আমারই গভীর উচ্চারণে
অফিসিয়ালি সব লিখে আর বলে আর সমীহ আদায় করে বেরিয়ে আসি
সময়ের অফিসে ফর্মালি পায়ের জুতো থেকে মাথার টুপি পর্যন্ত চৌখোশ,
তার পর ? তারপর এক আদিম অকৃত্রিম জল ঝড়ে ভেজা কাক,পথচারী
দেখুন দাদা, ঐ মরা ইছামতী পারে কাদা আর ধূলো ওড়া পলাশপুর বাড়ি-
হ্যাঁ গামছায় গা মুছি, কাঁদি হাসি কাঁচা গালাগাল করি, বাংলায় ভালবাসি
অসহ্য রাগ আর গলিত আবেগ আর আর,যত ঘেন্না বমি বদহজম বাঁদরামি
সব সব সবকিছু ব্যবচ্ছেদ, প্রবৃত্তি, সব শরীরজ ইচ্ছে আর স্বপ্ন-দু:স্বপ্ন সারি
যা কিছু আমার, আমারই মতো যত আমি সব সবই বাংলায়, বাংলায় ভাবি
খাই চিবিয়ে চুষে লালায় জ্বালায় নুনে আর গুনে মা মা ডেকে শুনে আঁচলে
মুখ মুছে ঘুমিয়ে পড়া পর্যন্ত, বাংলায় বাংলাদেশে বাঙালির খাল নালা পথে
বালক রবীন্দ্রনাথের জানলা থেকে দেখা বটগাছে, যতীন্দ্রমোহনের বাঁশবনে
আর জসীমউদ্দীনের সোজনবাদিয়ার ঘাটে,জীবনানন্দের নাটোরে বনলতার
চোখে, শীতে বসন্তে আর পিছল বর্ষায়, জ্বরে জর্জরতায় জারিত জারণে
আর সব সব কর্ষণে প্রেমে ,শ্বাসের প্রত্যেক উত্থানে পতনে বাংলা, গভীর উচ্চারণে ।
=========================================