পোস্টগুলি

জুন ১৭, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৫২তম সংখ্যা ।। আষাঢ় ১৪২৯ জুন ২০২২

ছবি
    সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-মুক্তগদ্য সাহিত্যে ইতিহাস ও দর্শন ।। রণেশ রায়   স-সে-মি-রা ।। কাশীনাথ হালদার বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ : বঙ্গে শৈব থেকে বৈষ্ণবীয় ধারার ভাবান্তর ।। সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় আগুনে ধাঁধা - বিজ্ঞান না অবিজ্ঞান ।। অনিন্দ্য পাল   "কোনখানে রাখবো প্রণাম" ।। শ্রীজিৎ জানা রবীন্দ্রনাথের বিশ্বমানবতাবোধ ।। শেফালি শর ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী বাসুদেব বলয়ান্ত ফাদকে ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী তাহাদের কথা...।। শাশ্বতী মণ্ডল যুদ্ধ- প্রতিপত্তি বৃদ্ধির উদগ্র বাসনার এক অবশ্যম্ভাবী ফল ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী   মুর্শিদাবাদ জেলার অর্থনীতিতে নদনদীর প্রভাব ।। আবদুস সালাম নারী ও সমাজ ।। দীপঙ্কর চৌধুরী  আলোকসম্পাতঃ দস্যু রত্নাকর থেকে আদি কবি বাল্মীকি ।। প্রদীপ দে   দুস্থ কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহযোগিতার অঙ্গীকার ।। পাভেল আমান   গল্প-ছোটগল্প- অণুগল্প ১) সাধুবটতলা ২) তালডোঙা ।। সুদীপ ঘোষাল পাকামাগুর ।। চন্দন মিত্র মোহন পরিবারের দর্শনচিন্তা ।। সৌমেন দে শ্রেণীশত্রু ।। কাকলী দেব আজব নগরের কথা ।। মিঠুন মুখার্জী ক্ষণিকের যাত্রী ।। জাহ

প্রবন্ধ ।। সাহিত্যে ইতিহাস ও দর্শন ।। রণেশ রায়

ছবি
সাহিত্যে ইতিহাস ও দর্শন  রণেশ রায় সাহিত্যের  কাজ হলো মানবজীবন ও প্রকৃতির বিবর্তন প্রক্রিয়ার ইতিহাস ঘেটে স্মৃতি রোমন্থন করা, তাকে  তুলে এনে  বর্তমানের সঙ্গে  মেলবন্ধন ঘটিয়ে  সাহিত্যিকের নিজের মননে সাহিত্যের প্রাঙ্গণে সাজিয়ে তোলা, ভবিষ্যতের ছবি আঁকা। অতীতের সঙ্গে বর্তমানের মেলবন্ধন ঘটিয়ে, বর্তমানের ঘটনাবলিকে তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কল্পনার মালা গাঁথা হয় সাহিত্যে। ভবিষ্যতের ছবি আঁকা হয়। আর ইতিহাস ঘাঁটাটাও কার্যত স্মৃতি রোমন্থন কারণ ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকে মানুষ আর তার জীবনের অতীত, ভৌত জগতের বিবর্তন প্রক্রিয়া। সেই অর্থে ইতিহাসও ডায়েরির কাজ করে। মজুত থাকে সমাজ জীবন আর ভৌত জগতের যাবতীয় অতীত সম্পদ। তাই বলা চলে সাহিত্যিক ইতিহাস হাতরিয়ে তাঁর সাহিত্য কর্মে সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগে, গল্প কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধে, অতীত আর বর্তমানের মধ্যে মেল বন্ধন ঘটিয়ে কল্পনার রঙে যে শিল্প সৃষ্টি করেন তাঁকে সাহিত্য শিল্প বলে। এটা ধরেই আমরা সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগে যা বলতে চাই তা এই এই আলোচনায় তুলে ধরব। এখানে স্মৃতি কথাটা এই বিশেষ প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। নেহাত ব্যক্তিস্মৃতি নয়। এ এক সমাজস্মৃতি। সেখানে

বিশেষ নিবন্ধ ।। স-সে-মি-রা ।। কাশীনাথ হালদার

ছবি
স-সে-মি-রা কাশীনাথ হালদার 'সসেমিরা' কথাটি একটা সংস্কৃত প্রবাদ। সাধারণত খুব খারাপ অবস্থা বা মন্দ অবস্থা বােঝাতে কথাটি ব্যবহৃত হয়। আসলে একটা সংস্কৃত শ্লোকের প্রথম চরণের প্রথম অক্ষর 'স', দ্বিতীয় চরণের প্রথম অক্ষর 'সে', তৃতীয় চরণের প্রথম অক্ষর 'মি' এবং চতুর্থ চরণের প্রথম অক্ষর রা'―এগুলাে পরপর সাজিয়ে স-সে-মি-রা। এ নিয়ে একটা শিক্ষামূলক সুন্দর গল্প আছে। গল্পটা এইরকম : কোনাে এক দেশে এক রাজকুমার ছিল। একদিন মৃগয়ার জন্য সে একটা বনের মধ্যে প্রবেশ করলাে। শিকারের সন্ধান করতে করতে সে গভীর বনের মধ্যে চলে গেল এবং পথ হারিয়ে ফেললাে। এদিক-ওদিক ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা হয়ে এলাে। কিছুদুরে বাঘের গর্জনও শােনা গেল। রাত কাটানাের জন্য রাজকুমার একটা বড় গাছে উঠে বসলাে। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা গেলাে, একটা প্রকাণ্ড ভালুকও সেই গাছে উঠছে। রাজকুমার ভয়ে আড়ষ্ট। তা দেখে ভালুকটা বলল : "ভয় পেয়াে না রাজকুমার। আমি তােমার কোনো ক্ষতি করবো না। তুমি এখন থেকে আমার বন্ধু হলে। দুজনে মিলে এই গাছে আমরা রাত কাটাবাে।" একটু রাত বাড়তেই একটা বিরাট বাঘ সেই গাছের নীচে এলাে। দুটো শিকার তখন

বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ : বঙ্গে শৈব থেকে বৈষ্ণবীয় ধারার ভাবান্তর ।। সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়

ছবি
  বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ:  বঙ্গে শৈব থেকে বৈষ্ণবীয় ধারার ভাবান্তর সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়                                                               ১ খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী থেকে বাংলায় পাল রাজবংশের প্রভাব স্তিমিত হতে থাকলে সেন বংশের  আধিপত্যের উদয় ঘটে।  সেনরাজা বিজয় সেন হুগলী জেলার ত্রিবেণীর নিকট তাঁর রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন। নামও দেন তাঁর নামানুসারে 'বিজয়পুর।' প্রসঙ্গত, পূন্যতোয়া ত্রিবেনীতীর্থের গঙ্গাতীরের আধ্যাত্ম রম্যতা এবং নিকটে সপ্তগ্রামের নৌ-বানিজ্যের সুবিধার্থেই এই বিজয়পুরের পত্তন। পরবর্তী সময়ে রাজা হন বল্লাল সেন। 'দানসাগর' এবং 'অদ্ভুতসাগর' গ্রন্থের প্রনেতা এই নৃপতি অত্যন্ত প্রতিভাধর ও সুপণ্ডিত ছিলেন এবং সেই ধারা আরও বেশি সম্প্রসারিত হয় লক্ষ্মণ সেনের সময়কালে। কারণ, লক্ষন সেনের রাজসভা অলংকৃত করেছিলেন পঞ্চরত্ন উমাপতি ধর, শরণ, ধোয়ী, গোবর্ধন আচার্য এবং জয়দেব। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় লক্ষ্মণ সেনের রাজত্বকাল ১১৮৫ - ১২০৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।  তারপরই তুর্কী  আক্রমণ।  শুরু হয়  অন্ধকার যুগ; বাংলা  সাহিত্যের ভাবধারার এক পট পরিবর্তনের সূচনা।             প্রাচীন যুগ

প্রবন্ধ ।। আগুনে ধাঁধা - বিজ্ঞান না অবিজ্ঞান ।। অনিন্দ্য পাল

ছবি
আগুনে ধাঁধা - বিজ্ঞান না অবিজ্ঞান!  অনিন্দ্য পাল  ২০১৫ সালের ১৫ই জানুয়ারি চেন্নাইয়ের বিল্লাপুরমের বাসিন্দা 'কে. রাজেশ্বরী' , মাত্র ২২ বছর বয়সে সদ্য মা হওয়া তরুণী তার ছ'দিনের ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সরকারি হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছেন, তরুণী সেই মায়ের দাবী ছিল তার এই ছদিনের বাচ্চার শরীরে আগুন ধরে গেছে। এই ঘটনা, যথারীতি কেউ বিশ্বাস করেনি। অনেকে এর পিছনে শিশুনিগ্রহের ছায়া দেখতে  পেয়েছেন । ডাক্তাররাও ঠিকঠাক কারণ বলতে পারেন নি।    তবে একটু পিছনের দিকে তাকালে দেখা যায়, এরকম অবিশ্বাস্য কিছু ঘটনা পৃথিবীতে ঘটেছে- যার ব্যাখা আজও সঠিক ভাবে দেওয়া যায়নি। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে Spontaneous human combustion বা (SHC) নামে একধরনের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে ,আবার এ রকম ঘটনার উল্লেখ বেশ কিছু পত্রপত্রিকাতেও পাওয়া যায়। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত Larry E. Arnold এর Ablaze! বইটিতে দাবী করা হয়, বিগত ৩০০ বছরে সমস্ত পৃথবীতে প্রায় ২০০টি এরকম ঘটনার উদাহরণ আছে।    'ঘটনা' বলতে যেটা বোঝানো হচ্ছে, তা এককথায় বেশ রোমহর্ষক। কোনও জীবন্ত মানুষের শরীরে বাইরের কোন আগুন বা ইন্ধন ছাড়াই অগ্নিসংযোগ ঘটছ

প্রবন্ধ ।। "কোনখানে রাখবো প্রণাম" ।। শ্রীজিৎ জানা

ছবি
  "কোনখানে রাখবো প্রণাম" শ্রীজিৎ জানা বাঙালী চিরকাল ঠাকুর বলতে অজ্ঞান। তার নিত্যদিনের যাপনে, সমারোহে, উদযাপনে, দুঃখ-শোকের অভিঘাতে,প্রেমে, বিরহে আরোপিত হয়েছে ঠাকুর-দেবতার ভাবাদর্শ। তার হৃদিমাঝে বারবার অনুরণিত হয়ে চলেছে ওই একই সুরতরঙ্গ -"দেবতারে প্রিয় করি/প্রিয়রে দেবতা"। বাঙালী যাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে তাকে অনায়াসে, নিঃশর্তে বসাতে পারে দেবত্বের আসনে। ফলত পুজোর ঘরে অথবা দেয়ালের গায়ে লক্ষ্মী-গনেশ-কালী-দুর্গা-সরস্বতী-শিবনারায়ণের পাশে আরেক ঠাকুর পরম শ্রদ্ধায়, ভালবাসায় ঠাঁই পেয়েছেন। তিনি আর কেউ নন--তিনি বাঙালীর 'নিয়তি ও নৈঋত',তিনি বাঙালীর ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ, তিনি বাঙালীর আশীর্বাদ ও আশ্রয়, তিনি বাঙালীর প্রাণের ঠাকুর--রবি ঠাকুর!       তিনি তো সত্যিকারের ঠাকুর। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ আর সারদাসুন্দরী দেবীর অষ্টম পুত্র সন্তান তিনি। বাঙালী সেই কোন যুগ থেকে অষ্টমগর্ভের সন্তানকে  সৌভাগ্যের, দুঃখহরণের,প্রেমের ঠাকুর মেনে নিয়ে বসিয়েছে মনে ও মন্দিরে। মহর্ষিও তাঁর অষ্টম পুত্রসন্তানকে শৈশবেই চিনেছেন 'বিস্ময়বালক' রূপে! পরবর্তীতে দীর্ঘকায়, প্রলম্বিত, হীরকদ্যূতি চোখ,দাড়ি-গোঁফভরা শ

প্রবন্ধ ।। রবীন্দ্রনাথের বিশ্বমানবতাবোধ ।। শেফালি সর

ছবি
রবীন্দ্রনাথের বিশ্বমানবতাবোধ শেফালি  সর রবীন্দ্রনাথ  জীবনে দেশকে  ও বিশ্বকে সমান স্থান দিয়েছিলেন। পৃথিবীর  একপ্রান্তে,এমনকি ভারতবর্ষের  বা বাংলার এক কোনে পল্লী  পরিবেষ্টিত যে বিদ‍্যালয় গড়েছিলেন তার  নাম  দেন বিশ্বভারতী অর্থাৎ  বিশ্বের নীড়।১৯১৬সালে এক চিঠিতে পুত্র রথীন্দ্রনাথকে লিখেছিলেন -মানবী বিদ‍্যাচর্চায় বিশ্বভারতীকে  হতে হবে পৃথিবীজোড়া মানুষের  গবেষণা  কেন্দ্র।                            বিশ্বভারতীর পরিকল্পনা  সম্বন্ধে নির্দ্বিধায়  ঘোষনা করেছিলেন তিনি "এই বিশ্বভারতী ভারতবর্ষের  জিনিস  হলেও  একে বিশ্বের সমস্ত  মানবের তপস‍্যার ক্ষেত্র করতে হবে।" তপস‍্যার লক্ষ্য  হবে  প্রাচ‍্য ও পাশ্চাত্য  সভ‍্যতা মিলিয়ে জ্ঞান বিজ্ঞান ও স্বাধীনতার আদর্শ স্থাপন  করা।১৯৩৩ সালে রামমোহনের মৃত‍্যু বার্ষিক  সভায়  তিনি  বলেছিলেন-"মানব সমাজের সর্বপ্রধান তত্ত্ব  হল মানুষের ঐক্য।                মানুষের  সহিত মানুষের সম্বন্ধকেই তিনি  বড় বলিয়া জানিয়াছেন।সেখানে তিনি দেশী কি বিদেশী ভাব ভাবনাকে কখনো  প্রশ্রয় দেননি।তিনি তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে  বুঝিয়েছেন যে বিদেশী শিক্ষাকে সার্থক করতে হলে হৃদয়ের যোগ