নদীর পাড়ে মেঠো আলে সাদা কাশের মেলা,
নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় মেঘবালিকার ভেলা।
টইটুম্বুর নীল সায়রে পদ্মমুখীর ভোরের সূর্যস্নান,
শিউলি ঝরা শারদ মাঝে তোমার মর্ত্তে আবাহন।
বছর- বছর আসো তুমি মড়ক লাগা দেশে,
অসুর কূল বুক ফুলিয়ে লন্ড-ভন্ড করে সাধু বেশে।
অ-লক্ষ্মীর রোষানলে মরছে পুড়ে অভাগীর সংসার,
সরস্বতী বন্দি গৃহে বোবা যন্ত্রনায় করে হাহাকার।
সর্বংসহা কল্যানময়ী জননী তুমি জগতের মঙ্গল দাত্রী,
কেন তবে প্রাচুর্যে পূর্ণশশী সুয়োরানী, আঁধারে কাঁদে দুয়োরানী!
চেয়ে দেখো ছিন্ন বসনে বিষন্ন বদনে করে ওরা প্রার্থনা,
ওদের জীবনে আনন্দ - সুখ- শান্তি কেন মেলেনা!!
পূজোর গন্ধ ঢাকের শব্দ বুকে বাজে হাতুড়ির আঘাত,
নিরব- নিঃশব্দে ওরা গোপনে অশ্রু মোছে কার ও সুখে করেনা ব্যাঘাত।
যারা কেড়ে খায় ওদের মুখের গ্রাস, অসময়ে জ্বালায় চিতা,
তাঁদের করো সংহার কলুষ মুক্ত হোক ধরিত্রী মাতা।
সবার প্রানে সবার মনে ফুটুক হাসি এ আলোর উৎসব,
হিংসা- দ্বেষ, কলহ-বিবাদ, সঙ্কীর্ণতা অবসানে হোক নগরকীর্তন মোচ্ছব,
হৃদয়ের আলিঙ্গনে মুছে যাক্ ব্যাবধান প্রানের বাঁশিতে মিলনের সুর,
আনন্দ- কলরবে ঐক্যের বন্ধনে পিছু হটবেই অশুভ অসুর।
==========
অশোক দাশ
ভোজান, রসপুর, হাওড়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন