Featured Post

নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রন্থ-প্রকাশ : ১। সম্পূর্ণ পত্রিকার খরচে ও ২। পত্রিকার অনুদানে

ছবি
  নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে  গ্রন্থ-প্রকাশ বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি ১। সম্পূর্ণ পত্রিকার খরচে এক ফর্মার ১০টি পুস্তিকা : এই প্রকল্পে লেখক-কবিদের থেকে কোনো খরচ নেওয়া হবে না।        পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বইগুলি প্রকাশিত হবে। লেখক/কবিকে সশ্রদ্ধায় সৌজন্য সংখ্যা দেওয়া হবে।       যাঁদের আগে কোন বই হয়নি , তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন। নতুনদের উপযুক্ত লেখা না পেলে বাকিদের লেখা নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরিত হবে।       লেখা সকলেই পাঠাতে পারেন। মেলবডিতে টাইপ করে বা word ফাইলে ।   ই-মেল : nabapravat30@gmail.com  (এবং হোয়াটসঅ্যাপেও)। বইয়ের শিরোনামসহ ১৫টি কবিতা বা ১৫টি অণুগল্প পাঠাতে হবে , শব্দ সংখ্যা বা লাইন সংখ্যার বাঁধন নেই । মনোনীত হলে মানানসই বইয়ের ফরম্যাটে যে কটি যাবে রাখা হবে ।       সঙ্গে লেখক পরিচিতি , ঠিকানা , যোগাযোগের ( কল ও হোয়াটসঅ্যাপ )   নম্বর ও এক কপি ছবি দেবেন। লেখক পরিচিতিতে অবশ্যই জানাবেন, এটি আপনার প্রথম প্রকাশিত বই হবে অথবা পূর্ব প্রকাশিত গ্রন্থতালিকা। অনলাইন বা মুদ্রিত পত্রিকা বা সমাজ - মাধ্যমে প্রকাশিত লেখাও পাঠানো যাবে । তবে কোনও গ্রন্থভুক্ত লেখা

স্মৃতি ।। অঙ্কিতা পাল


আমার জীবনে বাবা ও মায়ের পরেই যাদের স্থান তারা হলেন আমার ঠাকুমা ও দাদু। মাকে প্রতিদিন স্কুলের জন্য বেরোতে হতো এবং বাবাকে ব্যবসার কাজে। তারা আমাদের দুই ভাই-বোনকে খুব যত্ন সহকারে পালন করতেন।সকালে আমাদের খাইয়ে পোশাক পরিয়ে সঠিক সময় স্কুলে পাঠাতেন এবং ছুটির পর আমাদের জন্য রাস্তায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন। শনিবার ও রবিবার ছুটির দিনে দাদু আমাদের সাথে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলাকরতেন। শীতকালে দাদুভাই কে নিয়ে রোদে বসে থাকত এবং বসে বসে খেলা করতেন।  আমি দাদু ও ভাই একসাথে উঠানে বসে রান্না বাটি খেলতাম। কখনো কখনো দুপুর বেলা ও রাত্রিবেলা দাদু আমাদের ঠাকুরমার ঝুলি গল্প বই পড়ে শোনাতেন।
এভাবে দাদু ঠাকুমা ও বাবা-মায়ের মধ্যে দিয়ে আমরা ছোট থেকে বড়ো হলাম।ঠাকুরমা তখনও আমাদের যত্ন করে খাইয়ে দিতেন। তিনি আমাদের জন্য নানান রকম পিঠেপুলি, মালপোয়া, নাড়ু ও পায়েস তৈরি করতেন। তার মধ্যে আমার সবচেয়ে যেটা বেশী ভালো লাগত ক্ষীরের সন্দেশ। তার হাতের কাজ ছিলো অসাধারণ এত সুন্দর সুন্দর নকশী কাঁথা ও আসন তৈরি করতে পারতেন, যা আমাদের কাছে আজ ও অতীব যত্ন সহকারে রাখা আছে।
তারপর আমার বিয়ে হয়ে গেলো, ঠাকুরমা কখনও কখনও বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে আমার শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে আসতেন আবার কখনও আমরা গেলে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করতেন। আমরা গেলে দাদু ঠাকুমা আমাদের সাথে অনেক অনেক গল্প করতেন।
এমন একটা সময় এলো, যখন ঠাকুমার স্মৃতি বিভ্রাট ও দাদু দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে গেলো। এমত অবস্থায় ঠাকুরমা আমার দুই মেয়ের সাথে শিশুদের মতো খেলা করতেন।
তারপর বছর এক বছরের মধ্যেই একে একে দুজনেই আমাদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন। তারা আমাদেরকে খুব ভালোবাসতো, তাই আজও তাদের কথা মনে পড়লে চোখে জল আসে। 

===============

 
অঙ্কিতা পাল
ভাঙ্গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। 'স্বাধীনতা, স্বদেশ ও স্বকাল' বিষয়ক সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩১ আগস্ট ২০২৪

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

নবপ্রভাত পত্রিকার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রন্থ-প্রকাশ : ১। সম্পূর্ণ পত্রিকার খরচে ও ২। পত্রিকার অনুদানে

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান