুচোখ ভরে দেখি   আদর করি এবং উড়িয়ে দিই.... নৌকার পাটাতনে বিষাক্ত হয় ফুলের ছাপ; গলুইয়ের কোণ ভেঙে ধারালো হাত জল জল জলতায় ভিজে এলে দুচোখে জলধারার নদী বয়ে দেখে নিই আচমন ভরাডুবি এক একটা বৃষ্টির সন্ধ্যা সেজে ওঠে অপরুপ,                                     থৈ থৈ নর্দমার নালাপথ... "নিঃশ্বাসের খবর" অন্ধকারে টর্চ লাইট জ্বেলে নিরন্তর কারও মুখ খোঁজার প্রয়াস কিন্তু রূপসী জোনাকির মত কেউ তো নেই ঘন জঙ্গলে!  রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি, ট্রামের আলোয় পেতে রাখি শরশয্যা  সম্ভবত নিদ্রাহীন আরও কয়েকটি বছর সন্দেহ দূর করে জেগে থাকা অভ্যাস করতে হবে নীল বন্দরে.... সমুদ্রের ব্যাকপিঠে সূর্যের সেজে উঠা অন্যদ

কবিতা ।। সেইসব গ্রাম্যপ্রবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

ছবি
   কারা যেন বলেছিল, পাড়াগাঁয়ে ভূত-প্রেত থাকে ভূত-প্রেত হয়ে আছি; প্রহরে প্রহরে মাখি রাত্রির রং খেটে খাই, খুঁটে খাই নিম্নমান খুদ-কুঁড়ো কিছুটা দাতব্য দানা হাত পাতি বছরে ক-বার বন্যা-খরায়..... বন্যায় ভাসি আধপেটা দিন স্বপ্নের ঘোরে কাটে ভেসে যায় আমাদের দুধেলা গাই, পোষা হাঁস দেবদূতকুল মাঝেমাঝে দেখা দেন, হাসিমুখে মুক্তো কুড়াই আশা পাই হাওয়াকে বুকে জপে কেটে যায় স্বপ্নসম্ভব অথবা খরায় ধু-ধু দিন একবেলা খেয়ে চটে লীন দিন যায়..... রাজ্যপাটের মিথ্যা প্রকট হলে লাইনে দাঁড়াই সেই চিঁড়ে-মুড়ি-চাল-একটু তেল-ডাল-ব্লিচিং.... চিরাচরিত জীবনে ফিরি প্রেমিকত্রিপল সাথি অর্ধউদোম সূর্যহীন দিন কাটে জন্মের অখ্যাত গাঁয়ে, ভূত হয়ে তবু আছি অমৃতের সন্তান।

কবিতা ।। ইচ্ছে পথ ।। পিঙ্কি ঘোষ

ছবি
    অস্তমিত সূর্য নিয়ে গেল একফালি প্রতিশ্রুতি মোড়ানো দুপুর আর- অকাল বর্ষণে সিক্ত হওয়া দুঃসাহসী একটা বিকেল। গোধূলির আঁচল ধরে রক্তসন্ধ্যা- এসে আকাশ প্রদীপ জ্বালে, তুমি একমনে উপপাদ্যকে প্রমাণ করার দৌড়ে সামিল, আমি যখন তোমার ইচ্ছপথের সরলরেখা বরাবর হাঁটি- তুমি তখন দুই সমকোণের হিসাব করো। ....................................................... পিঙ্কি ঘোষ কলকাতা।

কবিতা ।। শ্রাবণ এলে শালিক ঘামে ।। জগবন্ধু হালদার

ছবি
শ্রাবণ এলেই তোর ঘন চুল ঝাপটে আসে মুখে বৃষ্টিও বেশ চুপিসাড়ে আগুন জ্বালে বুকে। আগুন জ্বলে, সঙ্গে হাঁটে ,তুঁসের মধ্যে শাসায় বুকের ভিতর ফাঁকা দুপুর অসভ্য হাত বাড়ায়। আমিও সদ্য স্নান সেরে তোকেই তখন ছুঁয়ে বারণবিহীন তৃষিত মেঘ তীব্র একগুঁয়ে। বুকে-মুখে, রেশম চুলে মত্ত খোঁজাখুঁজি শৈলশির না অতল নদী? পরিসর না ঘুঁজি? অমোঘ সুখ প্রেমে নাকি দীর্ঘ সহবাসে? সাঁকোয় বসে ডানা শুকোয় শালিক  শ্রাবণমাসে। সব রিলেশন শর্তজাত আক্ষেপ জানি বৃথা শ্রাবণ এলেই তবু ভুগি, বিকট শূন্যতায় । শরীর জাগে গোপনে দ্যায় নিষিদ্ধ হাতছানি  ঝিঙে মাচায় সোহাগী রোদ  মুঠোয় পরাগধানী। তোরও কী মোম গলে ঘড়িও যায় থমকে! চুপি চুপি বলে রাখি হয়তো যাবি চমকে -- ভেজা মেঘে আর পুড়িনা, পাঁড় নেশাখোর আগুন বলতে এখন বুঝি আঁশটে গহ্বর।।   

কবিতা ।। দুয়ারে দরকার ।। নীলমাধব প্রামাণিক

ছবি
দুয়ারে দিয়েছে জল আষাঢ়ের মেঘে রোদের আলোক রেখা সুর্য যায় রেখে । বাতাস দিয়েছে দোরে দখিনা পবন তবুও তো ঠিক ঠাক খুশি নয় মন । দুয়ারে আসেনি কোনো মানবিক মুখ তথাপি সে পথ চেয়ে আছি উন্মুখ । প্রযুক্তি এসেছে দোরে কড়া নেড়ে নেড়ে এসেছে করোনা কাল সময়ের ফেরে । অঢেল দেদার ছুটি বেকারত্ব দ্বারে অনটন টানাটানি সব পরিবারে । মুখোশ এসেছে দোরে, দোকান বাজার এ কোন অবাক দেশ আজব রাজার ? এখানে হাঁড়ির হাল হাভাতেরা জানে জানি না ক্ষুধার অন্ন দুয়ারে কে আনে । -----------   নীলমাধব প্রামাণিক মাধবনগর, ডাক -পূর্ব চাঁদপুর মন্দির বাজার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা পিন -৭৪৩৩৩৬, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত মোবাইল +হোয়াটসআপ -৮৩৪৫৯৯২৭৭৬  

কবিতা ।। গাণিতিক পদ্ধতি ।। দীপঙ্কর সরকার

ছবি
কবিতা সুরেলা আওয়াজ উঠেছে ঠিকই এখনও গাণিতিক পদ্ধতি প্রয়োগ করিনি । ভুলপথে হেঁটেছে জ্যোৎস্না পরিকল্পনাহীন, আদতে গুছিয়ে গাছিয়ে সংসার ধর্ম পালন ধাতে সহেনি কোনো দিন । পারতপক্ষে এ বুঝি হেরিডিটি কোনো নতুবা কল্পনা অলীক । সময়ের প্রেক্ষিতে বদলায় রঙ  গিরগিটি সম, এই এঁকেছি চাঁদ তো পরক্ষণেই পাতাবাহারের আস্ত একটা বেনামী দলিল, সূচি- পত্রে ত্রুটি কিছু থেকে গেছে অমার্জনীয় অপরাধ জেনেও ক্ষমা চাওয়ার অবকাশ জোটেনি,  সাতে পাঁচে কারবার আমার গাণিতিক পদ্ধতিতে কিছু দোষ থেকে গেছে বিলকুল । =================     দীপঙ্কর সরকার কাঁঠাল পুলি (সিংহের হাটের কাছে) চাকদহ নদীয়া ৭৪১২২২

কবিতা ।। অন্তর-সংলাপ ।। সুজিত রেজ

ছবি
সারা ঘর জুড়ে তুমি তুমি গন্ধ। জামার কলারে ঘষা খুসকির চারকোল কাঁটা। এই যে এতকাল পথহীন পথ হাঁটা, বিফল তো নয় সব। খাতাবুকে লিখে রাখো এইসব নীরব কলরব। তোমার অগোছালো আঁচলের নভোনীলে, ক্লান্ত তারার ডুবসাঁতার। শিউলি সকাল দেয় উঁকি, এরপর আমি আর ঘুমোতে পারি কি? এসো মৃত্যু গুছিয়ে রাখি। শুকতারার সঙ্গে আলাপন সেরে, ভোরের কুয়াশার মতো গলে গলে পড়ে পোড়ো মাটির ভিজে গল্প,তখনও তোমার ওষ্ঠে মোমবাতি জ্বলে, আমি তাকে নেভাই কী করে? দয়া করে বাইরে যেয়ো না, বাতাস বইছে জোরে। গাছের ডালগুলো নুইয়ে পড়েছে। পাতা নেই, ফুল নেই,তবুও। কিসের ভার বহনে তার এই অনীহা? ---------------------------------  সুজিত রেজ চুঁচুড়া, হুগলি

কবিতা ।। আরাধ্য আলস্য ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

ছবি
আলস্য ছুঁয়েও কেমন চঞ্চল হয়ে ওঠে  পা  কিছুতেই স্থির থাকতে পারে না  মাথার ভেতর অস্থির মুহুর্ত  হাত টানটান হয়ে যায় প্রবাহের দিকে  অথচ আলস্য ছাড়া নিরাময় নেই  অথচ আলস্য ছাড়া চিন্তার প্রসূতিসদন নেই  উৎপাদন সূত্র থেকে সরে যাচ্ছে ভাবনার আকরিক  স্থানিক বিভ্রম  অসমাপ্ত অলসতায় কেবল দৌড়ে যাওয়া অতৃপ্তির দিকে  অতৃপ্তি ছাড়া শিল্পের আর  মুদ্রাদোষ  নেই

গ্রন্থ-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
  আদিগঙ্গাতীরবর্তী বিস্তৃত এক জনপদের  স্বাধীনতা-সমকালিক মহার্ঘ চিত্র   বর্ষীয়ান লেখক উত্থানপদ বিজলী এক পরিচিত নাম বাংলা সাহিত্যে। একাধারে তিনি কবি, ছড়াকার, সম্পাদক এবং বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক। নামীদামি থেকে অনামী ছোটখাটো কত যে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর লেখাজোখা ভাবলে বিস্মিত হতে হয়। নিজের বইয়ের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে অজস্র তাঁর সম্পাদিত বইয়ের জগৎ। আজকের মুখ-বইয়ের মতো সামাজিক মাধ‍্যমে বা ব্লগজিনেও তাঁর স্বচ্ছন্দ বিচরণ। অশীতিপর-তিনি আজও সমান সক্রিয় তাঁর সৃজনকর্মে।        সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর শিশু-কিশোরদের উপন্যাস 'পলাশডাঙার পলাশ'। বর্তমান আলোচকের মতে, এখনও পর্যন্ত তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ সাহিত‍্যকীর্তি এটি। শিশু-কিশোরদের উপন্যাস বলা হলেও, এটিকে কেবল শিশু-কিশোরদেরই ভেবে এড়িয়ে গেলে এক বিশেষ কালের বিশেষ এক অঞ্চলের সামাজিক-সাংস্কৃতিক – হ‍্যাঁ, এমনকি ঐতিহাসিক – নিবিড় চিত্রসমন্বিত এ গ্রন্থটির প্রতি অবিচার করা হবে।         কাহিনির স্থান মজে যাওয়া আদিগঙ্গার তীরের নারকেলডাঙা-পলাশডাঙা ও তৎসন্নিহিত হংসগড়িয়া, দহকাঁদা, মাখালিয়া, তমালপুর-দুলালপুর, শিবপুর, সরবেড়িয়া প্রভৃতি গ্রাম এবং তাদেরও

কবিতা ।। বৃষ্টিকে ভালোবেসে ।। বনশ্রী রায় দাস

ছবি
  আকাশের ক্যানভাসে অভিমানী জলমেঘ হৃদয়ের কাছাকাছি এসে রঙিন ওড়না স্থির  বৃষ্টির বালিকামাস স্বভাবে ফারাক বিস্তর একতারায় আঙুল ছুঁয়ে বাউল মন অস্থির  ঢেউয়ের কলমকারি পাড় উথালপাথাল  ভালোবেসে নূপুর-বুকে রাধা বাঁশি বাজে  একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বেড়ায় ছুটে   অভিসারে যাবে সে কামিনী ফুলের সাজে      যন্ত্রণায় গুমরে মরে  আসে না জল শুধু একটি হিমেল হাওয়া শিহরণ বাহারে  কম্পনে খুলে দেয় গোপনে রাখা তোরঙ্গ  আবার কখনও সে আসে বিরহী মল্লারে ঝড়ের শব্দে পা ফেলে সতর্ক বর্ষালিপি  তছনছ করে বাৎসল্য-ঘোর তীরের ফলায়  টাল সামলাতে নাপেরে দুচোখে ধরি তাকে  গহনে ডুবে পাঁজিপুঁথি ভাসিয়ে নিয়ে যায়  শুধুমাত্র অগ্রন্থিত একটি শ্রাবণ বিকেলে    মৃগনাভি অরণ্যে হারিয়ে যাওয়া হিরণ্ময়  মনবাড়ির চৌকাঠে এসে দাঁড়ায় রূপকথা  বলে গেল প্রকৃত ভালোবাসার হবে জয়     --------------------