নবপ্রভাত রজতজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান মহা সমারোহে সংঘটিত হয়ে গেল গত ২রা অক্টোবর, ২০১৮ বেলা ১১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কলকাতার কলেজ ষ্ট্রিটের ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট হলে।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি মাননীয় সুধীর দত্ত, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের পুরোধা-পুরুষ মাননীয় সন্দীপ দত্ত এবং আজকাল পত্রিকার ক্রীড়া-সাংবাদিক মাননীয় দেবাশিস দত্ত মহাশয়। শিক্ষাবিদ ড. পবিত্র সরকার শারীরিক অসুস্থতার জন্য উদ্বোধক হিসাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারার জন্যে দুঃখপ্রকাশ করে একটি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান।
উদ্বোধনী সঙ্গীত ও ২৫টি প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে চারজন কবি-সাহিত্যিককে “নবপ্রভাত রজতজয়ন্তী স্মারক সাহিত্য সম্মাননা ১৪২৫”, চারজন কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারকে “নবপ্রভাত রজতজয়ন্তী স্মারক শ্রদ্ধার্ঘ্য” এবং দুটি লিটল ম্যাগাজিনকে “নবপ্রভাত রজতজয়ন্তী স্মারক লিটল ম্যাগাজিন সম্মান” প্রদান করা হয়। প্রত্যেককে স্মারক, মানপত্র, উত্তরীয় এবং অভিনবভাবে বৃক্ষচারা সহযোগে সম্মানিত করা হয়।
“নবপ্রভাত রজতজয়ন্তী স্মারক সাহিত্য সম্মাননা ১৪২৫” প্রাপকরা হলেন-
১। অজিতেশ নাগ, তাঁর ‘হিম নির্বাসন’ উপন্যাসের জন্য।
২। শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর ‘আগাছা’ গল্পগ্রন্থের জন্য।
৩। অরবিন্দ পুরকাইত, তাঁর ‘গাঁ-ঘরের কথা’ প্রবন্ধ-গ্রন্থের জন্য।
৪। বনশ্রী রায় দাস, তাঁর ‘অনন্তের স্পর্শধ্বনি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য।
“নবপ্রভাতরজতজয়ন্তী স্মারক শ্রদ্ধার্ঘ্য” প্রাপকরা হলেন-
৫। তরুণ মান্না, ‘নির্বাচিত অণুগল্প’ প্রবন্ধ-গ্রন্থের জন্য।
৬) সাগর মুখোপাধ্যায়, ‘ওকে আমার কথা বোলো’ কাব্যগ্রন্থের জন্য।
৭) জীবন কুমার সরকার, ‘মতুয়া: মননে ও সাহিত্যে’ প্রবন্ধ-গ্রন্থের জন্য।
৮) দেবশঙ্কর দাস, ‘তিনটি নাটক’ গ্রন্থের জন্য।
“নবপ্রভাত রজতজয়ন্তী স্মারক লিটল ম্যাগাজিন সম্মান” প্রাপক:
১) অনুপম সাথী (শারদ ১৪২৪, ২৫ বছরের নির্বাচিত সংকলন), সম্পাদক- রাসমোহন দত্ত, উত্তর ২৪ পরগনা।
২) লালমাটি (অক্টোবর ২০১৭, প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন আত্মপ্রকাশ সংখ্যা), সম্পাদক- শৈলেন চৌনী,বাঁকুড়া।
অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয় ১৫২ জন কবির দুই শতাধিক কবিতা সমন্বিত নবপ্রভাত রজতজয়ন্তী স্মারক কবিতা সংকলন “কবিতা কোরাস” এবং নবপ্রভাতের ‘স্মরণিকা’ সংখ্যা ও মিত্রস্থানীয় পত্রিকা "পাড়ি"।
শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মালদা, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে ২০০-রও বেশি কবি, সাহিত্যিক ও সাহিত্য অনুরাগী উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। কবিতা পাঠ, গান, আবৃত্তি, শ্রুতিনাটক পরিবেশন করেন বিভিন্নজন। কিন্তু সময়াভাবে সকলে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
নবপ্রভাত-সম্পাদক নিরাশাহরণ নস্কর এত মানুষের অংশগ্রহণে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং সকলকেই আন্তরিক অভিনন্দন, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি রবীন বসু এবং সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রী তরুণ মাঝি ও অবশেষ দাশ মহাশয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন